Translate

Monday, August 5, 2019



ডিক্রি এবং আদেশ জারি: আদেশ-২১
কোন আদালত ডিক্রি জারি করে: ধারা-৩৮
১। যে আদালত ডিক্রি প্রদান করেছে।
২। যে আদালতে ডিক্রি জারি করার জন্য পাঠানো বা স্থানান্তর করা হয়েছে।
ডিক্রি জারীকারি আদালতের ডিক্রির বিষয় বস্তুর বাইরে কোন বিষয় বিবেচনা করার এখতিয়ার থাকবে না।

ডিক্রি জারির জন্য স্থানান্তর: ধারা- ৩৯
নিম্ন বর্ণিত ক্ষেত্রে ডিক্রি প্রদানকারী আদালত ডিক্রি জারীর জন্য স্থানান্তর করতে পারেন:-
১। যার বিরুদ্ধে ডিক্রি দেয়া হয়েছে, সে যদি অন্য আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারে বসবাস বা ব্যবসা বা ব্যক্তিগত লাভজনক কাজ করেন।
২। ডিক্রিদানকারী আদালতের স্থানীয় সীমানার মধ্যে ডিক্রির দাবি পূরণের জন্য উক্ত ব্যক্তির পর্যাপ্ত সম্পত্তি না থাকলে এবং অন্য আদালতের এখতিয়ারে সম্পত্তি থাকলে।
৩। ডিক্রিতে অন্য আদালতের এখতিয়ারে থাকা সম্পত্তি বিক্রয়ের বা প্রদানের নির্দেশ থাকলে।
৪ । ডিক্রি দানকারি আদালত অন্য যেকোন কারণে স্থানান্তর করতে পারে।

ডিক্রি স্থানান্তরের আবেদন কে করবেন:
১। মামলার পক্ষসমূহ অথবা

২। আদালত নিজেই (Suo motu/Own motion)।






বিচারকের আদেশ পত্র/আদেশ নামা (Precepts):ধারা- ৪৬
Decree Holder এর আবেদনক্রমে ডিক্রিদানকারী আদালত ডিক্রিজারি করতে পারে অন্য কোন উপযুক্ত আদালত কে Judgment debtor (যার বিরুদ্ধে ডিক্রি দেয়া হয়) এর মালিকানাধীন সম্পত্তি ক্রোক করার জন্য আদেশপত্র জারি করতে পারেন।
আদেশনামার আওতাধীন কোন ক্রোক আদেশ ২ মাসের বেশি  কার্যকর থাকবে না।


ডিক্রি জারির তামাদি বা সময়সীমা: ধারা৪৮
১। নিষেধাজ্ঞার ডিক্রি ছাড়া অন্যান্য ডিক্রি জারির আবেদন করতে হয়-সবোচ্চ ১২ বছরের মধ্যে।
২। সাব্যস্থ দেনাদার বা দায়িক (Judgment Debtor) যদি প্রতারণা বা প্রবঞ্চনা বা শক্তি প্রয়োগ  করে ডিক্রিজারীতে বাধা দেয় তাহলে ১২ বছরের পরও ডিক্রিজারীর আবেদন করা যাবে।
৩। জারীর দরখাস্ত ডিক্রির ২ বছর পর দায়ের করা হলে দায়িকের উপর নোটিশ জারি  করতে হবে।[বিধি-২২, আদেশ-২১]
৪। দেওয়ানি আদালতের যে ডিক্রিজারী বা আদেশ কার্যকর সম্পর্কে তামাদি আইনের ১৮৩ অনুচ্ছেদে বা দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৮ ধারায় কোন বিধান নাই তা জারি বা কার্যকর কারার জন্য দরখাস্ত ৩ বছরের মধ্যে করতে হবে। তবে যেখানে ডিক্রি বা আদেশের কপি রেজিস্টার করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে ডিক্রি জারীর আবেদনটি ৬ বছরের মধ্যে দাখিল করতে হবে।
[অনুচ্ছেদ ১৮২, তামাদি আইন ১৯০৮]
৫। ডিক্রি জারীর প্রথম দরখাস্ত ৩ বছরের মধ্যে করতে হবে।
৬। তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ১৮৩ অনুচ্ছেদ মতে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক সাধারণ আদি দেওয়ানি এখতিয়ার প্রয়োগের সময় যে রায়, ডিক্রি বা আদেশ বা সুপ্রিম কোর্টের কোন
আদেশ কার্যকর করার জন্য ১২ বছরের মধ্যে দরখাস্ত দায়ের করতে হবে।


