Translate

Wednesday, August 15, 2018

দলীয় গণতন্ত্র কি?/ রাজনৈতিক দলীয় গণতন্ত্র চর্চা।

দলীয় গণতন্ত্র কি?/ রাজনৈতিক দলীয় গণতন্ত্র
চর্চা।

Methods of Promoting Internal Democracy in Political Parties.


রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের প্রচারের পদ্ধতি:

দলের মধ্যে গণতন্ত্রের  চর্চাকে  দলীয় গণতন্ত্র বলা হয়, দলীয় গণতন্ত্রের  মধ্যে দলীয়  সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিতর্কের মধ্যে দলের সকল সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির করা  হয়   ভোটের মাধ্যমে।

"গণতন্ত্র" যার অর্থ "জনগণের শাসন"
আর  রাজনৈতিক দলীয় গণতন্ত্র হলো, “রাজনৈতিক দল পরিচালনা জন্য ঐ রাজনৈতিক দলের সকল সদস্যদের  অংশগ্রহণ  ভোটের মাধ্যমে”
যেখানে নীতি নির্ধারণ বা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সদস্যের সমান ভোটাধিকার থাকে। গণতন্ত্রে আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন ও তৈরীর ক্ষেত্রে সকল সদস্যদের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ রয়েছে, যা নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে হয়ে থাকে।


বর্তমান প্রতিটি দলের মধ্যে নেতা  নির্ধারিত হয়, একনায়কতন্ত্র নেতা আদেশে অর্থাৎ  দলের সর্বোচ্চ নেতা তার  পছন্দ অনুযায়ী নেতা নির্ধারন করে এতে দলের সকল সদস্যদের মতামত নেওয়া হয় না। শুধু কিছু নেতা থেকে পরামর্শ নেওয়া হয়।
আমি বলছি না যে, এভাবে যোগ‍্য নেতা নির্ধারন করা অসম্ভব। আমি বলতে চাচ্ছি কখনো কখনো  এভাবে যোগ্য নেতা নির্ধারন নাও হতে পারে। এর ফলে রাজনৈতিক দল সর্বপ্রথম  ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


যে ব্যক্তি নেতা হতে চায় সে শুধু সবোর্চ্চ নেতাকে খুশি করতে পারেই হয়। কিন্তু গণতন্ত্র দলীয় পদ্ধতিতে, রাজনৈতিক দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা হলে। সেই সময়, যে দলের নেতা হতে চায়, সে শুধু সবোর্চ্চ নেতাকে খুশি করলে হবে না, তাকে দলের সকল সদস্য কে খুশি করতে হবে ভোটের জন্য।
অর্থাৎ তাকে দলের মধ্যে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য  ব্যক্তিত্ব হতে হবে।

এর মানে হলো একজন সদস্য নেতা হতে হলে তার ব্যক্তিত্ব উন্নতির জন্য সে নানা বিধি পদক্ষেপ নিবে। যেমন: উচ্চ শিক্ষা অর্জন। বিভিন্ন বই পড়া যা ব্যক্তিত্ব উন্নয়নের ভূমিকা রাখে।   
বিখ্যাত   নেতাদের জীবনী পড়া ইত্যাদি।

যদি নির্বাচনে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে  নেতা নির্বাচিত করা হয় তা হলে সর্বোত্তম নেতা নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বহু গুণে বৃদ্ধি পায়।



রাজনীতি দলে  মধ্যে দলীয় গণতন্ত্র সৃষ্টি করতে হবে!
এখন প্রশ্ন হলো দলীয় গণতন্ত্র কি?
সহজ ভাবে বলতে গেলে, প্রতিটি দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা করা নামই হলো দলীয় গণতন্ত্র।

একটি দলের নেতা যদি দলের সকল সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত  হয় । তখন আমার বলতে পারি ঐ দলের মধ্যে দলীয় গণতন্ত্রের চর্চা হয়।

