Translate

তামাদি আইন ১৯০৮


তামাদি আইন ১৯০৮
ধারাঃ ২। সংজ্ঞা
ধারা-৩: তামাদির মেয়াদ অন্তে দায়েরকৃত মামলা ইত্যাদি খারিজ।
ধারাঃ ৪। আদালত বন্ধ থাকা অবস্থায় যখন তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়।
ধারা-৫: বিশেষে ক্ষেত্র তামাদি মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ।
ধারা-৬: বৈধ অপারগতা।
ধারাঃ ৭। কতিপয় বাদী অথবা দরখাস্তকারীর একজনের অযোগ্যতা।
ধারাঃ ৮। বিশেষ ব্যতিক্রম।
ধারা-১২: আইনানুগ কার্যধারায় যে পরিমাণ সময় গণনা হতে বাদ দিতে হবে।
ধারা-১৪: এখতিয়ার বিহীন আদালতে সৎ উদ্দেশ্য মূলক কার্যধারায় যে সময় গণনা হতে বাদ দিতে হবে।
ধারা-১৮: প্রতারণার ফল।
ধারা-১৯: লিখিত  স্বীকৃতির  ফলাফল।
ধারা-২০: উত্তর দায় (পূর্বের দায়)সংক্রান্ত ঋণ পরিশোধের অথবা সুদ প্রদানের ফলাফল।
ধারাঃ ২১। অক্ষম ব্যক্তির প্রতিনিধি।
ধারাঃ ২৩। অবিরাম চুক্তিভঙ্গ বা অন্যায় করা।
ধারা- ২৬: সুখাধিকার বা ভোটাধিকার বা বর্তস্বত্ত সমূহ অর্জন।
ধারা-২৮: সম্পত্তির অধিকার বিলুপ্তি।
ধারা-২৯: সংরক্ষণ।

তফসিল ১
প্রথম বিভাগ: মামলা

১। অনুচ্ছেদ ২ দেশে বর্তমানে প্রচলিত কোন আইন অনুযায়ী কথিত কোন কার্য করা কিংবা করা থেকে বিরত থাকার কারণে ক্ষতিপূরণের মামলা।
৯০ দিন



৬ মাস:
২| অনুচ্ছেদ  ৩ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারায় দখল পুনরুদ্ধারের মামলা ৬ মাস


১ বছর
৩। অনুচ্ছেদ ১০ অগ্রক্রয়ের অধিকার বলবতের মামলা ১ বছর

৪। অনুচ্ছেদ ১২ বিক্রয় রদের মামলা ১ বছর

৫। অনুচ্ছেদ ১৮ ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা ১ বছর

৬। অনুচ্ছেদ ১১৩ সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রবলের জন্য মামলা ১ বছর

৭। অনুচ্ছেদ ১১৪ চুক্তি প্রত্যাহার করার মামলা ১ বছর



২ বছর
৮। অনুচ্ছেদ ৩২ সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অধিকার সম্পন্ন 
লোকের দ্বারা অপর উদ্দেশ্যে সম্পত্তি ব্যবহারের জন্য সে লোকের বিরুদ্ধে মামলা। (সম্পত্তির  অপব্যবহার) ২ বছর
৯। অনুচ্ছেদ ৩৩ আইনসম্মত এজেন্টের মামলা আইনের আওতায় নির্বাহকের বিরুদ্ধে মামলা। ২ বছর


৩ বছর*
১০। অনুচ্ছেদ ৯১ কোন দলিল রদ বা বাতিল করার জন্য, যে ক্ষেত্রে অন্যকোন বিধান নেই। ৩ বছর
১১। অনুচ্ছেদ ৯২ ইস্যুকৃত বা রেজিস্ট্রিকৃত কোন দলিল জাল বলে ঘোষণার জন্য মামলা ৩ বছর
১২। অনুচ্ছেদ ৯৫ প্রতারণামূলকভাবে যে ডিক্রি নেওয়া 
হয়েছে, তা রদ করার জন্য মামলা ৩ বছর
১৩। অনুচ্ছেদ ১০৪ মৃত্যু বা তালাক দ্বারা যখন বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তখন বিলম্বিত দেনমোহরের জন্য একজন মুসলিম মহিলা মামলা দায়েরের  ক্ষেত্রে তামাদির সময়কাল ৩ বছর
১৪। অনুচ্ছেদ ১১৫ প্ৰকাশ কিংবা অন্তনিহিত কোন চুক্তি যা  লিখিতভাবে সম্পাদিত এবং রেজিস্টিকৃত হয় নাই ও অত্র আইনে যার বিষয় বিশেষভাবে কোন বিধান নাই সে চুক্তিভংগের ফলে ক্ষতিপূরণের মামলা। 
[For compensation for the breach of any contract, express or implied, not in writing registered and not herein specially provided for.] | ৩ বছর


