Translate

Saturday, July 21, 2018

শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু

শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু
আমি আমার শরীর থেকে শয়তান বের হতে অনুভব করেছি:

ঘটনাটি হলো তখন, যখন কেউ আমাকে খারাপ কথা বলেছে যা শুনে আমি অনেক কষ্ট পাই। ঠিক একই সময় আমার মনে একটি খারাপ কথা আছে তাকে বলার জন্য। আমি যখন খারাপ কথাটি বলতে শুরু করবো ঠিক সেই মুহূর্তে আমি অনুভব করলাম আমার শরীর থেকে কিছু একটা জিনিস বের হলো। জিনিস তার উদাহরণ  আপনি  হঠাৎ ঘুম থেকে উঠলে যেমন লাগে, অনেকটা সেই রকম লেগেছিল। 
আমি যখন এই জিনিস অনুভব করলাম কোনো একটা জিনিস আমার শরীর থেকে বের হয়েছে তখন আমি তাকে ভাল কথায়  দ্বারা জবাব  দিলাম। যা শুনে সেই ব‍্যক্তি কোন প্রকার কষ্ট পায় নাই।


তার কিছু দিন পরে আমার  কুরআন শরীফ একটি আয়াতকে উপর নজর গেলো
সূরা বনী ইসরাইল ১৭ নং সূরা আয়াত ৫৩
৫৩. “(হে নবী,) আমার বান্দাদের বলে দাও, তারা যেন (কথা বলার সময়) এমন সব কথা বলে যা উত্তম;
(কেননা) শয়তান (খারাপ কথা দ্বারা) তাদের মাঝে বিভেদ  সৃষ্টির উস্কানি দেয়; আর শয়তান তো হচ্ছে  মানুষের প্রকাশ্য দুশমন।„


শয়তান থেকে বেঁচে থাকার জন্য তিন দিন কথা না বলে থাকার মানত করেন আল্লাহ তা’আলা নামে।
তার পরে ও কেউ আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার বা আচরণ করলে ঠিক সেই মুহূর্তে থেকে তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে,  দুইটি কাজ করতে পারে।
১। সেই জায়গা থেকে দূরে সরে যান। অথবা
২। সেই ব‍্যক্তি যতক্ষণ খারাপ ব্যবহার বা / ও আচরণ করবে সেই সময় তা তার সাথে কোন প্রকার কথায় জবাব না দেয়াও।
অথবা তাকে ভালো কথা বলা। যেমন কোন খাট মানুষ কে দেখে কেউ হাসলে তাকে বলেন আমি আল্লাহর তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি যে তোমার কোন সন্তান যেন আমার মত বা এই ব‍্যক্তির মত খাট না হয়।


ঐ দোয়া করার কারণ হলো এই ব‍্যক্তি শয়তানের উস্কানির  কারণে এই ব‍্যক্তি, এই প্রকার খারাপ কথা বা খারাপ আচরণ করেছে।

শয়তান মানুষকে সব ধরনের খারাপ কথা বলার ও খারাপ আচরণ করার উস্কানি দিয়ে সাথে সাথে এই খারাপ কথা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

কারণ শয়তান চায় না আপনি যখন খারাপ কথা বলবে বা/ এবং খারাপ আচরণ করবেন তখন শয়তান আপনার শরীরের থাকা পছন্দ করেনা।

কারন 😈 শয়তান মনে করে উস্কানি দেওয়া অপরাধ নয়। খারাপ কথা বলার বা খারাপ আচরণ করা  মানুষের দেহে থাকা অপরাধ।

আল্লাহর তায়ালার শয়তানের উস্কানি জন্য শয়তান কে শাস্তি প্রদান করে হাশরের ময়দানে।
আর মানুষ কে, আল্লাহর তায়ালার বলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই মানুষটি কাছে থাকে ক্ষমা আনতে না পারবে ততক্ষন পর্যন্ত তুমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।


সব কথা এক কথায়: আপনি যদি আপনার শরীরকে শয়তানের উস্কানি হিসাবে ব্যবহার করে না দিতে চাই তাহলে শুধু একটি কাজ করতে হবে।
আপনার অন্তর যদি  সর্বদা আল্লাহ তায়ালা কে স্মরণ করলে। এই মনের উপর শয়তানের কোন প্রকার উস্কানি কাজ করে না।

আপনার অন্তর সর্বদা আল্লাহর তায়ালার স্মরণ বৃদ্ধি করতে কুরআন শরীফ মাতৃভাষা পাঠ করেন। 



শয়তান কি পরিমান গাধা তা একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। শয়তান মনে করে যে ব‍্যক্তি ভালো কাজ করে তাকে মারতে হবে। তখন সে অন‍্য মানুষকে উস্কানি যে এই ভালো মানুষ কে মারার জন্য নির্বোধ এটা বুঝে না যে এই ভালো মানুষটি কোন প্রকার ভালো কাজ করা ক্ষমতা  নাই। আল্লাহ তায়ালা তাকে দিয়ে এই সকল ভালো কাজ করিয়েছেন। কোন ভালো মানুষের মৃত্যুর পর আল্লাহর তায়ালার আরেকটি ভালো মানুষ ঠিক করতে পারে। নির্বোধ শয়তান এটা বুঝে না আল্লাহ তা’আলা কোন কাজ কোন এক ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল নয় এর কারণ হলো আল্লাহ তা’আলা কার উপর নির্ভরশীল নয়।



“আমার কোন ক্ষমতা নাই এত জ্ঞানী কথা লেখার। আল্লাহ তা’আলা সকল জ্ঞানের উৎস। তাই সর্ব বলুন, সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য।„

লেখক:  যুবাইর মাহমুদ



জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...