Translate

How to Become a Better Learner

How to Become a Better Learner

শিখতে শেখা (লার্নিং হাউ টু লার্ন) কোর্সে আপনাকে আবারও স্বাগতম। কিভাবে আরো ভালভাবে শেখা যায় সেটা নিয়ে আজকে আমরা কথা বলব। ব্রেন সম্পর্কে যত জানা যায়, ততই ভাল ভাবে শেখা যায়, আজকে তোমাদেরকে আরো ভালভাবে শেখার জন্য দুটো চমৎকার বুদ্ধি দেব। এক নম্বর বুদ্ধি, তোমাদের ব্রেনের জন্য সবচেয়ে ভাল উপহার হলো শরীরচর্চা বা ব্যায়াম। আগে মনে করা হতো মানুষ জন্মকালে সব নিউরন নিয়ে জন্মায়, কিন্তু এখন গবেষণায় জানা গেছে, মানুষের ব্রেনের কয়েকটা জায়গায় প্রতিদিন নতুন নতুন নিউরন জন্ম নিচ্ছে। এর একটা জায়গা হলো হিপোক্যাম্পাস, নতুন কিছু শেখার জন্য ব্রেনের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অংশ, হিপোক্যাম্পাস সম্পর্কে এই কোর্সে আগেও আমরা অনেকবার আলোচনা করেছি। এখন একটা পরীক্ষায় তোমরা দেখবে, ইদুরকে একটা ফুল এবং একটা বিমানের ছবির পার্থক্য করা শেখানো হচ্ছে। পেছনের পর্দায় ইদুরের হিপোক্যাম্পাসের নিউরনের ছবি দেখতে পাবে, এখানে পুরানো নিউরনগুলো নীল রঙের এবং নতুন জন্মানো নিউরনগুলোর রঙ লাল দেখানো হয়েছে। ইদুরটা কাজ বুঝতে শুরু করলে, নতুন জন্মানো নিউরনগুলোর সাহায্য নিয়ে সহজে আকৃতির পার্থক্য ধরে ফেলে ছবি দুটোকে আলাদা করে চিনতে পারে। নতুন জন্মানো নিউরন নতুন কাজ শিখতে কাজে লাগে, তবে ওদেরকে ব্যবহার করা না হলে মরে যায়। আবার নতুন অভিজ্ঞতা ওদের জীবিত করে। মজার ব্যাপার যে, ব্যায়াম নতুন নিউরনদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। বাজারের যেকোনো ওষুধের চেয়ে ব্যায়াম তোমাদেরকে আরো ভালভাবে এবং নতুন নতুন জিনিষ শিখতে সাহায্য করবে। শরীরচর্চা শুধু ব্রেনের জন্য না, প্রত্যেকটা জরুরী অঙ্গের জন্য উপকারী। এটা দুঃখজনক যে পড়ানোর সময় বাড়ানোর জন্য স্কুলগুলো ব্যায়ামের ক্লাস এবং খেলাধুলার (recess) সময় বাদ দিয়ে দিচ্ছে। পড়াশোনার মত ব্যায়ামের ক্লাস এবং খেলাধুলাও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবার আরেকটা জরুরী কথা, মনে রাখবে নির্ভুল কাজ শেখার জন্য অনুশীলন গুরুত্বপূর্ণ, অবশ্য যখন ব্রেন এই পরিশ্রমের উপযুক্ত হয়। ব্রেনের পূর্ণতা প্রাপ্তির কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ আছে, একবারে এটা হয় না। বিভিন্ন কাজের জন্য ব্রেন স্বাভাবিকভাবে উপযুক্ত হয়, তবে এসব উন্নতি খেয়াল করা এবং ব্রেনকে এজন্য তৈরি করা উচিত। মাতৃভাষা ভালভাবে রপ্ত করার জন্য বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে প্রথম দু’বছরে দুই চোখে দেখে জিনিষের গভীরতা বুঝতে পারা বা স্টেরিওপসিস সংশ্লিষ্ট ব্রেনের উন্নতি বিজ্ঞানীগণ সবচেয়ে ভাল ভাবে লক্ষ্য করেছেন। চোখের ম্যাজিক নামের এই ছবিতে যা দেখা যাবে সেটাই স্টেরিওপসিস। এই ছবিতে তাকিয়ে ধীরে ধীরে দৃষ্টি সরালে ছবিতে একের পর এক উঁচু সিড়ির ধাপ দেখতে পাবে। মানুষ দুই চোখের দৃষ্টিতে যা দেখে এতে সামান্য পার্থক্য থাকে, ব্রেন দৃষ্টির পার্থক্যকে