দণ্ডবিধি- ১৮৬০
ধারা ২: বাংলাদেশ অভ্যান্তরে অপরাধ।
ধারা ৩: বাংলাদেশ বাহিরে অনুষ্ঠিত অপরাধের শাস্তি।
বাংলাদেশের বাহিরে করা অপরাধের বিচার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৮ ধারা।
সাধারণ ব্যাখ্যা: ধারা ৬ থেকে ৫২
ধারা ১৯: জজের সংজ্ঞা।
ধারা ২১: সরকারি কর্মচারী।
ধারা ২২: অস্থাবর সম্পত্তি।
ধারা ২৩: অবৈধ অর্জন।
অবৈধ ক্ষতি।
অবৈধভাবে অর্জন করা।
অবৈধ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
ধারা ২৪: অসাধুভাবে।
ধারা ২৫: প্রতারণামূলকভাবে।
ধারা ২৮: নকল/ জাল করা।
ধারা ২৯: দলিল।
ধারা ৩০: মূল্যবান জামানত।
ধারা ৪০: অপরাধ।
শাস্তিযোগ্য যে কোন কাজেই অপরাধ।
ধারা ৪৪: ক্ষতি।
“ক্ষতি” বলতে বুঝায় যে কোন ব্যক্তি দেহ, মন, সুনাম বা সম্পত্তির প্রতি অবৈধভাবে কৃত যেকোনো অনিষ্টকর কাজ।
ধারা ৪৫: জীবন।
জীবন বলতে মানুষের জীবন বুঝাবে।
ধারা ৪৭: প্রাণী।
প্রাণী বলতে মানুষ ব্যতিরেক যে কোন জীবন সৃষ্টি বুঝাবে।
ধারা ৪৮: জাহাজ।
জাহাজ অর্থ জলপথে মানুষ বা সম্পত্তি পরিবহনের জন্য প্রস্তুত যে কোন যান।
ধারা ৪৯: বৎসর, মাস।
বৎসর শব্দ বা মাস শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে উক্ত বছর বা মাসের ইংরেজি পঞ্জিকা অনুযায়ী হিসাব করা হয় বলে ধরে নিতে হবে।
ধারা ৫২: সদ বিশ্বাস।
যথাযথ সতর্কতা ও মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ করলে সদ বিশ্বাস করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।
যৌথ দায় বদ্ধতা ধারা: ৩৪, ৩৫, ৩৭ ও ৩৮
ধারা-৩৪: সাধারণ অভিপ্রায়।*
সাধারণ অভিপ্রায় সম্পর্কে একের অধিক ব্যক্তি কোন অপরাধ সংঘটিত করে, সে ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেকে ঐ অপরাধের জন্য যৌথভাবে দায়ী হবে।
ধারা-৩৫: অপরাধমূলক জ্ঞান বা অভিপ্রায় নিয়ে অপরাধ।
যখন একের অধিক কোন ব্যক্তি কোন কাজ অপরাধজনক জ্ঞান বা অভিপ্রায় নিয়ে সম্পাদন করে তখন তারা যৌথভাবে দায়ী হবে।
ধারা ৩৭: একাধিক কাজের মধ্যে একটি কাজ সম্পাদন করে অপরাধে সহযোগিতা করা।
ধারা ৩৮: অপরাধমূলক কাজে জড়িত ব্যক্তি বিভিন্ন অপরাধে দোষী হতে পারে।
এই ধারাটি ৩৪ ধারা ব্যতিক্রম।
শাস্তির উদ্দেশ্য এবং মাত্রা: ধারা ৫৩ থেকে ৭৫
ধারা ৫৩: শাস্তির প্রকারভেদ।
শাস্তি মূলত দুই ধরনের।
দণ্ডবিধিতে পাঁচ প্রকারের শাস্তি কথা উল্লেখ আছে।
ধারা ৫৪: মৃত্যুদণ্ড হ্রাসকরণ।
সরকার অপরাধী সম্মতি ছাড়াই মৃত্যু দন্ড হ্রাস করে যে কোন দন্ডে রূপান্তরিত করতে পারে।
ধারা ৫৫: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হ্রাস করন বা পরিবর্তন।
সরকার অপরাধী সম্মতি ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কমিয়ে অনধিক ২০ বছর মেয়াদের সশ্রম বিনাশ্রম কারাদণ্ড দণ্ডিত করতে পারে।
ধারা ৫৫ ক:রাষ্ট্রপতি বিশেষ অধিকার সংরক্ষণ।
৫৪ এবং ৫৫ ধারায় কোন কিছুই রাস্ট্রপতির ক্ষমা, শাস্তির লাঘব, শাস্তি মওকুফের ক্ষমতাকে নষ্ট করবে না।
ধারা ৫৭: সাজার মেয়াদ ভগ্নাংশ।
শাস্তির মেয়াদ ভগ্নাংশ নিরূপণের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাবাসকে ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সমান ধরা হবে।
ধারা ৬০: কারাবাস কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে সশ্রম বা বিনাশ্রম হতে পারে।
অর্থ দন্ড (Fine): ৬৩ থেকে ৭০ ধারা।
ধারা ৬৩: অর্থদন্ডের পরিমাণ।
জরিমানা দণ্ড অর্থের পরিমাণ উল্লেখ না থাকলে সীমাহীনভাবে আদালত অপরাধীকে অর্থদন্ডের দন্ডিত করতে পারে, তবে তা অত্যাধিক হবে না।
ধারা ৬৪: অর্থ দন্ড/ জরিমানা অনাদায়ে কারাদন্ড প্রদান।
আদালত জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ দিতে পারেন।
ধারা ৬৫: কারা দন্ড ও অর্থ দন্ড / জরিমানা উভয় দন্ডে দন্ডের অপরাধী জরিমানা টাকা দিতে ব্যর্থ হলে, জরিমানা অনাদায়ে কারাবাসের পরিমাণ।
ধারা ৬৬: জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ডের ধরন।
জরিমানা অনাদায়ে জন্য যে কারাদণ্ড হয় তা মূল দণ্ডের বিধান অনুযায়ী হতে পারবে। যেমন: মূল দন্ড সশ্রম হলে সশ্রম বিনাশ্রম হলে বিনাশ্রম।
ধারা ৬৭: অপরাধটি শুধু অর্থদণ্ডে দন্ডনীয় হলে অর্থ দন্ড/ জরিমানা অনাদায়ে প্রদত্ত কারাদন্ড।
ধারা ৬৮: অর্থ দন্ড/ জরিমানা আদায় হয়ে গেলে, কারাদন্ডের সমাপ্তি হবে।
ধারা ৬৯: জরিমানার আনুপাতিক অংশ আদায়ে কারামুক্তি।
অর্থ দন্ডের কোন অংশ দন্ডিত ব্যক্তি প্রদান করলে, আনুপাতিক হারে অনাদায়ে জনিত কারাদন্ড ভোগের মেয়াদ কমে যাবে।
ধারা ৭০: অপরাধকারী মৃত্যু হলেও তার সম্পত্তি থেকে অর্থ দন্ড আদায়যোগ্য।
দন্ড প্রদানের ৬ বছরের মধ্যে অর্থ আদায়যোগ্য।
ধারা ৭১: দুই আইন কিংবা একই আইনের দুই ধারায় দন্ডযোগ্য একটি অপরাধের একাধিক শাস্তি দেওয়া যাবে না।
ধারা ৭২: অনেকগুলো অপরাধের অভিযুক্ত কিন্তু কোন অপরাধী দোষী সন্দেহপূর্ণ হলে অপরাধীকে সর্বনিম্ন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ধারা ৭৩: নির্জন কারাবাস।
ধারা ৭৪: নির্জন কারাবাস কার্যকর করার নিয়ম।
ধারা ৭৫: নির্ধারিত শাস্তি অপেক্ষা গুরুতর শাস্তির বিধান।
সাধারণ ব্যতিক্রমের ক্ষেত্র সমূহ: ধারা ৭৬ থেকে ১০৬
ধারা ৭৬: যদি কোন ব্যক্তি নিজেকে কোন কাজ করতে আইনগত ভাবে বাধ্য মনে করে সরল বিশ্বাসে কোন কার্য সম্পাদন করলে তার উক্ত কার্য অপরাধ হবে না।
ধারা ৭৭: আদালতের বিচার বিষয়ক কার্য পরিচালনার জন্য বিচারক সরল বিশ্বাসে যে ক্ষমতা প্রয়োগ করবে তা অপরাধ নয়।
ধারা ৭৮: আদালতের রায় বা আদেশ অনুসারে সম্পাদিত কাজ। Execution of Punishment.
ধারা ৭৯: আইন সমর্থিত বা সরল বিশ্বাস নিজেকে আইন সমর্থিত বলে বিশ্বাস কারী ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত কাজ।
Justified by Law.
ধারা ৮০: আইনানুগ কার্য সম্পাদন কালে কোনো দুর্ঘটনার ফলে ক্ষতি হলে তা অপরাধ নয়। Lawful কাজ।
যেমন: কুঠার দিয়ে কাজ গাছ কাটতে গিয়ে মানুষ মারা গেলে।
ধারা ৮১: সম্ভাব্য ক্ষতিকারক কাজ যা অপরাধমূলক অভিপ্রায় ছাড়া করা হয়েছে তা অপরাধ নয়।
যেমন: নৌকা ডুবানোর সময় অনেক মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে কিছু মানুষকে মারলে তা অপরাধ হবে না।
ধারা ৮২: ৯ বছরের কম বয়সী শিশুর কোন কাজই অপরাধ নয়। শিশুর বয়স ৭ বছর থেকে ৯ বছর করা হয় ২০০৪ সালে।
ধারা ৮৩: ৯ বছরের উপর এবং ১২ বছরের কম বয়স্ক অপরিনাম বোধ শক্তি সম্পন্ন শিশুর কাজ অপরাধ নয়। অর্থাৎ বোধশক্তিসম্পন্ন হলে উক্ত শিশুর কাজ হতে পারে।
ধারা ৮৪: অপকৃতিস্ত (Unsound mind) ব্যক্তির কোন কাজই অপরাধ নয়।
ধারা ৮৫: অনিচ্ছাকৃত নেশা গ্ৰস্থ ব্যক্তি কর্তৃক কৃত কাজ অপরাধ হবে না, যদি সে তার কাজের প্রকৃতি বুঝতে অক্ষম হয়।
ধারা ৮৬:
যে অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞানের বা ইচ্ছা থাকা দরকার নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি কর্তৃক এমন অপরাধ করলে, সে দোষী হবে।
ধারা ৮৭, ৮৮, এবং ৮৯ (অনুমতি)
ধারা ৮৭:
মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত ঘটনার জন্য অভিপ্ৰায় না থাকলে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত হতে পারে এমন সম্ভাবনাপূর্ণ অজানা
কাজ সম্মতিসহ করলে তা অপরাধ নয়।
যেমন: খেলাধুলা করতে গিয়ে আঘাত পাওয়া।
ধারা ৮৮:
মৃত্যু ঘটানোর জন্য অভিপ্ৰায় নাই কিন্তু এমন কাজ যা ব্যক্তি বিশেষের উপকার করার জন্য সরল বিশ্বাসে সম্মতিসহ সম্পাদন করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
এই ধারাবলে ডাক্তাররা সরল বিশ্বাসে কোন রোগীর মঙ্গলে কোন কাজ করলে অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
ধারা ৮৯:
অভিভাবক বা তার সম্মতি নিয়ে শিশু বা অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তির মঙ্গলের জন্য সরল বিশ্বাসে যে কাজ করা হয় তা অপরাধ নয়।
সম্মতি
ধারা ৯০, ৯১ এবং ৯২
ধারা ৯০:
নিম্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি সম্মতি প্রদান করলেও তা সম্মতি বলে বিবেচ্য হবে না:
১। ক্ষতির ভয় দেখিয়ে বা তথ্যের ভ্রান্ত বর্ণনার মাধ্যমে সম্মতি নিলে ।
২। অপ্ৰকৃতস্থ ব্যক্তির সম্মতি।
৩ । ১২ বছরের কম বয়সের শিশুর সম্মতি ।
ধারা ৯১:
যে কাজ করলে অপরাধ হয়, এই কারণে যে, তা অন্যের ক্ষতিকরে বা অন্যকে আঘাত করে, সেই কাজ ক্ষতিগ্রস্থ বা আহত ব্যক্তির অনুমতি নিয়ে করলে কতিপয় বিশেষ শর্তের অধীনে অপরাধ হয় না। যেমন: নারী জীবন রক্ষার জন্য গর্ভপাত ঘটানো কোন অপরাধ নয়।
ধারা ৯২:
সম্মতি ছাড়াই কোন ব্যক্তির মঙ্গল করার জন্য সরল বিশ্বাসে কোন কাজ করলে তা অপরাধ নয় ।
ধারা ৯৩। সরল বিশ্বাসে দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে কোন ব্যক্তির ক্ষতি সাধিত হলে তা অপরাধ নয়।
ধারা ৯৪। খুন ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডে শাস্তিযোগ্য অপরাধ ছাড়া ভয় ভীতি বা হুমকির কারণে বাধ্য হয়ে করা কাজ অপরাধ নয়।
ধারা ৯৫। সামান্য ও তুচ্ছ ঘটনা অপরাধজনক হলেও শাস্তি প্রদান করা যাবে না। যেমন পায়ের উপর পাড়া লাগা, গায়ে ধাক্কা লাগা ইত্যাদি হচ্ছে তুচ্ছ অপরাধ।
****
ধারা-৯৬: ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষায় কৃত কোন বিষয়ই অপরাধ নয়।
ধারা-৯৭: ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার ক্ষেত্র দুইটি:
১) নিজের বা অন্য কারোর শরীর ও ২) স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত রক্ষার জন্য ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার ক্ষমতা প্রয়োগ করা যায়।
ধারা-৯৮: যে সকল ব্যক্তিদের বিষয়ে আত্মরক্ষা করা যায়:
অপ্রকৃতিস্থ, নেশা গ্ৰস্থ, তরুণ, অপরিণত বিবেকবান ইত্যাদি ব্যক্তির কার্যের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগ করা যায়।
ধারা-৯৯: যখন আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করা যায় না:
১। সরকারি কর্মকর্তার বা
২। সরকারি কর্মকর্তার নির্দেশে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক কৃত কোন কাজের বিরুদ্ধে।
৩। সরকার কাছে আশ্রয় লাভের সময় থ।
ধারা-১০০: ছয়টি ক্ষেত্রে দেহ রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটানো যায়।
ধারা-১০১: ৬ টি ক্ষেত্রে ছাড়া আত্মরক্ষার জন্য মৃত্যু ঘটানো যাবে না কিন্তু ৬ টি ক্ষেত্রে ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার জন্য ক্ষতি করা যাবে।
ধারা-১০২: দেহের ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার/ আত্মরক্ষার অধিকারের আরম্ভকাল ও স্থিতিকাল।
ধারা-১০৩: যেক্ষেত্রে সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটাবার যায়।
৪ টি ক্ষেত্রে সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটাবার যায়।
ধারা-১০৪: ৪ টি ক্ষেত্র ছাড়া সম্পত্তি রক্ষার জন্য মৃত্যু ব্যতীত অপর কোন ক্ষতি সাধন করা যায়।
ধারা-১০৫: সম্পত্তি জন্য আত্মরক্ষার অধিকারের আরম্ভকাল ও স্থিতিকাল।
ধারা-১০৬: মারাত্মক আক্রমনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার বা প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে নিরাপরাধ ব্যক্তির প্রতি ক্ষতি সাধিত হলে তা অপরাধ নয়।
ধারা-১০৭: অপরাধের সহায়তা। (Abetment)
তিন ভাবে করা যেতে পারে:
1. প্ররোচনার মাধ্যমে,
2. ষড়যন্ত্রের অংশ নিয়ে,
3. ইচ্ছা কৃত ভাবে সাহায্য করে কার্য বা কার্য বিরতি দ্বারা।
ধারা-১০৮: প্ররোচনার দাতার সংজ্ঞা
ধারা-১০৯: প্ররোচনার দাতার শাস্তি।
২ টি নির্ধারিত শাস্তি বা নির্ধারিত শাস্তি না থাকলে মূল অপরাধের জন্য নির্ধারিত শাস্তি দন্ডিত হবে।
ধারা: ১২০: কারাদন্ড দন্ডনীয় অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্র গোপন করা।
অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র:
ধারা-১২০(ক): অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা ।
ধারা-১২০(খ):অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের শাস্তি।
মূল অপরাধের সাহায্যেকারীর সমান।
রাষ্টের বিরুদ্ধে অপরাধ: ১২১ থেকে ১৩০:
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
১২১ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বা যুদ্ধ ঘোষণার উদ্যোগ করা বা যুদ্ধ ঘোষণার সহায়তা করা।
মৃত্যুদণ্ডে, বা
যাবজ্জীবন এবং
জরিমানা
১২১ ক
১২১ ধারাবলে শাস্তিযোগ্য অপরাধগুলো সংগঠনের ষড়যন্ত্র: যাবজ্জীবন বা অপর কোন স্বল্পতর মেয়াদের
বা যেকোন বর্ণনার বা অনধিক
১০ বৎসর এবং জরিমানা
সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২২ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের লক্ষ্যে অস্ত্রশস্ত্র প্রভৃতি সংগ্রহ করা। যাবজ্জীবন বা যেকোন বর্ণনার সশ্রম বা
বিনাশ্রম অনধিক
১০ বৎসর এবং জরিমানা
সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৩ যুদ্ধ সুগম করার ইচ্ছায় চক্রান্ত গোপনকরণ অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৩ক রাষ্ট্র উদ্ভব নিন্দাকরণ ও এর সার্বভৌমত্বের বিলোপ সমর্থন করা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৪ কোন আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগে বাধ্য করার বা বাধ দান করার ইচ্ছায় রাষ্ট্রপতি, গভর্ণর প্রমুখকে আক্রমণকরণ:
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৪ ক রাষ্ট্রদ্রোহিতা যাবজ্জীবন, বা
অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা
১২৫ বাংলাদেশের সঙ্গে মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ কোন এশিয়া শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাবজ্জীবন, যার সাথে অর্থদণ্ড দিতে পারে, বা
অনধিক ৭ বৎসর বা জরিমানা।
সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৮ সরকারি কর্মচারি দ্বারা স্বেচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধে বা যুদ্ধাপরাধে কারারুদ্ধ বন্দিকে পালিয়ে যেতে দেওয়া যাবজীবন বা
অনধিক
১০ বৎসর এবং জরিমানা
সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৯ সরকারি কর্মচারির অবহেলাপূর্বক এরুপ বন্দীকে পালিয়ে যেতে দেওয়া
অনধিক ৩ বৎসর
এবং জরিমানা বিনাশ্রম
১৩০ অনুরূপ বন্দীকে পলায়নে সহায়তা, উদ্ধার করা বা আশ্রয় দেওয়া ১০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং অর্থ দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা
বিনাশ্রম
জনশৃঙ্খলা বিরোধী অপরাধ: ধারা ১৪১ থেকে ১৬০
বেআইনী সমাবেশ সংঘটনের শাস্তি:
ধারা-১৪১: বেআইনী সমাবেশ।
পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি অপরাধের উদ্দেশ্যে কোন জায়গায় একত্রিত হলে তাকে বেআইনী সমাবেশ বলে।
ধারা-১৪২: বেআইনী সমাবেশের সদস্য হওয়া।
ধারা-১৪৩: বেআইনী সমাবেশের সদস্য হওয়ার শাস্তি/
অনাধিক ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-১৪৪: মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী সমাবেশে যোগদান।
অনাধিক ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-১৪৫: কোন বেআইনী সমাবেশ ছাত্র ভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেনে ও তাতে যোগদান করা বা তাতে অবস্থান করা।
অনাধিক ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
দাঙ্গা (Riot)
ধারা-১৪৬: দাঙ্গা সংজ্ঞা।
কোন বেআইনী সমাবেশে কোন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যদি উগ্ৰতা প্রকাশ করা হয় বা বল প্রয়োগ করা হয় তাহলে তাকে দাঙ্গা বলে।
ধারা-১৪৭: দাঙ্গার শাস্তি।
অনাধিক ২ বৎসর কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-১৪৮:মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত/ নিয়ে হইয়া দাঙ্গা অনুষ্ঠান করণ/
অনাধিক ৩ বৎসর কারাদন্ড বা অথদণ্ড বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-১৪৯: সাধারণ উদ্দেশ্যের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত অপরাধের জন্য বে-আইনী সমাবেশের প্রত্যেক সদস্য দোষী।
ধারা: ১৫১: পাঁচ বা ততোধিক লোকের সমাবেশ ছাত্র ভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেনে ও তাতে যোগদান করা বা অবস্থান করা।
অনাধিক ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা: ১৫২: দাঙ্গা, প্রভৃতি দমনকালে সরকার কর্মচারীকে আক্রমণ বা বাধা দান করা।
অনাধিক ৩ বৎসর কারাদন্ড বা অথদণ্ড বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
মারামারি (Affray):
ধারা ১৫৯: দুই বা ততোধিক ব্যক্তি প্রকাশ্য জায়গায় ঝগড়া করে গণশান্তি ভঙ্গ করলে তখন তারা মারামারি করেছে বলে বিবেচিত হবে।
ধারা ১৬০: মারামারি সংঘটনের শাস্তি:
১ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনাধিক ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দন্ডিত হতে পারে বা উভয় দন্ডিত হবে।
সরকারি কর্মচারী কর্তৃক অপরাধসমূহ
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
১৬১ সরকারি কর্মচারি দ্বারা কোন সরকারি কার্য বিষয়ে বৈধ পারিশ্রমিক ছাড়া অপরবিধ পারতোষিক গ্রহণ: (ঘুষ) অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৬৬ কোন লোকের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে সরকারি
কর্মচারি দ্বারা আইন অমান্য করণ অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় বিনাশ্রম
১৬৮ সরকারি কর্মচারির বেআইনীভাবে ব্যবসায়ে লিপ্ত হওয়া: অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় বিনাশ্রম
১৭০ সরকারি কর্মচারি বলে মিথ্যা পরিচয় দান অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৭১ E নির্বাচনে ঘুষের শাস্তি: তবে আপ্যায়নের মাধ্যমে ঘুষ দিলে শুধু জরিমানা। আপ্যায়ন বলতে