৬ বছর
১৫। অনুচ্ছেদ  ১১৬ লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত চুক্তি ভঙ্গের জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা ৬ বছর
১৬। অনুচ্ছেদ। ১২০ যে মামলার তামাদির মেয়াদ সম্পর্কে 
অত্র তফসীলে কোন বিধান না থাকলে মামলার মেয়াদ
৬  বছর





১২ বছর
১৭। অনুচ্ছেদ  ১২৪ বংশগত পদ দখল করার জন্য মামল ১২ বছর
১৮। অনুচ্ছেদ  ১৩৯ প্রজার নিকট হতে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য জমিদার দ্বারা মামলা। ১২ বছর
১৯। অনুচ্ছেদ  ১২৯ খোরপোষ লাভের অধিকার ঘোষণার জন্য হিন্দু দ্বারা মামলা। ১২ বছর
২০। অনুচ্ছেদ ১৪২ স্বত্ব এর দখলের মামলা ১২ বছর

৩০ বছর
২১। অনুচ্ছেদ ১৪৫   আমানত গ্ৰহীতা বা বন্ধক গ্ৰহীতার থেকে বন্ধকী সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা ৩০ বছর


৬০ বছর
২২। অনুচ্ছেদ  ১৪৯ সুপ্রিম কোর্টের মূল এখতিয়ারাধীন মামলা 
ব্যতিরেকে সরকার দ্বারা সরকারের পক্ষে রুজুকৃত যে কোন মামলা। ৬০ বছর
২৩। অনুচ্ছেদ  ১৪৮ বন্ধকী স্থাবর সম্পত্তি খালাসের লক্ষ্যে কিংবা দখল পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে 
বন্ধক গ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা । ৬০ বছর
২৪। অনুচ্ছেদ ১৪৭ বন্ধক উদ্ধারের অধিকার নাশ কিংবা 
বিক্রয়ের জন্য 
বন্ধগ্রহীতার দ্বারা মামলা। ৬০ বছর






দ্বিতীয় বিভাগ: আপিল
২৫। অনুচ্ছেদ ১৫০ দায়রা আদালত কর্তৃক অথবা মূল ফৌজদারি এখতিয়ার, প্রয়োগকাল হাইকোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যু দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে আপিল
৭ দিন
২৬। অনুচ্ছেদ ১৫১ হাইকোর্ট কর্তৃক মূল দেওয়ানি মূল এখতিয়ার প্রয়োগকাল প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল। ২০ দিন
২৭। অনুচ্ছেদ ১৫২ জেলা জজের নিকট কোন রায় ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে ৩০ দিনের মধ্যে ৩০ দিন
২৮। অনুচ্ছেদ ১৫৪ হাইকোর্ট ভিন্ন যেকোন আদালতে আপিল ৩০ দিন
২৯। অনুচ্ছেদ ১৫৫ ১৫০ ও ১৫৭ অনুচ্ছেদে যে সকল মামলা
সম্পর্কে বিধান আছে সেগুলি ছাড়া অন্যান্য ৬০ দিন
অনুচ্ছেদ ১৫৬ হাইকোর্ট বিভাগে কোন রায় ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল  করতে হয় ৯০ দিনের মধ্যে ৯০ দিনে
৩০। অনুচ্ছেদ ১৫৭ খালাস আদেশের বিরুদ্ধে ১৮৯৮ সালের  ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী আপিল। ৬ মাস