গভীরতা বা দুরত্ব ধরে নেয়। তবে সবাই এই ছবি দেখতে পায় না। পৃথিবীর ৫% এর বেশী মানুষ স্টেরিওপসিস দেখে না। জন্মের প্রথম দুই বছরের মধ্যে দুই চোখের দৃষ্টি সমন্বয় না হলে, ভিজুয়াল কর্টেক্সে (ব্রেনের যে অংশ দেখতে সাহায্য করে) থাকা নিউরনগুলো দুই চোখের আনা তথ্য ঠিকমত বিশ্লেষণ করতে পারে না, ফলে এরা আর কখনো বস্তুর গভীরতা বা দূরত্ব বুঝতে পারবে না। তবে এই ধারণা ভুল প্রমাণ হয়েছে। কারণ প্রিন্সটন ইউনিভারসিটিতে স্যু ব্যারী নামে আমার স্নাতক ক্লাসের এক বান্ধবী চোখের ব্যায়াম করে তার স্টেরিওভিশন রোগ ভাল করেছে। পরে সে ফিক্সিং মাই গেজ (Fixing My Gaze) নামে একটা বই লেখে, যেটা ছিল একজন বিজ্ঞানীর ত্রিমাত্রা দৃষ্টি লাভের অভিজ্ঞতার বর্ণনা। অনুশীলন করে, ব্রেনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দৃষ্টি সমস্যা সারানো যায়। তবে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন, জীবনের প্রথম দুই বছরের মধ্যে হবে না। এবার হাবাগঙ্গাদের (zombies) কথা। এরা শিখতে পারে না। ভাবগতি দেখে মনে হয় ওদের ব্রেন কোন কারণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবশ্যই কর্টেক্সের সামনের অংশে এই ক্ষতি হয়েছে, কারন এই অংশই পরিকল্পনা করা আর ভাষা শেখা, এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। শেখা, পরিকল্পনা করা, কথা বলা, এই কাজগুলোর জন্য আমরা মানুষ বলে পরিচিত। সামাজিকভাবে বিভিন্ন লোকের সাথে মেলামেশা, সিদ্ধান্ত নেয়া এবং ভবিষ্যৎ ভাবনা, এসব জটিল কর্মকাণ্ডেও কর্টেক্সের সম্মুখভাগ অংশ নেয়। কর্টেক্সের এই অংশ সবশেষে পূর্ণতা পায়, কাজেই সেটা পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের মধ্যে একটু বোকা ভাব থাকতে পারে। ব্রেন স্ট্রোক রোগ থেকে সুস্থ হওয়া EVR নামের একজনের বুদ্ধিমত্তা ছিল উচ্চমাত্রার, তাকে দেখেও স্বাভাবিক মনে হতো, কিন্তু ভুল আর্থিক সিদ্ধান্ত, উল্টোপাল্টা এবং অস্বাভাবিক সামাজিক আচরণের কারণে তার জীবনের করুণ পরিণতি হয়। তার বাড়ি বেহাত হয় আর পরিবার তাকে ছেড়ে চলে যায়। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দরকার অভিজ্ঞতা, এটা শিখতেও বেশ সময় লাগে। শুধু ক্লাসের মধ্যে শেখার ব্যাপারটাকে ফেলে রাখা উচিত না। শিখতে শেখাও একটা দক্ষতা যেটাতে পারদর্শিতা অর্জন করা যায়। জীবনের যেকোনো কিছু ভাল করতে এই দক্ষতা ব্যবহার করা যাবে। এ সপ্তাহেও আমরা নতুন নতুন শেখার বুদ্ধি দেব, পরে ব্রেনফ্যাক্টস.অরগ সাইট থেকে এ সম্পর্কে আরো জেনে নিয়ো। আমি টেরি সেনোস্কি, তোমাদের শেখা আনন্দময় হোক, আবার দেখা হবে।
Explore our Catalog
Join for free and get p


Introduction to Renaissance Learning and Unlocking Your Potential

[শুন্য শব্দ]
আমরা এ পর্যন্ত যত জরুরী নিয়ম আর কৌশলের কথা জেনেছি,
তার সবগুলো এ সপ্তাহে ঝালিয়ে নেব, যেন ভালভাবে শেখা,
রূপক এবং উপমা ব্যবহার এবং দলগত সফলতায় তোমাদের
সার্বিক উন্নতি হয় এবং কোনভাবে তোমাদের নিজস্ব ক্ষমতা খাটো না হয়।