ডিক্রিজারী কার্যকর করার ব্যাপারে আদালতের ক্ষমতা: ধারা-৫১, আদেশ ২১ বিধি ১১
আদালত ডিক্রি দারের আবেদনক্রমে নিম্ন বর্ণিত ৫টি উপায়ে ডিক্রিজারী কার্যকর করতে পারেন:
১। ডিক্রিভুক্ত সম্পত্তি অর্পণের মাধ্যমে।
২। কোন সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয় এর মাধ্যমে।
৩। দেনাদারকে গ্রেফতার ও কারাগারে আটকের মাধ্যমে।
৪। রিসিভার নিয়োগের মাধ্যমে।
৫। প্রয়োজন মোতাবেক অন্য কোন উপায়ে।
ডিক্রিটি অর্থ পরিশোধের জন্য হলে দেনাদারকে কারাগারে সোপর্দ বা আটক করা হবে না।
তবে আদালত নিম্নে বর্ণিত কারণে দেনাদারকে দেওয়ানি কারাগারে আটকের আদেশ দিতে পারেন
১। দেনাদার ডিক্রি জারীতে বিলম্ব বা বাধা দেয়।
২। আত্মগোপন বা আদালতের এখতিয়ারের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে।
৩। সম্পত্তি অসাদুপায়ে স্থানান্তর বা অপসারনের চেষ্টা করলে।
৪। ডিক্রির টাকা পরিশোধের অর্থ থাকার পরও পরিশোধ করতে অবহেলা বা অস্বীকার করলে।



গ্রেফতার ও আটক মাধ্যমের ডিক্রিজারী: ধারা- ৫৫-৫৬
১। যে কোন সময় যে কোন দিনে ডিক্রি জারির জন্য সাব্যস্ত দেনাদারকে (Judgment Debtor) গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থিত করা যাবে এবং আটক আদেশদানকারি আদালত যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার দেওয়ানি কারাগারে তাকে আটক রাখা যেতে পারে।
২। কাউকে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্য কোন বাসগৃহে সূর্যাস্তের পর এবং সূর্যোদ্বয়ের পূর্বে প্রবেশ করা যাবে না।
৩। আদালত টাকা পরিশোধের জন্য ডিক্রি জারির জন্য কোন মহিলাকে গ্রেফতার বা আটক রাখার আদেশ প্রদান করবেন না। [ধারা-৫৬]




আটক ও মুক্তি: ধারা: ৫৮-৫৯ এবং ৫৫
১) ৫০ টাকার উর্ধ্বে টাকা পরিশোধের ডিক্রির ক্ষেত্রে সাব্যস্ত দেনাদারকে ৬ মাস পর্যন্ত দেওয়ানি আদালতে আটক রাখা যাবে। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাৎ ৫০ টাকার কম হলে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত।
২।সাব্যস্ত দেনাদার অসুস্থতার জন্য গ্রেফতার বা দেওয়ানি আদালত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। [ধারা-৫৯]
৩। গ্রেফতারের পর ডিক্রির টাকা এবং গ্রেফতারের খরচ পরিশোধ করলে মুক্তি পেতে পারে [ধারা-৫৫(১)] তবে আদালতের অনুমতি লাগবে।

৪। আটক বা গ্রেফতার হওয়া সাব্যস্ত দেনাদার ১ মাসের মধ্যে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষনার আবেদন করলে এবং দেউলিয়া আইনের বিধান মেনে চললে মুক্তি দিতে পারেন। [ধারা-৫৫(৩)ও(৪)]
৫। খোরপোষ ভাতা দেওয়া বন্ধ করলে মুক্তি পাবে।
৬। যিনি আবেদন করেছিলেন তিনি যদি অনুরোধ করেন মুক্তি দেওয়ার জন্য তবে সেক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি লাগবে।


