৭৮. এদের আরেকটি দল, যারা (একান্ত) অশিক্ষিত (নিরপেক্ষ), এরা (আল্লাহর)
কিতাব সম্পর্কে কিছুই জানে না, (আল্লাহর কিতাব যেন এদের কাছে) একটি নিছক ধ্যান ধারণা (সর্বস্ব পুস্তক) মাত্র, এরা শুধু অমূলক ধারণাই করে থাকে।
৭৯. সে সব লোকের জন্যে ধ্বংস (অনিবার্য), যারা হাত দিয়ে কিতাব লিখে নেয়, তারপর (দুনিয়ার সামনে) বলে, এগুলো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে (অবতীর্ণ শরীয়তের বিধান), তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন তা দিয়ে (দুনিয়ার) কিছু (স্বার্থ) তারা কিনে নিতে পারে; অতপর তাদের হাত যা কিছু রচনা করেছে তার জন্যে তাদের ধ্বংস ও দুর্ভোগ, যা কিছু তারা উপার্জন করেছে তার জন্যে ও তাদের দুর্ভোগ।
৮০. এ সব (নির্বোধ) লোকেরা বলে, জাহান্নামের আগুন কখনোই আমাদের স্পর্শ করবে না, একান্ত (যদি করেও-) তা হবে নির্দিষ্ট কয়েকটা দিনের (জন্যে) মাত্র, (হে নবী,) তুমি তাদের বলো, তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে (এমন) কোনো প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছো? আল্লাহ তায়ালা তো কখনো তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না, না তোমরা জেনে বুঝেই আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে এমন সব কথা বলে বেড়াচ্ছো যা তোমরা নিজেরাই জানো না।
৮১. হাঁ, যে কোনো ব্যক্তি পাপ কামিয়েছে এবং যাকে তার পাপ ঘিরে রেখেছে, এমন লোকেরাই হচ্ছে জাহান্নামের অধিবাসী এবং সেখানে তারা চিরদিন অবস্থান করবে।
৮২. (আবার) যারাই (আল্লাহ তায়ালার ওপর) ঈমান আনবে এবং নেক কাজ করবে, তারা বেহেশতবাসী হবে, তারা সেখানে চিরদিন থাকবে।
৮৩ যখন আমি বনী ইসরাঈলদের কাছ থেকে (এ মর্মে) প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কারো এবাদাত করবে না এবং মাতা পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে, আত্নীয় স্বজন, এতীম-মেসকীনদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে, মানুষদের সুন্দর কথা বলবে, নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত প্রদান করবে; (কিন্তু এ সত্বেও) তোমাদের মধ্যে সামান্য কিছুসংখ্যক লোক ছাড়া অধিকাংশই অতপর ফিরে গেছো, এভাবেই তোমরা (প্রতিশ্রুতি থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলে।
পৃষ্ঠা ১৩
No comments:
Post a Comment