সর্বশেষে পরীক্ষা ভাল হয়।
এ সপ্তাহে ভিডিও ক্লাস শুরুর আগে আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই।
প্রতিদিন নতুন একটা শিক্ষা প্যাকেট জ্ঞান ভাণ্ডারে জমা হয়ে
যুক্তি অনুযায়ী শিক্ষা বাড়তে থাকবে এটা হয় না।
অনেক সময় বোঝার প্রক্রিয়া চলাকালে একটা বিরাট বাধা সামনে আসে।
আগে যেসব ধারণা পরিষ্কার ছিল, হঠাৎ সেসব গোলমেলে মনে হয়।
নতুন ধারণা ভালভাবে বোঝার প্রক্রিয়া চলাকালে আগের জানা জিনিসগুলো
ভেঙ্গে পরছে বলে মনে হয়, আসলে তখন আরো শক্তিশালী ভাবে বিষয়টা বোঝার প্রক্রিয়া চলছে।
ভাষা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, মাঝে মাঝে একেকটা সময় আসে
যখন হঠাৎ করেই বিদেশী ভাষা পুরোপুরি অবোধ্য মনে হয়।
মনে রাখবে নতুন জ্ঞান আত্মস্থ হতে সময় লাগে।
বোঝার প্রক্রিয়ায় দেখবে একটা জায়গায় এসে উত্তেজিত হয়ে
একটু পিছনে গিয়ে আবার নতুন করে বুঝে আসতে হচ্ছে।
এটা স্বাভাবিক একটা নিয়ম,
এর মানে তোমাদের মন ঐ বিষয়গুলো বোঝার জন্য প্রচন্ড চেষ্টা করছে।
এসব সাময়িক হতাশার সময় পার করে এগুতে পারলে দেখবে
তোমাদের জ্ঞানের ভিত্তি কত জোরালো আর অগ্রসর হয়েছে ।
আমি বারবারা ওকলি, শেখার বিষয়ে শেখার জন্য তোমাদেরকে ধন্যবাদ ।
Explore our Catalog
Join for free and get personalized recommendations, updates and offers.
Get Started


Create a Lively Visual Metaphor or Analogy

[শুন্য শব্দ]
কোন ধারণা মনে রাখা এবং বোঝার সবচেয়ে ভাল উপায় হলো 
এর জন্য উপযুক্ত রূপক অথবা উপমা ভেবে বের করা। 
এগুলো যত চাক্ষুষ উপলব্ধি দেবে তত ভাল। 
রূপক ব্যবহার করে একটা জিনিসের সাথে অন্য জিনিসের কোনভাবে একটা মিল দেখানো হয়। 
একজন ভূগোল শিক্ষকের সিরিয়ার আকৃতিকে সিরিয়াল 
(শস্যদানার খাবার) বাটির সাথে আর 
জর্ডানের ম্যাপ এয়ার জর্ডান জুতার কম্পানি নাইকি'র লোগোর সাথে 
সহজ তুলনা যুগযুগ ধরে ছাত্রদের মনে রয়ে যাবে। 
তুমি যদি বৈদ্যুতিক গতি বুঝতে চাও, ভাল হয় 
ওটাকে যদি পানি ভেবে নিতে পার। 
একই ভাবে বৈদ্যুতিক ভোল্টেজকে চাপ মনে করতে পার।
একটা ধাক্কা। 
যে বিষয়ে তুমি মনোযোগ দিচ্ছ, ধীরে ধীরে
যখন বোঝার উচ্চতর অবস্থানে পৌঁছাবে, তখন দরকার মত তুমি তোমার 
প্রয়োজনীয় রূপকগুলো বদলে নিতে বা ফেলে দিতে পার, এরপর আরো উপযুক্ত রূপক খুঁজে নেবে। 
রূপকের ব্যবহার এবং কল্পনা, কোনকিছুকে মনের চোখে দেখা, 
শুধু চিত্রকলা বা সাহিত্যে যে
বিশেষভাবে সাহায্য করেছে তা না, 
বরং বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের অগ্রযাত্রাতেও অবদান রেখেছে। 
উদাহরণ স্বরুপ বলি, ১৮০০ সালের দিকে যখন রসায়নবিদগণ অনুর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জগৎ 
কল্পনা করতে সক্ষম হলেন, তারপরই এ বিষয়ের বিরাট সব অগ্রগতি শুরু হয়।
জার্মান একাডেমিক কেমিক্যাল লাইফ পত্রিকায় ১৮৮৬ সালে প্রকাশিত 
এই মজার ছবিটা দেখ, বেনজিন বলয়ের ভিতরের চক্রে বানর দেখানো হয়েছে। 
খেয়াল কর বানরের হাতে হাতে জোড়া দিয়ে একক বন্ধন 