ক্রোকের মাধ্যমে ডিক্রিজারী: ধারা ৬০-৬১
১। ডিক্রিজারীর জন্য নিম্ন বর্ণিত সম্পত্তিগুলো ক্রোক ও বিক্রয় করা যাবে:
জমি, গৃহ, দালান কোঠা, মালামাল, টাকা, ব্যাংক নোট চেক, বিল অব এক্সচেঞ্জ, হুন্ডি, প্রমিসরি, নোট, ইমারত,  হুন্ডি সরকারি ঋণপত্র, বন্ড, সিকিউরিটি, দেনা, কোম্পানীর
শেয়ার।
২। ডিক্রিজারী জন্য নিম্ন বর্ণিত সম্পত্তিগুলো ক্রোক বা নিলামে বিক্রয়  করা যাবে না:
সাব্যস্তদেনাদার তার স্ত্রী এবং তার সন্তানদের  পরিধেয় পোশাকে রান্নার বাসন পত্র, বিছানা, স্ত্রীর ব্যক্তিগত গহনা।
কারিগরের হাতিয়ার, চায়ের হাতিয়ার (Instrument) চাষের ক্ষেতের গো মহিষাদি এবং বীজ শস্য।
কৃষক বা চাষীর বাসগৃহ, হিসেবের খাতা পত্র, ব্যক্তিগত সেবার অধিকার, বৃত্তি, পেনশন, রাজনৈতিক পেনশন, শ্রমিক এবং ভূত্যের বেতন বা পারিশ্রমিক। 
কৃষি জাত উৎপাদিত দ্রব্য যা কৃষকের খোরপোষর জন্য লাগে তা ক্রোক থেকে মুক্তি দিতে পারে সরকার।[ধারা-৬১]
Judgment debtor বা দায়িকের দখলে নাই এরুপ ঋণ, শেয়ার কর্পোরেশনের  মূলধন ক্রোকের আদেশ আদালত দিতে পারেন।
ক্রয়মূল্যের শতকরা ৫ ভাগের সমান টাকা জমাদিয়ে ডিক্রিজারীর বিক্রয়ের রদের দরখাস্ত করা যায়। [বিধি- ৮১, আদেশ-২১]
নিলাম বিক্রয় রদ করার সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের মধ্যে দিতে হয়।



তথ্য কণিকা
১. ডিক্রিজারীর জন্য অস্থাবর/স্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রয় করার আদেশ দিতে পারবে আদালত প্রাঙ্গনে নীলামের নোটিশ জারির পর।
২, মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোক এবং বিক্রয় করে ডিক্রি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
৩. নিলাম বিক্রয় রদ কর বা রদ করতে অস্বীকার করে আদেশ দিলে, তার বিরুদ্ধে আপিল করা যায়।[আদেশ ৪৩]
৪. সম্পত্তি বাটোয়ারা অথবা বিভাজন সম্পর্কিত কোন ডিক্রি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব কালেক্টর বা কালেক্টর এর অধীনস্থ গেজেটেড কর্মকর্তার।[ধারা ৫৪]
৫. ক্রোক হতে সম্পত্তি মুক্তি করার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে-[আদেশ ৪৩]
৬. অর্থ পরিশোধের মামলায় ডিক্রিজারীর আবেদন মৌখিকভাবে করা যায়।
৭. সম্পত্তি ক্রোকের নালিশ প্রত্যাখ্যান করলে আপিল করা যাবে। [আদেশ-৪৩]
৮. জারীর জন্য নতুন দরখাস্ত দাখিল করা যায় না ১২ বছর পর।
৯. বাটোয়া মামলায় দুটি ডিক্রি হয়: ১। প্রাথমিক ডিক্রি, ২। চূড়ান্ত ডিক্রি
১০. আদালত ডিক্রি স্থগিত করতে পারে বিধি-২৬, আদেশ- ২১ বিধানবলে।
১১. বৃটেন বা অপর কোন  সহযোগি দেশের কোন উধ্বর্তন  আদালতের ডিক্রির সহিমোহরকৃত নকল বাংলাদেশের কোন জেলা আদালতে পেশ করা হলে তা উক্ত জেলা আদালতের নিজস্ব ডিক্রি হিসেবে জারি করা যেতে পারে।[ধারা ৪৪-ক(১)]
১২. ডিক্রি সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ হওয়ার পূর্বে সাব্যস্ত দেনাদারের মৃত্যু হলে ডিক্রিদার মৃত লোকের বৈধ প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ডিক্রিজারির জন্য ডিক্রিদানকারী আদালতে আবেদন  করতে পারবে। [ধারা ৫০(১)]।







