Translate

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২


বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২
The Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council order, 1972
রাষ্ট্রপতির ৪৬ নং আদেশ
মোট অনুচ্ছেদ ৪৬ টি
বিধি ১০১ টি
এ বার কাউন্সিল প্রকাশকাল ২৬ মার্চ ১৯৭২ সাল
কার্যক্রর ২৬ মার্চ ১৯৭১ সাল।
নোট: অনুচ্ছেদ প্রনয়ণ করতে পারে জাতীয় সংসদ।



অঙ্গ সংগঠন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে ৩ ধরনের অঙ্গ সংগঠন আছে।
১। বার কাউন্সিল। অনুচ্ছেদ: ৩
২। বার এসোসিয়েশন
৩। বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনাল। অনুচ্ছেদ-৩৩

অনুচ্ছেদ: ০১ শিরোনাম
অনুচ্ছেদ: ০২ সংঙ্গা।
= ২ (ক) এ্যাডভোকেট
 ২(খ) বার কাউন্সিল
 ২(খ) বার এসোসিয়েশন
২(ঘ) সরকার
২(ঙ) হাইকোর্ট


অনুচ্ছেদ: ৩ বার কাউন্সিল =
(১) সাধারন সিলমোহর থাকবে
(২) স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন এবং ধারন ক্ষমতা ও চুক্তির পক্ষ হওয়ার ক্ষমতা থাকবে এবং উক্ত নামে মােকদ্দমা করতে পারবে এবং এর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।
অনুচ্ছেদ: ৪ নির্বাচিত সদস্যদের মেয়াদঃ
৩ বৎসর, শুরু হবে ১লা জুলাই হতে..........

অনুচ্ছেদ: ৫ বার কাউন্সিলের সদস্য গঠনঃ
সদস্য (৭+৭+১) =১৫ জন।

অনুচ্ছেদ: ৫(ক) সদস্য পদের মেয়াদঃ
একাদরে ২ বারের বেশী বার কাউন্সিলের সদস্য থাকতে পারবে না।

অনুচ্ছেদ: ৬ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান।

অনুচ্ছেদ: ৬(ক) বার কাউন্সিলের সচিব
 (সরকার কর্তৃক নিয়োগ⇒জেলা জজ/অতিরিক্ত জেলা জজ)

অনুচ্ছেদ: ৮ বার কাউন্সিল নির্বাচন।
 ৩১ মে বা তার পূর্বে।

অনুচ্ছেদ: ০৯  নির্বাচনের ৩০ দিন পূর্বে সরকারী গেজেটে নোটিশ  প্রকাশ করবে।

অনুচ্ছেদ : ১০ বার কাউন্সিলের কার্যাবলী
(১১টি)

অনুচ্ছেদ: ১১ বার কাউন্সিলের কমিটি
 (৪ ধরনের কমিটি) = (১) নিবহিী (২) আর্থিক (৩) আইন শিক্ষা (৪) নিবন্ধন। ( এনরোলমেন্ট)
১। নির্বাহী কমিটি (Executive Committee);
২। আর্থিক কমিটি (Finance Committee):
৩। আইন শিক্ষা কমিটি (Legal Education Committee):
৪। নিবন্ধন কমিটি (Enrolment Committee):

অনুচ্ছেদ: ১১(খ) নিবন্ধন বা এনরোলমেন্ট কমিটি।
নিবন্ধন কমিটির ৫ জন:
সভাপতিঃ ১ জন
আপিল বিভাগের বিচারপতিগণের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি ১ জন সভাপতি/ চেয়ারম্যান নিয়োগ দিবেন।
অন্যান্য সদস্যবৃন্দঃ ৪ জন
 হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি ২ জন সদস্য মনোনীত করবেন। (২ জন)
 বাংলাদেশের এ‍্যাটনী জেনারেল। (১ জন)
 বার কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে ১ জন সদস্য নির্বাচিত করবেন। (১ জন)


অনুচ্ছেদ: ১২ বার কাউন্সিলের স্থায়ী শূন্যতা পুরন
= (উক্ত ব্যক্তির পরবর্তী সে ব্যক্তি সর্বাধিক ভোট পেয়েছিল)

অনুচ্ছেদ: ১৮: আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা
 বার কাউন্সিলের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে না।

অনুচ্ছেদ: ১৯ তালিকা ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আইন চর্চা করা যাবে না।

অনুচ্ছেদ: ৪১ এ্যাডভোকেট না হয়ে আইন চর্চা করলে।
 শাস্তি ৬ মাস।

অনুচ্ছেদ: ২১ হাইকোর্ট বিভাগে আইন চর্চা।
 (অধস্তন আদালতে কমপক্ষে ২ বৎসর আইন চর্চা করতে হবে)