এবং হাত ও লেজের জোড়া দিয়ে দ্বি-বন্ধন বোঝানো হয়েছে।
যে ধারণাটা বুঝতে চেষ্টা করছ, নিজেকে ঐ ধারণা হিসাবে ভেবে নাও, এতেও ফল পাওয়া যায়। 
নিজেকে কল্পনা কর ইলেকট্রনের উষ্ণ এবং নরম 
জুতা পায়ে একখণ্ড তামার ভিতরে গর্তে প্রবেশ করছ। 
অথবা একটা অ্যালজেব্রার সমীকরণের X এর পিছনে লুকিয়ে ভেবে দেখ 
একটা খরগোশের গর্ত থেকে মুখ বের করে দেখতে কেমন লাগে। 
খেয়াল রেখো মনের ভুলে শুন্য দিয়ে ভাগ করে X টা যেন উড়ে না যায়। 
রসায়নে একটা ক্যাটায়নকে ভাব না কেন একটা বিড়াল (Cat), যার থাবা (Paw) আছে, ফলে ওটা পজিটিভ। 
আর অ্যানায়ন একটা পিয়াজের (Onion) মত যা কাঁদায় (নেগেটিভ)।
রূপকগুলো যে একেবারে নির্ভুল হয়, তা না, কিনতু বিজ্ঞানে সব 
মডেলই রুপক, অর্থাৎ কোন এক সময় ভেঙ্গে যায়। 
তাতে অসুবিধা কি। 
অনেক সময় যে প্রক্রিয়া বা ধারণাকে বোঝার 
চেষ্টা করছ তার মূল ভাবনাকে একটা শারীরিক আকৃতি 
দেবার জন্য রূপক এবং মডেল অত্যাবশ্যক হয়ে পরে।
আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, সমস্যা থেকে উত্তরণ করতে যেয়ে একটা ভুল চিন্তায় 
আটকে যাওয়া, অর্থাৎ আইন্সটেলাং থেকে বের করে আনার জন্য রূপক এবং উপমা খুব কার্যকর। 
উদাহরণ দিচ্ছি, ছাত্রদেরকে একটা দুর্গ বিভিন্ন দিক থেকে 
আক্রমণের খুব সহজ একটা গল্প বলে, একটা ক্যান্সার আক্রান্ত 
টিউমারকে কতগুলো কম তীব্রতার বিকিরণ দিয়ে নষ্ট করা যেতে পারে, 
এই সৃজনশীল চিন্তার রাস্তা খুলে দেয়া যেতে পারে। 
তুমি যা মনে রাখতে চাও, গল্প হিসাবে সহজে তা স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারবে, 
যদিও সেটা মনে রাখার খুব হাস্যকর একটা কৌশলও হয়। 
রূপক পারে কোন ধারণা আঠার মত মনে সেঁটে দিতে। 
মাথায় আগেই যেসব স্নায়ু সংযোগ তৈরি হয়ে আছে, রূপক সরাসরি ওগুলো সাথে জোড়া দেয়। 
ব্যাপারটা অনেকটা ট্রেসিং পেপারে ছাপ দিয়ে ছবি আঁকার মত। 
ঘটনা আসলে কি হচ্ছে, রূপক অন্তত পক্ষে সেটার একটা ধারনা দিতে পারে। 
আমী বার্বরা ওক্লী।
শেখার পদ্ধতি সেকার জন্য ধন্যবাদ। 
[শুন্য শব্দ]
 
No Need for Genius Envy


[শুন্য শব্দ] 
এটা আমাদের জন্য একটা ভালো অবস্থা
এখান থেকে এক ধাপ পিছিয়ে আমরা চাঙ্কিংকে অন্য দৃষ্টিতে দেখবো। 
লক্ষ্য করুন আমরা এখানে কি করছি
আমরা শেখাকে ইন্টারলিভ করছি, পিছনে ফিরছি পুরোনো একটা বিষয় 
যেটা আমরা আগে কভার করেছি যাতে আমরা আরও গভীরভাবে বুঝতে পারি. 
অংক, বিজ্ঞান এবং খেলাধূলা, সব আলাদা শেখার বিষয়বস্তু
একটি মজার সম্পর্ক রয়েছে 
উদহারণ হিসাবে বলা যায়, বেসবল মারা আপনি একদিনে শিখতে পারবেন না। 
বহু বছর ধরে অনেক অনেক কঠোর অনুশীলনের পরে 
ঠিক ভাবে ঘুরে উঠে জোরসে ঠুকে মারার মত শরীর তৈরি হয়। 
বারবার অনুশীলনের ফলে শরীরের মাংসপেশী মনে রাখতে শিখে যায় 
একবার চিন্তাতেই বুঝে ফেলে কি করতে হবে। 
একটি বল হিট করার সব জটিল পদক্ষেপ মনে করার পরিবর্তে 
একটি চাঙ্ক মনে করলেই চলে 
একই ভাবে, অংক এবং বিজ্ঞানেরও আপনি একবার যদি বুঝতে পারেন কেন এভাবে করা হয়েছে 
