Translate

সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২

সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২
প্রথম অধ্যায়ঃ প্রারম্ভিক
ব্যাখ্যা অনুচ্ছেদ ধারা ৩
ধারাঃ ৩।  সংজ্ঞা সমূহ
প্রসঙ্গক্রমে ভিন্নতর অভিপ্রায় প্রকাশ না পাইলে এই আইনে নিম্নলিখিত শব্দ ও অভিব্যক্তিগুলি নিম্নলিখিত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ বিষয়ে প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে
বিচার বিষয় সমূহ এবং প্রাসঙ্গিক ঘটনাসমূহ ধারা ৬ থেকে ১৬:
ধারা ৫: যে বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়া যায়।
বিচার্য ঘটনা ও প্রাসঙ্গিক ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়া যাইতে পারে।
ধারাঃ ৬। যে সকল ঘটনা একই কার্যের অংশ সেগুলির প্রাসঙ্গিকতা।
ধারাঃ ৭। যে সকল ঘটনা বিচার্য ঘটনায় উপলক্ষ, কারণ, ফলাফল বর্ণনা বা পরিমাণ করে সেগুলো প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
ধারাঃ ৮। বিচায ঘটনা সংঘটনের উদ্দেশ্য অভিপ্রায় প্রস্তুতি এবং পূর্ববর্তী বা পরবর্তী আচরণ প্রাসঙ্গিক।
ধারাঃ ৯। প্রাসঙ্গিক ঘটনার ব্যাখ্যা বা উপস্থাপন করার জন্য যে সকল ঘটনা আবশ্যকীয়  সে সকল ঘটনা প্রাসঙ্গিক। 
ধারাঃ ১০। দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে কোন অপরাধ সংগঠিত করার জন্য যে কথা বা কাজ করবে তা প্রাসঙ্গিক হবে।
(অভিন্ন অভিপ্রায় প্রসঙ্গে ষড়যন্ত্রকারীর কথা বা কার্য।)
ধারাঃ ১১। যে সকল ঘটনা অন্য কোনভাবে প্রাসঙ্গিক নহে,; সেইগুলি যখন প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
ধারাঃ ১২। ক্ষতিপূরণের মামলায় যে সকল ঘটনা আদালত কর্তৃক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে সহায়তা করে,; সেইগুলি প্রাসঙ্গিক।
ধারাঃ ১৩। যখন অধিকার বা প্রথা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠে তখন যে সকল ঘটনা প্রাসঙ্গিক।
ধারাঃ ১৪। যে সকল ঘটনা মনের বা দেহের অবস্থা, জ্ঞান, সরল বিশ্বাস, অবহেলা, উগ্ৰতা, অনুভূতি প্রকাশ করে তা প্রাসঙ্গিক।
ধারাঃ ১৫। কোন কাজ আকস্মিক অথবা ইচ্ছাকৃত এই প্রশ্নে যে সমস্ত ঘটনার প্রভাব থাকে।
ধারাঃ ১৬। ব্যবসায় ক্ষেত্রে কোন রীতির অস্তিত্ব যখন প্রাসঙ্গিক।



স্বীকারোক্তি এবং দোষ স্বীকার ধারা:১৭-৩১
ধারা-১৭: স্বীকৃতির সংজ্ঞা।
ধারা-১৮: মামলার পক্ষ বা তার প্রতিনিধি কর্তৃক স্বীকৃতি।

ব্যতিক্রমী ১৯,২০
ধারাঃ ১৯। মামলার পক্ষের সাথে যার সম্পর্ক অবশ্যই তার  স্বীকৃতি প্রমাণ করতে হবে।
ধারাঃ ২০। মামলার পক্ষ কর্তৃক ব্যক্তরূপে উল্লিখিত ব্যক্তির স্বীকৃতি।
ধারা-২১: যে ব্যক্তি স্বীকার করে বা যার পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়, তার বিরুদ্ধে স্বীকৃতির প্রমাণ।
ধারাঃ ২২। দলিলের অন্তর্ভুক্ত বিষয় সম্পর্কে মৌখিক স্বীকৃতি যখন প্রাসঙ্গিক।
ধারাঃ ২৩। দেওয়ানী মামলায় স্বীকৃতি যখন প্রাসঙ্গিক।


ধারা-২৪: প্রলাভন দেখিয়ে, ভীতি প্রদর্শন করে বা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে আদায় কৃত স্বীকারোক্তি ফৌজদারি মামলায় অপ্রাসঙ্গিক।
ধারা-২৫: পুলিশ অফিসারের নিকট প্রদত্ত স্বীকারোক্তি প্রমাণ করা যাবে না।
ধারা-২৬: আসামী পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে প্রদত্ত স্বীকারোক্তি তার বিরুদ্ধে প্রমাণ করা চলবে না।

ধারা-২৭: আসামীর নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য কতখানি প্রমাণ করা যেতে পারে।
ধারা-২৮। প্রলোভন, ভীতি ও প্রতিশ্রুতিজনিত ধারণা অপসারণের পর প্রদত্ত স্বীকারোক্তি প্রাসঙ্গিক।
ধারাঃ ২৯। স্বীকারোক্তি অন্য ভাবে প্রাসঙ্গিক হইলে শুধু গোপনীয় তার প্রতিশ্রুতি ইত্যাদির দ্বারা তা অপ্রাসঙ্গিক হবে না।
ধারা-৩০। (ধারা ১৩৩ সাথে মিল আছে)
একজন অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধ স্বীকারোক্তি  কখন  অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রমাণ এর ব্যবহার করা যায়।