বুঝাবে খাদ্য, পানীয়, বকশিশ। অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৭১ F নির্বাচনে অযৌক্তিক প্রভাব বিস্তার বা ছদ্মবেশ ধারণের শাস্তি: অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
সমন গ্রহণ না করা, দলিল পেশ না করা, মিথ্যা সংবাদ দেওয়া
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
১৭২ সমন জার এড়াবার উদ্দেশ্যে আত্মগোপন করা; সরকারি কর্মচারি দিলে অনধিক ১ মাস বা
অনধিক ৫০০/-জরিমানা
বা উভয় বিনাশ্রম
সমন জার এড়াবার উদ্দেশ্যে আত্মগোপন করা; বিচারালয় স্বয়ং দিলে অনধিক ৬ মাস বা
অনধিক ১,০০০/-জরিমানা
বা উভয়
১৭৫ সরকারি কর্মচারির কাছে কোন নথিপত্র পেশ করতে আইনত বাধ্য হওয়া সত্ত্বে তা না করা: অনধিক ১ মাস বা
অনধিক ৫০০/-জরিমানা
বা উভয় বিনাশ্রম
বিচারালয়ের কাছে কোন নথিপত্র পেশ করতে আইনত বাধ্য হওয়া সত্ত্বেও তা না করা: অনধিক ৬ মাস বা
অনধিক ১,০০০/-জরিমানা
বা উভয়
১৭৭ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন: আইনগতভাবে যে তথ্য দিতে বাধ্য: অনধিক ৬ মাস বা
অনধিক ১,০০০/-জরিমানা
বা উভয় বিনাশ্রম
সে যে তথ্য সরবরাহ করার জন্য আইনতঃ বাধ্য সে তথ্যটি কোন অপরাধ অনুষ্ঠান সম্পর্কিত হয় বা কোন অপরাধ অনুষ্ঠান নিবারণের উদ্দেশ্য প্রয়োজনীয় হয় বা কোন অপরাধকারীকে গ্রেফতারের জন্য হয়। ২ বছর বা অর্থদন্ড বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৮১ শপথ বা অঙ্গীকার পরিচালনার ক্ষমতা সম্পন্ন সরকারি কর্মচারি বা লোকের কাছে শপথ বা অঙ্গীকার করে মিথ্যা বিবৃতি দান করা; অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৮৮ সরকারী কর্মচারী কর্তৃক আইনসঙ্গতভাবে জারিকৃত কোন আদেশ অমান্য করা। ( ফৌজদারি আদালত 144 ধারা অমান্য করার শাস্তি দন্ডবিধি ১৮৮ ধারা আছে। ১ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড বা ২০০ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড।/
/
৬ মাস কারাদন্ড বা ১০০০ টাকা জরিমানা বা উভয়। বিনাশ্রম/
/
সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৮৯ সরকারি কর্মচারির প্রতি ক্ষতিসাধনের হুমকি: অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৯০ নিরাপত্তা বিধানের জন্য সরকারি কর্মচারীর নিকট আবেদন করা থেকে বিরত করার জন্য কোন ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করার উদ্দেশ্যে শক্তির ভয় দেখানো। ১ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম
ধারা ১৯১: মিথ্যা সাক্ষ্য দান।
মিথ্যা সাক্ষ্য ২ ভাবে দেওয়া যায়।
1. মৌখিক ভাবে বা
2. লিখিত ভাবে।
ধারা ১৯২: মিথ্যা সাক্ষ্য সৃষ্টি করা (Fabricating False Evidence)
ধারা ১৯৩: মিথ্যা সাক্ষ্য দানের শান্তি।
অনাধিক ৭ বছর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
অন্য কোন মামলায়
অনাধিক ৩ বছর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ১৯৪: মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধের বিচারে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া বা উদ্ভাবন করা:
যে ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় বা মিথ্যা সাক্ষ্য সৃষ্টি করে, সেই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা অনুর্ধ ১০ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা দন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং যদি উক্ত মিথ্যা সাক্ষ্য দানে বা সৃষ্টির নির্দোষ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হয় ও ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করা হবে বা যাবজ্জীবন বা সশ্রম অনধিক ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
ধারা-২০১: অপরাধকে গোপন করার জন্য অপরাধের সাক্ষ্য অদৃশ্য করা বা নষ্ট করা বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করা:
মৃত্যুদণ্ডে দন্ডনীয় অপরাধের ক্ষেত্রেঃ যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ড যার মেয়াদ ৭ বছর এবং জরিমানা দণ্ডে দণ্ডলীয় হবে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছরের কারাদণ্ডে দন্ডনীয় অপরাধের ক্ষেত্রেঃ যে কোন বর্ণনার কারাদণ্ড যার মেয়াদ ৩ বছর এবং জরিমানা দণ্ডে দন্ডনীয় হবে।
১০ বছরের কম মেয়াদের কারাদণ্ডে দন্ডনীয় অপরাধের ক্ষেত্রেঃ অপরাধটির জন্য নির্ধারিত কারাদণ্ডের সর্বোচ্চ মেয়াদের এক চতুর্থাংশ হতে পারে বা জরিমানা বা উভয়।
ধারা ২১২: অপরাধিকে আশ্রয়দান।
অপরাধটি মৃত্যুদণ্ডে দন্ডনীয় হলে: মৃত্যুদণ্ডে দন্ডনীয় অপরাধিকে যে ব্যক্তি আশ্রয়দান বা লুকিয়ে রাখে সে যেকোন বর্ণনার ৫ বৎসর এবং জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
অপরাধটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা ১০ বছরের কারাদণ্ডে দন্ডনীয় হলে: যে ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা ১০ বছর কারাদণ্ডে দন্ডনীয় অপরাধিকে আশ্রয় প্রদান করে, সে ব্যক্তি
যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ড যার মেয়াদ ৩ বৎসর এবং অর্থদণ্ডে দন্ডনীয় হবেন।
অপরাধটির দণ্ড ১ বছর থেকে ১০ বছরে কারাদণ্ডে দন্ডনীয় হলেঃ এরুপ অপরাধকারিকে আশ্রয় প্রদান করলে উক্ত অপরাধের জন্য নির্ধারিত কারাদণ্ডের সর্বোচ্চ মেয়াদ এক চতুর্থাংশ পর্যন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অপরাধকারি স্বামী বা স্ত্রী কর্তৃক আশ্রয়দান বা গোপনকরনের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য নয়।
মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানের শাস্তি:
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
১৯৩ মিথ্যা সাক্ষ্য দান করে বা মিথ্যা সাক্ষ্য তৈরি করে বিচার বিভাগীয় মামলার অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম বা বিনাশ্রম
অন্য কোন মামলায় অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৯৪ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করাবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া বা তৈরি করা যাবজ্জীবন বা সশ্রম অনধিক
১০ বৎসর এবং জরিমানা
যদি তার কারণে কোন নির্দোষ লোক
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয় ও দণ্ড বলবত হয় মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন
বা সশ্রম অনধিক
১০ বৎসর এবং জরিমানা
১৯৫ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা কারাদণ্ডে শাস্তিযোগ্য অপরাধে দন্ডিত করার মতলবে মিথ্যা সাক্ষ্যদান বা উদ্ভাবন করা অপরাধী সাব্যস্ত হলে যে, দন্ডে
দন্ডিত করা যেত সে দণ্ডে দণ্ডিত
হবে।
২০৩ কোন অপরাধ বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান। অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়
সশ্রম বা বিনাশ্রম
২১১ মিথ্যা নালিশ উথাপন
অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়
সশ্রম বা বিনাশ্রম
যদি ফৌজদার মামলা মৃত্যুদণ্ডে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা সাত বৎসর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের কারাদণ্ডে দন্ডনীয় কোন অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা হয়।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম বা বিনাশ্রম
২৬১ ক দস্যুদের বা ডাকাতদের আশ্রয় প্রদানের শাস্তি অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম
মুদ্রা সম্পর্কিত অপরাধ সমূহ:
ধারা ২৩০: মুদ্রার সংজ্ঞা।
রাষ্ট্র বা সার্বভৌম ক্ষমতাবলে স্ট্যাম্পযুক্ত বা ইস্যুকৃত ধাতব দ্রব্যকে মুদ্রা বলা হয়।
কড়ি, স্ট্যাম্পবিহীন তাম্রপিন্ড,মেডেল মুদ্রা নয়।
ধারা ২৩১: মুদ্রা নকল করা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩২: বাংলাদেশী মুদ্রা নকল করা।
যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩৩: মুদ্রা নকল করার যন্ত্র তৈরী বা বিক্রয় করা।
অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩৪: বাংলাদেশী মুদ্রা নকল করার যন্ত্র তৈরী বা বিক্রয়।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩৫: মুদ্রা নকল করার কাৰ্যে যন্ত্র বা বস্তু ব্যবহার কল্পে ঐ যন্ত্র বা বস্তু দখল করা।
অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩৫: বাংলাদেশী মুদ্রা নকল করার কাৰ্যে কোন যন্ত্র বা বস্তু ব্যবহার কল্পে ঐ যন্ত্র বা বস্তু দখল করা।
অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা।
ধারা ২৩৭: নকল মুদ্রার আমদানি বা রপ্তানি।
অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩৮: বাংলাদেশী নকল মুদ্রা আমদানি বা রপ্তানি।
যাবজ্জীবন বা সশ্রম অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা।
ধারা ২৪৬: প্রতারণামূলকভাবে বা অসাধুভাবে মুদ্রার ওজন হ্রাস করা বা গঠন পরিবর্তন।
অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমান। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৪৭: প্রতারণামূলকভাবে বা অসাধুভাবে বাংলাদেশী মুদ্রার ওজন হ্রাসকরণ বা গঠন প্ৰণালী পরিবর্তন করা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
সরকারি স্ট্যাম্প সংক্রান্ত অপরাধসমূহ:
ধারা ২৫৫: সরকারি স্ট্যাম্প জালকরণ।
যাবজ্জীবন বা সশ্রম অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা।
ধারা ২৫৬: সরকারি স্ট্যাম্প নকল করার যন্ত্রপাতি বা সামগ্রী দখলে রাখা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৫৭: সরকারি স্ট্যাম্প নকল করণার্থে যন্ত্রপাতি তৈরী বা বিক্রয় করা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৫৮: নকল সরকারি স্ট্যাম্প বিক্রয় করা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৫৯: নকল সরকারি স্ট্যাম্প দখলে রাখা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ওজন ও পরিমাপ সংক্রান্ত অপরাধসমূহ
ধারা ২৬৪: ওজনের জন্য মিথ্যা যন্ত্রের প্রতারণামূলক ব্যবহার।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৬৫: মিথ্যা ওজন বা মাপকাঠির প্রতারণামূলক ব্যবহার।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৬৬: মিথ্যা ওজন বা মাপার যন্ত্র দখলে রাখা।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৬৭: মিথ্যা বাটখারা বা মাপকাঠি তৈরী বা বিক্রয় করা।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা সংক্রান্ত অপরাধ:
ধারা২৭২: বিক্রয়ের জন্য অভিপ্রেত খাদ্য বা পানীয় দ্রব্যে ভেজাল মিশ্রণ।
অনধিক ৬ মাস বা অনধিক ১০০০/-জরিমানা বা উভয়।সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৭৩: অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বা পানীয় বিক্রয।
অনধিক ৬ মাস বা অনধিক ১০০০/-জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৭৪: ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ।
অনধিক ৬ মাস বা অনধিক ১০০০/-জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৭৫: ভেজাল মিশ্রিত ঔষধ বিক্রয় করা।
অনধিক ৬ মাস বা অনধিক ১০০০/-জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯২: অশ্লীল পুস্তকাদি বিক্রয়।
অনধিক ৩ মাস বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৩: ২০ বছরের নিচে বা অল্পবয়স্ক লোকের কাছে অশ্লীল বস্তু বিক্রয় ইত্যাদি।
অনধিক ৬ মাস বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৪: অশ্লীল কার্য ও গান।
অনধিক ৩ মাস বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৪ ক: লটারি অফিস পরিচালনা করা।
অনধিক ৬ মাস বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৫: যে কোন ব্যক্তি বিশেষ ধৰ্মবোধে অবমাননা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে উপাসনালয়ের ক্ষতিসাধন করা বা অপবিত্র করা।
অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৫ ক: যে কোন ব্যক্তি বিশেষ ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করে ঐ যে কোন ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত হানার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত বিদ্বেষাত্মক কাৰ্যগুলো।
অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৬: ধৰ্মীয় সমাবেশে গোলমাল সৃষ্টি।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৭: সমাধিস্থান ইত্যাদিতে অনধিকার প্রবেশ।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৮: ধর্মীয় অনুভূতি আহত করার উদ্দেশ্যে অভিসন্ধিক্রমে শব্দ প্রভৃতি উচ্চারণ করা।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
ধারা-২৯৯: দন্ডনীয় নরহত্যা -এর সংজ্ঞা।
ধারা-৩০০: অপরাধ মূলক নরহত্যা যখন খুনের পর্যায়ে পড়ে।
খুন-এর সংজ্ঞা।
ধারা-৩০১: যে ব্যক্তির মৃত্যু অভীষ্ট ছিল সে ব্যক্তি ভিন্ন অন্য কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটিয়ে দন্ডাহ নরহত্যা অনুষ্ঠান।
সে যেই লোকের মৃত্যু ঘটানোর ইচ্ছা করেছিল বা যার মৃত্যু ঘটাতে পারে বলে সে জানত, তার মৃত্যু ঘটলে এটা যেইরুপ শাস্তি হয় ঠিক একই বর্ণনার শাস্তি হবে।
ধারা-৩০২: খুনের শাস্তি।
মৃতদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড।
ধারা-৩০৩: যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত লোক দ্বারা খুনের শাস্তি।
একমাত্র মৃতদন্ড।
ধারা ৩০৪: খুন বলে গণ্য নয় এরূপ দন্ডনিয় নরহত্যার শাস্তি।
যাবজ্জীবন বা দশ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-৩০৪(ক): অবহেলার ফলে ঘটিত মৃত্যু।
অনাধিক ৫ বৎসর কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-৩০৪ (খ) বেপরোয়া যান বা অশ্ব চালনার দ্বারা মৃত্যু ঘটানো/
অনাধিক ৩ বৎসর কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩০৫: ১৮ বৎসরের নিম্ন বয়স্ক শিশু বা উন্মাদ, নির্বোধ/ মাতাল/ বিকাল গ্ৰস্থ লোকের আত্মহত্যায় সহায়তাকরণ বা প্ররোচনাদান।
মৃতদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা অনধিক ১০ বৎসর এবং অর্থদন্ড। মৃতদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড।
ধারা-৩০৬: যেকোন আত্মহত্যায় সহায়তাকরন বা প্ররোচনা।
অনাধিক ১০ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-৩০৭ খুনের উদ্যোগ/ চেষ্টা।
অনাধিক ১০ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
তবে উক্ত কার্যের সাহায্যে কোন ব্যক্তিকে আঘাত করা হলে। যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বছর এবং জরিমানা।
ধারা ৩০৭: যাবজ্জীবন দণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ দ্বারা উদ্যোগ করলে এবং উক্ত কার্যের সাহায্যে কোন ব্যক্তিকে আঘাত করা হলে।
মৃত্যুদণ্ড।
ধারা ৩০৮: শাস্তিযোগ্য নরহত্যার চেষ্টা করে এবং আঘাত সংঘটিত হলে।
অনধিক ৭ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
চেষ্টা করলে :
অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়।
ধারা ৩০৯: আত্মহত্যার চেষ্টা।
অনধিক ১ বৎসর কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয়। বিনাশ্রম।
ধারা ৩১০: ঠগ (Thug)।
কোন ব্যক্তি যদি খুনের সাথে বা খুন করে দস্যুতা সংঘটিত বা শিশু অপহরনের উদ্দেশ্যে অভ্যাসগতভাবে অপর এক বা একাধিক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা করে, তাহলে সে ব্যক্তি ঠগ।
ধারা: ৩১১ ঠগ এর শাস্তি।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অর্থদণ্ডে দন্ডিত হবে।
ধারা: ৩১২: অবৈধ গর্ভপাত করানো।
অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
তবে শিশুর বিচলন অনুভব করার পর গর্ভপাত করলে।
৭ বছর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩১৩: স্ত্রীলোকের বিনা সম্মতিতে গর্ভপাত করানো।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারাঃ ৩১৪। গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে কৃত কাজের ফলে শিশুর মৃত্যু।
অনধিক ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারাঃ ৩১৫। শিশুর জীবন্ত ভূমিষ্ঠ হওয়ায় বাধাদান করিবার বা জন্মের পর উহার মৃত্যু ঘটাইবার উদ্দেশ্যে কৃত কার্য।
অনধিক ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।
ধারা ৩১৬: গর্ভপাত ঘটানোর উদ্দেশ্যে সম্পন্ন কার্যের কারণে স্ত্রীলোকের মৃত্যু।
অনধিক ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩১৭: পিতা বা মাতা বা তত্ত্বাবধায়ক দ্বারা ১২ বছরের নিম্নবয়স্ক শিশুকে পরিত্যাগ ও বর্জন|
অনধিক ৭ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
আঘাত সম্পর্কিত অপরাধসমুহ (Offences Relating to Hurt)
ধারা ৩১৯: আঘাত (Hurt ) আঘাত-এর সংজ্ঞা।
কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তির দৈহিক যন্ত্রনা, ব্যাধি বা বৈকল্য ঘটায়, তাহলে সেই ব্যক্তি আঘাত দান করেছে বলে বিবেচিত হবে।
ধারা ৩২০: গুরুতর আঘাত-এর সংজ্ঞা।
গুরুতর আঘাত (Grievous hurt ):
দণ্ডবিধির ৩২০ ধারাতে নিম্নেবণিত ৮ ধরনের গুরুতর বা মারাত্মক আঘাতের কথা উল্লেখ আছে:
১ । পুরুষত্বহানি ঘটানো।
২। স্থায়ীভাবে যেকোন চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করা।
৩। স্থায়ীভাবে যেকোন কানের ক্ষতি শক্তি নষ্ট করা।
৪ । যেকোন অঙ্গ বা গ্রন্থির অনিষ্টসাধন করা
৫। যেকোন অঙ্গ বা গ্রন্থির শক্তি ধ্বংস করা বা স্থায়ী ক্ষতিসাধন করা।
৬। মাথা বা মুখমন্ডলের স্থায়ীভাবে বিকৃতি করা।
৭। কোন অস্থি|হাড় বা দাত ভাঙ্গা বা গ্রন্থিচত করা।
৮। যে আঘাত জীবন বিপন্ন করে বা আঘাত প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ২০ দিন পর্যন্ত প্রচন্ড দৈহিক যন্ত্রনা দেয় বা তাকে সাধারণ কাজ করতে অপারগ করে।
ধারা ৩২১: স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দান করা।