এরপরে যতবার করবেন প্রত্যেকবার করার সময় নিজেকে আবার প্রথম থেকে বোঝানো লাগবে না। 
দশকে দশ গুণ দিয়ে করলে একশো হয় এটা বোঝার জন্য এটা কোন 
কাজ না যে, আপনি একশো গুটি পকেটে রেখে ঘুরবেন 
তারপর দশটা সারি সাজিয়ে প্রতিটাতে দশটা করে গুটি রেখে দেখে নেবেন ১০০ হলো কি না। 
একটা সময়ে এমনি মনে থেকেই আপনি বুঝে যাবেন। 
বীজগণিতে এই নিয়ম মনে রাখাই যথেষ্ট যে 
বীজগণিতে সূচক অংকে, একই মূল বা ভিত্তির কয়েকটা 
সংখ্যা গুণের ক্ষেত্রে একটা খুব সহজ নিয়ম আছে। 
সেটা হলো, শুধু সূচকগুলো যোগ দিয়ে মূল সংখ্যার সূচক হিসাবে বসিয়ে দিলেই হবে। 
আপনি যদি একটা নিয়ম অনেকবার বিভিন্ন ধরনের অংক করার জন্য 
ব্যবহার করেন, একসময় দেখবেন যে, আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন, 
কেন ঠিক এইভাবে এসব নিয়ম খেটে যাচ্ছে, একজন শিক্ষক কাছ থেকে
অথবা বই পড়ে বোঝার চেয়ে, নিজে নিজে বুঝে ফেলাটা ছাত্রদের জন্য অনেক ভাল। 
এভাবে ভাল ভাবে বোঝা সম্ভব হওয়ার কারণ হলো, মস্তিস্ক, অন্যের কথা মেনে নিয়ে মাথায় যা নিতে পারছে 
তার চেয়ে ভাল হচ্ছে যখন অংক করতে করতে নিয়মের একটা প্যাটার্ন মাথায় আপনাতে তৈরি হচ্ছে। 
মনে রাখবেন, মানুষের কাছে যেসব তথ্য থাকে, সেটা নিজের মতো করে উপলদ্ধি করেই সে শেখে। 
আরেকজনের কথা শুনে মানুষ খুব কম সময়ই জটিল বিষয়গুলো বুঝতে পারে বা কিছু শিখতে পারে। 
দাবাড়ু, ইমার্জেন্সি রুমের চিকিৎসক, যুদ্ধ বিমানের পাইলট, এবং আরো অনেক 
বিশেষজ্ঞকে প্রায়ই খুব অল্প সময়ের মধ্যে জটিল সিদ্ধান্ত নিতে হয় ।
এরা সচেতন চিন্তাকে বন্ধ করে দেন এবং নির্ভর করেন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত 
অবচেতন মনের উপর, দীর্ঘ অনুশীলনে গঠিত চাঙ্কের অভ্যাসবশত প্রতিক্রিয়াতে কাজ করেন।
কখনো কখনো প্রতিটা কাজ সচেতন চিন্তা ভাবনা করে করতে গেলে , কি করছেন, কেন করছেন, 
তাহলে কাজে দেরী হবে এবং এভাবে নেয়া সিদ্ধান্ত বেশ খারাপ হয়।
আচ্ছা বলুন তো, দাবা খেলোয়াড় এবং অন্য যেসব মানুষ 
মনে মনে ছয় অংকের এর সংখ্যা গুণ করেন, তাদের বেশী মেধাবী মনে হয় না ? 
আমার যেভাবে ভাবি তেমন না, আমি আপনাদের বুঝিয়ে বলবো. 
নিশ্চয়ই।
বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন রয়েছে 
বুদ্ধিমান হওয়ার মানে হলো অন্যদের চেয়ে বেশি ওয়ার্কিং মেমরি থাকা 
হয়তো আপনার কার্যকর স্মরণশক্তি আর সবার মত চারটার বদলে নয়টা বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারে 
এবং আপনার মস্তিস্ক হয়তো বুলডগের দাঁতের মত 
চিন্তা কামড়ে ধরে রাখতে পারে ফলে শেখা সহজ হয়। 
কিন্তু জানেন কি, এই গুণ যাদের আছে তাদের আবার সৃজনশীল হওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। 
সেটা কিভাবে ? 
এটা পুরোনো বন্ধু এবং দুশমন আইন্সটিল্যাং এর কাজ। 
যে চিন্তা আপনার মনে রয়েছে, সেটা আবার মনকে নতুন কিছু ভাবতে বাধা দেয়. 
খুব ভালো কার্যকর স্মৃতি আপনার চিন্তাকে এতো কঠিন ভাবে ধরে রাখে যে 
এই কঠিন মনোযোগের ফাঁক দিয়ে নতুন চিন্তা সহজে উঁকি দিতে পারে না. 