স্বীকৃতির ফলাফল:
ধারাঃ ৩১। স্বীকৃতি চুড়ান্ত প্রমাণ নহে,; তবে প্রমাণে প্রতিবন্ধ সৃষ্টি করিতে পারে।


যে সকল ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে তলব করা যায় না তাদের বিবৃতি: ধারা ৩২,৩৩
ধারা-৩২। যে ব্যক্তি মৃত্যু বা নিখোঁজ ইত্যাদি, প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে তার বিবৃতি যে সকল ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক।
ধারাঃ ৩৩। কোন সাক্ষ্যে প্রদত্ত বিবৃতির সত্যতা পরবর্তী মামলায় প্রমাণের জন্য উক্ত সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতা।

বিশেষ পরিস্থিতিতে বিবৃতি প্রদান: ধারা:৩৪ থেকে ৩৮
ধারাঃ ৩৪। ব্যবসায়িক  কারণে  হিসেবের খাতায় লিপিবদ্ধ যখন প্রাসঙ্গিক।
ধারাঃ ৩৫। সরকারি কর্মচারী কর্তব্য পালনকালে সরকারী রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ বিষয় প্রাসঙ্গিক।
ধারাঃ ৩৬। মানচিত্র, চার্ট, নকশায় ও পরিকল্পনায় প্রকাশিত বিবৃতির প্রাসঙ্গিকতা।
ধারাঃ ৩৭। কোন আইন বা প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত সর্ব সাধারণের জানার জন্য প্রদত্ত বিবৃতি প্রাসঙ্গিকতা।
ধারাঃ ৩৮। আইন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত কোন আইন সম্পর্কিত বিবৃতির প্রাসঙ্গিকতা।
ধারা:৩৯। দীর্ঘতর বিবৃতি বা কথোপকথন বা বিচ্ছিন্ন দলিলের অংশ, দলিল গ্রন্থ পথ বা কাগজ গুচ্ছের অংশের ক্ষেত্রে যে অংশটুকু উপস্থাপন করলে বা প্রমাণের জন্য প্রাসঙ্গিক হবে।

চতুর্থ অধ্যায়ঃ মৌখিক সাক্ষ্য সম্পর্কে
মৌখিক সাক্ষ্য: ধারা ৫৯,৬০
ধারা-৫৯: মৌখিক সাক্ষ্য দ্বারা ঘটনা প্রমাণ।
ধারা-৬০: মৌখিক সাক্ষ্য অবশ্যই প্রত্যক্ষ হতে হবে।

 পঞ্চম অধ্যায়ঃ দলিলী সাক্ষ্য সম্পর্কে
দালিলিক সাক্ষ্য ধারা ৬১ থেকে ৭৩
ধারা-৬১: দলিলের বিষয় বস্তুর প্রমাণ।
ধারা-৬২: প্রাথমিক সাক্ষ্য।
ধারা-৬৩: মাধ্যমিক সাক্ষ্য।
ধারাঃ ৬৪। প্রাথমিক সাক্ষ্য দ্বারা দলিল প্রমাণ।
ধারাঃ ৬৫। যে সকল ক্ষেত্রে দলিল সম্পর্কে মাধ্যমিক সাক্ষ্য দেয়া যাইতে পারে।
ধারাঃ ৬৬। দলিল উপস্থাপিত করিবার নোটিশ সংক্রান্ত নিয়মাবলী।
ধারাঃ ৬৭। উপস্থাপিত দলিলের লেখক বা স্বাক্ষরকারী বলে কথিত ব্যক্তির স্বাক্ষর ও হস্তাক্ষরের প্রমাণ।
ধারাঃ ৬৮। যে দলিল সত্যায়িত করা আইনত প্রয়োজন,; তাহা সত্যায়িত করা হয়েছে তা(সম্পাদনের) প্রমাণ করতে হবে।
ধারাঃ ৬৯। যে ক্ষেত্রে সত্যায়নকারী সাক্ষী পাওয়া যায় না,; সেই ক্ষেত্রে প্রমাণ।
ধারাঃ ৭০। সত্যায়িত দলিলের কোন পক্ষ কর্তৃক সম্পাদনের স্বীকৃতি তাহার বিরুদ্ধে প্রমাণ করা যাবে।
ধারাঃ ৭১। সত্যায়নকারী সাক্ষী দলিল সম্পাদন অস্বীকার করিলে সেক্ষেত্রে প্রমাণ।
ধারাঃ ৭২। যে দলিল সত্যায়িত করা আইনত প্রয়োজন নহে, উহার প্রমাণ।
ধারাঃ ৭৩। স্বীকৃত বা প্রমাণিত স্বাক্ষর, হস্তান্তর বা সীলের সহিত অন্য কোন স্বাক্ষর বা সীলের তুলনা।





সরকারি এবং বেসরকারি দলিল ধারা ৭৪ থেকে ৭৮
ধারা-৭৪: সরকারী দলিল।
ধারা-৭৫:  বে-সরকারী বা ব্যক্তিগত দলিল।
ধারাঃ ৭৬। সরকারি দলিলের প্রত্যায়িত অনুলিপি।
ধারাঃ ৭৭। প্রত্যায়িত অনুলিপি উপস্থিত করে দলিল প্রমাণ করা।
ধারাঃ ৭৮। অন্যান্য সরকারী দলিল।


