Translate

Introduction to Procrastination and Memory

Introduction to Procrastination and Memory
 [শুন্য শব্দ] এই সপ্তাহে আমরা দুটি ধারণা নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো আপাতদৃষ্টিতে ভিন্ন বলে মনে করা হয়। এর একটি গড়িমসি ও আরেকটি স্মৃতিশক্তি। ভিন্ন হলেও ধারণা দুটি একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। কিভাবে জান? ব্রেনের কাজ প্রথমে হয় স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিতে, এসময় প্রয়োজন মত দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিখণ্ড থেকে যেকোনো কিছু মনে করা যায়, কিনতু দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি তৈরি হতে সময়ে লাগে । সেজন্য এই কাজ পরে করবে বলে ফেলে রাখার কোন উপায় নেই। গড়িমসির এড়ানোর একটা উপায় আগেই তোমাদের বলেছি। মনে আছে তো পমোডোরো'র কথা। সেই যে, ২৫ মিনিট সম্পূর্ণ মনোযোগ আর একাগ্রতা নিয়ে কাজ করা। এই সপ্তাহে আমরা তোমাদের আরো অনেক তথ্য দেব গড়িমসি কি ভাবে হয় এবং কি করে তা থেকে বাঁচা যায়। গুরুত্বপূর্ণ এসব পরামর্শ কাজে লাগাতে খুব বেশি ইচ্ছেশক্তি যে দরকার হয় তা নয়, তারপর আমরা কথা বলবো মস্তিষ্কের দীর্ঘস্থায়ী শক্তিশালী স্মৃতিগুলো কিভাবে সহজেই স্মরণ করা যায় আমী বার্বরা ওক্লী। শেখার পদ্ধতি সেকার জন্য ধন্যবাদ।


Tackling Procrastination - It is Easier, and More Valuable, Than You Think:
আর্সেনিক একটা বিষাক্ত পদার্থ। রক্তে বিষক্রিয়া সনাক্তকরণের আধুনিক নিয়ম আবিষ্কারের আগে শত শত বছর ধরে হত্যাকারীদের কাছে এটা একটা পছন্দের বিষ ছিল। কাজেই বুঝতেই পারছ, জার্মান আর্ট এবং বিজ্ঞান এসোসিয়েশনের ৪৮ তম সভায় উপস্থিত সকলের জন্য ঘটনাটা কত মারাত্মক ছিল। ১৮৭৫ সালে দুই ব্যক্তি ঐ সভায় সকলের সামনে বসে যতটুকু খেলে মৃত্যু নিশ্চিত তার দ্বিগুণ আর্সেনিক খেয়ে ফেলে। পরের দিন সেই দুজন সভায় হাসিখুশি এবং সুস্থ শরীরে ফিরে এসে সকলকে অবাক করে দেয়। এমন বিষাক্ত জিনিষ খেয়ে কিভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব, তাছাড়া তাদেরকে দেখতেও সুস্থ মনে হয়েছে, যদিও মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষায় অনেক শারীরিক ক্ষতি দেখতে পাওয়া যাবে? এর উত্তর হলো আর্সেনিক বিষক্রিয়ার গড়িমসি, গড়িমসি কেমন ভুতুড়ে ভাবে মানুষের নিশ্চিত ক্ষতি করে, সেকথা আলোচনা করব পরের কয়েকটা পর্বে। ইতোমধ্যে গড়িমসি থেকে বাঁচার একটা সহজ নিয়ম তোমরা দেখেছ, সেটা হলো পমোডোরো ব্যবহার করা। একটানা ২৫ মিনিট নিবিষ্ট ভাবে কাজ করতে হবে, তারপর অল্প সময়ের জন্য একটু বিশ্রাম। এ সপ্তাহে আমরা আরো অনেক কিছু শিখব। গড়িমসির পিছনে ব্রেনের কি ভাবনা চিন্তা থাকে, তা জানার চেষ্টা করব, শরীরে বিষক্রিয়া কিভাবে ছড়ায় সেটা জানলে এর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সুস্থভাবে জীবন যাপনের চেষ্টা করা যায়। কাজেই এই ভিডিওগুলোতে আমি তোমাদের শেখাব কিভাবে একজন অলস ব্যক্তি গড়িমসি'কে শায়েস্তা করতে পারে। মানে, তোমরা নিজেদের ভিতরের অলস-ভূতকে দেখে চিনতে চেষ্টা করবে। কাজের সংকেত পেলে ব্রেন পরিচিত অভ্যাস মত গড়িমসি করার ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠে। অলস-ভূতের কাজ হলো এই মুহূর্ত, এখন, বর্তমানকে আরামে রাখা। তোমাদের শেখাব কিভাবে এসব ভূতদের ভুলিয়ে রেখে, উল্টে দরকার মত এদের ব্যবহার করে গড়িমসিকে হটিয়ে রাখা সম্ভব। জেনে রাখা ভাল, সব গড়িমসি খারাপ না। তোমরা যদি এরই মধ্যে ভালভাবে গড়িমসিকে নিয়ন্ত্রন করতে শিখে যাও, মনে রাখবে, তাহলেও এখানে তোমরা আরো পরামর্শ পাবে, যার ফলে কোনটা আগে শিখবে, কোনটা পরে, বুঝতে পারবে। গড়িমসি দূরে রাখা এতটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ, প্রকৃত এবং ভালভাবে শেখা একটা ধীর এবং ছোট ছোট পদক্ষেপের কাজ। চেষ্টা করবে একবসায় বেশি না পড়তে, কারণ এতে নিউরাল প্যাটার্ন জোরালো হয় না। একই সময় পড়, কিন্তু পড়ার মাঝখানে বিরতি নেবে, কাজেই আগেই শুরু করবে, তাহলে সত্যিকার ভাবে এবং ভালভাবে শেখা হবে। এখন আগের কথা আগে। একদিকে গড়িমসিতে পরে যাওয়া যেমন সহজ, এর বিপরীতে তেমনি কঠিন মনবল ব্যবহার করা। মনবল লাগাতে মস্তিস্কের শক্তি খরচ হয়। কাজেই গড়িমসি দূর করতে মনবলের মত সম্পদ ব্যবহার করা দরকার নেই, যতক্ষণ অন্য কোন পথ খোলা আছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, একাজে মনবলের দরকার নেই। তোমাদের হয়তো মনে আছে আমরা গড়িমসি করি কারণ ওসব কাজ আমাদের অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। হয়তো এমন কিছু দেখলে যা তোমার ভাল লাগে না সাথে সাথে ব্রেনে কষ্টের অনুভূতির জায়গাটা জ্বলে উঠে, আর তুমি মনোযোগ ওটা থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত আনন্দের কিছুতে এনে জড়ো কর। তখন তোমার একটু ভালো লাগে। তবে এই ভাললাগা অল্প সময়ের, দুঃখজনক যে দীর্ঘ সময়ের অভ্যাসবশত গড়িমসি'র ফলাফল ভয়ঙ্কর। যদি কেউ পড়া ফেলে রাখে, তখন শুধু পড়ার কথা ভাবাই আরো কষ্টের হয়ে দাঁড়ায়, কারণ বেশি পড়া জমে যায়। অল্প পড়ে পরীক্ষা দিতে গেলে কখনো ভাল হয় না, কারণ নিউরাল প্যাটার্ন জোরালো করার সময় দাও নি। পরীক্ষায় ভাল করতে হলে পুরো পড়াটা বোঝা থাকতে হবে। গড়িমসি এমন একটা ভয়ঙ্কর বাজে অভ্যাস, যা একজন মানুষের জীবনের নানান দিকে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু যদি এই একটা ব্যাপার নিয়ন্ত্রন করা যায় তাহলে প্রত্যেকের জীবনে আরো নানান সফলতা আসবে। গড়িমসি'র অভ্যাস অনেকখানি মাদকাশক্তির মত। বাস্তবতার কষ্ট এড়িয়ে এটা ক্ষণিকের জন্য স্বস্তি এবং আরাম এনে দেয়। নিজেকে সত্য থেকে সরিয়ে মিথ্যা দিয়ে ভুলিয়ে রাখা সহজ, যেমন, কারো যখন ক্লাসের বই পড়ে, স্কুলের বাড়ির কাজ শেষ করা দরকার, সে ভাবছে এই মুহূর্তের সবচেয়ে ভাল কাজ হলো বিভিন্ন ওয়েব পেজে গিয়ে পড়ার জন্য তথ্য খোঁজা। এই কাজের জন্য সে নিজেকে মিথ্যা বলবে। ধর সে বলবে, জৈব রসায়নে পরিষ্কার চিন্তাভাবনা দরকার, আর এই ব্যাপারটাতেই আমি কাঁচা, মূল ব্যাপারটা বুঝতে পারি না। সে আরো অযৌক্তিক অজুহাত দিতে পারে যা শুনে যুক্তিযুক্ত মনে হতে পারে, যেমন, আমি যদি বেশি আগে পড়ি, আমি ভুলে যেতে পারি। গড়িমসি এত জেঁকে বসতে পারে যে, তুমি নিজেকে বলতেও পার যে গড়িমসি এমন অভ্যাস যে কেউ কখনো এটা বদলাতে পারেনি। এই বদভ্যাস যদি পাল্টানো যেত, তাহলে তো এতদিনে তুমিও পাল্টাতে পারতে, তাই না? লেখাপড়ায় তুমি যত বড় ক্লাসে উঠবে, যত বড় ডিগ্রী নেবে, তত প্রয়োজন হবে গড়িমসিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। খারাপ অভ্যাস বজায় রেখে ছোট ক্লাসে পার পেলেও, বড় ক্লাসে ওটা ক্ষতি করবে। এর পরের কয়েকটা ভিডিওতে আমি তোমাদের দেখাব কিভাবে তোমরা নিজেদের অভ্যাসের চাবি নিজেদের হাতে রাখবে। তোমাদের সিদ্ধান্ত তোমাদের নিতে হবে, ঐ অসার আরাম-ভূতদের কাছে অভ্যাসের চাবি কোনভাবে দেয়া যাবে না। তোমারা দেখবে গড়িমসি সামলে রাখার কৌশলগুলো খুব সাধারণ। শুধু খেয়াল রাখবে, আমাদের আপাত চেতন মন সবসময় ঠিক বলে না। চল, ভিডিও'র শুরুতে যে গল্প বলছিলাম সেটাতে ফিরে যাই। সভায় যারা আর্সেনিক খায়, তারা অল্প বিষ দিয়ে শুরু করে । খুব সামান্য খেলে আর্সেনিকে তেমন ক্ষতি নেই। এমনকি শরীরে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধও তৈরি হতে পারে। ধীরে ধীরে বেশি আর্সেনিক খেলেও সুস্থ দেখায়, যদিও ভিতরে বিষক্রিয়ার কারণে ঐ মানুষদের ক্যান্সার বা অন্য অঙ্গহানি হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যাবে। অল্প অল্প বিষ খাওয়ার মত গড়িমসি একটা একটা কাজ জমিয়ে রাখে। একবার একবার গড়িমসি করে আরাম পেয়ে গেলে এটা অভ্যাস হয়ে যায়। ব্যাপারটা স্বাভাবিক মনে হলেও এটার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কেমন? ক্ষতিকর। আমি বারবারা ওকলি, তোমাদেরকে অভিবাদন জানাচ্ছি শেখার বিষয়ে শেখার জন্য।