যে দেশের সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক দলীয় গণতন্ত্র চর্চা করে। সেই দেশের রাজনৈতিক দল সকল দেশের  মানুষের কাছ থেকে প্রশংসনীয় হয়।
ধরনের,  বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক দল তার দলীয় সংবিধান একটি অনুচ্ছেদ রাখল যে । আজ থেকে ভবিষ্যতে এ দলের বিভিন্ন ধরনের  নেতা কে হবে তা নির্ধারিত হবে ভোটের মাধ্যমে অর্থাৎ
দলের কোন সদস্য যদি নেতা হতে চায় তখন তাকে ভোটের দাঁড়াতে হবে। এবং দলের অন্যান্য সদস্যদের ভোট দিবে। দলের অন্যান্য সদস্যদের ভোটে যদি কোন সদস্য অন্য প্রার্থীকে পরাজিত  করে ।  তখন মাত্র সেই সদস্য নেতা হতে পারবে।

প্রতিটি দলের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন মাধ্যমে নির্বাচিত হবে রাজনৈতিক দলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে।


একটি রাজনৈতিক দলের অনেক ধরনের নেতা থাকে। এবং একটি রাজনৈতিক দলের সকল সদস্য ইচ্ছা থাকে নেতা হওয়ার। তাই তারা বিভিন্ন চেষ্টা চালায়।
যদি দলীয় গণতন্ত্র মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হয়।
 তখন একটি রাজনৈতিক দলের একটি বা একাধিক দক্ষ নেতা সৃষ্টি হবে। যে রাজনৈতিক দলের যতবেশি দক্ষ নেতা আছে সে দল  ততোবেশি শক্তিশালী।

একজন দক্ষ ও যোগ্য নেতা একটি রাজনৈতিক দলের এবং দেশের জন্য  অমূল্য সম্পদ।
 এখন আসা যাক এতে দেশের কি উপকার। ধরনের যে দেশের রাজনৈতিক দলের মধ্যে দলীয় গণতন্ত্র চর্চা হয়। সে দেশে রাজনৈতিক বিপ্লব হয়।

 বিপ্লব:
১। বিপ্লব শব্দটি একটি বাংলা শব্দ। এর অর্থ হলো, রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থার দ্রুত আমূল পরিবর্তন, বিদ্রোহ, উপদ্রব, ব্যাপক বিনাশ বা ধ্বংস।-বাংলা একাডেমী বাঙলা উচ্চারণ অভিধান ২২৩।

অথবা,

২। বিপ্লব সব অর্থ: মনোযোগী, সৃ, উদার, অস্থির, আধুনিক, সক্রিয়, বন্ধুত্বপূর্ণ, ভাগ্যবান, উপযুক্ত, আনন্দদায়ক, গুরুতর, স্বাভাবিক।


আমি রাজনৈতিক বিপ্লব বলতে ২য়টি বুঝতে চাচ্ছি।
বিপ্লব শব্দটি দুই  মুখী তলোয়ারের মতো, আপনি যদি ইতি বাচক মানুষ হন। তখন এই শব্দ কে আপনি ইতি বাচক ভাবে চিন্তা করবেন।

আর  আপনি যদি নেতিবাচক  মানুষ হন। তখন  এই শব্দ কে আপনি নেতিবাচক ভাবে চিন্তা করবেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র আছে, দলীয় গণতন্ত্র নেই। 

আমি এই জন্য কোন দলকে দোষারোপ করছি না। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি, বাংলাদেশ রাজনৈতিক দলীয় গণতন্ত্র চর্চা না করার পিছনের রয়েছে। রাজনৈতিক গণতন্ত্র সম্পর্কে স্বল্প জ্ঞান বা এই সম্পর্কে না জানা।

প্রতিটি দলের মধ্যে রাজনৈতিক দলীয় গণতন্ত্র চর্চার পূর্বে
রাজনৈতিক দলীয় গণতন্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের, বাংলা ভাষা রাজনৈতিক দলীয় গণতন্ত্র বিষয়ে কোনো বই নাই।


রাজনৈতিক দলীয় গণতন্ত্র কি?
রাজনৈতিক দলীয় গণতন্ত্রের উদাহরণ হচ্ছে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।



দলীয় গণতন্ত্র চর্চা পরেও তা বাস্তবায়ন  না করার  ফলাফল:

বঙ্গভঙ্গ হওয়ার প্রধান কারণ হলো দলীয় গণতন্ত্রের ফলাফল বাস্তবায়ন  না করা।



নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু   বনাম  পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু:

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৩৯  দলীয় গণতন্ত্র চর্চা করতে একটি নির্বাচন হয়।
এই নির্বাচনে উদ্দেশ্যে ছিল ভবিষ্যতে কোন ব্যক্তি স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবে। এই ভোটের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু  জয় লাভ করেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সকল সদস্যদের ভোটে। শুধু মাত্র একটি ভোট পায় নাই নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু।