দলিল সম্পর্কে অনুমান ধারা ৭৯ থেকে ৯০
ধারাঃ ৭৯। প্রত্যায়িত অনুলিপির শুদ্ধতা সম্পর্কে অনুমান।
ধারাঃ ৮০। লিপিবদ্ধ সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপিত দলিল সম্পর্কে অনুমান। ধারা ১৬৪ crpc.
ধারাঃ ৮১। গেজেট, সংবাদপত্র, পার্লামেন্টের বেসরকারী আইন ও অন্যান্য দলিল সম্পর্কে অনুমান।
ধারাঃ ৮২। ইংল্যান্ডে যেই সকল দলিল, সীল ও স্বাক্ষর প্রমাণ ব্যতীত গ্রাহ্য হয়, সেইগুলি সম্পর্কে অনুমান।
ধারাঃ ৮৩। সরকারী কর্তৃত্বাধীনে প্রণীত নকশা বা পরিকল্পনা সম্পর্কে অনুমান।
ধারাঃ ৮৪। আইন ও আদালতের সিদ্ধান্তের রিপোর্ট সংকলন সম্পর্কে অনুমান। DLR
ধারাঃ ৮৫। মোক্তারনামা সম্পর্কে অনুমান।
ধারাঃ ৮৬। বিদেশী বিচার বিভাগীয় নথিপত্রের জাবেদা নকল সম্পর্কে অনুমান।
ধারাঃ ৮৭। পুস্তক, মানচিত্র ও চার্ট সম্পর্কে অনুমান।
ধারাঃ ৮৮। তারবার্তা সম্পর্কে অনুমান।
ধারাঃ ৮৯। উপস্থাপিত হয় নাই এইরূপ দলিলের যথাযথ সম্পাদন ইত্যাদি সম্পর্কে অনুমান।
ধারাঃ ৯০। ত্রিশ বৎসরের পুরাতন দলিল সম্পর্কে অনুমান।


ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ 
 দালিলিক স্বাক্ষর দ্বারা মৌখিক সাক্ষ্য বর্জন ধারা ৯১ থেকে ১০০
ধারাঃ ৯১।  ( ধারা ১৪৪ সাথে মিল আছে) সাক্ষ্য আইনের ২২ ধারা এর ব্যতিক্রম।

যখন কোন চুক্তি, দান বা অন্য প্রকারে সম্পত্তি হস্তান্তর বিষয়ে শর্তাবলী একটি দলিলে লিপিবদ্ধ করা হয়, এবং যে সকল ক্ষেত্রে দলিলের আকারে লিপিবদ্ধ করা অবশ্যক হয়। সে সব ক্ষেত্রে সেই দলিল ব্যতীত অন্য কোনো মৌখিক সাক্ষ্য দেওয়া যাবে না।

ধারাঃ ৯২। পূর্ববর্তী ৯১ ধারা অনুযায়ী প্রমাণিত হইয়া থাকলে তবে উক্ত দলিলের পক্ষগণ বা তাহাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিগণের মধ্যে উক্ত দলিলের কোন শর্তের কোন বিরোধ পরিবর্তন, সংযোজন বা বিয়োজন উদ্দেশ্যে কোন মৌখিক সাক্ষ্য বা বিবৃতি অবশ্য গ্ৰহণযোগ্য  হইবে না।

ধারাঃ ৯৩। দলিলের ব্যবহৃত ভাষা যখন স্পষ্টতই অনিশ্চয়তার বোধক  বা ত্রুটিপূর্ণ, তখন সাক্ষ্য দিয়ে  উহার  অর্থ বোধগম্য বা ত্রুটির মুক্ত করা যাইবে না।
(দ্ব্যর্থবোধক দলিলের ব্যাখ্যা বা সংশোধনের সাক্ষ্য বর্জন।)

ধারাঃ ৯৪। যখন কোন দলিলের ভাষা সরল এবং তাহা বাস্তব ক্ষেত্রে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় তখন উক্ত ভাষা দলিলে বর্ণিত বিষয়ে প্রয়োগের জন্য ব্যবহার করা হয় নাই মর্মে কোন সাক্ষ্য দেওয়া যাবে না।


যখন সাক্ষ্য দেওয়া যাবে:
ধারাঃ ৯৫। যখন কোন দলিলের ভাষা সরল কিন্তু প্রয়োগের ক্ষেত্রে খাপ খায় না, তখন উক্ত ভাষা যে বিশেষত অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছিল ইহা দেখাইবার জন্য সাক্ষ্য দেওয়া যাইতে পারে।

ধারাঃ ৯৬। দলিলে যে বর্ণনা আছে তাহার প্রয়োগ ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক অর্থ হইলে কোন অর্থ গ্রহণযোগ্য সে সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়া যাইতে পারে।

ধারাঃ ৯৭। দলিলে যে বর্ণনা দেওয়া আছে তাহা প্রয়োগ ক্ষেত্রে অংশত এক বিষয়ের সহিত  খাপ খায় এবং অংশত  অন্য বিষয়ে সহিত খাপ খায় এই অবস্থায় সাক্ষ্য দ্বারা দলিলের পক্ষগণের সঠিক ইচ্ছা নির্ণয় করা যাইবে।