ডিক্রিজারী কাজে বাধা: ধারা: ৭৪
ডিক্রিজারীতে বাধা দিলে আদালত ৩০ দিন পর্যন্ত দেওয়ানি আদালতে আটক রাখতে পারে।


ইন্টাপ্লিডার স‍্যুট
ধারা-৮৮, আদেশ ৩৫
ইন্টারপ্লিডার স‍্যুট: ধারা ৮৮
ইন্টাপ্লিডার স‍্যুট বলতে এমন এক ধরনের মামলাকে বুঝায়, যেখানে মামলা সংঘটিত হয়  বিবাদী গণের মধ্যে এবং মামলার বাদী মামলার খরচ ছাড়া মামলার বিষয়বস্তুর উপর কোন দাবি থাকে না। বাদী মামলা দায়ের করে মাত্র, কিন্তু মামলা পরিচালনা করেন না।


তথ্য কণিকা
১। ইন্টারপ্লিডার স‍্যুট একটি বিশেষ মামলা। এরুপ মামলার ক্ষেত্রে বাদীর বিরুদ্ধে বিবাদী সাধারণ মামলা করলে তা স্থগিত হয়ে যাবে।


আপিল (Appeal)
আদেশ-৪১
আপিল
নিম্ন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন মামালার রায়ের বিরুদ্ধে যে কোন সংক্ষুব্ধ পক্ষ উক্ত মামলার রায় বাতিল বা সংশোধন বা বিচারিক পর্যালোচনার জন্য উচ্চ আদালতে মেমোরেন্ডামের আকারে যে দরখাস্ত দাখিল করা হয়, তাকে আপিল বলে।


আপিল করা যায়।
১। মূল ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল (ধারা ৯৬-৯৯, আদেশ ৪১)
২। আদেশের বিরুদ্ধে আপিল (ধারা ১০৪-১০৬, আদেশ ৪৩)


কে আপিল করতে পারে
১। ডিক্রি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষ বা তার বৈধ প্রতিনিধি।
২। রায় বা ডিক্রি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ গ্রহীতা।
৩। স্বার্থ আছে এমন যে কোন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি আদালতের অনুমতি নিয়ে।
৪। নাবালকের ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত আইনগত অভিভাবক।


মূল ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল: ধারা- ৯৬
১। মূল এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের প্রত্যেক ডিক্রি বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। [৯৬ (১)]
২। একতরফা ভাবে প্রদত্ত মূল ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল চলবে। [৯৬(২)]


কখন আপিল চলবে না।
১। পক্ষগণের সম্মতির ভিত্তিতে প্রদত্ত ডিক্রি অর্থাৎ সোলে ডিক্রির (Compromise Decree) বিরুদ্ধে। [ধারা ৯৬(৩)]
১। ক্ষুদ্রবিষয়ক আদালতের ডিক্রির বিরুদ্ধে।
৩। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারার অধীনে প্রদত্ত আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।


প্রাথমিক ডিক্রি থেকে আপিল না করলে: ধারা- ৯৭
প্রাথমিক ডিক্রিতে যে বিষয় নিষ্পত্তি হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপিল না করলে চুড়ান্ত ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করে উক্ত বিষয়ে আপত্তি বা সংশোধন করা যাবে না।


ডিক্রি পরির্বতন বা সংশোধন:  ধারা-৯৯
মামলার Merit বা আদালতের এখতিয়ারকে ক্ষুন্ন না করলে সাধারণ ভুল, ত্রুটির জন্য বা অনিয়মের জন্য ডিক্রি পরিবর্তণ বা সংশোধন করা যায় না।