Zombies Everywhere:
[শুন্য শব্দ] 
জীবনে প্রথম বার গাড়ি চালিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার কথা ভাবত একবার। 
তোমাদের কারো কারো কাছে সেটা হয়ত খুব একটা রোমাঞ্চকর কাজ মনে হতে পারে । 
প্রথম বার যখন তুমি এমন কিছু করছ তখন খুব বেশি সতর্ক থাকা স্বাভাবিক। 
এসময় ব্রেনে একসাথে এত তথ্য (ট্রেনিং এ যা যা শিখিয়েছে) 
আসতে থাকে যে কাজটা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। 
কিনতু বাড়ি থেকে গাড়ি বের করাটা একবার চাঙ্ক করে নিলে
তারপর শুধু ভাবতে হবে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছি। 
এরপর তো তুমি বেরিয়ে এসেছ। 
অনেক সময় আমাদের মস্তিষ্ক এমন একটা ঘোরলাগা ভাবের মধ্যে কাজ করে, এ অবস্থায় ব্রেনে 
তথ্য গিজগিজ করার বদলে যা হয় তাহলো জরুরী কিছু ব্যাপারেও সেটা অর্ধ সচেতন থাকে। 
সাইকেল চালানোর সময়ও একই ঘটনা ঘটে।
প্রথমে এটা দারুণ কঠিন মনে হয়, পরে সহজ হয়ে যায়।
স্নায়ুবিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে, চাঙ্কিং আমাদের অভ্যাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। 
অভ্যাস আমাদের শক্তি বাঁচায়। 
এটা আমাদের মনকে অন্য কাজের জন্য দায়িত্বমুক্ত করে দেয়। 
আমরা যতখানি ভাবি তার চেয়ে অনেক বেশিবার এই অভ্যাসজনিত ঘোরলাগা ভাবে ঢুকে পরি। 
অভ্যাসের সুবিধা এই যে, রপ্ত হয়ে যাওয়া কাজটা করার সময় 
আর গভীর মনোযোগ দেবার কোন প্রয়োজন নেই। 
এতে আমাদের শক্তি সঞ্চিত থাকে।
অভ্যাস ভালও হতে পারে আবার খারাপও। 
এগুলি চট করে করা যেতে পারে, যেমন অন্যমনস্কভাবে চুল আঁচড়ানো। 
অথবা দীর্ঘ হতে পারে, যেমন সকাল বা বিকালে হাঁটা। 
অথবা কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ঘণ্টা কয় টেলিভিশন দেখা। 
জেনে রাখ যে অভ্যাসের চারটে ভাগ আছে। 
প্রথমটা হোল সঙ্কেত বা cue. 
এটা তোমাকে ইঙ্গিতে ঐ ঘোরলাগা অবস্থায় ঢুকিয়ে দেয়। 
ইংগিত খুব সাধারণ কিছু হতে পারে যেমন, কাজের তালিকায় যে নামটা একেবারে প্রথমে লেখা। 
কিংবা পরের সপ্তাহে স্কুলে কাজ জমা দেবার জন্য বাড়িতে পড়াশোনা শুরু করতে যে সময়টাতে দাগ দেয়া। 
অথবা কোন দোস্তের কাছ থেকে আসা ক্ষুদে বার্তা ( text message)। 
অথবা কাজ বন্ধ করার খবর আসা। 
কাজের সঙ্কেত না সাহায্য করে, না বাধা দেয়, এটা একটা রুটিন। 
ঐ সঙ্কেত পাওয়ার সাথে সাথে আমদের প্রতিক্রিয়া কি সেটাই ১ নম্বর জরুরী কথা। 
২ নম্বর কথা হলো রুটিনটা। 
এটাই তো সেই ঘোরলাগা অবস্থা। 
যে অবস্থায় মস্তিস্ক সংকেত পাওয়া মাত্র রুটিনমাফিক অভ্যাসে পরিণত 
কতগুলো কাজ একেরপর এক করে ফেলে। 
ঘোরলাগা ভাবে করা কাজগুলো সাধারণত প্রয়োজনীয়, দরকারি, তবে কিছু কাজ ক্ষতিকর। 
৩ নম্বর কথা হোল আরাম বোধ। 
আমরা একটা অভ্যাস তৈরি করে চালাতে থাকি কারণ আমরা আরাম পাই। 
অভ্যাস অনুযায়ী কাজ করার তাৎক্ষনিক অনুভূতি হোল একটা ছোট আনন্দ। 
কাজে গড়িমসির অভ্যাস তৈরি করা সহজ কারণ এতে মস্তিস্ক যে পুরস্কার পায় তা হোল 
অপেক্ষাকৃত আনন্দের কোন কিছুর দিকে মনকে সরিয়ে দেয়া, এটা ঘটেও খুব দ্রুত, কিছু বুঝে উঠার আগেই। 
হ্যাঁ, ভাল অভ্যাসের কারণেও মন পুরস্কৃত হয়। 
গড়িমসির প্রভাব থেকে দূরে থাকতে ভালভাবে পড়াশোনার অভ্যাসকে যথাযথ পুরস্কার দেয়া দরকারি ।
৪ নম্বর কথা, বিশ্বাস। 
অভ্যাসের নিজস্ব শক্তি আছে কারণ আমরা বিশ্বাস করি সেটায়। 