ধারাঃ ৯৮। অস্পষ্ট এবং সাধারণত: বোধগম্য নয় এরূপ শব্দ, বৈদেশিক অপ্রচলিত, কারিগরি বিষয়ক, স্থানীয় ও আঞ্চলিক শব্দ, সংক্ষিপ্ত শব্দ এবং বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত শব্দের অর্থ বুঝাইবার জন্য সাক্ষ্য দেওয়া যেতে পারে।
(অষ্পষ্ট বর্ণলিপি ইত্যাদি সম্পর্কে সাক্ষ্য।)

ধারাঃ ৯৯। দলিলে যাহারা পক্ষ নহেন, তাহারা সাক্ষ্য দিয়া দেখাইতে পারিবেন যে দলিল সম্পাদনের সময়কালে পক্ষদের মধ্যে এমন অন্য একটি চুক্তি হয়েছিল যাহা দলিলের শর্তাবলীকে পরিবর্তন করে।
(দলিলে শর্তবালী পরিবর্তনের চুক্তি সম্পর্কে যে সাক্ষ্য দিতে পারে।)

ধারাঃ ১০০। এই আইনে বর্ণিত কোন বিধান  উইলের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ১৯২৫ সনের উত্তরাধিকার আইনের কোন বিধানকে প্রভাবিত করিবে না।
(উইল সম্পর্কে উত্তরাধিকার আইনের বিধানসমূহ সংরক্ষণ।)



তৃতীয় খন্ডঃ সাক্ষ্য উপস্থাপন ও উহার ফল ধারা ১০১ থেকে ১১৪
সপ্তম অধ্যায়ঃ প্রমাণের দায়িত্ব সম্পর্কে।
প্রমাণের ভাল ধারা ১০১ থেকে ১১০
ধারা-১০১: প্রমাণের দায়িত্ব (Burden of Proof)
ধারা-১০২: প্রমাণের দায়িত্ব যার উপর ন্যস্ত থাকে।
ধারা-১০৩: যে ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট ঘটনা বা বিষয়ের অস্তিত্ব আদালতকে বিশ্বাস করাইতে চায় সেই বিষয়ে প্রমাণের দায়িত্ব তাহার উপর।
ধারা-১০৪: কোন ব্যক্তি কোন ঘটনার সাক্ষ্য দিতে চাইলে সেই ঘটনা যদি অন্য আরেকটি ঘটনা উপর নির্ভরশীল হয়, তবে আরেকটি ঘটনা প্রমাণের দায়িত্বও সেই ব্যক্তির উপর ন্যস্ত থাকবে।
 (সাক্ষ্য গ্রহণযাগ্য করবার জন্য যে বিষয় প্রমাণ করতে হবে তা প্রমাণের দায়িত্ব।)
পাৱা-১০৫: আসামীর মামলা যদি দন্ডবিধিতে ব্যতিক্রমের মধ্যে  পড়লে তা প্রমাণের দায়িত্ব অভিযুক্ত  ব্যক্তির উপর বর্তিবে।
ধারা-১০৬: কোন বিষয় যখন বিশেষভাবে কোন ব্যক্তির অবগতির মধ্যে  থাকে, তখন সেই বিষয় প্রমাণের দায়িত্ব তাহার উপর বর্তিবে।
ধারাঃ ১০৭। যে ব্যক্তি বিগত  ত্রিশ বৎসরের মধ্যে জীবিত ছিল, তবে যে ব্যক্তি তাকে মৃত বলিয়া দাবী করিবে তাহাকেই ইহা প্রমাণ করিতে হইবে। 

ধারাঃ ১০৮। যে ব্যক্তি সম্পর্কে সাত বৎসর যাবত কোন খবর পাওয়া যায়নি, তখন উক্ত ব্যক্তি জীবিত বলিয়া যে দাবি করিবে তাহাকেই  ইহা প্রমাণ করিতে হইবে।

ধারাঃ ১০৯। অংশীদারগনের মধ্যে, জমিদার ও প্রজার মধ্যে, মালিক ও প্রতিনিধির মধ্যে  সম্পর্কে সম্পৃক্ত নাই বা সেই সম্পর্কের অবসান হইয়াছে, যে ব্যক্তি ইহা দাবি করবে সেই ব্যক্তিকে তাহা প্রমাণ  করিতে হইবে।

ধারা-১১০: যে ব্যক্তির দখলে কোন বস্তুর আছে সেই ব্যক্তির ইহার মালিক কি না, এই নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠলে তখন যে ব্যক্তি দাবি কবে যে দখলকারী ব্যক্তি সেই বস্তুর মালিক নহে তাহাকেই  ইহা প্রমাণ করিতে হইবে।
 (মালিকানা প্রমাণের দায়িত্ব।)।

ধারাঃ ১১১। পক্ষগণের মধ্যে লেনদেনের ব্যাপারে সরল বিশ্বাসের প্রশ্ন উঠলে এক পক্ষ যদি অপরপক্ষে সক্রিয়ভাবে বিশ্বাসের পাত্র হয়, তবে যে পক্ষ সক্রিয়  বিশ্বাসের পাত্র তাহার উপর সরল বিশ্বাসে প্রমাণের দায়িত্ব বর্তিবে। 
ডাক্তার-রোগী, স্বামী স্ত্রীর, গুরু শিষ্য, পীর মুরিদ পিতা পুত্র, অ্যাডভোকেট মক্কেল ইত্যাদি ব্যাপারে সরল বিশ্বাসে প্রশ্ন উঠলে সরল বিশ্বাসে প্রমাণের দায়িত্ব যথাক্রমে ডাক্তার, গুরু, পিতা এবং অ্যাডভোকেট এর উপর বর্তিবে।
 (যে লেনদেনের ক্ষেত্রে এক পক্ষের সক্রিয় আস্থার সম্পর্কে সেই ক্ষেত্রে সরল বিশ্বাসের প্রমাণ।)

