Translate

Tuesday, November 12, 2019

একজন ভাল ছাত্র এবং একজন খারাপ ছাত্রের মধ্যে প্রধান পার্থক্য

একজন ভাল ছাত্র এবং একজন খারাপ ছাত্রের মধ্যে প্রধান পার্থক্য:

একজন ভাল ছাত্র এবং একজন খারাপ ছাত্রের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল: মনোযোগ। ইংরেজিতে আমরা তাকে ফোকাস  বলি।

"মন চলে যায় আকাশে, পাতালে, পাহাড়ে, সাগরে । মনকে নিয়ে আসো নিজেরই অন্তরে, যেন তা থাকে তোমারই নিয়ন্ত্রণে ।" [ঋগবেদঃ ১০.৫৮.২]


যে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে অন্যের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

"মন কে নিয়ন্ত্রন করা যায় প্রতিদিন ধ্যানের মাধ্যমে"

"আমি আবার লেখা পড়া শুরু করলে আমি আমার মনকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখব।"
[স্বামী বিবেকানন্দ।]


যে কোন জিনিস চিরদিন মনে রাখার সূত্র:
“আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম”

অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
রাব্বি জিদনি ইলমা।
পড়ে পড়া শুরু করতে হবে। এর ফলে পড়ার সময় মন অন্যদিকে চলে যাবে। এর সুফল আল্লাহ তাআলা দয়া অল্প সময়ে বেশি পড়া সম্ভব হবে।

"চিন্তাহীন শূন্য মস্তিষ্ক  দিয়ে কোন জিনিসের উপর যদি পুরোপুরি মনোসংযোগ করা যায়।
তাহলে সেই জিনিস কে মনে রাখা খুব সহজ হয়ে উঠে।
এই শক্তি বৃদ্ধি কেবলমাত্র চিন্তাহীন শূন্য মস্তিষ্কের অনুশীলন এবং ধ্যানের মাধ্যমেই আয়ত্ত করা যায়।"
[স্বামী বিবেকানন্দ।]


একসাথে দুইটি কাজ করলে ফোকাস নষ্ট হয়। এর ফলে পড়ার সময় অন্য দিকে মন যায়। এর ফলে যা পড়তে এক ঘন্টা লাগায় কথা সেখানে ফোকাস কম থাকার কারণে তা পড়তে ৩ ঘন্টা লাগে এই সমস্যার সমাধান হলো ধ্যান করা।

লেখাপড়ার মধ্যে কোয়ালিটি প্রয়োজন কোয়ান্টিটি নয়। আপনি কয় ঘন্টা পড়লেন এটা বড় কথা নয়, পড়ার মধ্যে কত ঘন্টা মন পড়ার  ছিল এটাই বড় কথা। আমি কত ঘন্টা লেখাপড়া করলাম বা করছি তা আমার ফলাফল নির্ধারণ করবে না। আমি  কতক্ষণ সুনির্দিষ্ট পড়ার মধ্যে মনোযোগ রাখতে পেরেছি তা ভবিষ্যতে ফলাফল নির্ধারন করবে। যেমন পরীক্ষার 1 ঘন্টা আগে পড়ায় মন।
যেমন গভীরভাবে বসে। তখন আপনি খেয়াল করবেন অল্প মিনিটে অনেক পড়া তাড়াতাড়ি বুঝা এবং মুখস্ত হচ্ছে প্রধান কারণ হলো এই অল্প সময় আপনি 100% যোগ দিয়েছেন।



মনকে বলতে হবে আমি এই ৩০ মিনিটের একটি নির্দিষ্ট অংশ পড়ে শেষ করবো।   নির্দিষ্ট সময় পড়া চাপ মনকে দিলে মন অন্য জায়গায় ঘুরতে যাবে না।



একটি ভাল ছাত্র এবং একটি খারাপ ছাত্রের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো ভালো ছাত্র পড়ার সময় তার মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে পড়ার মধ্যে থাকে আর একজন খারাপ ছাত্র পড়ার সময় তার মনোযোগ অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।।