একটা উদাহরণ দেই, ধর তুমি মনে কর পড়াশোনা নিয়ে গড়িমসি করার
অভ্যাস তুমি কখনই বদলাতে পারবে না । 
একটা অভ্যাসকে বদলাতে হলে, তোমাকে বদলাতে হবে ঐ অভ্যাস সম্পর্কে গেঁথে থাকা তোমার বিশ্বাসকে। 
আমি বারবারা ওকলি, শেখার বিষয়ে শেখার জন্য তোমাদেরকে ধন্যবাদ ।



Surf is Up: Process Versus Product

[শুন্য শব্দ] 
শেখাকে কার্যকরী করার সবচেয়ে ভাল উপায় হলো 
বিভিন্ন মানসিক কৌশল ব্যবহার করে নিজেকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করা। 
প্রথমত, যখন সাধারণভাবে শেখার কথা আসে, তোমার উপলব্ধি করা উচিত যে 
শেখার একদম শুরুতে কিছু 
নেতিবাচক অনুভূতি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। 
এমনকি যদি তোমার পছন্দের কোন বিষয়ও হয়, 
তখনও কিভাবে অস্বস্তিকর ভাব সামাল দাও, সেটাই মুখ্য। 
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, উদ্যমী ব্যক্তিরা 
এধরণের স্বগতোক্তি করে নিজেদের নেতিবাচক চিন্তা সরিয়ে দেয়, 
সময় নষ্ট না করে কাজে লেগে পর, 
একবার শুরু করতে পারলে দেখবে ভাল লাগছে। 
যদি দেখ নির্দিষ্ট কিছু অস্বস্তিকর কাজ তুমি এড়িয়ে চলছ, 
জেনে রাখ এমন ব্যাপারগুলো 
ঠিক করে ফেলার কতগুলো উপায় আছে। সেটা হলো, 
ফলাফলে নয়, কি প্রক্রিয়ায় কাজ হবে সে দিকে দৃষ্টি রাখা। 
প্রক্রিয়া মানে সময়ের প্রবাহ এবং কাজের 
অভ্যাস এবং সময় প্রবাহের সঙ্গে যুক্ত কাজের পরিমান। 
ধর, আমি এই কাজে ২০ মিনিট ব্যয় করতে যাচ্ছি। 
ফলাফল হচ্ছে প্রাপ্তি , উদাহরণস্বরূপ 
স্কুলের দেয়া বাড়িরকাজ যা তোমাকে শেষ করতে হবে।
গড়িমসি রোধ করার জন্য ফলাফলের উপর থেকে মনোযোগ দূরে রাখতে হবে। 
এর পরিবর্তে কাজের প্রক্রিয়ার উপর পুরোপুরি খেয়াল করবে। 
প্রক্রিয়া হলো সহজ অভ্যাস, যে অভ্যাসগুলো কোন না কোন ভাবে তোমাকে 
প্রয়োজনীয় ও অপ্রীতিকর কাজগুলো করার সুযোগ করে দেয়। 
যেমন, ধর, একটা নির্দিষ্ট ক্লাসের বাড়ির কাজ করতে তোমার ভালো লাগে না। 
তাই তুমি ওগুলো না করে বসে আছ। 
ভাব না কেন, মাত্র পাঁচটাইতো প্রশ্ন। 
সেটা কত কঠিন হতে পারে ? 
যদিও মনের গভীরে তুমি জান যে, এই পাঁচটা 
প্রশ্নের উত্তর দেয়া ক্লান্তিকর হতে পারে। 
কেবল মাত্র কল্পনার রাজ্যে বসে পাঁচটা প্রশ্ন বা দশ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন 
বা অন্য যে কোন কিছু হোক না কেন, শেষ মুহূর্তে করা যেতে পারে।
তোমার জন্য চ্যালেঞ্জ হবে প্রশ্নের উত্তর কি হবে সেদিকে মনোযোগ না দেয়া। 
ফলাফল বা বাড়ির কাজটাই মনঃকষ্টের দিকে ঠেলে দেয় যা গড়িমসি করতে বাধ্য করে। 
তার পরিবর্তে, প্রক্রিয়ার উপর মনোনিবেশ প্রয়োজন। 
তোমার দরকার ছোট ছোট সময় ব্যয় করা, কয়েক দিন ধরে 
বা সপ্তাহ জুড়ে, প্রশ্নোত্তর দিতে বা পরীক্ষার প্রসতুতিতে। 
কিছু আসে যায় না, যে কাজটা শেষ হলো সেটা বাড়ির 
কাজ, না কি কোন সেশনের মূল ধারণাগুলো বোঝা। 
মূল বিষয়টা হল শান্তভাবে বসে অল্প
সময়ে সবচেয়ে ভালভাবে চেষ্টা করা। 
প্রক্রিয়ার কথা।
লক্ষ্য কর এই ছবিতে পদার্থবিদ এবং সার্ফার 
গ্যারেট লেসি কিভাবে ঐ মুহূর্তে মনোনিবেশ করেছেন। 
ঢেউয়ের উপর দিয়ে সফলভাবে সার্ফিং করতে পারার দিকে না।
তোমার জন্য কার্যপ্রক্রিয়ায় মনোনিবেশ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল 
২৫ মিনিট ব্যাপী পমোডোরো সেশনে কাজ করে যাওয়া, পুরো কাজ সম্পন্ন করা না। 
এখানে মূলকথা হচ্ছে, মস্তিষ্কে অভ্যাস বসত কাজের ভুতুড়ে অংশ 
প্রক্রিয়া পছন্দ করে, কারণ সে ভাবনা চিন্তা ছাড়াই কাজ চালিয়ে যেতে পারে। 
ঐ ভুতুড়ে বনধুকে ফলাফল বের করার কাজে নিয়োগ করার চেয়ে 
অনেক সহজ প্রক্রিয়ায় ফেলে কাজ উদ্ধার করা। 
প্রাপ্তির দিকে নজর না দিয়ে প্রক্রিয়ার দিকে খেয়াল করার লাভ হলো 