ধারা-১১২: বিবাহ স্থির থাকাকালে সন্তানের জন্মই উহার বৈধতার চুড়ান্ত প্রমাণ। (২৮০ দিন।)
ধারাঃ ১১৩। ১৯৭৩ সন হইতে এই ধারা বাংলাদেশ বলবৎ  নাই।
ধারা-১১৪: আদালত কতিপয় বিষয়ের অস্তিত্ব অনুমান করতে পারেন।
 May pre ধারা ১৩৩ এবং ১১৪ একসাথে পড়তে হবে।


অষ্টম অধ্যায়ঃ প্রতিবন্ধ (এস্টোপেল) ধারা ১১৫ থেকে ১১৭
ধারা-১১৫: প্রতিবন্ধের সংজ্ঞা
।ধারাঃ ১১৬। প্রজার এবং দখলকারীর অনুমতিক্রমে ব্যবহারকারীর প্রতিবন্ধ।
(কোন ব্যক্তি একজনের মালিকানা স্বীকারে প্রজা বা ভাড়াটিয়া হিসেবে দখলে আসার পরে উক্ত মালিকে মালিকানা ছিল না এমন অস্বীকার করতে পারবে না)

ধারাঃ ১১৭। বরাত চিঠির স্বীকৃতিদাতা, গচ্ছিত গ্রহীতা ও অনুমতিক্রমে ব্যবহারকারীর প্রতিবন্ধ।
(এই দ্বারা বলা হইয়াছে যে (বিল অফ এক্সচেঞ্জ) bill of Exchange দাতার bill of Exchange প্রণয়ন করিবার বা উপায়ে দস্তখত  করিবার ক্ষমতা ছিল না 
জামানত দানকালে জামানত কারী জামানত রাখিবার অধিকার বা ক্ষমতা ছিল না এই কথা জামানত গ্রহীতাকে বলিতে দেওয়া হইবে না; অনুমতি পত্র প্রদান কালে অনুমতি পত্র দাতার অনুমতি পত্র দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না এই কথা অনুমতি পত্র গ্ৰহীতাকে বলিতে দেওয়া হইবে না।)

নবম অধ্যায়ঃ সাক্ষী, সাক্ষীদের পরীক্ষা করণ সম্পর্কে ধারা ১১৮ থেকে ১৬৪
ধারা-১১৮: সাক্ষীর  যোগ্যতা প্রশ্নে এই ধারায় বলা হইয়াছে, যে সকল ব্যক্তি প্রশ্ন বুঝিয়া উত্তর দিতে সক্ষম তিনি সাক্ষ্য দেওয়ার যোগ্য।
(যে সাক্ষ্য দিতে পারে।)
ধারাঃ ১১৯। বোবা সাক্ষী। বোবা সাক্ষ্য দিলে তা মৌখিক সাক্ষী বলিয়া গণ্য হইবে।
ধারাঃ ১২০। সকল দেওয়ানী মামলা পক্ষগণ এবং যে কোন পক্ষের স্বামী-স্ত্রী যোগ্য সাক্ষী হইতে পারিবেন। কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা সেই ব্যক্তির স্বামী স্ত্রীর যোগ্য সাক্ষী হইতে পারিবেন।
ধারাঃ ১২১। জজ ও ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
কোন বিচারক যদি সাক্ষী হন, তাহলে তিনি বিচারকার্য পরিচালনা সময় তাঁর আচরণ বা তাঁর বিচার সম্পর্কীয় কোন প্রশ্নের উত্তর প্রদান তাঁকে বাধ্য করা যায় না। 

ধারাঃ ১২২। বিবাহ বজায় থাকাকালীন স্বামী স্ত্রীর বার্তার বিষয়বস্তু প্রকাশ করিতে তাহাদের কাহাকেও বাধ্য করা যাবে না। তবে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রসমূহ প্রকাশ করা যাবে।

ধারাঃ ১২৩। সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত, রাষ্ট্রীয় বিষয়াদির সহিত সম্পর্কিত অপ্রকাশিত সরকারি দলিল হইতে জ্ঞাত বিষয়ে কাহাকেও সাক্ষ্য দিতে অনুমতি দেয়া যাইবে না।

ধারাঃ ১২৪। প্রকাশ করিলে গণস্বার্থ বিঘ্নিত হইতে পারে এমন কোন গোপনীয় ভাবে প্রাপ্ত সরকারি খবর, প্রকাশ করার জন্য, কোন সরকারি কর্মচারীকে বাধ্য করা যাইবে না।