অনুচ্ছেদ ২২: বার কাউন্সিলের ফিসসমূহ:
১। এনরোলমেন্ট ফিস
২। হাইকোর্ট আইন চর্চা করার অনুমতির জন্য ফিস।
৩। অ্যাডভোকেটগণের প্রদেয় বার্ষিক ফিস।

অনুচ্ছেদ: ২৭(১) অ্যাডভোকেট হওয়ার যোগ্যতা:
 (৫ টি)।
১। একজন ব্যক্তি ৭ বছর ধরে মুক্তার হিসাবে কাজ করে এবং অনুচ্ছেদ ২৭ এর শর্ত গুলো পূরণ করলে অ্যাডভোকেট বলে বিবেচিত হবেন।

অনুচ্ছেদ: ২৭(২) অ্যাডভোকেট হওয়ার অযোগ্যতা
 (২ টি)।
১। নৈতিক অবক্ষয়ের/স্থলনজনিত কারণে সরকারি বা সরকারী বিধিবদ্ধ সংস্থার চাকুরী থেকে অপসারিত হলে এবং অপসারিত হওয়ার পর ২ বছর অতিক্রম না করলে।
২। নৈতিক অবক্ষয় জনিত কোন অপরাধে দন্ডিত হলে এবং ৫ বছর অতিবাহিত না হলে।



অনুচ্ছেদ: ৩২ অ্যাডভোকেট শাস্তিঃ
(৩ প্রকার) (১) সনদ স্থগিত (২) বরখাস্ত (৩) প্রত্যাহার।

অনুচ্ছেদ: ৩৩ ট্রাইবুনাল গঠন  (Formation)
(সদস্য ৩ জন) = (সচিব ও বারের সচিব)।

অনুচ্ছেদ: ৩৪ ট্রাইবুনালের ক্ষমতা/কার্যাবলী।



অনুচ্ছেদ: ৩৬ ট্রাইবুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল।
 (৯০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল করতে হবে)

অনুচ্ছেদ: ৪০ বিধি প্রণয়ন।
 বার কাউন্সিল সরকারের পূর্ব অনুমতি নিয়ে বিধি প্রণয়ন করতে পারেন।

১। একজন ব্যক্তি ৭ বছর ধরে মুক্তার হিসাবে কাজ করে এবং অনুচ্ছেদ ২৭ এর শর্ত গুলো পূরণ করলে অ্যাডভোকেট বলে বিবেচিত হবেন।

অনুচ্ছেদ ৪১: অ্যাডভোকেট না হয়ে কোন ব্যক্তি আইন ব্যবসা করলে শাস্তি।
তার ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে।



বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার্স এন্ড বার কাউন্সিল রুলস, ১৯৭২
বিধি-৩: বার কাউন্সিলের নির্বাচন:
১। চেয়ারম্যান বার কাউন্সিল নির্বাচনের কমপক্ষে ৪৫ দিন পূর্বে অফিসিয়াল গেজেটে বার কাউন্সিল সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল প্রকাশ করবেন।
২। তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে যে কোন দিন নির্বাচনের জন্য প্রস্তাবসমূহ বার কাউন্সিলের অফিসে অর্পন করতে হবে।
৩। নিবাচনী প্রস্তাব জমা ও যাচাই বাচাই এর মধ্যে ৭ দিনের একটি বিরতি থাকবে।
৪। নির্বাচনী প্রস্তাব যাচাই বাছায় ও নির্বাচনী তারিখের মধ্যে ১৪ দিনের একটি বিরতি থাকবে।

বিধি-৪: বার কাউন্সিলের নির্বাচনের জন্য সকল আঞ্চলিক বার এসোসিয়েশনকে ৭টি অঞ্চলে বিভক্ত করা হবে।
সাধারণ আসনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ভোটারের ৭টি ভোট থাকবে এবং দলগত আসনের জন্য একজন ভোটারের ১টি ভোট থাকবে।


বিধি-৫: প্রত্যেক প্রার্থীকে বার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে হলে ১০০০ টাকার মনোনয়ন ফি এবং ৩ জন ভোটার দ্বারা প্রভাবিত ফরম জমা দিতে হবে।


বিধি-১০: ইলেকশন ট্রাইব্যুনালে নির্বাচনের কোন প্রাণী অথবা ৫ জন ভোটার ১০০০ টাকা জমা দিয়ে নিবাচনের বৈধতা সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করতে পারে ।
৮। ইলেকশন ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে ৩ জন সদস্য নিয়ে । যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান এবং ২ জন সদস্য বার কাউন্সিল কর্তৃক মনোনিত হবে।