ইচ্ছাপূর্বক আঘাতকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত বলে।
ধারা ৩২২: স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত দানকরন।
ইচ্ছাপূৰ্বক গুরুতর আঘাতকে ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাতবলে।
ধারা ৩২৩: স্বেচ্ছাকৃত আঘাত দানে শাস্তি।
ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত প্রদানের শাস্তি|
অনধিক ১ বৎসর বা ১০০০/- জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩২৪: স্বেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্রের দ্বারা আঘাত দানে শাস্তি।
ইচ্ছাকৃতভাবে বিপজ্জনক অস্ত্রের সাহায্যে বা বিপজ্জনক উপায়ে আঘাত দান করা।
অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩২৫: স্বেচ্ছাকৃত ভাবে গুরুতর আঘাত প্রদানের শাস্তি।
ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাতের শাস্তি।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা| সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩২৬: সেচ্ছাকৃত ভাবে মারাত্মক অস্ত্র দ্বারা গুরুতর আঘাতের শাস্তি।
ইচ্ছাকৃতভাবে বিপজ্জনক অস্ত্র বা বিপজ্জনক উপায়ে গুরুতর আঘাত দান|
যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩২৬ ক: ইচ্ছাকৃতভাবে দুইটি চোখ উপড়ীয়ে বা এসিড জাতীয় পদার্থ মাধ্যমে চোখ দুইটির দৃষ্টি নষ্টকরণ বা মুখমণ্ডল বা মস্তক এসিড মাধ্যমে বিকৃতি করা।
মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন এবং জরিমানা।
ধারা ৩৩৪: প্ররোচনার কারণে স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা।
অনধিক ১ মাস বা ৫০০/- জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রয়।
ধারা ৩৩৫: প্ররোচনার কারণে স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত করা।
অনধিক ৪ বৎসর বা ২,০০০ /- জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
অবৈধ বাধা এবং অবৈধ আটক (wrongful Restrain & wrongful Confinment)
ধারা ৩৩৯: অবৈধ বাধার সংজ্ঞা।
অবৈধ বাধা (wrongful Restrain):
কোন ব্যক্তিকে তার যে দিকে যাবার অধিকার আছে, সেদিকে যেতে বাধা দেওয়াকে অবৈধ বাধা বলে। কিন্তু কোন বেসরকারি স্থল বা জলপথে বাধা প্রদানের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য নয়।
ধারা ৩৪০: অবৈধ আটকের সংজ্ঞা।
অবৈধ আটক(Wrongful Confinment)
কোন ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধ এলাকার বাইরে যেতে বাধা দেওয়াকে অবৈধ আটক বলে।
ধারা ৩৪১: অবৈধ বাধাদানের শাস্তিঃ
অনধিক ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দন্ডিত হতে পারে।
ধারা ৩৪২: অবৈধ আটকের শাস্তি।
অবৈধ আটকের শাস্তি:
অনধিক ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে।
ধারা ৩৪৩: তিন বা ততোধিক দিনের জন্য অবৈধ অবরোধ।
অনধিক ২ বছরের কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয়।
ধারা ৩৪৪: দশ বা ততোধিক দিনব্যাপী অবৈধ অবরোধ।
অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা| সশ্রম বা বিনাশ্রম।
অপরাধজনক বলপ্রয়োগ ও আক্রমণ (Criminal Force & Assult)
বলপ্রয়োগের সংজ্ঞা (Force): ধারা ৩৪৯
কোন ব্যক্তির বা বস্তুর গতি সঞ্চার করলে, বা তার গতি পরিবর্তন করলে বা করলে, ধরা হবে বলপ্রয়োগ হয়েছে।
অপরাধজনক বলপ্রয়োগ (Criminal Forcc): ধারা ৩৫০
কোন অপরাধ সংঘটন করার উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি বা বস্তুর গতি সঞ্চার, পরিবর্তন বা স্তব্ধ করলে তাকে অপরাধজনক বল প্রয়োগ বলে ।
আক্রমণ (Assult): ধারা ৩৫১
কোন ব্যক্তি এমনভাবে অঙ্গভঙ্গী বা প্রস্তুতি নেয়, যা দেখে অন্য কোন ব্যক্তির মনে ভয় অনুভূত হতে পারে, এরুপ ক্ষেত্রে বলা হবে উক্ত ব্যক্তি আক্রমণ করেছে। শুধু কথার মাধ্যমে আক্রমণ হবে না। তবে কথার সাথে Gsture or Preparation থাকবে।
অপরাধ শাস্তি
ধারা ৩৫২: গুরুতর আকস্মিক উত্তেজনার ফল ব্যতীত প্রকারান্তরে আক্রমণ বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগের শাস্তি।
অনধিক ৩ মাস বা ৫০০/- জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৫৩: সরকারি কর্মচারীকে তার কর্তব্য পালনে বাধাদানের নিমিত্ত আক্রমণ ও অপরাধ মূলক বলপ্রয়োগ।
অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৫৪: কোন নারীর শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তাকে আক্রমণ ও তৎপ্রতি অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ।
[শ্লীলতাহানির অভিপ্ৰায়ে কোন স্ত্রীলোকের উপর আক্রমণ বা অপরাধজনক বলপ্রয়োগ]
অনধিক ২ বৎসর কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৫৫: গুরুতর উত্তেজনা বশতঃ ব্যতীত, প্রকারান্তরে কোন ব্যক্তিকে অপমান করার অভিপ্রায়ে আক্রমণ বা অপরাধমূলক বল প্রয়োগ।*
অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৫৮: গুরুতর উত্তেজনাবশতঃ আক্রমণ বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ।*
অনধিক ১ মাস বা ২০০/- জরিমানা বা উভয়। বিনাশ্রম।
Kidnapping & Abduction:
ধারা ৩৫৯: লোক অপহরণঃ
[মনুষ্য হরণ। (Kidnapping)]
দণ্ডবিধির ৩৫৯ ধারাতে Kidnapping কে ২ ভাগে ভাগ করেছে:
১। বাংলাদেশ থেকে লোক অপহরণ/মনুষ্যহরণ/পাচার (Kidnapping from Bangladesh)
২। আইনানুগ অভিভাবকত্ব থেকে লোক অপহরণ (Kidnapping from Lawful guardianship)
ধারা ৩৬০: বাংলাদেশ থেকে লোক অপহরণ।
[বাংলাদেশ হতে অপহরণ।]
কোন ব্যক্তির সম্মতি বা তার পক্ষে ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া তাকে বাংলাদেশের সীমানার বাইরে নিয়ে যাওয়াকে বাংলাদেশ থেকে লোক অপহরণ বলা হবে।
ধারা ৩৬১: আইনানুগ অভিভাবকত্ব থেকে লোক অপহরণ:
[বৈধ অভিভাবকতু হতে অপহরণ।]
১। ১৪ বছরের কম বয়সী নাবালক পুরুষ বা
২। ১৬ বছরের কম বয়সী নাবালিকা মেয়ে বা
৩। অপ্রকৃতস্থ লোক কে তাদের আইনানুগ অভিভাবককের সম্মতি না নিয়ে বা প্রলুব্ধ করে তাদেরকে নিয়ে যাওয়াকে বলা হবে আইনানুগ অভিভাকত্ব থেকে লোক অপহরণ।
ধারা ৩৬৩: লোক অপহরণের শাস্তি:
বাংলাদেশ থেকে বা আইনানুগ অভিভাবক থেকে লোক অপহরণ করলে শাস্তি হচ্ছে।
অনধিক ৭ বছর কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে।
ধারা ৩৬২: অপবাহণ সংজ্ঞা (Abduction):
লোক প্রতারণামূলকভাবে বা বলপ্রয়োগ করে অন্য কোন ব্যক্তিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করার জন্য বাধ্য করলে, বলা হবে ঐ লোক ঐ ব্যক্তি অপবাহণ করেছে।
ধারা ৩৬৪: খুন করার উদ্দেশ্যে লোক অপহরণ বা অপবাহণ। অপহরণের শাস্তি। *
যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম ।
ধারা ৩৬8ক: দশ বৎসরের নিম্ন বয়স্ক কোন লোককে অপহরণ বা অপবাহণ করা:*
মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন বা অনধিক ১৪ বৎসর এবং সর্বনিম্ন ৭ বৎসর। সশ্রম।
ধারা ৩৬৬: কোন স্ত্রীলোককে বিবাহ প্রভৃতিতে বাধ্য করার জন্যে অপহরণ বা প্ররোচিতকরণ। *
অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৬৬ক: ১৮ বৎসরের কম বয়সের/ অপ্রাপ্ত বয়স্কা বালিকা সংগ্রহ করা অন্য কোন ব্যক্তির সাথে অবৈধ যৌন সহবাস করতে বাধ্য বা প্রলুদ্ধ করা। *
অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৬৬ খ: ২১ বৎসরের কম বয়সের বিদেশ হতে বালিকা আমদানী।*
অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধর্ষণ (Rape)
ধারা ৩৭৫-৩৭৬
ধারা ৩৭৫: ধর্ষণ।
[নারী ধর্ষণ।]
নিমেবর্ণিত ৫টি উপাদানের যেকোন অবস্থায় নারীর সাথে যৌনসহবাস করলে তা নারী ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে।
১। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
২। তার সম্মতি ছাড়া।
৩। মৃত্যু বা আঘাতের ভয় দেখিয়ে সন্মতি আদায় করা হলে।
৪। তার সম্মতিতে যখন উক্ত নারী মনে করে পুরুষ লোকটি তার স্বামী, তবে পুরুষলোকটি জানে সে উক্ত মহিলার স্বামী নয়।
৫। তার বয়স যদি ১৪ বছরের কম হয় সেক্ষেত্রে সম্মতি বা সম্মতি ছাড়া।
তথ্যকণিকা।
১। ১৩ বছরের কম বয়স্ক স্ত্রীর সাথে স্বামী যৌনসহবাস করলে সেটা ধর্ষণ হবে।
২। ১৪ বছরের কম বয়স্ক নারীর সম্মতিসহ বা সম্মতি ছাড়া যৌনসহবাস করলে তা ধর্ষন হবে।
ধারা ৩৭৬: ধর্ষনের শাস্তি:
ধর্ষনের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৭৬: স্ত্রী ধর্ষনের শাস্তি।
ধন্বীতা যদি নিজের স্ত্রী হয় এবং ১২ বছরের কম বয়স্ক না হয় তাহলে শাস্তি ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে।
অর্থাৎ ১২ বছর থেকে ১৩ বছরের বয়সী স্ত্রীকে ধর্ষন করলে অনুরূপ শাস্তি পাবে।
তবে ১২ বছরের কম বয়সী স্ত্রী ধর্ষন করলে।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ১০ বছরের কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড হতে পারে।
সাধরনত ১৩ বছরের কম বয়সী স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে তা ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে শাস্তির ক্ষেত্রে দুই রকম বিধান আছে।
১। স্ত্রীর বয়স ১২ বছরের কম হলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ১০ বছরের কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড হতে পারে।
২। স্ত্রীর বয়স ১৩ বছরের কম কিন্তু ১২ বছরের কম না হলে, শাস্তি ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে।
ধারাঃ ৩৭৭। অস্বাভাবিক অপরাধসমূহ
কোন ব্যক্তি যদি প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে কোন পুরুষ, স্ত্রীলোক বা পশুর সাথে যৌন সঙ্গম করে, তবে সে ব্যক্তি
যাবজীবন কারাদণ্ডে, বা ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৭৮: চুরি (Theft)
কোন ব্যক্তি যদি কারো দখল থেকে অস্থাবর সম্পত্তি তার সম্মতি ছাড়া অসাধুভাবে গ্রহণ করার অভিপ্রায়ে উক্ত সম্পত্তি স্থানান্তর করে, তাহলে ঐ ব্যক্তি চুরি করেছে বলে গণ্য হবে।
ধারা ৩৭৯: চুরির শান্তি।
চুরি করলে অনধিক ৩ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
তথ্য কণিকা:
১। চুরির বিষয়বস্তু অস্থাবর সম্পত্তি।
২। একজন ব্যক্তি তার নিজের সম্পত্তি চুরি করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হতে পারে।
৩। ৩৭৮ ধারায় ৫টি ব্যাখ্যা আছে।
৪। ভূমি থেকে কোন কিছু বিচ্ছিন্ন করলে তা অস্থাবর হয়ে যাবে।
ধারা ৩৮০: বাসগৃহ ইত্যাদিতে চুরি।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৮১: করণিক বা চাকর কর্তৃক মনিবের অধিকার ভুক্ত সম্পত্তি চুরি।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৮২: চুরি করার উদ্দেশ্যে মৃত্যু ঘটানো, আঘাত দান বা আটকানোর প্রস্তুতি নেওয়ার পর চুরি সংঘটন:
অনধিক ১০ বৎসর কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম।
বলপূৰ্বক গ্রহণ (Extortion )
ধারা ৩৮৩-৩৮৪
ধারা ৩৮৩: বলপূর্বক গ্রহণের সংজ্ঞা।
[বলপূর্বক গ্রহণ-এর সংজ্ঞা]
ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে তার থেকে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ করাকে বলপূর্বক গ্রহণ বলে।
উদাহরণ:
গ, ক-কে ভয় দেখায় এইমৰ্মে যে যদি অর্থ প্রদান না করে, তা হলে গ-সম্পকে ক কুৎসামূলক লেখা প্রকাশ করবে। এই হিসেবে সে তাকে অর্থ প্রদান করার জন্য গ কে প্রবৃত্ত করে। ক বলপূর্বক গ্রহণের অপরাধ সংঘটন করেছে।
ধারা ৩৮৪: বলপূৰ্বক গ্রহণের শাস্তিঃ
অনধিক ৩ বছরের কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
তথ্যকণিকা
১। বলপূর্বক গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিষয়বস্তু হতে পারে।
২। বলপূর্বক গ্রহণের অপরাধ স্বয়ং উপস্থিত না হয়ে সংঘটিত করা যায়।
[ধারাঃ ৩৮৫। বলপূর্বক কিছু আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে কোন ক্ষতির ভয় দেখানো।
কোন ব্যক্তি যদি বল প্রয়োগে সম্পত্তি আদায় করার উদ্দেশ্যে কাউকে জখম করার ভয়ে অভিভূত করে বা জখম করার ভয়ে অভিভূত করার চেষ্টা করে।
১৪ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড দন্ডিত হবে, তবে কারাদণ্ডে মেয়াদ ৫ বৎসরের কম হবে না বা জরিমানাথ দন্ডে, বা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারাঃ ৩৮৬। কোন ব্যক্তিকে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের ভয় দেখাইয়া বলপূর্বক গ্রহণ করা।
কোন ব্যক্তি যদি কাউকে তার নিজের বা অন্য কারো মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের ভয়ে ভীতি প্রদর্শন করে বল প্রয়োগে সম্পত্তি আদায় করে।
১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-৩৮৭: বলপূবক গ্ৰহণের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের ভীতি প্রদর্শন করা।
কোন ব্যক্তি যদি বল প্রয়োগে সম্পত্তি আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে তার নিজের বা অন্য কারো মৃত্যুর বা গুরুতর আঘাতের ভয়ে ভীতি প্রদর্শন করে বা করার চেষ্টা করে।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড তবে সাত বৎসর কম হবে না এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।]
দস্যুতা (Robbey)
ধারা ৩৯০ ও ৩৯২
ধারা ৩৯০: দস্যুতার সংজ্ঞা।
প্রত্যেক দস্যুতায় হয় চুরি না হয় বলপূর্বক গ্রহণ রয়েছে।
ধারা-৩৯১: ডাকাতির সংজ্ঞা।
চুরি যখন দস্যুতাঃ
যদি কোন ব্যক্তি চুরি করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটায় বা আঘাত করে বা অবৈধভাবে আটক রাখে বা তাৎক্ষণিক মৃত্যু বা তাৎক্ষণিক আঘাত বা তাৎক্ষণিক আটক রাখার ভয় দেখায়, তাহলে ঐ চুরি দস্যুতার সামিল হবে।
বলপূর্বক গ্রহণ যখন দস্যুতাঃ
বলপূৰ্বক গ্রহণকালে অপরাধী কোন ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক মৃত্যু বা তাৎক্ষণিক আঘাত বা তাৎক্ষণিক অবৈধ আটকের ভয় দেখিয়ে কোন সম্পত্তির তাৎক্ষণিক হস্তান্তর করতে বাধ্য করলে ঐ বলপূর্বক গ্রহণ দস্যুতার সামিল হবে।
উদাঃ রাজপথে খ -এর সাক্ষাৎ পায়, তাকে পিস্তল দেখায় ও খ এর অর্থ দাবি করে। ফলে খ তার অর্থ সমর্পণ করে। এক্ষেত্রে ক, খ -কে তাৎক্ষণিক আঘাতের ভয়। দেখায়ে খ -এর অর্থ বলপূর্বক গ্রহণ করেছে এবং উক্ত বলপূর্বক গ্রহণ সম্পাদনকালে তার সম্মুখে উপস্থিত রয়েছে। অতএব, ‘ক’ দস্যুতা অনুষ্ঠিত করেছে বলে গণ্য হবে।
ধারা ৩৯২: দস্যুতার শান্তিঃ
১। অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম।
২। রাজপথে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের মধ্যবর্তী সময়ে দস্যুতা সংগঠিত হলেঃ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
ধারা ৩৯৩: দস্যুতা অনুষ্ঠানের উদ্যোগঃ
যে ব্যক্তি দস্যুতা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ করে,
সে ব্যক্তি কারাদণ্ডে, যার মেয়াদ ৭ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড দন্ডিত হতে পারে, দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দন্ডে দন্ডনীয় হবে। সশ্রম।
ধারা-৩৯৪: দস্যুতা অনুষ্ঠান কালে স্বেচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত প্রদান/
যাবজ্জীবন বা ১০ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। সশ্রম।
ডাকাতি (Dacoity)
ধারা ৩৯১, ৩৯৫, ৩৯৬, ৩৯৯ ও ৪০০
ধারা ৩৯১: ডাকাতির সংজ্ঞাঃ
পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে কোন দস্যুতা সংঘটিত করলে বা করার চেষ্টা করলে বলা হবে তারা ডাকাতি করেছে।
ধারা ৩৯৫: ডাকাতির শান্তি:
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ধারা ৩৯৬: খুনসহ ডাকাতির শান্তি:
মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড দন্ডিত হতে পারে। সশ্রম।
তথ্য কণিকা:
১। ডাকাতি হতে হলে সর্বনিম্ন ৫ জন সদস্য লাগে। তবে চুরি, বলপূর্বক গ্রহণ এবং দস্যুতার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১ জন সদস্য লাগে।
২। ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়া অপরাধ।
ধারা-৩৯৭: মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত সংঘটনের উদ্যোগ সহকারে দস্যুতা বা ডাকাতি।
(আগের দিনের ডাকাতি করা আগে ডাকাত দল ঠিক করে তার ডাকাতি করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কতো টুকু ক্ষতিসাধন করবে)
৭ বৎসরের কম হবে না এমন কারাদন্ড।
ধারা ৩৯৮: মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দস্যুতা বা ডাকাতি করার চেষ্টা বা উদ্যোগ করা।
৭ বৎসরের নিম্ন কারাদন্ড হবে না।
ধারা ৩৯৯: ডাকাতি করার জন্য প্রস্তুতি:
[ডাকাতি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণ]
অনধিক ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম।
ধারা ৪০০: ডাকাত দলে থাকার শাস্তি:
[ডাকাত দলভুক্ত হবার শাস্তি]
যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম।
ধারা ৪০১: চোরের দলে থাকার শাস্তি:
অনধিক ৭ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম।
ধারা ৪০২: ডাকাতি করার ইচ্ছায় একত্রিত হওয়া।
অনধিক ৭ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম।
অসাধুভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎ/তছরুপ করা(Dishonestly/Criminal
Misappropriation of Property)
ধারা ৪০৩: অসাধুভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎকরণ।*
কোন ব্যক্তি যদি অসাধুভাবে কোন অস্থাবর সম্পত্তি আত্মসাত করে বা তার নিজস্ব ব্যবহারে পরিণত করে তাহলে সেই ব্যক্তি
অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ডে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
উদাহরণ:
‘ক' রাস্তার উপর একটি পত্র দেখতে পায় যার মধ্যে একটি নাম ঠিকানাসহ বাংক নোট ছিল। ‘ক’ ব্যাংক নোটটি সঠিক মালিককে ফিরিয়ে না দিয়ে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করে। ‘ক’ ৪০৩ ধারার আওতায় অপরাধ করেছে?
