যারা কানা, বৌদির, বোবা হয়ে কবর থেকে উঠবে:

যারা কানা, বৌদির, বোবা হয়ে কবর থেকে উঠবে: সকল মৃত মানুষ আবার জীবিত হবে। আল্লাহ আদেশে।

যাদের মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকবে আবার সম্পূর্ণ জীবিত হওয়ার ব্যাপারে।

তারা কবর থেকে প্রতিবন্ধী হয়ে পুনরায় জীবিত হয়ে উঠবে। যেমন শারীরিক প্রতিবন্ধী আমার এই পৃথিবীতে দেখতে পাই। যেমন: কানা, বৌদির, বোবা ইত্যাদি।

যারা বিশ্বাস করে তারা কবর থেকে সম্পূর্ণ শরীর নিয়ে আবার জীবিত হবে। তারা প্রতিবন্ধী হয়ে কবর থেকে উঠবে না।

আবার জীবিত হওয়ারকে যারা সম্পূর্ণ বিশ্বাস করে। তারা মৃত্যুর পর আবার জীবিত হওয়া সময় সম্পূর্ণ শরীর পাবে। তারা কানা, বৌদির, বোবা ইত্যাদি হয়ে, কবর থেকে জীবিত হয়ে উঠবে না।

সূরা বনী ইসরাঈল ১৭ নং সূরা আয়াত ৯৭ থেকে ৯৯

পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি,

৯৭. যাকে আল্লাহ তায়ালা হেদায়াত দান করেন সে-ই

(মূলত) হেদায়াতপ্রাপ্ত হয়, আর যাকে তিনি গোমরাহ

করেন তাদের (হেদায়াতদানের) জন্যে (হে নবী,) তুমি

আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর অন্য কাউকেই সাহায্যকারী

পাবে না; এমন সব গোমরাহ লোকদের আমি কেয়ামতের

দিন মুখের ওপর ভর দিয়ে চলা অবস্থায় একত্রিত করবো,

এরা তখন হবে অন্ধ, বোবা ও বধির; এদের সবার

ঠিকানা হবে জাহান্নাম; যতোবার তা স্তিমিত হয়ে আসবে

ততোবার আমি তাকে তাদের জন্যে (প্রজ্বলিত করে)

আরো বাড়িয়ে দেবো।

৯৮. এ হচ্ছে তাদের (যথার্থ) শাস্তি, কেননা তারা আমার

আয়াতসমূহকে অস্বীকার করতো, তারা আরো বলতো,

(মৃত্যুর পর) যখন আমরা অস্থিতে পরিণত হয়ে যাবো ও

চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাবো, তখনও কি আমরা নতুন সৃষ্টিরূপে

উথিত হবে?

৯৯. এ (মূখ) লোকেরা কি ভেবে দেখেনি, আল্লাহ।

তায়ালা- যিনি আসমানসমূহ ও যমীন পয়দা করেছেন,

তিনি এ বিষয়ের ওপরও ক্ষমতা রাখেন যে, তাদের মতো।

মানুষদের তিনি সৃষ্টি করতে পারেন, (দ্বিতীয় বার) তাদের পয়দা

করার জন্যে একটি ক্ষণ তিনি নির্ধারণ করে রেখেছেন-

যাতে কোন রকম সন্দেহের অবকাশ নেই; তথাপি এ

যালেম লোকেরা (সেদিনকে) অস্বীকার করেই যাচ্ছে।

যারা অন্ধ হয়ে, কবর থেকে জীবিত অবস্থায় বের হবে:

সকল মৃত্যু মানুষ আবার জীবিত হবে। ইনশাআল্লাহ। জীবিত হওয়া মানুষের মধ্যে কিছু মানুষ দৃষ্টিশক্তিহীন হয়ে জীবিত হবে। কারা কানা হয়ে জীবিত হবে এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন।

সূরা ত্বাহা ২০ নং সূরা আয়াত নং ১২৪ থেকে ১২৭

১২৪. (হাঁ,) যে ব্যক্তি আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হবে তার

জন্যে (জীবনে) বাঁচার সামগ্রী সংকুচিত হয়ে যাবে,

(সর্বোপরি) তাকে আমি কেয়ামতের দিন অন্ধ বানিয়ে

হাযির করবো।

১২৫. সে (নিজেকে এভাবে দেখার পর) বলবে, হে

আমার মালিক, তুমি আমাকে কেন (আজ) অন্ধ বানিয়ে

উঠালে? (দুনিয়াতে তো) আমি চক্ষুষ্মান ব্যক্তিই ছিলাম।

১২৬. তিনি বলবেন, (আসলে দুনিয়াতেও) তুমি এমনিই

(অন্ধ) ছিলে। আমার আয়াতসমূহ তোমার কাছে

এসেছিলো, কিন্তু তুমি তা ভুলে ছিলে, এভাবে আজ

তোমাকেও ভুলে যাওয়া হবে।

১২৭. (মূলত) আমি এভাবেই তাদের প্রতিফল দেই, যারা

(আমার আয়াত নিয়ে) বাড়াবাড়ি করে, সে তার মালিকের

আয়াতের ওপর কখনো ঈমান আনে না; (সত্যিকার

অর্থে) পরকালের আযাবই হচ্ছে বেশী কঠিন এবং অধিক

স্থায়ী।

বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ কোরআন শরীফ নিজের মাতৃভাষায় শুনুন বা পড়ুন।

বাংলা কুরআনের অনুবাদ

Bangla Translation of Quran (All Suras): https://www.youtube.com/playlist?list=PL15B68DBD8E617E0B