ধারাঃ ১২৫। ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসারকে  অপরাধ সংঘটিত  সংবাদ কোথা হইতে পাইয়াছেন তাহা বলিতে বাধ্য করা যাবে না।অনুরূপভাবে রাজস্ব অফিসারকে রাজস্ব সংক্রান্ত অপরাধের সংবাদ কোথা হইতে পাইয়াছেন তা বলিতে বাধ্য করা যাবে না।
ধারাঃ ১২৬। ব্যারিস্টার, অ্যাটর্নি এবং অ্যাডভোকেটগণ আইনজীবিরুপে তাহাদের ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ করার সময় মক্কেলদের নিকট হইতে যে সমস্ত তথ্যাবলী পাইয়া থাকেন বা দলিলাদি দেখিয়ে থাকেন বা মক্কেলদের যে সমস্ত উপদেশ দেন তাহা মক্কেলের প্রকাশ্য অনুমতি ব্যতীত প্রকাশ করিতে অনুমতি পাইবেন না। (পক্ষে আইনজীবী মক্কেল থেকে অনুমতি নিবেন।)
ধারাঃ ১২৭। দোভাষী, ব্যারিস্টার এবং অ্যাডভোকেট মহোদয়গণের কেরানী বা কর্মচারীদের অর্থাৎ মুহুরী দের ক্ষেত্রেও ১২৬ ধারার বিধানসমূহ  প্রয়োজ্য হইবে।
ধারাঃ ১২৮। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সাক্ষ্য দেয়ার ফলে সুবিধা পরিত্যক্ত হয় না।
যে কোনো আইনজীবী তার পোশাক পরিধান রত অবস্থায় হলফবিহীনভাবে তার জানা বিষয়ে  সাক্ষীর ন্যায় ব্যক্ত করতে পারবেন। এটি তার বিশেষ সুবিধা।
ধারাঃ ১২৯। আইন উপদেষ্টার সহিত গোপন বার্তার বা সংবাদ আদান-প্রদান।
কোন মক্কেল তার আইনজীবী সাথে কি পরামর্শ করেছেন বা উক্ত মক্কেলের নিকট থেকে আইনজীবী যে সকল দলিল দেখেছেন মক্কেলের অনুমতি ছাড়া সেই সম্পর্কে উক্ত আইনজীবীকে প্রশ্ন করা যায় না। তবে বেআইনি সংবাদ বা কোন অপরাধ বা প্রতারণা পরিলক্ষিত হলে আইনজীবী তা প্রকাশ করতে পারবেন।(বিপরীত পক্ষ মক্কেল থেকে অনুমতি নিবে)
ধারাঃ ১৩০। মামলার পক্ষ নয় এমন সাক্ষীর স্বত্ত্বের দলিল উপস্থাপন।
মামলার পক্ষ নয় এমন ব্যক্তিকে বা তার প্রতিনিধিকে দলিল দাখিল করতে বাধ্য করা যায় না।
তবে যিনি দলিল দাখিল করতে চান। তার সাথে লিখিত কোন সম্মতি পত্র থাকলে (দলিলের মালিকের) উক্ত দলিল দাখিল করতে বাধ্য করা যায়।
ধারাঃ ১৩১।কোন দলিলের মালিককে যে ক্ষেত্রে আদালতে দলিল দাখিল করতে বাধ্য করা যায় সেই সব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দলিলটি অন্য ব্যক্তির হেফাজতে থাকিলে তাহাকেও উহা দাখিল করতে বাধ্য করা যায়। এই অবস্থায় মালিকের অনুমতি ছাড়া দলিলের দখলকারী ব্যক্তি উক্ত দলিল আদালতে দাখিল করিতে বাধ্য নন ইহাই এই ধারার বক্তব্য।
ধারাঃ ১৩২। কোন প্রশ্নের উত্তর সাক্ষীকে অপরাধের সাথে জড়িত করিবে, এই অজুহাতে উত্তরদান হইতে সাক্ষীকে অব্যাহতি দেওয়া যায় না।
ধারা-১৩৩: দুষ্কর্মের সহযাগী । ( ধারা ৩০ সাথে মিল আছে)
একই অপরাধে যদি একাধিক ব্যক্তির বিচার হয় এবং তাদের মধ্যে একজন যদি নিজেকে ও অন্যদের জড়িয়ে   দোষ স্বীকার করে তাহলে আদালত সেই দোষ স্বীকার বিবেচনা করতে পারেন। 164 Crpc.


ধারাঃ ১৩৪। সাক্ষীর সংখ্যা।
কোন বিষয় প্রমাণের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক সাক্ষীর প্রয়োজন হইবে না।


দশম অধ্যায়ঃ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পর্কে ধারা ১৩৫ থেকে ১৬৪
ধারাঃ ১৩৫। সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা এবং সাক্ষ্য গ্রহণ করিবার ক্রম।
ধারাঃ ১৩৬। জজ সাক্ষ্যের গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণ করিবেন।
ধারা-১৩৭: জবানবন্দী, জেরা ও পুনঃজবানবন্দি।
ধারা-১৩৮: সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম, পুনঃজবানবন্দি গ্রহণের নির্দেশ ।
ধারা-১৩৯: দলিল উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রিত ব্যক্তির জেরা করা যাবে না।
ধারা-১৪০:  চরিত্র সম্পর্কে সাক্ষ্য।
ধারা-১৪১: ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন।
ধারা-১৪২: ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন যখন অবশ্যই করা যাবে না ।
ধারা-১৪৩: ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন যখন করা যেতে পারে।
ধারা-১৪৪: লিপিবদ্ধ বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য। ( ধারা ৯১ সাথে মিল আছে) 
কোন চুক্তি,দান অথবা সম্পত্তির হস্তান্তর বিষয়ে কোন দলিলে লেখা থাকিলে সাক্ষীকে ঐ দলিল দাখিল না করা পর্যন্ত অথবা দলিলের বিষয় গৌণ একটি সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন মৌখিক সাক্ষ্য  দেওয়া যাইবে না।