ধারা:৪০৪: মৃত ব্যক্তির মৃত্যুকালে তার দখলভূক্ত সম্পত্তি অসাধুভাবে আত্মসাৎকরণঃ
যে ব্যক্তি কোন সম্পত্তি কোন ব্যক্তির মৃত্যুকালে উক্ত মৃত ব্যক্তি দখলভুক্ত ছিল এবং তখন হতে অনুরুপ সম্পত্তি আইনানুগভাবে উহা দখল করার অধিকার সম্পন্ন কোন ব্যক্তির দখলে আসেনি বলে জেনে অনুরুপ সম্পত্তি অসাধুভাবে আত্মসাৎ করে, সে ব্যক্তি যে কোন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে,
যার মেয়াদ তিন বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড দন্ডিত হতে পারে এবং অর্থ দন্ডেও দন্ডিত হবে।
আর যদি অপরাধকারি অনুরুপ ব্যক্তি মৃত্যুকালে তৎকতৃক একজন কেরানী বা চাকর হিসেবে নিয়োজিত থেকে থাকে,
তাহলে কারাদণ্ডের মেয়াদ সাত বৎসর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে পারে।
অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ (Criminal Breach of Trust)
ধারা ৪০৫: অপরাধমুলক বিশ্বাসভঙ্গ
কোন ব্যক্তি কোন প্রকারে সম্পত্তির উপর আধিপত্যের বা বিশ্বাসের ভারভারপ্রাপ্ত (entrusted) হয়ে ঐ সম্পত্তি অসাধুভাবে আত্মসাৎ করে বা তার নিজের ব্যবহারে পরিণত করে। তাহলে সে ব্যক্তি অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করেছে বলে গণ্য হবে।
উদাহরণ:
'ক' এক মৃত ব্যক্তির দানপত্রের এক্সিকিউটর। দানপত্র যেভাবে সম্পত্তি বণ্টন করার জন্য আইনের যে নির্দেশ আছে তা ভঙ্গ করে, সে ঐ সম্পত্তি নিজের ব্যবহারের জন্য আত্মসাৎ করে। 'ক' অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করেছে।
ধারা ৪০৬: অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তি:
৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় হতে পারে।
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
৪০৭ বাহক দ্বারা অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করণ:
কোন ব্যক্তি বাহক, ঘাটের রক্ষক বা গুদামের রক্ষক হিসেবে সম্পত্তির জিম্মাদার হয়ে অনুরূপ সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করলে। অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমান সশ্রম বা বিনাশ্রম
৪০৮ কর্মচারি বা চাকর দ্বারা অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গকরণ অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমান সশ্রম বা বিনাশ্রম
৪০৯ সরকারি কর্মচারি বা ব্যাংকার, বণিক বা
বা প্রতিনিধি দ্বারা অপরাধজন বিশ্বাস ভঙ্গকর। যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা
সশ্রম বা বিনাশ্রম
চোরায়মাল (Stolen Property)
ধারা ৪১০: চোরাইমাল।
যে সম্পত্তি গুলোকে চোরায়মাল বলবেঃ
১। চুরিকৃত সম্পত্তি
২। বলপূর্বক গ্রহণকৃত সম্পত্তি।
৩। দস্যুতার ফলে হস্তান্তরিত সম্পত্তি।
৪। অপরাধমূলকভাবে আত্মসাৎ করা সম্পত্তি।
৫। অপরাধমূলকভাবে বিশ্বাসভঙ্গ করার মাধ্যমে সম্পত্তি গ্রহণ।
ধারা ৪১১: অসাধুভাবে চোরাইমাল গ্রহণ করা শাস্তি:
৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
ধারা ৪১২: ডাকাতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অপহৃত মাল অসাধুভাবে গ্রহণ করা/ ডাকাতির মাল।
ডাকাতির মাল রাখার শাস্তি।
যাবজীবন বা ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।
ধারা ৪১৫: প্রতারণা (Cheating)।
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে ফাঁকি দিয়া প্রতারণামূলকভাবে বা অসাধুভাবে উক্ত ফাঁকি দেয়া ব্যক্তিকে কোন ব্যক্তির নিকট কোন সম্পত্তি সমর্পণ করতে বা কোন ব্যক্তির কোন সম্পত্তি সংরক্ষণের ব্যাপারে সম্মতি দান করতে প্ররোচিত করে, কিংবা ইচ্ছাকৃত ভাবে অনুরূপ ফাঁকি দেয়া ব্যক্তিকে এরূপ কোন কার্য করতে বা উহা করা হতে বিরত থাকতে প্ৰবৃত্ত করে যে, সে কাজ অনুরূপ ভাবে ফাঁকি দেয়া না হলে করতে না বা করা হতে বিরত থাকত না এবং যে কাজ বা বিরতি উক্ত ব্যক্তির দেহ, মন, সুনাম বা সম্পত্তির ক্ষতি বা অনিষ্ট সাধন করে বা করার সম্ভাবনা রয়েছে, সে ব্যক্তি প্রতারণা করে বলে গণ্য হবে। ব্যাখ্যাঃ অসাধু ভাবে তথ্য গোপন করণ এ ধারার তাৎপর্যা- ধীনে ফাঁকি বলে বিবেচিত হবে।
উদাহরণ
ক) ক সিভিল সার্ভিসের সদস্য বলে অসত্যভাবে ভান করে ইচ্ছাকৃত ভাবে খ -কে ফাঁকি দেয়, এবং এরূপে তাকে ধারে মাল দেয়ার জন্য খ -কে অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করে। তার উক্ত মালের মূল্য দানের অভিপ্রায় নেই। ক প্রতারণা করে।
ধারাঃ ৪১৬। অপরের রূপ ধারণপূর্বক প্রতারণা।
মিথ্যা পরিচয় দানপূর্বক প্রতারণার (Cheating by Personation) সংজ্ঞা ৪১৬
যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তি বলে ভান করে বা জ্ঞাতসারে এক ব্যক্তিকে অপর ব্যক্তিরূপে প্রতিস্থাপিত করে কিংবা সে বা অপর কোন ব্যক্তি সে বা অনুরূপ অপর ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি সে ব্যক্তি হতে ভিন্ন কোন ব্যক্তি বলে পরিচয় দান করে প্রতারণা করলে, সে ব্যক্তি ‘অপরের রূপ ধারণপূর্বক প্রতারণা করে বলে গণ্য হবে। ব্যাখ্যাঃ যে ব্যক্তির রূপ ধারণ করা হয়, সে ব্যক্তি কোন প্রকৃত বা কল্পিত যা-ই হোক না কেন, অপরাধটি হবে।
উদাহরণ:
ক) ক নিজের একই নামের কোন এক বিত্তশালী ব্যাংকার বলে ভান করে প্রতারণা করে। ক মিথ্যা পরিচয় দানপূর্বক প্রতারণা করে।
খ) ক নিজেকে খ বলে ভান করে প্রতারণা করে। খ, জনৈক মৃত ব্যক্তি। ক মিথ্যা পরিচয় দানপূর্বক প্রতারণা প্রতারণা করে।
ধারা ৪২০: প্রতারণা ও সম্পত্তি সমর্পণ করার জন্য। অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করাঃ (Cheating and dishonestly inducing deliver of property)
যদি কোন ব্যক্তি প্রতারণা করে এবং তা দ্বারা অনুরূপ প্রতারিত ব্যক্তিকে কোন ব্যক্তির নিকট কোন সম্পত্তি সমর্পণ করতে অথবা কোন মূল্যবান জামানত কিংবা মূল্যবান জামানতে রূপান্তরিত হওয়ার যোগ্য কোন স্বাক্ষরিত বা সীলমোহরকৃত বস্তু প্রস্তুত, পরিবর্তন, অথবা সম্পূর্ণরূপে বা অংশতঃ বিনষ্ট করার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করে, সে ব্যক্তি যেকোন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে, যার মেয়াদ ৭ বৎসর পর্যন্ত এবং অর্থদন্ডে দণ্ডনীয় হবে।
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
৪১৭ প্রতারণার শাস্তি: অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়
সশ্রম বা বিনাশ্রম
৪১৯ অপরের রূপ ধারণ পূর্বক প্রতারণা করার শাস্তি:* অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
৪২০ প্রতারণা ও সম্পত্তি সমর্পণ করার জন্য অসাধুভাবে প্ররোচিত করা* অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম বা বিনাশ্রম
১। প্রতারণার সংজ্ঞা ৪১৫ ধারায় দেওয়া হয়েছে।
২। মিথ্যা পরিচয় দানপূর্বক প্রতারণার (Cheating by Personation) সংজ্ঞা ৪১৬ ধারায় দেওয়া হয়েছে।
অনষ্টিকর/ক্ষতিসাধন(Mischief)
ধারা ৪২৫-৪২৬
ধারা ৪২৫: অনিষ্ট বা বিনাশ:
কোন ব্যক্তি যদি জনসাধারণের বা কোন বিশেষ ব্যক্তির অবৈধ ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কেন সম্পত্তি নষ্ট করে বা তার মূল্য বা উপযোগিতা বিনষ্ট করে, তা হলে বলা হয় ঐ ব্যক্তি, অনিষ্ট সাধন করেছে।
ধারা: ৪২৬: অনিষ্টের শাস্তি:
অনধিক ৩ মাসের কারাবাস বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ (Criminal Trespass)
ধারা ৪৪১: অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ:
কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির দখলকৃত সম্পত্তিতে দুটি উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ করতে পারেঃ
১। অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে বা
২। কোন ব্যক্তি কে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, অপমান বা বিরক্ত করার উদ্দেশ্যে
তথ্যকণিকা
কোন ব্যক্তি আইনগতভাবে কোন সম্পত্তিতে প্রবেশের পর সেখানে বেআইনীভাবে অবস্থান করে অন্য কোন ব্যক্তিকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, অপমান বা বিরক্ত করলে, তখন সে অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ করেছে বলে বিবেচিত হবে।
ধারা ৪৪৭: অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশের শাস্তি: *
অনধিক ৩ মাস কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৪৪২: অনধিকার গৃহপ্রবেশ (House Trespass):
অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ মানুষের বসবাস স্থানে, গৃহে; তাবু বা জলযান বা উপাসনা স্থানে বা সম্পত্তি সংরক্ষণের স্থানে হলে তা অনধিকার গৃহ প্রবেশ হবে।
ধারা ৪৪৮: অনধিকার গৃহ প্রবেশের শাস্তি:
অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৪৪৩: সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহে প্রবেশ (Lurking House Trespass):
অনধিকার গৃহে প্রবেশ যদি এমন গোপনে হয় যে, যার গৃহে প্রবেশ করেছে তার নিকট বিষয়টি গোপন থাকে, তাহলে বলা হবে সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহ প্ৰবেশ।
ধারা ৪৫৩: সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহে প্রবেশের শাস্তি:
অনধিক ২ বছর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৪৪৪: রাত্রিকালে সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহে প্রবেশ (Lurking House Trespass By Night):
সূর্যাস্তের পর ও সূর্যোদয়ের পূর্বে সঙ্গোপনে গৃহে অনধিকার প্রবেশ করাকে রাত্রিকালে সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহপ্ৰবেশ বলে।
ধারা ৪৫৬: রাত্রিকালে সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহেপ্রবেশের শাস্তিঃ
অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৪৪৫: সিদ কেটে বা দরজা-জানালা ভেঙ্গে গৃহে প্রবেশ (House Breaking):
দণ্ডবিধির ৪৪৫ ধারায় উল্লিখিত ৬ প্রকারের যেকোন এক প্রকারে কোন গৃহে প্রবেশ করাকে সিদ কেটে বা দরজা জানালা ভেঙ্গে প্রবেশ বলে।
যেমনঃ বন্ধ দরজা খুলে, দেয়াল টপকিয়ে, নতুন করে পথ তৈরি করে, তালা খুলে, আক্রমণ বা বলপ্রয়োগের ভয় দেখিয়ে, প্রবেশ বা প্রস্থানের জন্য নয় এমন পথ দিয়ে প্রবেশ করলে বলা হবে ঘর ভেঙ্গে প্ৰবেশ।
ধারা ৪৫৩: সিদ কেটে গৃহে প্রবেশের শাস্তি:
অনধিক ২ বছর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৪৪৬: রাত্রিকালে সিদ কেটে বা দরজা জানালা ভেঙ্গে গৃহে প্রবেশ (House Breaking By Night):
সূর্যাস্তের পরে ও সূর্যোদয়ের আগে সিদ কেটে বা দরজা জানালা ভেঙ্গে গৃহে প্রবেশ করাকে বলা হয় রাত্রিকালে সিদ কেটে বা দরজা জানালা ভেঙ্গে গৃহে প্ৰবেশ।
ধারা ৪৫৬: রাত্রিকালে সিদ কেটে গৃহে প্রবেশের শাস্তি:
অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
জালিয়াতি (Forgery);*
ধারা ২: বাংলাদেশ অভ্যান্তরে অপরাধ।
ধারা ৩: বাংলাদেশ বাহিরে অনুষ্ঠিত অপরাধের শাস্তি।
বাংলাদেশের বাহিরে করা অপরাধের বিচার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৮ ধারা।
সাধারণ ব্যাখ্যা: ধারা ৬ থেকে ৫২
ধারা ১৯: জজের সংজ্ঞা।
ধারা ২১: সরকারি কর্মচারী।
ধারা ২২: অস্থাবর সম্পত্তি।
ধারা ২৩: অবৈধ অর্জন।
অবৈধ ক্ষতি।
অবৈধভাবে অর্জন করা।
অবৈধ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
ধারা ২৪: অসাধুভাবে।
ধারা ২৫: প্রতারণামূলকভাবে।
ধারা ২৮: নকল/ জাল করা।
ধারা ২৯: দলিল।
ধারা ৩০: মূল্যবান জামানত।
ধারা ৪০: অপরাধ।
শাস্তিযোগ্য যে কোন কাজেই অপরাধ।
ধারা ৪৪: ক্ষতি।
“ক্ষতি” বলতে বুঝায় যে কোন ব্যক্তি দেহ, মন, সুনাম বা সম্পত্তির প্রতি অবৈধভাবে কৃত যেকোনো অনিষ্টকর কাজ।
ধারা ৪৫: জীবন।
জীবন বলতে মানুষের জীবন বুঝাবে।
ধারা ৪৭: প্রাণী।
প্রাণী বলতে মানুষ ব্যতিরেক যে কোন জীবন সৃষ্টি বুঝাবে।
ধারা ৪৮: জাহাজ।
জাহাজ অর্থ জলপথে মানুষ বা সম্পত্তি পরিবহনের জন্য প্রস্তুত যে কোন যান।
ধারা ৪৯: বৎসর, মাস।
বৎসর শব্দ বা মাস শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে উক্ত বছর বা মাসের ইংরেজি পঞ্জিকা অনুযায়ী হিসাব করা হয় বলে ধরে নিতে হবে।
ধারা ৫২: সদ বিশ্বাস।
যথাযথ সতর্কতা ও মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ করলে সদ বিশ্বাস করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।
যৌথ দায় বদ্ধতা ধারা: ৩৪, ৩৫, ৩৭ ও ৩৮
ধারা-৩৪: সাধারণ অভিপ্রায়।*
সাধারণ অভিপ্রায় সম্পর্কে একের অধিক ব্যক্তি কোন অপরাধ সংঘটিত করে, সে ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেকে ঐ অপরাধের জন্য যৌথভাবে দায়ী হবে।
ধারা-৩৫: অপরাধমূলক জ্ঞান বা অভিপ্রায় নিয়ে অপরাধ।
যখন একের অধিক কোন ব্যক্তি কোন কাজ অপরাধজনক জ্ঞান বা অভিপ্রায় নিয়ে সম্পাদন করে তখন তারা যৌথভাবে দায়ী হবে।
ধারা ৩৭: একাধিক কাজের মধ্যে একটি কাজ সম্পাদন করে অপরাধে সহযোগিতা করা।
ধারা ৩৮: অপরাধমূলক কাজে জড়িত ব্যক্তি বিভিন্ন অপরাধে দোষী হতে পারে।
এই ধারাটি ৩৪ ধারা ব্যতিক্রম।
শাস্তির উদ্দেশ্য এবং মাত্রা: ধারা ৫৩ থেকে ৭৫
ধারা ৫৩: শাস্তির প্রকারভেদ।
শাস্তি মূলত দুই ধরনের।
দণ্ডবিধিতে পাঁচ প্রকারের শাস্তি কথা উল্লেখ আছে।
ধারা ৫৪: মৃত্যুদণ্ড হ্রাসকরণ।
সরকার অপরাধী সম্মতি ছাড়াই মৃত্যু দন্ড হ্রাস করে যে কোন দন্ডে রূপান্তরিত করতে পারে।
ধারা ৫৫: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হ্রাস করন বা পরিবর্তন।
সরকার অপরাধী সম্মতি ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কমিয়ে অনধিক ২০ বছর মেয়াদের সশ্রম বিনাশ্রম কারাদণ্ড দণ্ডিত করতে পারে।
ধারা ৫৫ ক:রাষ্ট্রপতি বিশেষ অধিকার সংরক্ষণ।
৫৪ এবং ৫৫ ধারায় কোন কিছুই রাস্ট্রপতির ক্ষমা, শাস্তির লাঘব, শাস্তি মওকুফের ক্ষমতাকে নষ্ট করবে না।
ধারা ৫৭: সাজার মেয়াদ ভগ্নাংশ।
শাস্তির মেয়াদ ভগ্নাংশ নিরূপণের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাবাসকে ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সমান ধরা হবে।
ধারা ৬০: কারাবাস কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে সশ্রম বা বিনাশ্রম হতে পারে।
অর্থ দন্ড (Fine): ৬৩ থেকে ৭০ ধারা।
ধারা ৬৩: অর্থদন্ডের পরিমাণ।
জরিমানা দণ্ড অর্থের পরিমাণ উল্লেখ না থাকলে সীমাহীনভাবে আদালত অপরাধীকে অর্থদন্ডের দন্ডিত করতে পারে, তবে তা অত্যাধিক হবে না।
ধারা ৬৪: অর্থ দন্ড/ জরিমানা অনাদায়ে কারাদন্ড প্রদান।
আদালত জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ দিতে পারেন।
ধারা ৬৫: কারা দন্ড ও অর্থ দন্ড / জরিমানা উভয় দন্ডে দন্ডের অপরাধী জরিমানা টাকা দিতে ব্যর্থ হলে, জরিমানা অনাদায়ে কারাবাসের পরিমাণ।
ধারা ৬৬: জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ডের ধরন।
জরিমানা অনাদায়ে জন্য যে কারাদণ্ড হয় তা মূল দণ্ডের বিধান অনুযায়ী হতে পারবে। যেমন: মূল দন্ড সশ্রম হলে সশ্রম বিনাশ্রম হলে বিনাশ্রম।
ধারা ৬৭: অপরাধটি শুধু অর্থদণ্ডে দন্ডনীয় হলে অর্থ দন্ড/ জরিমানা অনাদায়ে প্রদত্ত কারাদন্ড।
ধারা ৬৮: অর্থ দন্ড/ জরিমানা আদায় হয়ে গেলে, কারাদন্ডের সমাপ্তি হবে।
ধারা ৬৯: জরিমানার আনুপাতিক অংশ আদায়ে কারামুক্তি।
অর্থ দন্ডের কোন অংশ দন্ডিত ব্যক্তি প্রদান করলে, আনুপাতিক হারে অনাদায়ে জনিত কারাদন্ড ভোগের মেয়াদ কমে যাবে।
ধারা ৭০: অপরাধকারী মৃত্যু হলেও তার সম্পত্তি থেকে অর্থ দন্ড আদায়যোগ্য।
দন্ড প্রদানের ৬ বছরের মধ্যে অর্থ আদায়যোগ্য।
ধারা ৭১: দুই আইন কিংবা একই আইনের দুই ধারায় দন্ডযোগ্য একটি অপরাধের একাধিক শাস্তি দেওয়া যাবে না।
ধারা ৭২: অনেকগুলো অপরাধের অভিযুক্ত কিন্তু কোন অপরাধী দোষী সন্দেহপূর্ণ হলে অপরাধীকে সর্বনিম্ন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ধারা ৭৩: নির্জন কারাবাস।
ধারা ৭৪: নির্জন কারাবাস কার্যকর করার নিয়ম।
ধারা ৭৫: নির্ধারিত শাস্তি অপেক্ষা গুরুতর শাস্তির বিধান।
সাধারণ ব্যতিক্রমের ক্ষেত্র সমূহ: ধারা ৭৬ থেকে ১০৬
ধারা ৭৬: যদি কোন ব্যক্তি নিজেকে কোন কাজ করতে আইনগত ভাবে বাধ্য মনে করে সরল বিশ্বাসে কোন কার্য সম্পাদন করলে তার উক্ত কার্য অপরাধ হবে না।