মনকে অ্যাফারমেশন (আদেশ) দিতে হবে:
আমি অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারি। অল্প সময় অনেক পড়তে পারি। আমার পড়ার মনোযোগ ভালো থাকে। আমি অনেক সময় অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারি। আমি বেশি বেশি পড়তে ভালো বাসি।

Focus:
Warren Buffett and Bill Gates secret to become rich is only Focus. সূর্য আলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় Focus. করলে তা থেকে 🔥 আগুন জ্বালানো যায়।

“পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক অংশের সম্পন্ন করে।"
তাই পড়ার আগে পড়া পরিকল্পনা করা প্রয়োজন এরফলে অর্ধেক পড়া নিজে নিজেই হয়ে যাবে।



পড়ার মধ্যে বৈচিত্র আনতে হবে:
উদাহরণ হিসেবে আপনার একটি প্রিয় খাবার যদি প্রতিদিন তিন বেলা করে প্রতিদিন দেওয়া হয় আপনার সামনে দিনের পর দিন তাহলে আপনি আপনারই  প্রিয় খাবার প্রতি অনীহা এসে পড়বে। ঠিক একই ভাবে একই বিষয়ে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত পড়তে থাকলে পড়ার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়।তাই পড়ার মাঝখানে মাঝখানে গল্পের বই বা অন্য বই যা পড়ার অভ্যাস সৃষ্টি করতে হবে।



পড়ার মধ্যে প্যারেটো প্রিন্সিপ্যাল ব্যবহার করতে হবে:  (80/20 Principle)



রিচার্ড কচের বই The 80/20 Principle। এই বিশেষ প্রিন্সিপ্যালটাকে প্যারেটো প্রিন্সিপ্যাল ও বলা হয়। সব থেকে বড় ব্যাপার, এই প্রিন্সিপ্যালটা লাইফের প্রায় সব ফিল্ডে কম বেশি প্রযোজ্য ।

এই প্রিন্সিপ্যালে বলা হয়েছে, সব সময় ৮০% রেজাল্ট আসে ২০% কাজের ফলে বা (কারণ) থেকে, মানে তোমার খাতাতে যদি ১০০টি প্রশ্ন থাকে, তাহলে তার মধ্যে ২০টা প্রশ্ন এমন থাকবে, যার জন্য তুমি পরীক্ষায় ৮০% নম্বর পাবে। সোজা ভাষায়, ১০০টার মধ্যে ২০টা প্রশ্ন হলো গুরুত্বপূর্ণ।

পড়াশোনার ক্ষেত্রে ৮০/২০ প্রিন্সিপ্যাল যেভাবে ব্যবহার করতে হবে। যে কোন বিষয়ে তোমার বইয়ের যতগুলো প্রশ্ন আছে, তার মধ্যে ২০% প্রশ্ন এমন, যে গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। মানে পরীক্ষায় আশার সম্ভাবনা যে গুলো বেশি। যে গুলো থেকে তোমার ৮০% নাম্বার আসবে।


তাই প্রথমে বুঝতে হবে ঐ ২০% প্রশ্ন কোন কোন গুলো। অনেক সময় গত বছরের প্রশ্ন গুলোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। তাহলে তোমাকে প্রথমে ঐ ২০% প্রশ্ন আলাদা আলাদা বেছে নিতে হবে, তারপর সেগুলোতে সব থেকে বেশি মনোযোগী দিয়ে তৈরি হতে হবে। কারণ এই ২০% প্রশ্ন থেকেই তোমার ৮০% নাম্বার আসতে চলেছে।


এর ফলে কি হবে, খুব অল্প পড়েও তুমি তোমার সেই বন্ধুদের থেকেও বেশি নাম্বার পাবে, যারা ৮০/২০ মূল নীতি ব্যবহার না করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিবে, আর বসে বসে সারাদিন গুরুত্বহীন প্রশ্ন গুলো পড়বে। এর ফলে সে ৮০%  পড়া পড়ে সে ২০% নম্বর পাবে।



“সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস”

লেখক: যুবাইর মাহমুদ।


No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...