এসময় দরকার নির্মল বাতাস, বদ্ধ মানসিক অবস্থা থেকে মুক্তি, 
অন্য কথায়, যেভাবে হোক, মন না চাইলেও, মনোযোগ অন্যদিকে, যেকোন দিকে, ফেরাতে হবে। 
আপনি যদি ওসব মানুষদের মতো হন, যারা একসাথে অনেক কিছু 
মনে রাখতে পারেন না, মনোযোগ চলে যায়, ক্লাসে লেকচার হচ্ছে আর আপনি
দিবাস্বপ্ন দেখছেন এবং মনোযোগ দেবার জন্য আপনার নির্জনতা লাগে 
যেন কার্যকর স্মৃতি ভালভাবে ব্যবহার হয়, তাহলে আপনাকে স্বাগতম সৃজনশীলদের দলে।
অন্যদের চেয়ে ছোট কার্যকর স্মৃতি থাকা মানে হলো , আপনার পক্ষে 
সম্ভব হবে সহজে নতুন শেখাকে বিষয়গুলোকে, সৃজনশীল ভাবে কাজে লাগাতে। 
কারণ, মানুষের কার্যকর স্মৃতি গড়ে উঠে মস্তিস্কের সামনের অংশে কর্টেক্সের 
মনোযোগ দেবার ক্ষমতা থেকে ⏎ এবং এটি সবকিছুকে শক্ত করে আটকে রাখে না। 
আপনি খুব সহজেই ব্রেনের অন্য অংশ থেকে তথ্য গ্রহণ করতে পারেন। 
অন্য যেসব অংশ থেকে খবর আসতে পারে, তার মধ্যে আছে সেন্সরি কর্টেক্স 
ফলে বাইরের পরিবেশে কি হচ্ছে তা বেশ বুঝতে পারবেন, 
শুধু তাই না, আপনার স্বপ্ন থেকেও নানা ইঙ্গিত পেতে পারেন 
এবং বলাই বাহুল্য, এসবই আপনার সৃজনশীল চিন্তার উৎস। 
অবশ্য আপনাকেও কঠোর পরিশ্রম করতে হতে পারে, বেশিভাগ
সময় মন কি বলছে, মাথায় কি চলছে বোঝার জন্য।
কিন্তু একবার কোনো বিষয়কে চাঙ্ক করে ফেলতে পারলে সেই চাঙ্কটাকে উল্টে পাল্টে 
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানান সৃজনশীল পর্যায়ের ভিতর দিয়ে নিতে পারবেন 
যা হয়তো আপনি সম্ভব হবে বলে কখনো ভাবেন নি। 
আপনার জন্য আরো একটি কথা আছে , একথাটা চাঙ্ক করে রাখতে হবে 
শুধুমাত্র অনুশীলন, বিশেষ করে নিজে ইচ্ছাকৃত অনুশীলন করে 
সবচেয়ে কঠিন বিষয়গুলো একেবারে আয়ত্বে আনতে হবে 
এভাবে গড়পড়তা মেধার মানুষও মেধাবী লোকের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। 
ঠিক যেভাবে দীর্ঘ দিন ভার উত্তোলন অনুশীলন করে আপনার মাংসপেশীকে বড় করতে পারেন, 
ঠিক সেভাবে মানসিক অনুশীলন করে, চেষ্টা করে, 
মস্তিস্কের চিন্তা ক্ষমতা আরো গভীর করতে পারেন। 
আপনি স্বাভাবিক ভাবে মেধাবী হোন অথবা অনেক অনুশীলন করে শিখে থাকেন না কেন, 
মনে রাখবেন মেধাবী এবং পরিশ্রমী মানুষ, সবাই এটার 
কবলে পরে, নিজেকে ভন্ড বা প্রতারক বলেই মনে হয়। 
মনে হবে কপাল গুণে একটা পরীক্ষায় ভালো করেছিলেন এবং পরের টাতেও হঠাৎ ভাল হয়েছিল 
পরের পরীক্ষাতেই পরিবারের লোকজন এবং বন্ধুরা, পরিচিত 
সবাই বুঝে যাবে যে আপনি কতটা অযোগ্য, আর আপনি সফল হতে পারবেন না। 
এই অনুভূতি এতই স্বাভাবিক, এত মানুষের এটা হয় যে, এর একটা নামও আছে 
প্রতারক উপসর্গ। 
এই রোগ মানুষকে অক্ষম, অযোগ্য, অপটু, এধরণের 
বাজে অনুভূতি দেয়, জেনে রাখেন, বহু লোক গোপনে একই কষ্ট পাচ্ছে
একেক জন মানুষের একেক রকম প্রতিভা থাকে,
পুরোনো প্রবাদ আছে যে একটি দরজা বন্ধ হলে আরেকটি খুলে যায় 
মাথা উঁচু রাখুন যেন আপনার চোখ থাকে খোলা দরজায় । 
আমী বার্বরা ওক্লী। 
শেখার পদ্ধতি সেকার জন্য ধন্যবাদ।



Change Your Thoughts, Change Your Life

আমি ইতিহাস পড়তে ভালবাসি, একই সাথে অসাধারণ মানুষদের 
জীবন কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হতেও আমার ভাল লাগে। 
আমার পড়া সবচেয়ে অনন্য মানুষটির গল্প ভীষণ 
উদ্দীপণা যোগায়, কারণ একদিকে তাঁর জীবন যেমন বিস্ময়করভাবে সফল 
তেমনি তাঁর জীবনের শুরুটা একেবারে সাধারণ। 
ছোটবেলা থেকে স্যান্টিয়াগো র্যামন ই কাজাল ছিলেন ঝামেলাবাজ ।
১৮৬০ দশকে উত্তর স্পেনের গ্রামাঞ্চলে বড় হওয়া
একজন বখাটে উশৃঙ্খল কিশোরের করার মত তেমন কিছু ছিলনা। 
পরিণতিতে মাত্র ১১ বছর বয়েসে কাজালের স্থান হয় জেলখানায়। 
কাজাল ছিলেন জেদী আর অবাধ্য। 
কে জানতো স্যান্টিয়াগো র্যামন ই কাজাল একদিন শুধু যে নোবেল পুরষ্কার 
পাবেন তাইই না, একসময় তিনি আধুনিক স্নায়ুবিজ্ঞানের জনক হিসাবে পরিচিত হবেন ? 