ধারা ৭৭: আদালতের বিচার বিষয়ক কার্য পরিচালনার জন্য বিচারক সরল বিশ্বাসে যে ক্ষমতা প্রয়োগ করবে তা অপরাধ নয়।
ধারা ৭৮: আদালতের রায় বা আদেশ অনুসারে সম্পাদিত কাজ। Execution of Punishment.
ধারা ৭৯: আইন সমর্থিত বা সরল বিশ্বাস নিজেকে আইন সমর্থিত বলে বিশ্বাস কারী ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত কাজ।
Justified by Law.
ধারা ৮০: আইনানুগ কার্য সম্পাদন কালে কোনো দুর্ঘটনার ফলে ক্ষতি হলে তা অপরাধ নয়। Lawful কাজ।
যেমন: কুঠার দিয়ে কাজ গাছ কাটতে গিয়ে মানুষ মারা গেলে।
ধারা ৮১: সম্ভাব্য ক্ষতিকারক কাজ যা অপরাধমূলক অভিপ্রায় ছাড়া করা হয়েছে তা অপরাধ নয়।
যেমন: নৌকা ডুবানোর সময় অনেক মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে কিছু মানুষকে মারলে তা অপরাধ হবে না।
ধারা ৮২: ৯ বছরের কম বয়সী শিশুর কোন কাজই অপরাধ নয়। শিশুর বয়স ৭ বছর থেকে ৯ বছর করা হয় ২০০৪ সালে।
ধারা ৮৩: ৯ বছরের উপর এবং ১২ বছরের কম বয়স্ক অপরিনাম বোধ শক্তি সম্পন্ন শিশুর কাজ অপরাধ নয়। অর্থাৎ বোধশক্তিসম্পন্ন হলে উক্ত শিশুর কাজ হতে পারে।
ধারা ৮৪: অপকৃতিস্ত (Unsound mind) ব্যক্তির কোন কাজই অপরাধ নয়।
ধারা ৮৫: অনিচ্ছাকৃত নেশা গ্ৰস্থ ব্যক্তি কর্তৃক কৃত কাজ অপরাধ হবে না, যদি সে তার কাজের প্রকৃতি বুঝতে অক্ষম হয়।
ধারা ৮৬:
যে অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞানের বা ইচ্ছা থাকা দরকার নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি কর্তৃক এমন অপরাধ করলে, সে দোষী হবে।
ধারা ৮৭, ৮৮, এবং ৮৯ (অনুমতি)
ধারা ৮৭:
মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত ঘটনার জন্য অভিপ্ৰায় না থাকলে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত হতে পারে এমন সম্ভাবনাপূর্ণ অজানা
কাজ সম্মতিসহ করলে তা অপরাধ নয়।
যেমন: খেলাধুলা করতে গিয়ে আঘাত পাওয়া।
ধারা ৮৮:
মৃত্যু ঘটানোর জন্য অভিপ্ৰায় নাই কিন্তু এমন কাজ যা ব্যক্তি বিশেষের উপকার করার জন্য সরল বিশ্বাসে সম্মতিসহ সম্পাদন করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
এই ধারাবলে ডাক্তাররা সরল বিশ্বাসে কোন রোগীর মঙ্গলে কোন কাজ করলে অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
ধারা ৮৯:
অভিভাবক বা তার সম্মতি নিয়ে শিশু বা অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তির মঙ্গলের জন্য সরল বিশ্বাসে যে কাজ করা হয় তা অপরাধ নয়।
সম্মতি
ধারা ৯০, ৯১ এবং ৯২
ধারা ৯০:
নিম্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি সম্মতি প্রদান করলেও তা সম্মতি বলে বিবেচ্য হবে না:
১। ক্ষতির ভয় দেখিয়ে বা তথ্যের ভ্রান্ত বর্ণনার মাধ্যমে সম্মতি নিলে ।
২। অপ্ৰকৃতস্থ ব্যক্তির সম্মতি।
৩ । ১২ বছরের কম বয়সের শিশুর সম্মতি ।
ধারা ৯১:
যে কাজ করলে অপরাধ হয়, এই কারণে যে, তা অন্যের ক্ষতিকরে বা অন্যকে আঘাত করে, সেই কাজ ক্ষতিগ্রস্থ বা আহত ব্যক্তির অনুমতি নিয়ে করলে কতিপয় বিশেষ শর্তের অধীনে অপরাধ হয় না। যেমন: নারী জীবন রক্ষার জন্য গর্ভপাত ঘটানো কোন অপরাধ নয়।
ধারা ৯২:
সম্মতি ছাড়াই কোন ব্যক্তির মঙ্গল করার জন্য সরল বিশ্বাসে কোন কাজ করলে তা অপরাধ নয় ।
ধারা ৯৩। সরল বিশ্বাসে দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে কোন ব্যক্তির ক্ষতি সাধিত হলে তা অপরাধ নয়।
ধারা ৯৪। খুন ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডে শাস্তিযোগ্য অপরাধ ছাড়া ভয় ভীতি বা হুমকির কারণে বাধ্য হয়ে করা কাজ অপরাধ নয়।
ধারা ৯৫। সামান্য ও তুচ্ছ ঘটনা অপরাধজনক হলেও শাস্তি প্রদান করা যাবে না। যেমন পায়ের উপর পাড়া লাগা, গায়ে ধাক্কা লাগা ইত্যাদি হচ্ছে তুচ্ছ অপরাধ।
****
ধারা-৯৬: ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষায় কৃত কোন বিষয়ই অপরাধ নয়।
ধারা-৯৭: ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার ক্ষেত্র দুইটি:
১) নিজের বা অন্য কারোর শরীর ও ২) স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত রক্ষার জন্য ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার ক্ষমতা প্রয়োগ করা যায়।
ধারা-৯৮: যে সকল ব্যক্তিদের বিষয়ে আত্মরক্ষা করা যায়:
অপ্রকৃতিস্থ, নেশা গ্ৰস্থ, তরুণ, অপরিণত বিবেকবান ইত্যাদি ব্যক্তির কার্যের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগ করা যায়।
ধারা-৯৯: যখন আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করা যায় না:
১। সরকারি কর্মকর্তার বা
২। সরকারি কর্মকর্তার নির্দেশে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক কৃত কোন কাজের বিরুদ্ধে।
৩। সরকার কাছে আশ্রয় লাভের সময় থ।
ধারা-১০০: ছয়টি ক্ষেত্রে দেহ রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটানো যায়।
ধারা-১০১: ৬ টি ক্ষেত্রে ছাড়া আত্মরক্ষার জন্য মৃত্যু ঘটানো যাবে না কিন্তু ৬ টি ক্ষেত্রে ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার জন্য ক্ষতি করা যাবে।
ধারা-১০২: দেহের ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার/ আত্মরক্ষার অধিকারের আরম্ভকাল ও স্থিতিকাল।
ধারা-১০৩: যেক্ষেত্রে সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটাবার যায়।
৪ টি ক্ষেত্রে সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটাবার যায়।
ধারা-১০৪: ৪ টি ক্ষেত্র ছাড়া সম্পত্তি রক্ষার জন্য মৃত্যু ব্যতীত অপর কোন ক্ষতি সাধন করা যায়।
ধারা-১০৫: সম্পত্তি জন্য আত্মরক্ষার অধিকারের আরম্ভকাল ও স্থিতিকাল।
ধারা-১০৬: মারাত্মক আক্রমনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার বা প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে নিরাপরাধ ব্যক্তির প্রতি ক্ষতি সাধিত হলে তা অপরাধ নয়।
ধারা-১০৭: অপরাধের সহায়তা। (Abetment)
তিন ভাবে করা যেতে পারে:
1. প্ররোচনার মাধ্যমে,
2. ষড়যন্ত্রের অংশ নিয়ে,
3. ইচ্ছা কৃত ভাবে সাহায্য করে কার্য বা কার্য বিরতি দ্বারা।
ধারা-১০৮: প্ররোচনার দাতার সংজ্ঞা
ধারা-১০৯: প্ররোচনার দাতার শাস্তি।
২ টি নির্ধারিত শাস্তি বা নির্ধারিত শাস্তি না থাকলে মূল অপরাধের জন্য নির্ধারিত শাস্তি দন্ডিত হবে।
ধারা: ১২০: কারাদন্ড দন্ডনীয় অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্র গোপন করা।
অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র:
ধারা-১২০(ক): অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা ।
ধারা-১২০(খ):অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের শাস্তি।
মূল অপরাধের সাহায্যেকারীর সমান।
রাষ্টের বিরুদ্ধে অপরাধ: ১২১ থেকে ১৩০:
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
১২১ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বা যুদ্ধ ঘোষণার উদ্যোগ করা বা যুদ্ধ ঘোষণার সহায়তা করা।
মৃত্যুদণ্ডে, বা
যাবজ্জীবন এবং
জরিমানা
১২১ ক
১২১ ধারাবলে শাস্তিযোগ্য অপরাধগুলো সংগঠনের ষড়যন্ত্র: যাবজ্জীবন বা অপর কোন স্বল্পতর মেয়াদের
বা যেকোন বর্ণনার বা অনধিক
১০ বৎসর এবং জরিমানা
সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২২ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের লক্ষ্যে অস্ত্রশস্ত্র প্রভৃতি সংগ্রহ করা। যাবজ্জীবন বা যেকোন বর্ণনার সশ্রম বা
বিনাশ্রম অনধিক
১০ বৎসর এবং জরিমানা
সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৩ যুদ্ধ সুগম করার ইচ্ছায় চক্রান্ত গোপনকরণ অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৩ক রাষ্ট্র উদ্ভব নিন্দাকরণ ও এর সার্বভৌমত্বের বিলোপ সমর্থন করা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৪ কোন আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগে বাধ্য করার বা বাধ দান করার ইচ্ছায় রাষ্ট্রপতি, গভর্ণর প্রমুখকে আক্রমণকরণ:
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৪ ক রাষ্ট্রদ্রোহিতা যাবজ্জীবন, বা
অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা
১২৫ বাংলাদেশের সঙ্গে মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ কোন এশিয়া শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাবজ্জীবন, যার সাথে অর্থদণ্ড দিতে পারে, বা
অনধিক ৭ বৎসর বা জরিমানা।
সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৮ সরকারি কর্মচারি দ্বারা স্বেচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধে বা যুদ্ধাপরাধে কারারুদ্ধ বন্দিকে পালিয়ে যেতে দেওয়া যাবজীবন বা
অনধিক
১০ বৎসর এবং জরিমানা
সশ্রম বা
বিনাশ্রম
১২৯ সরকারি কর্মচারির অবহেলাপূর্বক এরুপ বন্দীকে পালিয়ে যেতে দেওয়া
অনধিক ৩ বৎসর
এবং জরিমানা বিনাশ্রম
১৩০ অনুরূপ বন্দীকে পলায়নে সহায়তা, উদ্ধার করা বা আশ্রয় দেওয়া ১০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং অর্থ দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা
বিনাশ্রম
জনশৃঙ্খলা বিরোধী অপরাধ: ধারা ১৪১ থেকে ১৬০
বেআইনী সমাবেশ সংঘটনের শাস্তি:
ধারা-১৪১: বেআইনী সমাবেশ।
পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি অপরাধের উদ্দেশ্যে কোন জায়গায় একত্রিত হলে তাকে বেআইনী সমাবেশ বলে।
ধারা-১৪২: বেআইনী সমাবেশের সদস্য হওয়া।
ধারা-১৪৩: বেআইনী সমাবেশের সদস্য হওয়ার শাস্তি/
অনাধিক ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-১৪৪: মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী সমাবেশে যোগদান।
অনাধিক ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-১৪৫: কোন বেআইনী সমাবেশ ছাত্র ভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেনে ও তাতে যোগদান করা বা তাতে অবস্থান করা।
অনাধিক ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
দাঙ্গা (Riot)
ধারা-১৪৬: দাঙ্গা সংজ্ঞা।
কোন বেআইনী সমাবেশে কোন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যদি উগ্ৰতা প্রকাশ করা হয় বা বল প্রয়োগ করা হয় তাহলে তাকে দাঙ্গা বলে।
ধারা-১৪৭: দাঙ্গার শাস্তি।
অনাধিক ২ বৎসর কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-১৪৮:মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত/ নিয়ে হইয়া দাঙ্গা অনুষ্ঠান করণ/
অনাধিক ৩ বৎসর কারাদন্ড বা অথদণ্ড বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-১৪৯: সাধারণ উদ্দেশ্যের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত অপরাধের জন্য বে-আইনী সমাবেশের প্রত্যেক সদস্য দোষী।
ধারা: ১৫১: পাঁচ বা ততোধিক লোকের সমাবেশ ছাত্র ভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেনে ও তাতে যোগদান করা বা অবস্থান করা।
অনাধিক ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা: ১৫২: দাঙ্গা, প্রভৃতি দমনকালে সরকার কর্মচারীকে আক্রমণ বা বাধা দান করা।
অনাধিক ৩ বৎসর কারাদন্ড বা অথদণ্ড বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
মারামারি (Affray):
ধারা ১৫৯: দুই বা ততোধিক ব্যক্তি প্রকাশ্য জায়গায় ঝগড়া করে গণশান্তি ভঙ্গ করলে তখন তারা মারামারি করেছে বলে বিবেচিত হবে।
ধারা ১৬০: মারামারি সংঘটনের শাস্তি:
১ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনাধিক ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দন্ডিত হতে পারে বা উভয় দন্ডিত হবে।
সরকারি কর্মচারী কর্তৃক অপরাধসমূহ
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
১৬১ সরকারি কর্মচারি দ্বারা কোন সরকারি কার্য বিষয়ে বৈধ পারিশ্রমিক ছাড়া অপরবিধ পারতোষিক গ্রহণ: (ঘুষ) অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৬৬ কোন লোকের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে সরকারি
কর্মচারি দ্বারা আইন অমান্য করণ অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় বিনাশ্রম
১৬৮ সরকারি কর্মচারির বেআইনীভাবে ব্যবসায়ে লিপ্ত হওয়া: অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় বিনাশ্রম
১৭০ সরকারি কর্মচারি বলে মিথ্যা পরিচয় দান অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৭১ E নির্বাচনে ঘুষের শাস্তি: তবে আপ্যায়নের মাধ্যমে ঘুষ দিলে শুধু জরিমানা। আপ্যায়ন বলতে
বুঝাবে খাদ্য, পানীয়, বকশিশ। অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৭১ F নির্বাচনে অযৌক্তিক প্রভাব বিস্তার বা ছদ্মবেশ ধারণের শাস্তি: অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
সমন গ্রহণ না করা, দলিল পেশ না করা, মিথ্যা সংবাদ দেওয়া
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
১৭২ সমন জার এড়াবার উদ্দেশ্যে আত্মগোপন করা; সরকারি কর্মচারি দিলে অনধিক ১ মাস বা
অনধিক ৫০০/-জরিমানা
বা উভয় বিনাশ্রম
সমন জার এড়াবার উদ্দেশ্যে আত্মগোপন করা; বিচারালয় স্বয়ং দিলে অনধিক ৬ মাস বা
অনধিক ১,০০০/-জরিমানা
বা উভয়
১৭৫ সরকারি কর্মচারির কাছে কোন নথিপত্র পেশ করতে আইনত বাধ্য হওয়া সত্ত্বে তা না করা: অনধিক ১ মাস বা
অনধিক ৫০০/-জরিমানা
বা উভয় বিনাশ্রম
বিচারালয়ের কাছে কোন নথিপত্র পেশ করতে আইনত বাধ্য হওয়া সত্ত্বেও তা না করা: অনধিক ৬ মাস বা
অনধিক ১,০০০/-জরিমানা
বা উভয়
১৭৭ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন: আইনগতভাবে যে তথ্য দিতে বাধ্য: অনধিক ৬ মাস বা
অনধিক ১,০০০/-জরিমানা
বা উভয় বিনাশ্রম
সে যে তথ্য সরবরাহ করার জন্য আইনতঃ বাধ্য সে তথ্যটি কোন অপরাধ অনুষ্ঠান সম্পর্কিত হয় বা কোন অপরাধ অনুষ্ঠান নিবারণের উদ্দেশ্য প্রয়োজনীয় হয় বা কোন অপরাধকারীকে গ্রেফতারের জন্য হয়। ২ বছর বা অর্থদন্ড বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৮১ শপথ বা অঙ্গীকার পরিচালনার ক্ষমতা সম্পন্ন সরকারি কর্মচারি বা লোকের কাছে শপথ বা অঙ্গীকার করে মিথ্যা বিবৃতি দান করা; অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৮৮ সরকারী কর্মচারী কর্তৃক আইনসঙ্গতভাবে জারিকৃত কোন আদেশ অমান্য করা। ( ফৌজদারি আদালত 144 ধারা অমান্য করার শাস্তি দন্ডবিধি ১৮৮ ধারা আছে। ১ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড বা ২০০ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড।/
/
৬ মাস কারাদন্ড বা ১০০০ টাকা জরিমানা বা উভয়। বিনাশ্রম/
/
সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৮৯ সরকারি কর্মচারির প্রতি ক্ষতিসাধনের হুমকি: অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৯০ নিরাপত্তা বিধানের জন্য সরকারি কর্মচারীর নিকট আবেদন করা থেকে বিরত করার জন্য কোন ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করার উদ্দেশ্যে শক্তির ভয় দেখানো। ১ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম
ধারা ১৯১: মিথ্যা সাক্ষ্য দান।
মিথ্যা সাক্ষ্য ২ ভাবে দেওয়া যায়।
1. মৌখিক ভাবে বা
2. লিখিত ভাবে।
ধারা ১৯২: মিথ্যা সাক্ষ্য সৃষ্টি করা (Fabricating False Evidence)
ধারা ১৯৩: মিথ্যা সাক্ষ্য দানের শান্তি।
অনাধিক ৭ বছর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
অন্য কোন মামলায়
অনাধিক ৩ বছর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ১৯৪: মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধের বিচারে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া বা উদ্ভাবন করা:
যে ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় বা মিথ্যা সাক্ষ্য সৃষ্টি করে, সেই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা অনুর্ধ ১০ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা দন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং যদি উক্ত মিথ্যা সাক্ষ্য দানে বা সৃষ্টির নির্দোষ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হয় ও ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করা হবে বা যাবজ্জীবন বা সশ্রম অনধিক ১০ বৎসর কারাদণ্ড এবং জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