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস  শেষ দলীয় গণতন্ত্রের চর্চা ফলাফল বাস্তবায়ন  না করে জওহরলাল নেহরুকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নির্ধারণ করে।

জওহরলাল নেহরু অজ্ঞতার ফলাফল হিসাবে বঙ্গ ভঙ্গ হয়। তাই মহাত্মা গান্ধী স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শপথ গ্ৰহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

তিনি এই সময় বাংলাদেশের নোয়াখালীতে ছিলেন।মহাত্মা তখন বলেছেন,  নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু যদি প্রধানমন্ত্রী হত, তাহলে বঙ্গ ভঙ্গ হত না এবং পাঞ্জাব এবং বাংলার দুইটি টুকরা হত না।

ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় যে দলীয় গণতন্ত্র চর্চা করার সাথে সাথে এর বাস্তবায়ন করা অনেক জরুরী কারন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯৩৯  সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সকল সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়েও তাকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ক্ষতির ফলাফল, এখন  পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ভোগ করছে।

কারণ হলো স্বাধীনতা এত বছরের মধ্যে ভারত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান কে উন্নত দেশ হওয়া উচিত ছিল।

এক টাকায় আধ মণ চাল পাওয়া যেত। এই সূর্য ডুবে গেছে অনেক পূর্বে। এখন সময় হয়েছে আবার সূর্য উদয় হওয়া। এই হলো পৃথিবীর নিয়ম।


আমার আশা বাংলাদেশ  সকল  রাজনীতি দল অন্যান্য দেশের রাজনৈতিক  দলের জন্য আদর্শ  হবে।


লেখক: যুবাইর মাহমুদ।

Sunday, August 5, 2018

আধুনিক লেখা পড়া ও দুই বন্ধু।

আধুনিক লেখা পড়া ও দুই বন্ধু:

দুই বন্ধু দুই রাস্তা দিয়ে হাঁটছে,


এক বন্ধু দিন ভর মোবাইল ফোন কানে লাগিয়ে থাকে এবং দিন ব্যাপী মোবাইল ফোন হাতে রাখে অন‍্য দিকে অন‍্য বন্ধ দিন ভর লেখা পড়া করে মোটা মোটা বই এই বন্ধ সামনে সর্বদা দেখা যায়। এভাবেই কিছু দিন যাওয়ার পর পরীক্ষা সময় এলো এরপর পরীক্ষা ফলাফল দেখা গেলো যে বন্ধু সারা দিন মোবাইল ফোন কানে ও হাতে ছিল সেই বন্ধুর পরীক্ষা ভাল করেছে সবচেয়ে আর যে বন্ধু সারাদিন মোটা বই পড়েছিল সে তৃতীয় হয়েছে তখন ঐ বন্ধু তাকে জিজ্ঞাসা করল কিভাবে সে সারাদিন গান শুনে এবং FB ব‍্যবহার করে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেল। তখন ঐ বন্ধু তাকে fresh back নিয়ে গিয়ে দেখাল সে মোবাইল Ebook পড়ে এবং Audiobook শুনেছিল।  এতে তার অনেক বেশি মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
সেই বন্ধু আরো বললো বই পড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান অর্জন করা । বই হলো জ্ঞান অর্জনের একটি মাধ্যম শুধু। যা  ভবিষ্যতে অতীত হবে।
একজন ভালো ছাত্র আর একজন খারাপ ছাত্রের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো, একজন ভালো ছাত্র যতটুকু সময় পড়ে সে তার ১০০% মনোযোগ সহকারে পড়ে। আর একজন খারাপ ছাত্র যতটুকু সময় পড়ে তার মন বিভিন্ন স্থানে চলে যায়।
জ্ঞান আমাদের যেই জিনিসটা ভালো তা গ্রহন করে শিক্ষা দেয়।
যে মানুষ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না,  সে মানুষের উদাহরণ হলো বদ্ধ একটি পুকুরের মতো।
জ্ঞান অর্জন হলো সমুদ্রের  স্রোতের মত বেগবান। জ্ঞান কে একটি জিনিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ ভাবা  নির্বোধ লক্ষন। জ্ঞান হলো সমুদ্রের স্রোতের মত বেগবান।


লেখক: যুবাইর মাহমুদ।

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...