ধারা-১৪৫: পূর্ববতী লিখিত বিবৃতির সম্পর্কে জেরা।
জেলা করিবার সময় সাক্ষীকে প্রশ্ন করা যাইতে পারে। সে পূর্বে এমন কোন বিবৃতি দিয়াছে কি না তাহা তাহার বর্তমান বক্তব্যের সহিত পরস্পর বিরোধী। এই রকম প্রশ্ন করিতে সাক্ষীকে পূর্বের বিবৃতি দেখাবার প্রয়োজন নাই, কিন্তু প্রশ্ন কর্তা যদি সাক্ষীর পূর্ব বিবৃতির সহিত বর্তমান বিবৃতির বিরোধিতা প্রমাণ করিতে ইচ্ছুক হন তবে সাক্ষীকে তাহার পূর্ব বিবৃতির বিরোধিতা পূর্ণ অংশ প্রমাণ করা যাইবে না।

ধারা-১৪৬: জেরার আইন সঙ্গত প্রশ্ন।
জবানবন্দির সময় সাক্ষী যে সাক্ষ্য দিয়েছেন সেই সম্পর্কে প্রশ্ন করা যায় আবার উক্ত সাক্ষীর সামাজিক মর্যাদা জানার জন্য বা তার সাক্ষ্যের সত্যতা পরীক্ষার জন্য অন্য প্রশ্ন করা যায়।

ধারাঃ ১৪৭। সাক্ষীকে যখন উত্তরদানে বাধ্য করতে হইবে।
বিচার্য বিষয় এবং প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে সাক্ষীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার উওর দিতে বাধ্য থাকবেন। 

ধারাঃ ১৪৮। যখন প্রশ্ন করতে হবে এবং সাক্ষী যখন উত্তর দিতে বাধ্য, তা আদালত নির্ধারণ করবেন।
কোন প্রশ্ন যদি মামলার বিষয় সম্পর্কিত না হয়, তখন সাক্ষী সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য কিনা তা আদালত ঠিক করবেন।

ধারাঃ ১৪৯। যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া প্রশ্ন করা যাইবে না।

ধারাঃ ১৫০। যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া প্রশ্ন করা হইলে  তখন আদালতের কার্যপদ্ধতি।
উক্ত আইনজীবী যে হাইকোর্টের অধীন সেই হাইকোর্টের প্রশ্ন বিষয়ে রিপোর্ট করিতে পারিবেন।


ধারা-১৫১: অশ্লীল এবং কুৎসাজনক প্রশ্ন।
ধারা-১৫২: অপমান বা উত্যক্ত করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন।
ধারাঃ ১৫৩। সত্যবাদিতা পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন করা হলে তার  উত্তরের বিরোধিতা করার সাক্ষ্য বর্জন।
সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা বিষয়ে আদালতের সন্দেহ সৃষ্টি করা উদ্দেশ্যে তাহার চরিত্রের উপর আঘাত করিয়া কোন প্রশ্ন করা হইলে এবং সাক্ষী সেই প্রশ্নের উত্তর দিলে তাহাকে সেই উওরের বিরোধিতা করার জন্য আর কোন সাক্ষ্য দেওয়া যাইবে না। তবে সাক্ষী যদি মিথ্যা উওর দিয়া থাকে তবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তাহাকে পরে অভিযুক্ত করা যাইবে।

ধারা-১৫৪: কোন পক্ষ কর্তৃক নিজের সাক্ষীকে প্রশ্ন করা।

ধারা-১৫৫: সাক্ষীর বিশ্বাস যোগ্যতা অভিশংসন (অভিযোগ) করা।
যে সকল উপায়ে সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে অভিযোগ আনা যায় তা হলো:

ধারা-১৫৬: সাক্ষী যে সমস্ত বিষয় প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন সেই সমস্ত বিষয় প্রাসঙ্গিক বিষয় নয় কিন্তু প্রাসঙ্গিক বিষয়কে  সমর্থন করে তবে সেই বিষয়ে সাক্ষীকে প্রশ্ন করা যায়।

প্রাসঙ্গিক বিষয় সংঘটনের সময় বা স্থানে সাক্ষী যে সমস্ত বিষয় প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন সেই সমস্ত বিষয় প্রাসঙ্গিক না হইলে ও যদি প্রাসঙ্গিক বিষয়কে সমর্থন করে, তবে সেই বিষয়ে সাক্ষীকে প্রশ্ন করা যায়।


ধারা-১৫৭: একই বিষয় সম্পর্কে, সাক্ষীর পরবর্তী সাক্ষ্য, সমর্থনের জন্য, পূর্ববতী সাক্ষ্য প্রমাণ করা যেতে পারে।

সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটিবার সময়ে বা তাহার নিকটবর্তী কোন সময়ে ঐ ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষীর প্রদত্ত বিবৃতি, অথবা ঘটনা তদন্তকারী কোন ক্ষমতা সম্পন্ন কতৃপক্ষের নিকট পূর্বে দেওয়া সাক্ষীর বিবৃতি সাক্ষীর সাক্ষ্যের সমর্থনে প্রমাণ করা যাইতে পারে।