ধারা-২০১: অপরাধকে গোপন করার জন্য অপরাধের সাক্ষ্য অদৃশ্য করা বা নষ্ট করা বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করা:
মৃত্যুদণ্ডে দন্ডনীয় অপরাধের ক্ষেত্রেঃ যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ড যার মেয়াদ ৭ বছর এবং জরিমানা দণ্ডে দণ্ডলীয় হবে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছরের কারাদণ্ডে দন্ডনীয় অপরাধের ক্ষেত্রেঃ যে কোন বর্ণনার কারাদণ্ড যার মেয়াদ ৩ বছর এবং জরিমানা দণ্ডে দন্ডনীয় হবে।
১০ বছরের কম মেয়াদের কারাদণ্ডে দন্ডনীয় অপরাধের ক্ষেত্রেঃ অপরাধটির জন্য নির্ধারিত কারাদণ্ডের সর্বোচ্চ মেয়াদের এক চতুর্থাংশ হতে পারে বা জরিমানা বা উভয়।
ধারা ২১২: অপরাধিকে আশ্রয়দান।
অপরাধটি মৃত্যুদণ্ডে দন্ডনীয় হলে: মৃত্যুদণ্ডে দন্ডনীয় অপরাধিকে যে ব্যক্তি আশ্রয়দান বা লুকিয়ে রাখে সে যেকোন বর্ণনার ৫ বৎসর এবং জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
অপরাধটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা ১০ বছরের কারাদণ্ডে দন্ডনীয় হলে: যে ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা ১০ বছর কারাদণ্ডে দন্ডনীয় অপরাধিকে আশ্রয় প্রদান করে, সে ব্যক্তি
যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ড যার মেয়াদ ৩ বৎসর এবং অর্থদণ্ডে দন্ডনীয় হবেন।
অপরাধটির দণ্ড ১ বছর থেকে ১০ বছরে কারাদণ্ডে দন্ডনীয় হলেঃ এরুপ অপরাধকারিকে আশ্রয় প্রদান করলে উক্ত অপরাধের জন্য নির্ধারিত কারাদণ্ডের সর্বোচ্চ মেয়াদ এক চতুর্থাংশ পর্যন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অপরাধকারি স্বামী বা স্ত্রী কর্তৃক আশ্রয়দান বা গোপনকরনের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য নয়।
মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানের শাস্তি:
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
১৯৩ মিথ্যা সাক্ষ্য দান করে বা মিথ্যা সাক্ষ্য তৈরি করে বিচার বিভাগীয় মামলার অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম বা বিনাশ্রম
অন্য কোন মামলায় অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম বা বিনাশ্রম
১৯৪ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করাবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া বা তৈরি করা যাবজ্জীবন বা সশ্রম অনধিক
১০ বৎসর এবং জরিমানা
যদি তার কারণে কোন নির্দোষ লোক
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয় ও দণ্ড বলবত হয় মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন
বা সশ্রম অনধিক
১০ বৎসর এবং জরিমানা
১৯৫ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা কারাদণ্ডে শাস্তিযোগ্য অপরাধে দন্ডিত করার মতলবে মিথ্যা সাক্ষ্যদান বা উদ্ভাবন করা অপরাধী সাব্যস্ত হলে যে, দন্ডে
দন্ডিত করা যেত সে দণ্ডে দণ্ডিত
হবে।
২০৩ কোন অপরাধ বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান। অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়
সশ্রম বা বিনাশ্রম
২১১ মিথ্যা নালিশ উথাপন
অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়
সশ্রম বা বিনাশ্রম
যদি ফৌজদার মামলা মৃত্যুদণ্ডে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা সাত বৎসর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের কারাদণ্ডে দন্ডনীয় কোন অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা হয়।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম বা বিনাশ্রম
২৬১ ক দস্যুদের বা ডাকাতদের আশ্রয় প্রদানের শাস্তি অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম
মুদ্রা সম্পর্কিত অপরাধ সমূহ:
ধারা ২৩০: মুদ্রার সংজ্ঞা।
রাষ্ট্র বা সার্বভৌম ক্ষমতাবলে স্ট্যাম্পযুক্ত বা ইস্যুকৃত ধাতব দ্রব্যকে মুদ্রা বলা হয়।
কড়ি, স্ট্যাম্পবিহীন তাম্রপিন্ড,মেডেল মুদ্রা নয়।
ধারা ২৩১: মুদ্রা নকল করা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩২: বাংলাদেশী মুদ্রা নকল করা।
যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩৩: মুদ্রা নকল করার যন্ত্র তৈরী বা বিক্রয় করা।
অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩৪: বাংলাদেশী মুদ্রা নকল করার যন্ত্র তৈরী বা বিক্রয়।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩৫: মুদ্রা নকল করার কাৰ্যে যন্ত্র বা বস্তু ব্যবহার কল্পে ঐ যন্ত্র বা বস্তু দখল করা।
অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩৫: বাংলাদেশী মুদ্রা নকল করার কাৰ্যে কোন যন্ত্র বা বস্তু ব্যবহার কল্পে ঐ যন্ত্র বা বস্তু দখল করা।
অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা।
ধারা ২৩৭: নকল মুদ্রার আমদানি বা রপ্তানি।
অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৩৮: বাংলাদেশী নকল মুদ্রা আমদানি বা রপ্তানি।
যাবজ্জীবন বা সশ্রম অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা।
ধারা ২৪৬: প্রতারণামূলকভাবে বা অসাধুভাবে মুদ্রার ওজন হ্রাস করা বা গঠন পরিবর্তন।
অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমান। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৪৭: প্রতারণামূলকভাবে বা অসাধুভাবে বাংলাদেশী মুদ্রার ওজন হ্রাসকরণ বা গঠন প্ৰণালী পরিবর্তন করা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
সরকারি স্ট্যাম্প সংক্রান্ত অপরাধসমূহ:
ধারা ২৫৫: সরকারি স্ট্যাম্প জালকরণ।
যাবজ্জীবন বা সশ্রম অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা।
ধারা ২৫৬: সরকারি স্ট্যাম্প নকল করার যন্ত্রপাতি বা সামগ্রী দখলে রাখা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৫৭: সরকারি স্ট্যাম্প নকল করণার্থে যন্ত্রপাতি তৈরী বা বিক্রয় করা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৫৮: নকল সরকারি স্ট্যাম্প বিক্রয় করা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৫৯: নকল সরকারি স্ট্যাম্প দখলে রাখা।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ওজন ও পরিমাপ সংক্রান্ত অপরাধসমূহ
ধারা ২৬৪: ওজনের জন্য মিথ্যা যন্ত্রের প্রতারণামূলক ব্যবহার।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৬৫: মিথ্যা ওজন বা মাপকাঠির প্রতারণামূলক ব্যবহার।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৬৬: মিথ্যা ওজন বা মাপার যন্ত্র দখলে রাখা।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৬৭: মিথ্যা বাটখারা বা মাপকাঠি তৈরী বা বিক্রয় করা।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা সংক্রান্ত অপরাধ:
ধারা২৭২: বিক্রয়ের জন্য অভিপ্রেত খাদ্য বা পানীয় দ্রব্যে ভেজাল মিশ্রণ।
অনধিক ৬ মাস বা অনধিক ১০০০/-জরিমানা বা উভয়।সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৭৩: অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বা পানীয় বিক্রয।
অনধিক ৬ মাস বা অনধিক ১০০০/-জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৭৪: ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ।
অনধিক ৬ মাস বা অনধিক ১০০০/-জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৭৫: ভেজাল মিশ্রিত ঔষধ বিক্রয় করা।
অনধিক ৬ মাস বা অনধিক ১০০০/-জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯২: অশ্লীল পুস্তকাদি বিক্রয়।
অনধিক ৩ মাস বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৩: ২০ বছরের নিচে বা অল্পবয়স্ক লোকের কাছে অশ্লীল বস্তু বিক্রয় ইত্যাদি।
অনধিক ৬ মাস বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৪: অশ্লীল কার্য ও গান।
অনধিক ৩ মাস বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৪ ক: লটারি অফিস পরিচালনা করা।
অনধিক ৬ মাস বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৫: যে কোন ব্যক্তি বিশেষ ধৰ্মবোধে অবমাননা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে উপাসনালয়ের ক্ষতিসাধন করা বা অপবিত্র করা।
অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৫ ক: যে কোন ব্যক্তি বিশেষ ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করে ঐ যে কোন ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত হানার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত বিদ্বেষাত্মক কাৰ্যগুলো।
অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৬: ধৰ্মীয় সমাবেশে গোলমাল সৃষ্টি।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৭: সমাধিস্থান ইত্যাদিতে অনধিকার প্রবেশ।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ২৯৮: ধর্মীয় অনুভূতি আহত করার উদ্দেশ্যে অভিসন্ধিক্রমে শব্দ প্রভৃতি উচ্চারণ করা।
অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
ধারা-২৯৯: দন্ডনীয় নরহত্যা -এর সংজ্ঞা।
ধারা-৩০০: অপরাধ মূলক নরহত্যা যখন খুনের পর্যায়ে পড়ে।
খুন-এর সংজ্ঞা।
ধারা-৩০১: যে ব্যক্তির মৃত্যু অভীষ্ট ছিল সে ব্যক্তি ভিন্ন অন্য কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটিয়ে দন্ডাহ নরহত্যা অনুষ্ঠান।
সে যেই লোকের মৃত্যু ঘটানোর ইচ্ছা করেছিল বা যার মৃত্যু ঘটাতে পারে বলে সে জানত, তার মৃত্যু ঘটলে এটা যেইরুপ শাস্তি হয় ঠিক একই বর্ণনার শাস্তি হবে।
ধারা-৩০২: খুনের শাস্তি।
মৃতদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড।
ধারা-৩০৩: যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত লোক দ্বারা খুনের শাস্তি।
একমাত্র মৃতদন্ড।
ধারা ৩০৪: খুন বলে গণ্য নয় এরূপ দন্ডনিয় নরহত্যার শাস্তি।
যাবজ্জীবন বা দশ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-৩০৪(ক): অবহেলার ফলে ঘটিত মৃত্যু।
অনাধিক ৫ বৎসর কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-৩০৪ (খ) বেপরোয়া যান বা অশ্ব চালনার দ্বারা মৃত্যু ঘটানো/
অনাধিক ৩ বৎসর কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩০৫: ১৮ বৎসরের নিম্ন বয়স্ক শিশু বা উন্মাদ, নির্বোধ/ মাতাল/ বিকাল গ্ৰস্থ লোকের আত্মহত্যায় সহায়তাকরণ বা প্ররোচনাদান।
মৃতদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা অনধিক ১০ বৎসর এবং অর্থদন্ড। মৃতদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড।
ধারা-৩০৬: যেকোন আত্মহত্যায় সহায়তাকরন বা প্ররোচনা।
অনাধিক ১০ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-৩০৭ খুনের উদ্যোগ/ চেষ্টা।
অনাধিক ১০ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
তবে উক্ত কার্যের সাহায্যে কোন ব্যক্তিকে আঘাত করা হলে। যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বছর এবং জরিমানা।
ধারা ৩০৭: যাবজ্জীবন দণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ দ্বারা উদ্যোগ করলে এবং উক্ত কার্যের সাহায্যে কোন ব্যক্তিকে আঘাত করা হলে।
মৃত্যুদণ্ড।
ধারা ৩০৮: শাস্তিযোগ্য নরহত্যার চেষ্টা করে এবং আঘাত সংঘটিত হলে।
অনধিক ৭ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
চেষ্টা করলে :
অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়।
ধারা ৩০৯: আত্মহত্যার চেষ্টা।
অনধিক ১ বৎসর কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয়। বিনাশ্রম।
ধারা ৩১০: ঠগ (Thug)।
কোন ব্যক্তি যদি খুনের সাথে বা খুন করে দস্যুতা সংঘটিত বা শিশু অপহরনের উদ্দেশ্যে অভ্যাসগতভাবে অপর এক বা একাধিক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা করে, তাহলে সে ব্যক্তি ঠগ।
ধারা: ৩১১ ঠগ এর শাস্তি।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অর্থদণ্ডে দন্ডিত হবে।
ধারা: ৩১২: অবৈধ গর্ভপাত করানো।
অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
তবে শিশুর বিচলন অনুভব করার পর গর্ভপাত করলে।
৭ বছর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩১৩: স্ত্রীলোকের বিনা সম্মতিতে গর্ভপাত করানো।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারাঃ ৩১৪। গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে কৃত কাজের ফলে শিশুর মৃত্যু।
অনধিক ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারাঃ ৩১৫। শিশুর জীবন্ত ভূমিষ্ঠ হওয়ায় বাধাদান করিবার বা জন্মের পর উহার মৃত্যু ঘটাইবার উদ্দেশ্যে কৃত কার্য।
অনধিক ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।
ধারা ৩১৬: গর্ভপাত ঘটানোর উদ্দেশ্যে সম্পন্ন কার্যের কারণে স্ত্রীলোকের মৃত্যু।
অনধিক ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩১৭: পিতা বা মাতা বা তত্ত্বাবধায়ক দ্বারা ১২ বছরের নিম্নবয়স্ক শিশুকে পরিত্যাগ ও বর্জন|
অনধিক ৭ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
আঘাত সম্পর্কিত অপরাধসমুহ (Offences Relating to Hurt)
ধারা ৩১৯: আঘাত (Hurt ) আঘাত-এর সংজ্ঞা।
কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তির দৈহিক যন্ত্রনা, ব্যাধি বা বৈকল্য ঘটায়, তাহলে সেই ব্যক্তি আঘাত দান করেছে বলে বিবেচিত হবে।
ধারা ৩২০: গুরুতর আঘাত-এর সংজ্ঞা।
গুরুতর আঘাত (Grievous hurt ):
দণ্ডবিধির ৩২০ ধারাতে নিম্নেবণিত ৮ ধরনের গুরুতর বা মারাত্মক আঘাতের কথা উল্লেখ আছে:
১ । পুরুষত্বহানি ঘটানো।
২। স্থায়ীভাবে যেকোন চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করা।
৩। স্থায়ীভাবে যেকোন কানের ক্ষতি শক্তি নষ্ট করা।
৪ । যেকোন অঙ্গ বা গ্রন্থির অনিষ্টসাধন করা
৫। যেকোন অঙ্গ বা গ্রন্থির শক্তি ধ্বংস করা বা স্থায়ী ক্ষতিসাধন করা।
৬। মাথা বা মুখমন্ডলের স্থায়ীভাবে বিকৃতি করা।
৭। কোন অস্থি|হাড় বা দাত ভাঙ্গা বা গ্রন্থিচত করা।
৮। যে আঘাত জীবন বিপন্ন করে বা আঘাত প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ২০ দিন পর্যন্ত প্রচন্ড দৈহিক যন্ত্রনা দেয় বা তাকে সাধারণ কাজ করতে অপারগ করে।
ধারা ৩২১: স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দান করা।
ইচ্ছাপূর্বক আঘাতকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত বলে।
ধারা ৩২২: স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত দানকরন।
ইচ্ছাপূৰ্বক গুরুতর আঘাতকে ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাতবলে।
ধারা ৩২৩: স্বেচ্ছাকৃত আঘাত দানে শাস্তি।
ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত প্রদানের শাস্তি|
অনধিক ১ বৎসর বা ১০০০/- জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩২৪: স্বেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্রের দ্বারা আঘাত দানে শাস্তি।
ইচ্ছাকৃতভাবে বিপজ্জনক অস্ত্রের সাহায্যে বা বিপজ্জনক উপায়ে আঘাত দান করা।
অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩২৫: স্বেচ্ছাকৃত ভাবে গুরুতর আঘাত প্রদানের শাস্তি।
ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাতের শাস্তি।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা| সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩২৬: সেচ্ছাকৃত ভাবে মারাত্মক অস্ত্র দ্বারা গুরুতর আঘাতের শাস্তি।
ইচ্ছাকৃতভাবে বিপজ্জনক অস্ত্র বা বিপজ্জনক উপায়ে গুরুতর আঘাত দান|
যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩২৬ ক: ইচ্ছাকৃতভাবে দুইটি চোখ উপড়ীয়ে বা এসিড জাতীয় পদার্থ মাধ্যমে চোখ দুইটির দৃষ্টি নষ্টকরণ বা মুখমণ্ডল বা মস্তক এসিড মাধ্যমে বিকৃতি করা।
মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন এবং জরিমানা।
ধারা ৩৩৪: প্ররোচনার কারণে স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা।
অনধিক ১ মাস বা ৫০০/- জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রয়।
ধারা ৩৩৫: প্ররোচনার কারণে স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত করা।