সভা
বিধি-২৮
বার কাউন্সিল এর প্রথম সভা বার কাউন্সিল এর নির্বাচিত সদস্যদের পদের মেয়াদ শুরু হবার ১ মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এবং বার সেক্রেটারী এই সভার আহান করবেন।

বিধি-২৯:
বার কাউন্সিলের সাধারণ সভা বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আহবান করবেন অথবা যদি  কোন কারণে সে করতে অসমর্থ হয় ভাইস চেয়ারম্যান কর্তৃক হবে।

বিধি-৩৩:
সভার কোরাম হবে ৫ জনে এবং কমিটির সভার জন্য মোট এক তৃতীয়াংশ (১/৩) সদস্য থাকতে হবে। মূলতবি সভার জন্য কোরাম হবে ৩ জনে।


বিধি-৪১ ও ৪১ক: অ্যাডভোকেটদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের:
বার কাউন্সিলে কোন এ্যাডভোকেটের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগ পত্রের যুক্ত থাকবে:
১। অ্যাডভোকেটের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিবরণ।
২। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
৩। কোন আদালত বা সরকারী কর্মচারী তার অফিসিয়াল দায়িত্বে অভিযোগ দায়ের না করলে, অভিযোগপত্রের সাথে এফিডেভিট জমা দিতে হবে।
৪। অভিযোগপত্ৰ দাখিল করতে হলে ১০০০ টাকা ফি জমা দিতে হয়। [বিধি ৪১ক]



বিধি: ৪৫
১। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ প্রাপ্তির ২১ দিন পর শুনানীর দিন নির্ধারণ করবেন।
২। ট্রাইব্যুনাল  অ্যাডভোকেট কে নোটিশ প্রদান করবে এবং অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিবে।



বিধি-৪৯:
১। বার কাউন্সিলের সম্পাদক পদাধিকার বলে ট্রাইব্যুনালের সচিব হবেন।

শিক্ষানবিশ: বিধি-৬০
বিধি-৬০(১)
জাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্তি হবার পূর্বে কমপক্ষে ১০ বছর নিয়মিত উকালতি করেন এমন একজন অ্যাডভোকেটের অধীনে দরখাডকারীকে নিয়মিত কম পক্ষে ৬ মাস শিক্ষানবিশ থাকতে হবে।

বিধি ৬০(২):
আবেদনপত্রের সাথে ৫টি দেওয়ানি এবং ৫টি ফৌজদারি মোট ১০ টি মামলার লিখিত নোটবুক দাখিল করতে হবে।

বিধি ৬০(৩):
কেন আাডভোকেট বার কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়া একসাথে ৪ জনের বেশি শিক্ষানবিশ গ্রহণ করবেন না।
এ্যাডভোকেটের সাথে শিক্ষানবিশ এর যে চুক্তি হবে তা এফিডেভিট সহ বার কাউন্সিলের সেক্রেটারীর নিকট ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
একজন শিক্ষানবিশ ৬ মাস একাধারে প্রাকটিস করবে।
কোন আাডভোকেট চুক্তি পত্রে মিথ্যা বিবৃতি বা মিথ্যা সার্টিফিকেট দিলে পেশাগত অসদাচরনের জন্য দায়ী হবেন।
শিক্ষানবিশ তালিকাভুক্তির আবেদনে মিথ্যা তথ্য দিলে ৫ বছরের জন্য অযোগ্য হবেন।
হাইকোর্ট বিভাগে প্রাকটিসের অনুমতির এবং রেজিষ্ট্রেশন ৫ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে।
৫ বছরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করতে ব্যর্থ হলে রেজিষ্ট্রশন বাতিল হয়ে যাবে।
এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষা এবং হাইকোর্ট বিভাগে প্রাকটিসের অনুমতি পরীক্ষা সরকারী কলেজে হবে।
এম.সি. কিউ লিখিত পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৫০ এবং মৌখিক পরীক্ষায় পাশ নম্বর।
২৫। [বিধি ৬০ (সি)]

অ্যাডভোকেটদের নিবন্ধন ফি
নিবন্ধন ফি ১৫০০
পরীক্ষা ফি ৭০০/-
বার্ষিক ফি ২০০/-
মোট ফি= ২৪০০- টাকা।