কাজ শেষ হতে কত দেরী ? এসব ভাবনার জুলুম থেকে নিজেকে বাঁচান যায়। 
বরং নিশ্চিন্তে কাজের প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়া যায়। 
মূলমন্ত্রটা হচ্ছে যখন কাজে অমনোযোগ আসে, যা আসবেই, 
এমনভাবে নিজেকে গড়তে হবে যে সেটা নিজে নিজে চলে যাবে। 
আরেকটা জরুরী কথা হলো অবশ্যই নিজেকে আড়াল করে রাখবে
যেন পড়ার সময় নিম্নতম অমনোযোগ সুযোগ পায়।
ছাত্রছাত্রীরা মনে করে যে যখন তারা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে চায়, তখন নীরব জায়গা 
বা কিনতে পারলে শব্দ প্রতিরোধী হেডফোন তাদেরকে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। 
আমী বার্বরা ওক্লী।
শেখার বিষয়ে শেখার জন্য, 
[শুন্য শব্দ]


Harnessing Your Zombies to Help You
Play 

[শুন্য শব্দ] এই ভিডিওতে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা করবো কিভাবে বদ-অভ্যাসগুলোকে রাশ পরিয়ে, ওগুলোকে কাজে লাগিয়ে, ইচ্ছাশক্তির ব্যবহার কমিয়ে সফল ভাবে গড়িমসি এড়ানো সম্ভব হবে। পুরোনো অভ্যাসগুলো পুরোদমে পরিবর্তন করা খুব কঠিন। এর কিছু অংশকে এড়িয়ে নতুন অভ্যাস গড়ে তোলা সহজ এবং ফলপ্রসূ। বদ-অভ্যাস এড়ানোর কৌশল হল অপছন্দের ইঙ্গিতে পরিচিত প্রতিক্রিয়াটাকে পাল্টে ফেলা। পরিচিত প্রতিক্রিয়াটাকে পাল্টে ফেলার কাজে ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগ করা সবচেয়ে উপযুক্ত । এটা বোঝার জন্য অভ্যাসের চারটা ধাপ সম্পর্কে জানতে হবে, এরপর গড়িমসি করায় এদের প্রভাব বিশ্লেষণ করে ব্যাপারটা পুরোপুরি বুঝতে হবে। প্রথমে আসে ইঙ্গিত বা লক্ষণ। বুঝতে চেষ্টা কর ঠিক কি তোমাকে গড়িমসির দিকে ছুঁড়ে দেয়। গড়িমসির ইঙ্গিত মূলত নীচে লেখা চার শ্রেণীর একটা হবে। তোমার অবস্থান, সময়, অনুভূতি অথবা প্রতিক্রিয়া। প্রতিক্রিয়া হতে পারে কারো প্রতি বা সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য। তুমি কি ওয়েবে কিছু খুঁজতে গিয়ে তারপর তাতে মগ্ন হয়ে কাজের কথা ভুলে যাও? একটা টেস্কট মেসেজ কি তোমার পড়ায় এমন বাধা দিতে পারে যে আবার মন বসাতে ১০ মিনিট লেগে যাবে, যখন তোমার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা জরুরী? গড়িমসির সমস্যাটি হলো এটা একটা আপনাআপনি অভ্যাস যা তুমি প্রায়ই নিজের অজ্ঞাতে করে ফেল, মানে জানই না গড়িমসি হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতিকর ইঙ্গিতগুলো সরিয়ে দিয়ে পার তোমার মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে অথবা অল্প সময়ের জন্য ইন্টারনেট এবং মন বিক্ষিপ্তকারী বিষয়গুলো থেকে নিজেকে দূরে রেখে। যেমন, যখন তুমি পমোডোরো করছো। দ্বিতীয়ত, নিত্যকার্যসূচি। যেমন, ধরে নেই, প্রায়ই তুমি পড়াশোনা বাদ দিয়ে কম কষ্টকর কাজে তোমার মনোযোগ ঘুরিয়ে দাও। ইঙ্গিত পেলে তোমার মস্তিষ্ক আপনাআপনি এই নিত্যসূচীর মধ্যে, মানে পড়ায় ফাঁকি দিতে চাইবে। ঐ ইঙ্গিতের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে সক্রিয় হতে হবে। এখানে পুরোনো অভ্যাস পাল্টানোর চেষ্টা করতে হবে। সেই কাজের মূল চাবিকাঠি হলো পরিকল্পনা। নতুন নিয়ম গড়ার একটা পরিকল্পনা নিতে হবে। কোন কোন ছাত্র ক্লাসে যাবার আগে গাড়িতে ফোন রেখে যাবার অভ্যাস করে নেয়, যা সম্ভাব্য অমনোযোগিতা দূর করে । অনেক ছাত্রই পাঠাগারে নিরিবিলি কোন জায়গা বা বাসার কাছাকাছি কোথাও শান্ত হয়ে বসে, ইন্টারনেটের সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, সঠিক সময়ে প্রিয় পড়ার জায়গায় উপস্থিত হবার উপকারিতা এবং এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। প্ল্যান শুরুতে পুরোপুরি কাজ করতে নাও পারে, কিন্তু চালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে পরিকল্পনা এদিক ওদিক করে