অনধিক ৪ বৎসর বা ২,০০০ /- জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
অবৈধ বাধা এবং অবৈধ আটক (wrongful Restrain & wrongful Confinment)
ধারা ৩৩৯: অবৈধ বাধার সংজ্ঞা।
অবৈধ বাধা (wrongful Restrain):
কোন ব্যক্তিকে তার যে দিকে যাবার অধিকার আছে, সেদিকে যেতে বাধা দেওয়াকে অবৈধ বাধা বলে। কিন্তু কোন বেসরকারি স্থল বা জলপথে বাধা প্রদানের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য নয়।
ধারা ৩৪০: অবৈধ আটকের সংজ্ঞা।
অবৈধ আটক(Wrongful Confinment)
কোন ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধ এলাকার বাইরে যেতে বাধা দেওয়াকে অবৈধ আটক বলে।
ধারা ৩৪১: অবৈধ বাধাদানের শাস্তিঃ
অনধিক ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দন্ডিত হতে পারে।
ধারা ৩৪২: অবৈধ আটকের শাস্তি।
অবৈধ আটকের শাস্তি:
অনধিক ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে।
ধারা ৩৪৩: তিন বা ততোধিক দিনের জন্য অবৈধ অবরোধ।
অনধিক ২ বছরের কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয়।
ধারা ৩৪৪: দশ বা ততোধিক দিনব্যাপী অবৈধ অবরোধ।
অনধিক ৩ বৎসর এবং জরিমানা| সশ্রম বা বিনাশ্রম।
অপরাধজনক বলপ্রয়োগ ও আক্রমণ (Criminal Force & Assult)
বলপ্রয়োগের সংজ্ঞা (Force): ধারা ৩৪৯
কোন ব্যক্তির বা বস্তুর গতি সঞ্চার করলে, বা তার গতি পরিবর্তন করলে বা করলে, ধরা হবে বলপ্রয়োগ হয়েছে।
অপরাধজনক বলপ্রয়োগ (Criminal Forcc): ধারা ৩৫০
কোন অপরাধ সংঘটন করার উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি বা বস্তুর গতি সঞ্চার, পরিবর্তন বা স্তব্ধ করলে তাকে অপরাধজনক বল প্রয়োগ বলে ।
আক্রমণ (Assult): ধারা ৩৫১
কোন ব্যক্তি এমনভাবে অঙ্গভঙ্গী বা প্রস্তুতি নেয়, যা দেখে অন্য কোন ব্যক্তির মনে ভয় অনুভূত হতে পারে, এরুপ ক্ষেত্রে বলা হবে উক্ত ব্যক্তি আক্রমণ করেছে। শুধু কথার মাধ্যমে আক্রমণ হবে না। তবে কথার সাথে Gsture or Preparation থাকবে।
অপরাধ শাস্তি
ধারা ৩৫২: গুরুতর আকস্মিক উত্তেজনার ফল ব্যতীত প্রকারান্তরে আক্রমণ বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগের শাস্তি।
অনধিক ৩ মাস বা ৫০০/- জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৫৩: সরকারি কর্মচারীকে তার কর্তব্য পালনে বাধাদানের নিমিত্ত আক্রমণ ও অপরাধ মূলক বলপ্রয়োগ।
অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৫৪: কোন নারীর শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তাকে আক্রমণ ও তৎপ্রতি অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ।
[শ্লীলতাহানির অভিপ্ৰায়ে কোন স্ত্রীলোকের উপর আক্রমণ বা অপরাধজনক বলপ্রয়োগ]
অনধিক ২ বৎসর কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয়।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৫৫: গুরুতর উত্তেজনা বশতঃ ব্যতীত, প্রকারান্তরে কোন ব্যক্তিকে অপমান করার অভিপ্রায়ে আক্রমণ বা অপরাধমূলক বল প্রয়োগ।*
অনধিক ২ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৫৮: গুরুতর উত্তেজনাবশতঃ আক্রমণ বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ।*
অনধিক ১ মাস বা ২০০/- জরিমানা বা উভয়। বিনাশ্রম।
Kidnapping & Abduction:
ধারা ৩৫৯: লোক অপহরণঃ
[মনুষ্য হরণ। (Kidnapping)]
দণ্ডবিধির ৩৫৯ ধারাতে Kidnapping কে ২ ভাগে ভাগ করেছে:
১। বাংলাদেশ থেকে লোক অপহরণ/মনুষ্যহরণ/পাচার (Kidnapping from Bangladesh)
২। আইনানুগ অভিভাবকত্ব থেকে লোক অপহরণ (Kidnapping from Lawful guardianship)
ধারা ৩৬০: বাংলাদেশ থেকে লোক অপহরণ।
[বাংলাদেশ হতে অপহরণ।]
কোন ব্যক্তির সম্মতি বা তার পক্ষে ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া তাকে বাংলাদেশের সীমানার বাইরে নিয়ে যাওয়াকে বাংলাদেশ থেকে লোক অপহরণ বলা হবে।
ধারা ৩৬১: আইনানুগ অভিভাবকত্ব থেকে লোক অপহরণ:
[বৈধ অভিভাবকতু হতে অপহরণ।]
১। ১৪ বছরের কম বয়সী নাবালক পুরুষ বা
২। ১৬ বছরের কম বয়সী নাবালিকা মেয়ে বা
৩। অপ্রকৃতস্থ লোক কে তাদের আইনানুগ অভিভাবককের সম্মতি না নিয়ে বা প্রলুব্ধ করে তাদেরকে নিয়ে যাওয়াকে বলা হবে আইনানুগ অভিভাকত্ব থেকে লোক অপহরণ।
ধারা ৩৬৩: লোক অপহরণের শাস্তি:
বাংলাদেশ থেকে বা আইনানুগ অভিভাবক থেকে লোক অপহরণ করলে শাস্তি হচ্ছে।
অনধিক ৭ বছর কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে।
ধারা ৩৬২: অপবাহণ সংজ্ঞা (Abduction):
লোক প্রতারণামূলকভাবে বা বলপ্রয়োগ করে অন্য কোন ব্যক্তিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করার জন্য বাধ্য করলে, বলা হবে ঐ লোক ঐ ব্যক্তি অপবাহণ করেছে।
ধারা ৩৬৪: খুন করার উদ্দেশ্যে লোক অপহরণ বা অপবাহণ। অপহরণের শাস্তি। *
যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম ।
ধারা ৩৬8ক: দশ বৎসরের নিম্ন বয়স্ক কোন লোককে অপহরণ বা অপবাহণ করা:*
মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন বা অনধিক ১৪ বৎসর এবং সর্বনিম্ন ৭ বৎসর। সশ্রম।
ধারা ৩৬৬: কোন স্ত্রীলোককে বিবাহ প্রভৃতিতে বাধ্য করার জন্যে অপহরণ বা প্ররোচিতকরণ। *
অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৬৬ক: ১৮ বৎসরের কম বয়সের/ অপ্রাপ্ত বয়স্কা বালিকা সংগ্রহ করা অন্য কোন ব্যক্তির সাথে অবৈধ যৌন সহবাস করতে বাধ্য বা প্রলুদ্ধ করা। *
অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৬৬ খ: ২১ বৎসরের কম বয়সের বিদেশ হতে বালিকা আমদানী।*
অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধর্ষণ (Rape)
ধারা ৩৭৫-৩৭৬
ধারা ৩৭৫: ধর্ষণ।
[নারী ধর্ষণ।]
নিমেবর্ণিত ৫টি উপাদানের যেকোন অবস্থায় নারীর সাথে যৌনসহবাস করলে তা নারী ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে।
১। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
২। তার সম্মতি ছাড়া।
৩। মৃত্যু বা আঘাতের ভয় দেখিয়ে সন্মতি আদায় করা হলে।
৪। তার সম্মতিতে যখন উক্ত নারী মনে করে পুরুষ লোকটি তার স্বামী, তবে পুরুষলোকটি জানে সে উক্ত মহিলার স্বামী নয়।
৫। তার বয়স যদি ১৪ বছরের কম হয় সেক্ষেত্রে সম্মতি বা সম্মতি ছাড়া।
তথ্যকণিকা।
১। ১৩ বছরের কম বয়স্ক স্ত্রীর সাথে স্বামী যৌনসহবাস করলে সেটা ধর্ষণ হবে।
২। ১৪ বছরের কম বয়স্ক নারীর সম্মতিসহ বা সম্মতি ছাড়া যৌনসহবাস করলে তা ধর্ষন হবে।
ধারা ৩৭৬: ধর্ষনের শাস্তি:
ধর্ষনের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদন্ড হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৭৬: স্ত্রী ধর্ষনের শাস্তি।
ধন্বীতা যদি নিজের স্ত্রী হয় এবং ১২ বছরের কম বয়স্ক না হয় তাহলে শাস্তি ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে।
অর্থাৎ ১২ বছর থেকে ১৩ বছরের বয়সী স্ত্রীকে ধর্ষন করলে অনুরূপ শাস্তি পাবে।
তবে ১২ বছরের কম বয়সী স্ত্রী ধর্ষন করলে।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ১০ বছরের কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড হতে পারে।
সাধরনত ১৩ বছরের কম বয়সী স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে তা ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে শাস্তির ক্ষেত্রে দুই রকম বিধান আছে।
১। স্ত্রীর বয়স ১২ বছরের কম হলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ১০ বছরের কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড হতে পারে।
২। স্ত্রীর বয়স ১৩ বছরের কম কিন্তু ১২ বছরের কম না হলে, শাস্তি ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে।
ধারাঃ ৩৭৭। অস্বাভাবিক অপরাধসমূহ
কোন ব্যক্তি যদি প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে কোন পুরুষ, স্ত্রীলোক বা পশুর সাথে যৌন সঙ্গম করে, তবে সে ব্যক্তি
যাবজীবন কারাদণ্ডে, বা ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৭৮: চুরি (Theft)
কোন ব্যক্তি যদি কারো দখল থেকে অস্থাবর সম্পত্তি তার সম্মতি ছাড়া অসাধুভাবে গ্রহণ করার অভিপ্রায়ে উক্ত সম্পত্তি স্থানান্তর করে, তাহলে ঐ ব্যক্তি চুরি করেছে বলে গণ্য হবে।
ধারা ৩৭৯: চুরির শান্তি।
চুরি করলে অনধিক ৩ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
তথ্য কণিকা:
১। চুরির বিষয়বস্তু অস্থাবর সম্পত্তি।
২। একজন ব্যক্তি তার নিজের সম্পত্তি চুরি করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হতে পারে।
৩। ৩৭৮ ধারায় ৫টি ব্যাখ্যা আছে।
৪। ভূমি থেকে কোন কিছু বিচ্ছিন্ন করলে তা অস্থাবর হয়ে যাবে।
ধারা ৩৮০: বাসগৃহ ইত্যাদিতে চুরি।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৮১: করণিক বা চাকর কর্তৃক মনিবের অধিকার ভুক্ত সম্পত্তি চুরি।
অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৩৮২: চুরি করার উদ্দেশ্যে মৃত্যু ঘটানো, আঘাত দান বা আটকানোর প্রস্তুতি নেওয়ার পর চুরি সংঘটন:
অনধিক ১০ বৎসর কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম।
বলপূৰ্বক গ্রহণ (Extortion )
ধারা ৩৮৩-৩৮৪
ধারা ৩৮৩: বলপূর্বক গ্রহণের সংজ্ঞা।
[বলপূর্বক গ্রহণ-এর সংজ্ঞা]
ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে তার থেকে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ করাকে বলপূর্বক গ্রহণ বলে।
উদাহরণ:
গ, ক-কে ভয় দেখায় এইমৰ্মে যে যদি অর্থ প্রদান না করে, তা হলে গ-সম্পকে ক কুৎসামূলক লেখা প্রকাশ করবে। এই হিসেবে সে তাকে অর্থ প্রদান করার জন্য গ কে প্রবৃত্ত করে। ক বলপূর্বক গ্রহণের অপরাধ সংঘটন করেছে।
ধারা ৩৮৪: বলপূৰ্বক গ্রহণের শাস্তিঃ
অনধিক ৩ বছরের কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
তথ্যকণিকা
১। বলপূর্বক গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিষয়বস্তু হতে পারে।
২। বলপূর্বক গ্রহণের অপরাধ স্বয়ং উপস্থিত না হয়ে সংঘটিত করা যায়।
[ধারাঃ ৩৮৫। বলপূর্বক কিছু আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে কোন ক্ষতির ভয় দেখানো।
কোন ব্যক্তি যদি বল প্রয়োগে সম্পত্তি আদায় করার উদ্দেশ্যে কাউকে জখম করার ভয়ে অভিভূত করে বা জখম করার ভয়ে অভিভূত করার চেষ্টা করে।
১৪ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড দন্ডিত হবে, তবে কারাদণ্ডে মেয়াদ ৫ বৎসরের কম হবে না বা জরিমানাথ দন্ডে, বা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারাঃ ৩৮৬। কোন ব্যক্তিকে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের ভয় দেখাইয়া বলপূর্বক গ্রহণ করা।
কোন ব্যক্তি যদি কাউকে তার নিজের বা অন্য কারো মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের ভয়ে ভীতি প্রদর্শন করে বল প্রয়োগে সম্পত্তি আদায় করে।
১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা-৩৮৭: বলপূবক গ্ৰহণের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের ভীতি প্রদর্শন করা।
কোন ব্যক্তি যদি বল প্রয়োগে সম্পত্তি আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে তার নিজের বা অন্য কারো মৃত্যুর বা গুরুতর আঘাতের ভয়ে ভীতি প্রদর্শন করে বা করার চেষ্টা করে।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড তবে সাত বৎসর কম হবে না এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।]
দস্যুতা (Robbey)
ধারা ৩৯০ ও ৩৯২
ধারা ৩৯০: দস্যুতার সংজ্ঞা।
প্রত্যেক দস্যুতায় হয় চুরি না হয় বলপূর্বক গ্রহণ রয়েছে।
ধারা-৩৯১: ডাকাতির সংজ্ঞা।
চুরি যখন দস্যুতাঃ
যদি কোন ব্যক্তি চুরি করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটায় বা আঘাত করে বা অবৈধভাবে আটক রাখে বা তাৎক্ষণিক মৃত্যু বা তাৎক্ষণিক আঘাত বা তাৎক্ষণিক আটক রাখার ভয় দেখায়, তাহলে ঐ চুরি দস্যুতার সামিল হবে।
বলপূর্বক গ্রহণ যখন দস্যুতাঃ
বলপূৰ্বক গ্রহণকালে অপরাধী কোন ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক মৃত্যু বা তাৎক্ষণিক আঘাত বা তাৎক্ষণিক অবৈধ আটকের ভয় দেখিয়ে কোন সম্পত্তির তাৎক্ষণিক হস্তান্তর করতে বাধ্য করলে ঐ বলপূর্বক গ্রহণ দস্যুতার সামিল হবে।
উদাঃ রাজপথে খ -এর সাক্ষাৎ পায়, তাকে পিস্তল দেখায় ও খ এর অর্থ দাবি করে। ফলে খ তার অর্থ সমর্পণ করে। এক্ষেত্রে ক, খ -কে তাৎক্ষণিক আঘাতের ভয়। দেখায়ে খ -এর অর্থ বলপূর্বক গ্রহণ করেছে এবং উক্ত বলপূর্বক গ্রহণ সম্পাদনকালে তার সম্মুখে উপস্থিত রয়েছে। অতএব, ‘ক’ দস্যুতা অনুষ্ঠিত করেছে বলে গণ্য হবে।
ধারা ৩৯২: দস্যুতার শান্তিঃ
১। অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম।
২। রাজপথে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের মধ্যবর্তী সময়ে দস্যুতা সংগঠিত হলেঃ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
ধারা ৩৯৩: দস্যুতা অনুষ্ঠানের উদ্যোগঃ
যে ব্যক্তি দস্যুতা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ করে,
সে ব্যক্তি কারাদণ্ডে, যার মেয়াদ ৭ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড দন্ডিত হতে পারে, দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দন্ডে দন্ডনীয় হবে। সশ্রম।
ধারা-৩৯৪: দস্যুতা অনুষ্ঠান কালে স্বেচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত প্রদান/
যাবজ্জীবন বা ১০ বৎসর কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। সশ্রম।
ডাকাতি (Dacoity)
ধারা ৩৯১, ৩৯৫, ৩৯৬, ৩৯৯ ও ৪০০
ধারা ৩৯১: ডাকাতির সংজ্ঞাঃ
পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে কোন দস্যুতা সংঘটিত করলে বা করার চেষ্টা করলে বলা হবে তারা ডাকাতি করেছে।
ধারা ৩৯৫: ডাকাতির শান্তি:
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ধারা ৩৯৬: খুনসহ ডাকাতির শান্তি:
মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড দন্ডিত হতে পারে। সশ্রম।
তথ্য কণিকা:
১। ডাকাতি হতে হলে সর্বনিম্ন ৫ জন সদস্য লাগে। তবে চুরি, বলপূর্বক গ্রহণ এবং দস্যুতার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১ জন সদস্য লাগে।
২। ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়া অপরাধ।
ধারা-৩৯৭: মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত সংঘটনের উদ্যোগ সহকারে দস্যুতা বা ডাকাতি।
(আগের দিনের ডাকাতি করা আগে ডাকাত দল ঠিক করে তার ডাকাতি করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কতো টুকু ক্ষতিসাধন করবে)
৭ বৎসরের কম হবে না এমন কারাদন্ড।
ধারা ৩৯৮: মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দস্যুতা বা ডাকাতি করার চেষ্টা বা উদ্যোগ করা।
৭ বৎসরের নিম্ন কারাদন্ড হবে না।
ধারা ৩৯৯: ডাকাতি করার জন্য প্রস্তুতি:
[ডাকাতি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণ]
অনধিক ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম।
ধারা ৪০০: ডাকাত দলে থাকার শাস্তি:
[ডাকাত দলভুক্ত হবার শাস্তি]
যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা। সশ্রম।
ধারা ৪০১: চোরের দলে থাকার শাস্তি:
অনধিক ৭ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম।
ধারা ৪০২: ডাকাতি করার ইচ্ছায় একত্রিত হওয়া।
অনধিক ৭ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা। সশ্রম।
অসাধুভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎ/তছরুপ করা(Dishonestly/Criminal
Misappropriation of Property)
ধারা ৪০৩: অসাধুভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎকরণ।*
কোন ব্যক্তি যদি অসাধুভাবে কোন অস্থাবর সম্পত্তি আত্মসাত করে বা তার নিজস্ব ব্যবহারে পরিণত করে তাহলে সেই ব্যক্তি
অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ডে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
উদাহরণ:
‘ক' রাস্তার উপর একটি পত্র দেখতে পায় যার মধ্যে একটি নাম ঠিকানাসহ বাংক নোট ছিল। ‘ক’ ব্যাংক নোটটি সঠিক মালিককে ফিরিয়ে না দিয়ে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করে। ‘ক’ ৪০৩ ধারার আওতায় অপরাধ করেছে?