২০ বছর বয়সে দিকে কাজাল বখাটে ছেলের 
স্বভাবসিদ্ধ ব্যবহার ছেড়ে চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন। 
নিউরনে মায়লীন আবরণ বলে একটা অংশ আছে। 
এই চর্বির আবরণ নিউরনের ভিতর দিয়ে সিগনাল প্রবাহিত হতে 
সাহায্য করে, কারো কারো ক্ষেত্রে এটা পূর্ণতা পেতে ২০ বছর পর্যন্ত লেগে যায়। 
এই তথ্য থেকে বোঝা যায় কেন প্রায় কুড়ি বছর 
পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা তাদের আবেগ নির্ভর ব্যবহার থামাতে পারে না। 
তখনও মনের ভাবনা এবং ব্রেনের নিয়ন্ত্রন অংশের মধ্যে 
নিউরন সংযোগ স্থাপন চুড়ান্ত হয় না।
অবশ্য যতই নিউরনের সংযোগ ব্যবহার করা হয়, 
ততই ওদের উপর মায়লীন আবরণ তৈরি হতে থাকে। 
এছাড়া এসময়ে আরো অনেক অনুবীক্ষনিক পরিবর্তন ঘটে।
অনুশীলনের মাধ্যমে ব্রেনের বিভিন্ন অংশের মধ্যে
শক্তিশালী এবং জোরালো সংযোগ তৈরি হতে পারে,
এমনকি ব্রেনের নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র এবং তথ্য কেন্দ্রের মধ্যে
দ্রুতগতির হাইওয়ে স্থাপন করাও সম্ভব। 
কাজালের ক্ষেত্রে এমন হয়তো হয়েছিল যে, তাঁর ব্রেনের স্বাভাবিক পূর্ণতা এবং চিন্তার 
উন্নয়নের জন্য নিজের প্রচেষ্টা একত্রে, তাঁর 
সার্বিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করেছে। 
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে, নিউরনের সংযোগ বাড়াতে হলে 
চিন্তায় বেশী বেশী করে ঐসব নিউরনের ব্যবহার করতে হবে। 
নিউরাল উন্নয়ন সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান এখন শিশুর পর্যায়ে। 
তবে একটা ব্যাপার পরিষ্কার যে কোনকিছু সম্পর্কে ভাবনাটাই 
পাল্টে দিয়ে ব্রেনে ফলপ্রসু পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
কাজাল তাঁর জীবনকালে বহু নামীদামী বিজ্ঞানীদের সাথে পরিচিত হয়েছেন, কাজ করেছেন। 
অনেকে ছিলেন তাঁর চেয়েও দক্ষ।
কাজাল তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, যদিও করিৎকর্মা লোকেরা অসাধারণ সব কাজকর্ম 
করতে সক্ষম, তারাও কিনতু সাধারণ মানুষের মত অসাবধান এবং পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারেন। 
কাজাল বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি ছিল অধ্যাবসায় ।
কম মেধাবীদের এই বিশেষ শক্তি, এর সাথে নতুনভাবে
চিন্তার ক্ষমতা এবং নিজের ভুল স্বীকার এসব তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে। 
কাজাল বলেছেন, যেকেউ, এমনকি গড় বুদ্ধিমত্তার মানুষের পক্ষেও ব্রেনে এমন 
পরিবর্তন আনা সম্ভব যে, সবচেয়ে কম পটু লোকটাও অসম্ভব অবদান রাখতে পারবে।
চার্লস ডারউইন, যার বিবর্তনবাদের ধারণা তাঁকে মানব ইতিহাসের একজন অন্যতম প্রভাবশালী 
ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল, তাঁকে এবং অন্যান্য কোন কোন
মানুষকে স্বাভাবিকভাবে প্রতিভাবান বলে মনে করা হয়।
তোমরা জেনে আশ্চর্য হবে যে কাজালের মত
ডারউইনও স্কুলে খারাপ ছাত্র ছিলেন। 
মেডিকেল কলেজ থেকে ডিগ্রী ছাড়াই বাড়ি ফেরেন তিনি এবং পরে প্রকৃতিবিদ 