নাও এবং কাজ হলে ব্যাপারটা উদযাপন করতে ভুলোনা। একবারে সবকিছু পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে না। এক্ষেত্রে পমোডোরো টেকনিক ইঙ্গিতের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া বদলাতে সাহায্য করতে পারে। তৃতীয়টি হচ্ছে পুরষ্কার। এই ব্যাপারটা কখনো কখনো খতিয়ে দেখা প্রয়োজন হতে পারে। কেন গড়িমসি হয় তোমার? তুমি কি ইতিবাচক আবেগ দিয়ে নিজেকে পুরষ্কার দিতে পারবে, যেমন আত্মতৃপ্তি, যত ছোট কাজ হোক না কেন, ভালভাবে শেষ করার জন্য গর্ব বা সন্তুষ্টি পেতেও পার ? তুমি কি নিজের সাথে বাজি রেখে জিততে পার, বা নিজের সাথে কখনো প্রতিযোগীতায় নেমে দেখ, তারপর পেরে গেলে আরাম করে এককাপ কফি খেলে, বা প্রিয় কোন ওয়েবসাইট একটু পড়ে দেখলে বা এমন হতে পারে নিজেকে উপহার দিলে সন্ধ্যায় যেমন খুশি টেলিভিশন দেখা কিংবা ইন্টারনেটে ইচ্ছামত ঘুরে বেড়ালে, অথবা সত্যি বড় কিছু করার জন্য নিজেকে আরও বড় পুরস্কার দিতেও পারো? হয়তো সিনেমার টিকেট বা একটা সোয়েটার বা ফালতু খরচ করে মজা করলে। মনে রাখবে যে, অভ্যাস শক্তিশালী কারণ তারা কাজ করে স্নায়বিক তৃপ্তি পেতে চায়। বদভ্যাসকে পরাস্ত করতে হলে, পুরষ্কারের খাতায় নতুন এনং মজার কিছু আনতে হবে। যদি একবার তোমার মস্তিষ্ক বুঝতে পারে যে পুরষ্কারটা গুরুত্বপূর্ণ তখন ব্রেনে নতুন সংযোগ তৈরি হবে যা তোমাকে নতুন অভ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করবে। অনেকের মতে একটা নির্দিষ্ট সময়ে পুরষ্কার নেয়া ঠিক। যেমন, ভাল কোন দোকানে বনধুর সাথে দুপুরে খাবার খাওয়া, অথবা ঠিক ৫ টায় কাজ শেষ করে দেয়া। সম্ভবপর একটা সময়সীমা বেঁধে কাজ করলে কাজেও উদ্দীপনা আসে। একবারে প্রথম থেকেই সাবলীল ভাবে কাজ করতে না পারলেও মন খারাপের কিছু নেই। আমি দেখেছি টানা দিনকতক খাটুনি খেটে, কয়েকটা পমোডোরো চক্র শেষ করার পরে, তারপরে ধীরে গতিতে পৌঁছানো যায়। নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করা আমি খুব উপভোগ করতে শুরু করি। আর মনে রাখবে, কোন বিষয়ের যত গভীরে যেতে পারবে সেটা তত উপভোগ্য হয়ে উঠবে। চার নম্বর হচ্ছে বিশ্বাস। গড়িমসি বদলানোর ব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো নিজের উপর বিশ্বাস রাখা যে এটা তুমি পারবে। এই বিশ্বাসটা দরকার যখন কাজে প্রচুর চাপ এসে যায়। তখন ইচ্ছা করবে পুরোনো, আরামদায়ক অভ্যাসে ফিরে যেতে । নতুন অভ্যাস তোমাকে সফল করবে, এই বিশ্বাস তোমাকে পার করে দিতে পারে। কাজের লোকজনের সাথে মেলামেশা নতুন অভ্যাস তৈরিতে সাহায্য করে। ক্লাসের ছেলেমেয়েদের সাথে বা MOOC'র সহপাঠীদের সাথে সময় কাটাবে, যারা 'পারবোই' দর্শনে বিশ্বাসী, যেটা তুমিও গড়ে তুলতে চাইছো। সমমনা ছেলেমেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়া এবং একে অপরকে উৎসাহ দেবার সংস্কৃতি বেছে নেবে যারা দুর্বলতার সময়ে মনে করাবে তুমি পারবে। কথাটা আমরা ভুলে যাই। আমি বারবারা ওকলি, শেখার বিষয়ে শেখার জন্য তোমাদেরকে ধন্যবাদ । [শুন্য শব্দ]
Explore our Catalog
Join for free and get personalized recommendations, updates and offers.
 
Juggling Life and Learning 
[শুন্য শব্দ] 
অধিকাংশ মানুষের জন্য কোন কিছু শেখা মানে বিভিন্ন জটিল কাজের মধ্যে সমন্বয় করা। 
তুমি যা শিখতে এবং করতে চেষ্টা করছ সেটাতে 
লক্ষ্য স্থির রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে, 
সপ্তাহে একবার পরিকল্পনা জার্নালে একটা সংক্ষিপ্ত কর্মতালিকা লিখে রাখা। 
তারপর অন্য পাতায় প্রতিদিনের জন্য কাজের আরেকটা তালিকা তৈরি কর, 
খেয়াল করবে ওগুলো যেন একদিনে করা যুক্তিসঙ্গত হয়, বেশীও না, কম না।
চেষ্টা করবে দিনের কর্মতালিকা আগের সন্ধ্যায় লিখে রাখতে। 
আগের সন্ধ্যায় কেন, বলত? 