ধারা:৪০৪: মৃত ব্যক্তির মৃত্যুকালে তার দখলভূক্ত সম্পত্তি অসাধুভাবে আত্মসাৎকরণঃ
যে ব্যক্তি কোন সম্পত্তি কোন ব্যক্তির মৃত্যুকালে উক্ত মৃত ব্যক্তি দখলভুক্ত ছিল এবং তখন হতে অনুরুপ সম্পত্তি আইনানুগভাবে উহা দখল করার অধিকার সম্পন্ন কোন ব্যক্তির দখলে আসেনি বলে জেনে অনুরুপ সম্পত্তি অসাধুভাবে আত্মসাৎ করে, সে ব্যক্তি যে কোন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে,
যার মেয়াদ তিন বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড দন্ডিত হতে পারে এবং অর্থ দন্ডেও দন্ডিত হবে।
আর যদি অপরাধকারি অনুরুপ ব্যক্তি মৃত্যুকালে তৎকতৃক একজন কেরানী বা চাকর হিসেবে নিয়োজিত থেকে থাকে,
তাহলে কারাদণ্ডের মেয়াদ সাত বৎসর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে পারে।
অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ (Criminal Breach of Trust)
ধারা ৪০৫: অপরাধমুলক বিশ্বাসভঙ্গ
কোন ব্যক্তি কোন প্রকারে সম্পত্তির উপর আধিপত্যের বা বিশ্বাসের ভারভারপ্রাপ্ত (entrusted) হয়ে ঐ সম্পত্তি অসাধুভাবে আত্মসাৎ করে বা তার নিজের ব্যবহারে পরিণত করে। তাহলে সে ব্যক্তি অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করেছে বলে গণ্য হবে।
উদাহরণ:
'ক' এক মৃত ব্যক্তির দানপত্রের এক্সিকিউটর। দানপত্র যেভাবে সম্পত্তি বণ্টন করার জন্য আইনের যে নির্দেশ আছে তা ভঙ্গ করে, সে ঐ সম্পত্তি নিজের ব্যবহারের জন্য আত্মসাৎ করে। 'ক' অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করেছে।
ধারা ৪০৬: অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তি:
৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় হতে পারে।
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
৪০৭ বাহক দ্বারা অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করণ:
কোন ব্যক্তি বাহক, ঘাটের রক্ষক বা গুদামের রক্ষক হিসেবে সম্পত্তির জিম্মাদার হয়ে অনুরূপ সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করলে। অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমান সশ্রম বা বিনাশ্রম
৪০৮ কর্মচারি বা চাকর দ্বারা অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গকরণ অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমান সশ্রম বা বিনাশ্রম
৪০৯ সরকারি কর্মচারি বা ব্যাংকার, বণিক বা
বা প্রতিনিধি দ্বারা অপরাধজন বিশ্বাস ভঙ্গকর। যাবজ্জীবন বা অনধিক ১০ বৎসর এবং জরিমানা
সশ্রম বা বিনাশ্রম
চোরায়মাল (Stolen Property)
ধারা ৪১০: চোরাইমাল।
যে সম্পত্তি গুলোকে চোরায়মাল বলবেঃ
১। চুরিকৃত সম্পত্তি
২। বলপূর্বক গ্রহণকৃত সম্পত্তি।
৩। দস্যুতার ফলে হস্তান্তরিত সম্পত্তি।
৪। অপরাধমূলকভাবে আত্মসাৎ করা সম্পত্তি।
৫। অপরাধমূলকভাবে বিশ্বাসভঙ্গ করার মাধ্যমে সম্পত্তি গ্রহণ।
ধারা ৪১১: অসাধুভাবে চোরাইমাল গ্রহণ করা শাস্তি:
৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
ধারা ৪১২: ডাকাতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অপহৃত মাল অসাধুভাবে গ্রহণ করা/ ডাকাতির মাল।
ডাকাতির মাল রাখার শাস্তি।
যাবজীবন বা ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।
ধারা ৪১৫: প্রতারণা (Cheating)।
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে ফাঁকি দিয়া প্রতারণামূলকভাবে বা অসাধুভাবে উক্ত ফাঁকি দেয়া ব্যক্তিকে কোন ব্যক্তির নিকট কোন সম্পত্তি সমর্পণ করতে বা কোন ব্যক্তির কোন সম্পত্তি সংরক্ষণের ব্যাপারে সম্মতি দান করতে প্ররোচিত করে, কিংবা ইচ্ছাকৃত ভাবে অনুরূপ ফাঁকি দেয়া ব্যক্তিকে এরূপ কোন কার্য করতে বা উহা করা হতে বিরত থাকতে প্ৰবৃত্ত করে যে, সে কাজ অনুরূপ ভাবে ফাঁকি দেয়া না হলে করতে না বা করা হতে বিরত থাকত না এবং যে কাজ বা বিরতি উক্ত ব্যক্তির দেহ, মন, সুনাম বা সম্পত্তির ক্ষতি বা অনিষ্ট সাধন করে বা করার সম্ভাবনা রয়েছে, সে ব্যক্তি প্রতারণা করে বলে গণ্য হবে। ব্যাখ্যাঃ অসাধু ভাবে তথ্য গোপন করণ এ ধারার তাৎপর্যা- ধীনে ফাঁকি বলে বিবেচিত হবে।
উদাহরণ
ক) ক সিভিল সার্ভিসের সদস্য বলে অসত্যভাবে ভান করে ইচ্ছাকৃত ভাবে খ -কে ফাঁকি দেয়, এবং এরূপে তাকে ধারে মাল দেয়ার জন্য খ -কে অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করে। তার উক্ত মালের মূল্য দানের অভিপ্রায় নেই। ক প্রতারণা করে।
ধারাঃ ৪১৬। অপরের রূপ ধারণপূর্বক প্রতারণা।
মিথ্যা পরিচয় দানপূর্বক প্রতারণার (Cheating by Personation) সংজ্ঞা ৪১৬
যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তি বলে ভান করে বা জ্ঞাতসারে এক ব্যক্তিকে অপর ব্যক্তিরূপে প্রতিস্থাপিত করে কিংবা সে বা অপর কোন ব্যক্তি সে বা অনুরূপ অপর ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি সে ব্যক্তি হতে ভিন্ন কোন ব্যক্তি বলে পরিচয় দান করে প্রতারণা করলে, সে ব্যক্তি ‘অপরের রূপ ধারণপূর্বক প্রতারণা করে বলে গণ্য হবে। ব্যাখ্যাঃ যে ব্যক্তির রূপ ধারণ করা হয়, সে ব্যক্তি কোন প্রকৃত বা কল্পিত যা-ই হোক না কেন, অপরাধটি হবে।
উদাহরণ:
ক) ক নিজের একই নামের কোন এক বিত্তশালী ব্যাংকার বলে ভান করে প্রতারণা করে। ক মিথ্যা পরিচয় দানপূর্বক প্রতারণা করে।
খ) ক নিজেকে খ বলে ভান করে প্রতারণা করে। খ, জনৈক মৃত ব্যক্তি। ক মিথ্যা পরিচয় দানপূর্বক প্রতারণা প্রতারণা করে।
ধারা ৪২০: প্রতারণা ও সম্পত্তি সমর্পণ করার জন্য। অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করাঃ (Cheating and dishonestly inducing deliver of property)
যদি কোন ব্যক্তি প্রতারণা করে এবং তা দ্বারা অনুরূপ প্রতারিত ব্যক্তিকে কোন ব্যক্তির নিকট কোন সম্পত্তি সমর্পণ করতে অথবা কোন মূল্যবান জামানত কিংবা মূল্যবান জামানতে রূপান্তরিত হওয়ার যোগ্য কোন স্বাক্ষরিত বা সীলমোহরকৃত বস্তু প্রস্তুত, পরিবর্তন, অথবা সম্পূর্ণরূপে বা অংশতঃ বিনষ্ট করার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করে, সে ব্যক্তি যেকোন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে, যার মেয়াদ ৭ বৎসর পর্যন্ত এবং অর্থদন্ডে দণ্ডনীয় হবে।
ধারা অপরাধ শাস্তি ধরন
৪১৭ প্রতারণার শাস্তি: অনধিক ১ বৎসর বা জরিমানা বা উভয়
সশ্রম বা বিনাশ্রম
৪১৯ অপরের রূপ ধারণ পূর্বক প্রতারণা করার শাস্তি:* অনধিক ৩ বৎসর বা জরিমানা বা উভয় সশ্রম বা বিনাশ্রম
৪২০ প্রতারণা ও সম্পত্তি সমর্পণ করার জন্য অসাধুভাবে প্ররোচিত করা* অনধিক ৭ বৎসর এবং জরিমানা সশ্রম বা বিনাশ্রম
১। প্রতারণার সংজ্ঞা ৪১৫ ধারায় দেওয়া হয়েছে।
২। মিথ্যা পরিচয় দানপূর্বক প্রতারণার (Cheating by Personation) সংজ্ঞা ৪১৬ ধারায় দেওয়া হয়েছে।
অনষ্টিকর/ক্ষতিসাধন(Mischief)
ধারা ৪২৫-৪২৬
ধারা ৪২৫: অনিষ্ট বা বিনাশ:
কোন ব্যক্তি যদি জনসাধারণের বা কোন বিশেষ ব্যক্তির অবৈধ ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কেন সম্পত্তি নষ্ট করে বা তার মূল্য বা উপযোগিতা বিনষ্ট করে, তা হলে বলা হয় ঐ ব্যক্তি, অনিষ্ট সাধন করেছে।
ধারা: ৪২৬: অনিষ্টের শাস্তি:
অনধিক ৩ মাসের কারাবাস বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ (Criminal Trespass)
ধারা ৪৪১: অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ:
কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির দখলকৃত সম্পত্তিতে দুটি উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ করতে পারেঃ
১। অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে বা
২। কোন ব্যক্তি কে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, অপমান বা বিরক্ত করার উদ্দেশ্যে
তথ্যকণিকা
কোন ব্যক্তি আইনগতভাবে কোন সম্পত্তিতে প্রবেশের পর সেখানে বেআইনীভাবে অবস্থান করে অন্য কোন ব্যক্তিকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, অপমান বা বিরক্ত করলে, তখন সে অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ করেছে বলে বিবেচিত হবে।
ধারা ৪৪৭: অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশের শাস্তি: *
অনধিক ৩ মাস কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৪৪২: অনধিকার গৃহপ্রবেশ (House Trespass):
অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ মানুষের বসবাস স্থানে, গৃহে; তাবু বা জলযান বা উপাসনা স্থানে বা সম্পত্তি সংরক্ষণের স্থানে হলে তা অনধিকার গৃহ প্রবেশ হবে।
ধারা ৪৪৮: অনধিকার গৃহ প্রবেশের শাস্তি:
অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৪৪৩: সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহে প্রবেশ (Lurking House Trespass):
অনধিকার গৃহে প্রবেশ যদি এমন গোপনে হয় যে, যার গৃহে প্রবেশ করেছে তার নিকট বিষয়টি গোপন থাকে, তাহলে বলা হবে সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহ প্ৰবেশ।
ধারা ৪৫৩: সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহে প্রবেশের শাস্তি:
অনধিক ২ বছর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৪৪৪: রাত্রিকালে সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহে প্রবেশ (Lurking House Trespass By Night):
সূর্যাস্তের পর ও সূর্যোদয়ের পূর্বে সঙ্গোপনে গৃহে অনধিকার প্রবেশ করাকে রাত্রিকালে সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহপ্ৰবেশ বলে।
ধারা ৪৫৬: রাত্রিকালে সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহেপ্রবেশের শাস্তিঃ
অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৪৪৫: সিদ কেটে বা দরজা-জানালা ভেঙ্গে গৃহে প্রবেশ (House Breaking):
দণ্ডবিধির ৪৪৫ ধারায় উল্লিখিত ৬ প্রকারের যেকোন এক প্রকারে কোন গৃহে প্রবেশ করাকে সিদ কেটে বা দরজা জানালা ভেঙ্গে প্রবেশ বলে।
যেমনঃ বন্ধ দরজা খুলে, দেয়াল টপকিয়ে, নতুন করে পথ তৈরি করে, তালা খুলে, আক্রমণ বা বলপ্রয়োগের ভয় দেখিয়ে, প্রবেশ বা প্রস্থানের জন্য নয় এমন পথ দিয়ে প্রবেশ করলে বলা হবে ঘর ভেঙ্গে প্ৰবেশ।
ধারা ৪৫৩: সিদ কেটে গৃহে প্রবেশের শাস্তি:
অনধিক ২ বছর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
ধারা ৪৪৬: রাত্রিকালে সিদ কেটে বা দরজা জানালা ভেঙ্গে গৃহে প্রবেশ (House Breaking By Night):
সূর্যাস্তের পরে ও সূর্যোদয়ের আগে সিদ কেটে বা দরজা জানালা ভেঙ্গে গৃহে প্রবেশ করাকে বলা হয় রাত্রিকালে সিদ কেটে বা দরজা জানালা ভেঙ্গে গৃহে প্ৰবেশ।
ধারা ৪৫৬: রাত্রিকালে সিদ কেটে গৃহে প্রবেশের শাস্তি:
অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। সশ্রম বা বিনাশ্রম।
জালিয়াতি (Forgery);*
No comments:
Post a Comment