Cannon of Professional Conduct and Etiquette Act 1965
একজন আইনজীবীর সাথে অন্যান্য আইনজীবী, মক্কেল, আদালত এবং জনগণের সাথে আচারণ কেমন হবে তা Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council order 1972 এর অনুচ্ছেদ ৪৪(ছ) এর দেওয়া ক্ষমতাবলে Cannon of Professional conduct and Etiquette (পেশাগত সদাচরণ ও নিয়মানুবর্তিতা বিধি) এাষ্ট ১৯৬৫ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনে ৪টি অধ্যায়ে একজন আইনজীবীর আচার আচরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে।

১ম অধ্যায়
অন্য আইনজীবীর সাথে আচরণ
২য় অধ্যায় ।
মক্কেলের সাথে আচরণ
৩য় অধ্যায়
আদালতের প্রতি কর্তব্য
৪র্থ অধ্যায়
জনসাধারণের প্রতি দায়িত্ব/ কর্তব্য।


১ম অধ্যায়
অন্য আইনজীবীর সাথে অসদাচরণ
১। পেশার মর্যাদা সমুন্নত রাখা । [বিধি-১]
২। বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না তবে পেশাগত কার্ড, ব্যক্তিগত প্রকাশনা, নাম ফলক ডায়রি জারি করতে বাধা নেই। [বিধি-২]
৩। একজন আইনজীবী অন্য কোন ব্যক্তিকে আইন পেশা পরিচালনা করার অনুমতি বা পারিশ্রমিক প্রদান করবে না। [বিধি ৩]
৪। প্রতিপক্ষের আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের মক্কেলের সাথে পূর্ব সম্মতি ছাড়া আলাপ আলোচনা করবে না/পরিহার করবে। [বিধি-৪]
৫। প্রতিপক্ষ আইনজীবীর অনুপস্থিতি বিচারকের নিকট মামলা সম্পর্কিত তথ্য কোন বিষয়বস্তু, যুক্তি তর্ক পেশ করবে না। [বিধি-৫ ]
৬। মক্কেল অতিরিক্ত আইনজীবী নিয়োগ দিতে চাইলে বাধা দিবেন এটা আস্থার বিশ্বাসের অভাব বলে গণ্য হবে না। [বিধি-৬]
৭। ব্যক্তিগত সমস্যা/ বিবাদ/ ঝামেলা পরিহার/ বাদ দিতে হবে। [বিধি-৭]


৮। বন্টন নীতিমালাতে যেরূপ আছে ঐ ভাবে আইন সহায়তার জন্য ফিস নিতে পারবে। এবং তার ফিস অন্য কোন ব্যক্তির সাথে বন্টিত বা ভাগ বাটোয়ারা হবে না। [বিধি-৮]
৯। শাসনতান্ত্রিক প্রথা ও কার্যক্রম অনুসারে এাটনী ও অ্যাডভোকেট জেনারেলের কার্যাবলী প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্তির বিধান মতে এই কার্যাবলীর আদেশ সম্মুন্নত রাখা আইনজীবীর কর্তব্য। [বিধি-৯]
১০। জুনিয়র এবং নবীন আইনজীবীর সর্বদা সিনিয়র এবং প্রবীন বা জেষ্ঠ্য আইনজীবীদের  প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। [বিধি-১০]
১১। একের অধিক আইনজীবী থাকলে জেষ্ঠ্য আইনজীবী মামলা পরিচালনা করবেন। [বিধি-১১]


২য় অধ্যায়
মক্কেল এর সাথে সম্পর্ক
১। মামলার বিষয়বস্তু বা মামলার স্বার্থের প্রতি নজর দিবেনা/আসক্ত হবে না। [বিধি ১]
২। পূর্বে যদি মক্কেলের পক্ষে মামলা করে থাকে কোন আইনজীবী পরবর্তীতে তার বিপক্ষে মামলা পরিচালনা করবে না। [বিধি ২]
৩। বিবাদীর সাথে বা মামলার বিষয়বস্তুতে স্বার্থ থাকলে মকেলকে প্রকাশ করতে হবে।
[বিধি ৩]
৪। উভয়পক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারবে না। [বিধি ৪]
৫। মামলার বিষয়বস্তু আইনজীবী ক্রয় করতে পারবে না। [বিধি ৫]
৬। নিজের সম্পত্তির সাথে মক্কেলের সম্পত্তি মিশ্রন/মিলিয়ে ফেলা যাবে না।  [বিধি ৬]
৭। যতক্ষণ পর্যন্ত মামলার জন্য বাদী বা বিবাদী তাকে নিয়োগ দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত মামলা সম্পর্কে বাদী বা বিবাদীকে পরামর্শ দিবে না। [বিধি ৭]
৮। কোনরূপ আইনভঙ্গের পরামর্শ দিবে না [বিধি ৮]
৯। অভিযুক্ত আসামির পক্ষে মামলা প্রতিদ্বন্দিতা করা আইনজীবীর অধিকার। [বিধি ৯]
১০। সঠিক পারপ্রিমিক গ্রহণ করতে হবে কোন আইনজীবী অনুরোধ করলে বিবেচনা করতে হবে এবং আইনজীবীর বিধবা স্ত্রী বা এতিম সন্তানদের সকল আইনজীবী বিনা ফিসে সহায়তা দিবে। [বিধি ১০]
১১ । আইনজীবী তার ক্ষতিপূরণ আদায়ে বিরোধ করবে না। [বিধি ১১]
১২। মক্কেলের সম্পর্কে ব্যক্তিগত বিশ্বাস বর্ণনা করবে না। [বিধি ১২]
১৩। যদি কোন আইনজীবী মক্কেলের মামলায় সাক্ষী হলে সেই মামলার দায়িত্ব অন্য  আইনজীবীর উপর ছেড়ে/অৰ্পণ করতে হবে। তবে সাক্ষ্য যদি দলিল/ জিম্মাদার বিষয়ে হয় তাহলে নিজেই মামলা চালাতে পারবে। [বিধি ১৩]
১৪। মক্কেলের কোন ক্ষতি বা অবিচার না হলে কোন বিশেষ দিনে মামলা পরিচালনার জন্য প্রতিপক্ষ আইনজীবীকে বাধ্য করা যাবে না। [বিধি ১৪]