গবেষণায় দেখা গেছে যে, এতে অবচেতন মন তালিকার কাজগুলো নিয়ে ভাবতে শুরু করে দেয় 
আর চিন্তা করে বের করে ফেলে কিভাবে ওগুলো করা সত্যি সম্ভব হবে। 
ঘুমাতে যাওয়ার আগেই তালিকাটা লিখে মাথার ছোট ছোট পোকাগুলোকে কাজে 
লাগিয়ে দেবে, যেন পরদিন কাজগুলো শেষ করতে ওরা সাহায্য করে। 
যদি তুমি কাজের লিস্ট না বানাও, তাহলে কি কি কাজ করবে, সে
চার বা এমন সংখ্যার খোপে 
ভাবনাগুলো কার্যকর স্মৃতি খোপের কিছু জায়গা দখল করে রাখবে। 
কিন্তু যদি একবার তালিকা করে ফেল, তখন ঐ জায়গা সমস্যা সমাধানের জন্য ফাঁকা থাকবে। 
চল আমার দৈনন্দিন কাজের তালিকাটা দেখা যাক। 
দেখতে পাচ্ছ এখানে মাত্র ছয়টা কাজের নাম আছে । 
আমার কিছু কাজ লম্বা সময়ের। 
যেমন, বেশ কয়েক মাস পরে একটা জার্নালে আমাকে একটা লেখা দিতে হবে। 
তাই আমি বেশীভাগ দিনগুলোতে অল্প কিছু সময় দেই এই কাজের একটু অংশ করে ফেলতে। 
কিছু কাজে ফলাফল দেখা যায় দ্রুত। 
তার কারণ সেগুলো অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হয়।
মনে রাখার জন্য দেখ কি করেছি। 
কাজ করার সময় প্রতিটা বিষয়ের দিকে আমি মনোযোগ দিতে চাই। 
এবং মজা পেতে চাই। 
আমি কাজে অন্যমনস্ক হই, যখন ইমেইল বন্ধ করতে ভুলে যাই। 
গতি ফিরে পেতে কম্পিউটারের টাইমার ব্যবহার করে 
আমি ২২ মিনিটের একটি পমোডোরো চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেই। 
২২ মিনিট কেন?
কেন না, বল? 
আসলে আমি কিন্তু প্রতিবার একই সময় ঠিক করি না। 
এবং লক্ষ্য কর পমোডোরো কাজে লাগিয়ে 
আমি দ্রুত কাজ করার পরিকল্পনা করছি। 
লক্ষ্য কর, এই তালিকার একটা কাজও বড় না। 
কারণ সারাদিনে আমার করণীয় আরও কিছু আছে। 
মিটিংয়ে যেতে হবে, লেকচার দিতে হবে। 
মাঝে মাঝে, কিছু কায়িক পরিশ্রম আমার তালিকায় জুড়ে দেই 
নড়াচড়া করার জন্য, হয়তো কিছু পরিষ্কার করব বলে ঠিক করি।
স্বীকার করছি, এটা আমার সচরাচর করা প্রিয় কাজগুলোর মধ্যে পরে না। 
যেহেতু এগুলোকে আমি ডিফিউজ মোড চালুর কৌশল হিসাবে ব্যবহার করছি, আমার ওসব আর খারাপ লাগে না। 
শেখার সঙ্গে অন্যান্য কাজগুলো জড়িয়ে নিলে সবকিছু আরো উপভোগ্য মনে হবে 
আর দীর্ঘ সময় বসে থেকে কাজ করা যেমন ক্লান্তিকর, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না।
সময়ের সাথে সাথে আমি আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, কোন কাজে 
ঠিক কতটা সময় লাগতে পারে তা বোঝা আমার জন্য সহজ।
একই কাজ পরে করতে সময় কম লাগে, তুমি দেখবে অভিজ্ঞতার সাথে সাথে কোন কাজ 
কত দ্রুত করা যাবে সে সম্পর্কে বাস্তব ধারণা করতে পারবে। 
পরিকল্পনা জার্নালে নোট রাখ কোন নিয়ম কাজ করছে, কোনটা করছে না । 
লক্ষ্য কর আমার দিনের কাজ শেষ করার সময় হচ্ছে বিকাল ৫টা। 
সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না, তাই তো? 