হিসাবে জাহাজে বিশ্বভ্রমণে বের হয়ে পিতার বিরাট মনঃকষ্টের কারণ হন। 
ডারউইন নিজ উদ্যোগে তাঁর সংগৃহীত তথ্য 
নতুন দৃষ্টিতে দেখতে সক্ষম হন। 
কোন বিষয়কে জানার উদ্দেশ্যে যদি মনোনিবেশ করা যায়,
তাহলে ঐ বিষয়ে অবিশ্বাস্য দক্ষতা অর্জন করা যেতে পারে। 
অনেক সময় এমন দেখবে যে, যদিও তোমাদের শিক্ষক অথবা পড়ার বই খুবই ভাল, তাহলেও যখনই তোমরা 
এসবের বাইরে অন্য বই পড় বা কোন ভিডিও দেখ, হঠাৎ তোমরা বুঝতে পারবে যে, ঐ একজন
শিক্ষক বা একটা বই এতক্ষন 
তোমাকে ঐ বিষয়ের সম্পূর্ণ ত্রিমাত্রা জ্ঞানের 
কেবল মাত্র আংশিক তথ্য দিয়েছে, আর এক বিষয়ের 
সাথে চমৎকার ভাবে সংযুক্ত অন্য বিষয়গুলোও তোমার ভাল লাগছে। 
তোমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে 
নিজের শেখার দায়িত্ব নিজে নেয়া। 
স্যান্টিয়াগো র্যামন ই কাজাল শুধু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা সম্পর্কে 
গভীর ভাবে জেনেছিলেন তা না, মানুষ কিভাবে আচরণ করে সেটাও বুঝেছিলেন।
উনি শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছিলেন যে কিছ লোক থাকবে যারা তোমাদের 
সমালোচনা করবেই অথবা তোমাদের চেষ্টা বা সফলটাকে খাটো করতে চাইবে। 
এই সমস্যা সবার জীবনে আসে। 
শুধু নোবেল জয়ীদের জীবনে না। 
তোমরা যদি লেখাপড়ায় ভাল কর, তোমাদের আসেপাশের লোকেরা শঙ্কিত বোধ করে।
যতই তোমরা সফল হবে, ততই এদের অপবাদ দেয়া
আর তোমাদের প্রচেষ্টার নিন্দা করা বাড়বে। 
আবার যদি তুমি ফেল কর, তখনও আরো কটুকথা শুনবে যে, 
পাশ করার জন্য যে বুদ্ধি দরকার তা তোমার নেই। 
আমরা শুনি যে মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত।
কিনতু সেটা কি হয়। 
সেজন্য সমালোচনাকে ঠাণ্ডাভাবে অগ্রাহ্য করতেও শিখতে হবে, 
এতে করে তোমরা শেখায় আরো বেশী মনোযোগী হতে পারবে, 
এছাড়া এমন মানুষের সংশ্রব এড়িয়ে চলতে পার, 
যদি দেখ তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য তোমার অনিষ্ট করা, 
অন্যের ক্ষতি করা খুব স্বাভাবিক, 
কারণ মানুষ কখনো সহযোগী, কখনো ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বী। 
অল্পবয়সীদের পক্ষে সমালোচকদের অগ্রাহ্য করা কঠিন। 
আমরা যে কাজ করছি, স্বাভাবিকভাবে আমরা ওটা নিয়ে খুব উৎসাহ বোধ করি, আমাদের ভাবতে 
ইচ্ছা হয় যে সবাই আমাদের যুক্তি গ্রহণ করবে, 
তারপর এটাও আশা করি যে আমাদের ব্যাপারে সবাই উদার হবে। 
স্যান্টিয়াগো র্যামন ই কাজালের মত তোমরাও গর্ব ভরে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবে।
লোকেরা ঠিক যে কারণে বলেছে তুমি কিছু পারবে না, (আসলে সেটাই তোমার শক্তি)। 
তোমার গুণগুলো নিয়ে গর্ব কর। 
বিশেষ করে ওসব বৈশিষ্ট্য যা অন্য কারো নেই।
সফলতার জন্য তোমার দক্ষতাগুলোকে গোপন অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার কর। 
তোমার স্বভাবগত বিপরীত পথে এগিয়ে 
তুমি কি করতে পারবে সে সম্পর্কে অন্যদের স্থির ধারণা উল্টে দাও। 
আমী বার্বরা ওক্লী। 
শেখার বিষয়ে শেখার জন্যে ধন্যবাদ।

No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...