তৃতীয় বিভাগ: দরখাস্ত
৩১। অনুচ্ছেদ  ১৬১ ক্ষুদ্রবিষয়ক আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ দায়ের ১৫ দিন
৩২। অনুচ্ছেদ  ১৬২ হাইকোর্ট দ্বারা তার মূল এখতিয়ার প্রয়োগকালীন সময়ে দেয়া রায়ের রিভিশনের জন্য দরখাস্ত। ২০ দিন
৩৩। অনুচ্ছেদ ১৬৩ গর হাজিরার জন্য কিংবা সমন জারির ব্যয় জমা না দেওয়ার জন্য  কিংবা ব্যয়ের জামানত না দাখিলের জন্য মামলা খারিজ হলে খারিজের আদেশ বাতিলের জন্য ফরিয়াদীর দরখাস্ত। ৩০ দিন
৩৪। অনুচ্ছেদ ১৬৪ এক তরফা ডিক্রি রদের আদেশ লাভের জন্য বিবাদীর দরখাস্ত। ৩০ দিন
৩৫। অনুচ্ছেদ ১৬৬ ডিক্রিজারিতে বিক্রয় রদ করার জন্য দেওয়ানী কার্যবিধি মোতাবেক দরখাস্ত; দাইকের অনুরূপ দরখাস্তও এটার  অন্তর্ভুক্ত। ৩০ দিন
৩৬। অনুচ্ছেদ ১৬৫ যে ব্যক্তি স্থাবর সম্পত্তি হতে বেদখল হয়েছে, 
ও যিনি ডিক্রিজারিতে খরিদ্দারের কিংবা ডিক্রিদারের  অধিকারের বিরোধিতা করেন 
সে ব্যক্তি
দ্বারা দখলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য। ১৯০৮ সনের দেওয়ানী কার্যবিধি  অনুযায়ী দরখাস্ত। ৩০ দিন
৩৭। অনুচ্ছেদ ১৬৮ আপিল না চালাইবার ফলে খারিজ আপিল পুনরায় চালু করার জন্য দরখাস্ত । ৩০ দিন
৩৮। অনুচ্ছেদ ১৬৯ যে আপীলের এক তরফা শুনানি হয়েছে, পুনরায় তার শুনানির নিমিত্ত দরখাস্ত। ৩০ দিন
৩৯। অনুচ্ছেদ ১৭১ অ্যাবেটমেন্ট এর আদেশ বাতিলের  দরখাস্ত ৬০ দিন
৪০। অনুচ্ছেদ ১৭০ নিঃসম্বল হিসাবে আপীল করার- অনুমতির দরখাস্ত। ৩০ দিন
৪১। অনুচ্ছেদ ১৭৩ ডিক্রি বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে  রিভিউ আবেদন করতে হয়। ৯০  দিন
৪২। অনুচ্ছেদ ১৭৬ ও অনুচ্ছেদ ১৭৭ মৃত বাদী বা বিবাদীর বৈধ প্ৰতিনিধি পক্ষভুক্ত করা
৯০ দিন
৪৩। অনুচ্ছেদ ১৮১ অত্র তফসীল বা দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৮ ধারার দরখাস্তের তামাদির বিধান না থাকলে দরখাস্ত। ৩ বছর
৪৪। অনুচ্ছেদ ১৮২ দেওয়ানি আদালতের যে ডিক্রি জারি বা আদেশ কার্যকরী সম্পর্কে ১৮৩ অনুচ্ছেদ বা দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৮ ধারার বিধান নাই তা জারি বা কার্যকর করার জন্য দরখাস্ত| ৩ বছর বা ডিক্রি বা আদেশটি
সহিমোহরককৃ নকল রেজিস্ট্রি হলে ৬ বছর
৪৫। অনুচ্ছেদ ১৮৩ হাইকোর্ট কর্তৃক সাধারণত আদি দেওয়ানি এখতিয়ার প্রয়োগকালে প্রদত্ত রায় ডিক্রি বা আদেশ অথবা সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বলবৎ করার জন্য দরখাস্ত। ১২ বছর


তথ্য কণিকা
১। রিভিশন দায়েরের মেয়াদ সংক্রান্ত কোন বিধান তামাদি আইনে বর্ণিত নাই।
২। যে মামলার তামাদির মেয়াদ সম্পর্কে অত্র তফসিলে কোন বিধান না থাকলে মেয়াদ হবে
যে দিন থেকে মামলা করার কারণ উদ্ভব হবে ঐ দিন থেকে ৬ বছর।


No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...