কিন্তু এটাই ঠিক, এবং এটাই তোমার 
দৈনিক পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার একটা।
কাজের সময় পরিকল্পনা করার মতোই সমান জরুরী দিনের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা। 
আমি বিকাল ৫ টায় শেষ করতে চেষ্টা করি, 
যদিও নতুন কিছু শেখার সময়ে, মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পর বা ঠিক ঘুমাতে যাওয়ার আগে 
আমি পড়াগুলো বা কাজে জিনিষগুলো আবার একটু দেখে নেই, 
অবশ্য এটা প্রযোজ্য যখন আমি বিরাট কোন প্রজেক্ট শেষ করার অবস্থায় পৌঁছাই, 
যেমন ধর এই MOOC, এর জন্য আমাকে কিছুটা বাড়তি সময় দিতে হচ্ছে। 
তুমি ভাবতে পার যে, হ্যা, আমরা জানি, আপনি এখন প্রফেসর 
অতীতে প্রাণোচ্ছল পড়াশোনার দিনগুলো পার করার সময়ে অনেক খেটেছেন। 
অবশ্যই, এখন তাড়াতাড়ি শেষ করা আপনার জন্য ভাল।
যাইহোক, আমার সবচেয়ে প্রিয় পড়াশোনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, ক্যাল নিউপোর্ট, তার ছাত্র 
জীবনের অধিকাংশ সময়ে ৫ টায় পড়াশোনা শেষ করতেন। 
তিনি PhD করেছেন MIT থেকে। 
তার মানে হলো,যদিও আপাত-অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে, তবে এই পদ্ধতি স্নাতক ও
স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কঠোর একাডেমিক পড়াশোনা থাকলেও ছাত্রদের পক্ষে সমন্বয় সম্ভব। 
যারা দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করেও সুস্থ অবসর বজায় রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ 
তারাই সবাইকে ছাড়িয়ে এগিয়ে যায়, বিশ্রামহীন বিরামহীন খাটুনী জীবনে সফলতা আনতে পারে না।
অবশ্যই, তোমার জীবন হয়ত বিরতি 
এবং অবসর সমৃদ্ধ একটা সময়সূচী তোমাকে দিতে চাইবে না। 
হয়তবা দুটো চাকরি আর তার সাথে পড়াশোনার চাপে তোমার অবস্থা নাজেহাল। 
কিন্তু জীবন যেমনই চলুক না কেন, চেষ্টা করবে নিজস্ব কিছু সময় বের করে নিতে।
আরেকটি কথা। 
লেখা বিষয়ক প্রশিক্ষক ড্যাফনি গ্রেগ্র্যান্ট তার ছাত্র-ছাত্রীদের 
সবচেয়ে কঠিন কাজটি আগে সেরে ফেলার পরামর্শ দেন। 
চেষ্টা করবে সবচেয়ে অপছন্দনীয় কিন্তু জরুরী কাজটা আগে করতে। 
ঘুম থেকে জেগে উঠা মাত্র অন্ততপক্ষে একটা পমোডোরো কর। 
এটা অবিশ্বাস্যভাবে কার্যকর হয়। 
কখনও অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণে কি তোমার পরিকল্পনা পরিবর্তনের প্রয়োজন পরে? 
অবশ্যই, কিন্তু ভাগ্যবানের নীতির কথা মাথায় রেখ। 
ভাগ্য তাকেই সাহায্য করে যে চেষ্টা করে। 
ভালভাবে পরিকল্পনা করাও চেষ্টার অংশ।
শেখার লক্ষ্যের দিকে নজর রাখ এবং 
আকস্মিক বাধাবিপত্তিতে বেশী বিচলিত হয়ো না। 
আমী বার্বরা ওক্লী। 
শেখার পদ্ধতি সেকার জন্য ধন্যবাদ। 
[শুন্য শব্দ]


Summing Up Procrastination:

[শুন্য শব্দ] 
বেশীভাগ সময় শেখা হয় অল্প অল্প করে।
দিনে দিনে একটু করে শক্ত নিউরাল ভিত্তি তৈরি হয়।
একজন ভারোত্তলোনকারীর মত যিনি প্রতিদিন ব্যায়াম করে মাংসপেশী তৈরি করেন। 
এ কারণেই গড়িমসি থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
তুমি চাও শেষ মুহুর্তের পড়ার চাপ এড়িয়ে শেখাটা চালিয়ে নিতে 
সেই সূত্র ধরে এখানে গড়িমসি না করার মূলমন্ত্রগুলো আবার আলোচনা করছি। 
একটা দিন পঞ্জি রাখতে পার যাতে খেয়াল করা যায় 
কখন কাজ শেষ হচ্ছে, কোনটাতে কাজ হলো আর কোনটা কাজে দিল না। 
প্রতিদিন রুটিনমত কাজ করবে , দিনের জন্য কাজ ঠিক করে রাখবে। 
আগের রাতেই কাজের পরিকল্পনাগুলো লিখে রাখ যাতে তোমার ব্রেন 
তা নিয়ে ভাবতে সময় পায় এবং সাফল্য নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। 
কাজ এভাবে ভাগ কর যেন, ছোট ছোট বাধা এক এক করে পার হও।
সবসময় দেখবে, তুমি এবং মাথার ভুতগুলো যেন যথেষ্ট পুরষ্কার পায়। 
কিছু সময় নিয়ে পড়া শেখার বা সমাধান করতে পারার আনন্দ উপভোগ কর 
এটা মস্তিষ্ককে সাময়িকভাবে মনোযোগ পাল্টানোর সুযোগ দেবে।
যতক্ষন না কাজ শেষ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুতেই নিজেকে পুরস্কৃত করবে না।
গড়িমসি চলে আসে কি না, নজর রাখ। 
নিজেকে নতুন পরিবেশে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখ, গড়িমসি পা বাড়ায় কি না। 
ধর, লাইব্রেরীর শান্ত অংশে মন কাজে বসল কি ।
নিজের নতুন নিয়মে আস্থা রাখ। 
একাগ্র মনোযোগ দিয়ে তুমি কঠোর পরিশ্রম 
করতে চাও, তবে এর সাথে নিজের কাজের নিয়মের উপর যথেষ্ট আস্থা 
রাখতে হবে যেন, বিশ্রাম করার সময়ে 
তুমি আদতেই কোন অপরাধবোধ বা উদ্বেগ ছাড়া সময় কাটাতে পার। 
তারপরও গড়িমসি হয়ে গেলে বিকল্প পরিকল্পনা রাখ। 
ভুলচুক হবেই, কেউ নিখুঁত না। 
দিন শুরু করবে সব থেকে কঠিন কাজ দিয়ে।
শুভ হোক অনুসন্ধান। 
আমী বার্বরা ওক্লী। 
শেখার বিষয়ে শেখার জন্য, ধন্যবাদ।



No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...