৫৮. (স্মরণ করো,) আমি যখন তোমাদের বলেছিলাম, তোমরা এই জনপদের ঢুকে পড়ো এবং তোমরা তার যেখান থেকে ইচ্ছা স্বাচ্ছন্দ্যে আহার করো, (দম্ভ সহকারে প্রবেশ না করে) মাথানত করে ঢোকো, তোমরা ক্ষমার কথা বলবে, আমিও তোমাদের ভুল ত্রুটিসমূহ ক্ষমা করে দেবো এবং যারা ভালো কাজ করে আমি এভাবেই তাদের (পাওনার অংক) বাড়িয়ে দেই।
৫৯. (সুস্পষ্ট হেদায়াত সত্বেও) অতঃপর যালেমরা এমন কিছু ব্যাপার রদবদল করে ফেললো, যা না করার জন্যই তাদের বলা হয়েছিলো, আমিও এরপর যারা যুলুম করলো তাদের ওপর আসমান থেকে গজব নাযিল করলাম, (মূলত) এটা ছিলো তাদের গুনাহর ফল।
৬০. (স্মরণ করো,) যখন মূসা (আমার কাছে) তার জাতির লোকদের জন্য পানি চাইলো, আমি (তাকে) বললাম, তোমার হাতের লাঠি দিয়ে তুমি (এই) পাথরে আঘাত করো, (আঘাত করা মাত্রই) সে পাথর থেকে বারোটি (পানির) নহর উৎপন্ন হয়ে গেলো; প্রত্যেক গোএই নিজেদের (পানি পানের) ঘাট চিনে নিলো; (আমি বললাম,) আল্লাহর দেয়া রেযেক থেকে তোমরা পানাহার করো, তবে (কিছুতেই আমার) যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িয়ো না।
61 (স্মরণ করো,) তোমরা যখন মূসাকে বলেছিলে, হে মূসা, (প্রতিদিন) একই ধরনের খাবারের ওপর আমরা কিছুতেই (আর) ধৈর্য ধরতে পারছি না, তুমি তোমার মালিকের কাছে বলো যেন তিনি কিছু ভূমিজাত দ্রব্য তরিতরকারি, পেঁয়াজ, রসুন, ভুট্টা, ডাল উৎপাদন করেন, সে বললো, তোমরা কি (আল্লাহর পাঠানো) এ উৎকৃষ্ট জিনিসের সাথে একটি তুচ্ছ জিনিসকে বদলে নিতে চাও?
(যদি তাই হয়) তাহলে তোমরা অন্য কোনো শহরে সরে পড়ো, যেখানে তোমাদের এসব জিনিস- যা তোমরা চাইবে, তা অবশ্যই পাওয়া যাবে, (আল্লাহ তায়ালার আদেশ অমান্য করার ফলে) শেষ পর্যন্ত অপমান ও দারিদ্র্য তাদের ওপর ছেয়ে গেলো; আল্লাহর গযব দ্বারা তারা আক্রান্ত হয়ে গেলো, এটা এ কারণে (যে), এরা (ক্রমাগত) আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করতে থাকলো এবং আল্লাহর নবীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করতে থাকলো, আর এসব কিছু এজন্যই ছিলো যে, তারা আল্লাহর সাথে না-ফরমানী ও সীমালঙ্ঘন করেছিল!
পৃষ্ঠা ১০
No comments:
Post a Comment