ধারাঃ ১৫৮। প্রমাণিত যেই সকল বিবৃতি ৩২ ও ৩৩ ধারা অনুসারে প্রাসঙ্গিক, সেইগুলি সম্পর্কে, যেই সকল বিষয় প্রমাণ করা যাইতে পারে।
এই আইনের ৩২ ও ৩৩ ধারা অনুযায়ী যাদেরকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির করা সম্ভব নয় তাদের বিবৃতি তারা সাক্ষ্য দিতে আসলে যেভাবে বিরোধ নির্ণয় করা যেত সেইভাবে করা যাবে।


ধারা-১৫৯: স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করা সাক্ষী। যখন স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করবার জন্য দলিলের অনুলিপি ব্যবহার করতে পারে।
সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান কালে তার নিজের লেখা দেখে স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন।

ধারা-১৬০: ১৫৯ ধারায় উল্লেখিত দলিলে বর্ণিত বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য।
সাক্ষী যদি নিশ্চিত থাকেন যে ১৫৯ ধারায় উল্লেখিত দলিলে সংশ্লিষ্ট বিষয় সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে তাহলে সেই সম্পর্কে তিনি সাক্ষ্য দিতে পারেন। যদিও সেই বিষয় সাক্ষীর নির্দিষ্ট রুপে স্মরণ না থাকে।


ধারা-১৬১: স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কোন লেখা সম্পর্কে বিরোধী পক্ষের অধিকার।
পূর্বের দুইটি ধারায় (১৫৯, ১৬০) যে সকল লিপির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, বিপরীত পক্ষকে দেখাতে হবে। বিপরীত পক্ষ ইচ্ছা করলে সাক্ষীকে সেই সম্পর্কে জেরা করতে পারবে।


ধারা-১৬২: দলিল উপস্থাপন।
কোন সাক্ষীকে যদি কোন দলিল দাখিল করার জন্য সমন দেওয়া হয় এবং দলিলটি যদি তাহার কতৃত্বাধীনে বা দখলে থাকে, তবে সাক্ষীকে তাহা অবশ্যই দাখিল করতে হইবে।

ধারাঃ ১৬৩। তলবকৃত এবং নোটিশ অনুযায়ী উপস্থাপিত দলিল সাক্ষ্য হিসেবে দেওয়া।

যখন কোন পক্ষ দলিল তলব করে এবং তাহা দাখিল করার জন্য প্রতিপক্ষকে নোটিশ দেয় এবং তদনুযায়ী সেই দলিল দাখিল হয়, তখন দলিল দাখিলকারী পক্ষ দাবী  করিলে তলবকারী পক্ষ সেই দলিল সাক্ষ্যরূপে ব্যবহার করিতে বাধ্য থাকিবে।


ধারাঃ ১৬৪। নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও যেই দলিল উপস্থাপিত করিতে অস্বীকার করা হইয়াছে তাহা সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার।
কোন পক্ষ দলিল দাখিল করার জন্য নোটিশ পাওয়া সত্ত্বেও তিনি যদি সেই দলিল দাখিল করিতে অস্বীকার করেন, তবে সেই পক্ষ উক্ত মামলার পরবর্তী কালে অপর পক্ষের সম্মতি বা আদালতের আদেশ ব্যতীত সেই দলিল সাক্ষ্যরূপে ব্যবহার করিতে পারিবেন না।



প্রতিকূল এবং জেরার ক্ষেত্রে বিচারকদের তুলনামূলক ভূমিকা: ধারা ১৬৫ থেকে ১৬৭
ধারাঃ ১৬৫। জজ কর্তৃক কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষমতা বা কোন কিছু উপস্থাপন করার আদেশ দানের ক্ষমতা।
আদালত প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বিশেষ ভাবে অবগত হওয়ার জন্য যে কোন সাক্ষীকে যে কোন সময় যে কোন আকারে তাহার ইচ্ছানুযায়ী প্রশ্ন করিতে পারিবেন এবং যে কোন দলিল বা বস্তু দাখিল করার জন্য আদেশ দিতে পারিবেন।




ধারা-১৬৬: ধারাঃ ১৬৬। (বাতিল )জুরি বা এসেসরগণ কর্তৃক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবার ক্ষমতা।

একাদশ অধ্যায়ঃ অন্যায়রূপে সাক্ষ্য গ্রাহ্য ও অগ্রাহ্য করা
ধারাঃ ১৬৭। অন্যায়ভাবে সাক্ষ্য গ্রাহ্য বা অগ্রাহ্য করা হলে তার জন্য নতুন করে  বিচার হবে না। Jolly LLB

উর্ধ্বতন আদালত যদি দেখিতে পান যে, অন্যায়ভাবে গৃহীত সাক্ষ্যকে বাদ দিলে ও অথবা গ্ৰহণীয় সাক্ষ্য অন্যায়ভাবে বর্জন  হইয়া থাকিলে ও অন্য সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করিয়া আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়াছেন তাহা সমর্থন যোগ্য, তবে শুধুমাত্র উক্ত দোষের অজুহাতে কোন আদালতের রায়কে আপীল আদালত বাতিল করিবেন না অথবা মামলা পুনর্বিচারের আদেশ দিবেন না।

No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...