৩য় অধ্যায়।
আদালতের প্রতি কর্তব্য
১। আদালতে ভদ্ৰভাবে উপস্থিত হওয়া। [বিধি ১]
২। মামলার বিরুদ্ধে যেতে পারে এমন বিষয়ে কাউকে উপদেশ না দেওয়া [বিধি ২]
৩। ভুল তথ্য বা ভুলব্যাখ্যা/অপব্যাখ্যা পরিহার করা। [বিধি ৩]
৪ বিচারক ও বারের কর্মকর্তার সাথে সুসম্পর্ক বাজায় রাখা । [বিধি ৪]
৫। সরকারি আইনজীবী হলে তার প্রধান/ প্রথম দায়িত্ব ন্যায় বিচারে সহায়তা করা, শুধুমাত্র অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়া না। [বিধি ৫]
৬। মামলা সম্পর্কে পত্রিকাতে খবর প্রকাশ না করা। [বিধি ৬]
৭।আইনজীবী চেষ্টা  করবেন বিচারক নির্বাচনে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করা। [বিধি ৭]
৮। আদালতে সময়মত উপস্থিত হওয়া। [বিধি ৮]
৯। কোন পক্ষের আইনজীবীর অবর্তমানে বিচারক অন্যকে আইনজীবীর মতামত চাইলে তিনি নিরপেক্ষভাবে তার মতামত প্রদান করা। [বিধি ৯]

৪র্থ অধ্যায়।
জনগণের প্রতি দায়িত্ব
১। মামলা বিলম্ব বা কাউকে হয়রানি করার জন্য মক্কেল আইনজীবী নিয়োগ দিবে না।[বিধি-১]
২। বিরূদ্ধ পক্ষের সাক্ষী বা পক্ষের সাথে সর্বদা ভালো ব্যবহার করতে হবে। [বিধি-২]
৩। কাউকে হয়রানি বা ক্ষতি না করা। [বিধি-৩]
৪। পরামর্শ প্রদান বা আইনজীবী হিসাবে দায়িত্ব পালনে বাধ্যবাধকতা থাকবে। [বিধি ৪]
৫। আইনজীবী মামলা গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার থাকবে। [বিধি ৫]
৬। কোন পাবলিক অফিসার, বোর্ড, কমিটি বা সংস্থার নিকট পেশাগত দায়িত্বে উপস্থিত হলে, তিনি তার পরিচয় এবং যার জন্য হাজির হবেন তার নাম বা স্বার্থ প্রকাশ করবেন।[বিধি ৬]
৭। বিচারক হিসেবে যদি কোন বিষয়ে আগেই অবগত হয়ে থাকেন তাহলে আইনজীবী হিসাবে উক্ত মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না। [বিধি ৭]
৮। অন্য কোন ব্যবসা, চাকুরী বা অন্য পেশার সাথে বেতনভুক্ত হিসেবে জড়িত হবে না।
বিধি বিধানসমূহ মেনে চলা একজন আইনজীবীর আবশ্যকীয় কর্তব্য, যা মান্য করা/ মেনে চলা পেশাগত সদাচরণ। যদি মান্য না করেন তাহলে অসাদাচরণ হবে। [বিধি ৮]





No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...