৪০. হে বনী ইসরাইল (জাতি), তোমাদের ওপর আমি যেসব নেয়ামত দিয়েছি তোমরা সেগুলো স্মরণ করো, আমার (আনুগত্যের) প্রতিশ্রুতি তোমরা পূর্ণ করো, আমিও (এর বিনিময়ে) তোমাদের (দুনীয়া ও আখেরাতের পুরস্কারের) প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করবো এবং তোমরা একমাত্র আমাকে ভয় করো।
৪১. আমি (মোহাম্মদের কাছে) যা (কোরআন) নাযিল করেছি, তোমরা এর ওপর ঈমান আনো, যা তোমাদের কাছে যা কিছু আছে তার সত্যায়নকারী, তোমরা কিছুতেই এর প্রথম অস্বীকারকারী হয়ো না এবং (বৈষয়িক স্বার্থে)
সামান্য মূল্যে আমার আয়াতসমূহকে বিক্রি করো না এবং তোমরা শুধু আমাকেই ভয় করো।
৪২. তোমরা মিথ্যা দিয়ে সত্যকে পোশাক পরিয়ে দিয়ো না এবং সত্যকে জেনে-শুনে-বুঝে লুকিয়েও রেখো না।
৪৩. তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা করো, যাকাত আদায় করো, যারা আমার সামনে অবনত হয় তাদের সাথে মিলে তোমরাও আমার আনুগত্য স্বীকার করো।
৪৪.তোমরা কি মানুষদের ভালো কাজের আদেশ করো এবং নিজেদের (জীবনে তা বাস্তবায়নের) কথা ভুলে যাও, অথচ তোমরা সবাই আল্লাহর কিতাব পড়ো; কিন্তু (কিতাবের এ কথাটি) তোমরা কি বুঝো না?
৪৫. (হে ঈমানদার ব্যক্তিরা,) তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও; (যাবতীয় হক আদায় করে) নামায প্রতিষ্ঠা করা (অবশ্যই একটা) কঠিন কাজ, কিন্তু যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের কথা আলাদা।
৪৬. যারা জানে, একদিন তাদের সবাইকে তাদের মালিকের সামনাসামনি হতে হবে এবং তাদের (সবাইকে) তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে (তার জন্যে এটা কঠিন কিন্তু নয়)।
৪৭. হে বনী ইসরাঈল (জাতি), তোমরা আমার সেই নেয়ামতের কথা স্মরণ করো যা আমি তোমাদের দান করেছি (সেই নেয়ামতের মধ্যে একটি ছিলো), আমি তোমাদের সৃষ্টিকুলের ওপর প্রাধান্য দিয়েছিলাম।
৪৮. (হে ঈমানদার ব্যক্তিরা,) তোমরা সে দিনটিকে ভয় করো যেদিন একজন আরেক জনের কোনোই কাজে আসবে না, একজনের কাছ থেকে আরেকজনের (পক্ষে সেদিন) কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না, (কাউকে ছেড়ে দেয়ার জন্যে) কারো কাছ থেকে কোনো মুক্তিপণ নেয়া হবে না-না তাঁদের (সেদিন) কোনো রকম সাহায্য করা হবে!
পৃষ্ঠা ৮
No comments:
Post a Comment