আদেশের বিরুদ্ধে আপিল
ধারা- ১০৪, ১০৬ এবং আদেশ ৪৩
যে সকল আদেশ থেকে আপিল করা যায়: ধারা ১০৪
১। ৩৫ক ধারার আওতায় প্রদত্ত আদেশ ।
২। ১৫ ধারার আওতায় প্রদত্ত আদেশ ।
৩। ডিক্রি জারিতে গ্রেফতার বা দেওয়ানি কারাগারে আটকের আদেশ ছাড়া এই আইনের যে কোন বিধানের আওতায় জরিমানার বা কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার বা দেওয়ানি কারাগারে  আটক করার নির্দেশ মূলক আদেশ ।
৪। যেখানে নিয়মাবলীর দ্বারা আপিল ব্যক্ত ভাবে মঞ্জুর করা হয়।


আপিল আদালতের ক্ষমতা: ধারা ১০৭, বিধি-৩৩, আদেশ-৪১
১। মামলা চূড়ান্তভাবে নিম্পত্তি করার ।
২। মামলা পূর্নবিচারে প্রেরণ করার।
৩। বিচার্য বিষয় গঠন ও সেগুলি বিচারের জন্য প্রেরণ করার।
৪। অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ বা অনুরুপ সাক্ষ্য গ্রহণ করার জন্য তলব করার ক্ষমতা।
মনে রাখুন: Remand মানে To send back/মামলা পূর্নবিচারের জন্য পাঠানো।
কখন সুপ্রিম কোর্টের নিকট আপিল চলবে: ধারা-১০৯ এ বর্ণিত আছে।



আপিল কোন আদালতে করতে হবে।
S, 21, The Civil Court Act,1887
১। সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ এবং যুগ্ম সহকারী জজ আদালতের ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে হবে জেলা জজের আদালতে।
২। যুগ্ম জেলা জজের ডিক্রি বা আদেশের মূল্যমান ৫ লক্ষ টাকার অধিক হলে আপিল দায়ের করতে হবে হাইকোর্ট বিভাগে। তবে সিভিল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০১৬ সালে সংশোধনীর
ফলে বর্তমানে আপিল এখতিয়ার ৫ লক্ষের পরিবর্তে ৫ কোটি টাকা অধিক হলে আপিল করা হবে হাইকোর্ট বিভাগে।
৩। জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের রায় বা ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল যাবে হাইকোর্ট বিভাগে।


আপিল দায়েরের তামাদি ।
১। জেলা জজের নিকট কোন রায় ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে ৩০ দিনের মধ্যে। [অনুচ্ছেদ ১৫২, তামাদি আইন ১৯০৮]।
২। হাইকোর্ট বিভাগে কোন রায় ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে হয় ৯০ দিনের মধ্যে। [অনুচ্ছেদ ১৫৬, তামাদি আইন ১৯০৮]



রেফারেন্স (Referance)
১১৩ ধারা ও আদেশ ৪৬
অভিমত/ Referance
অধস্তন কোন আদালত কোন সময়ে যদি প্রয়োজন মনে করে, তাহলে মোকদ্দমার বিষয়ে মতামতের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করতে পারেন। হাইকোর্ট বিভাগে এরুপ অভিমত চাওয়াকে  Referance বলে।


রেফারেন্স সম্পর্কিত বিধান
দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ১১৩ ও আদেশ ৪৬।

রেফারেন্সের আবেদন কে করতে পারে?
হাইকোর্ট বিভাগের অধ:স্তন আদালত।

কি বিষয়ে রেফারেন্স চাওয়া যায়।
তথ্যগত ও আইনগত জটিল প্ৰশ্ন বিষয়ে।

রেফারেন্স চাওয়া হয় কোন আদালতে
হাইকোর্ট বিভাগে রেফারেন্স চাওয়া হয়।


রিভিউ (Review)
১১৪ ধারা, আদেশ ৪৭
সংজ্ঞা:
সাধারণত রিভিউ বলতে বুঝায় যে আদালত  রায় প্রদান করেছে, উক্ত আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় পূর্ণ বিবেচনা বা পুনরায় দেখা বা বিচারক পর্যালোচনা কে রিভিউ বলে।

রিভিউ সম্পর্কিত বিধান
দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ১১৪ এবং আদেশ ৪৭ রিভিউ সম্পর্কিত বিধান নিয়ে । আলোচনা করে।


কে রিভিউ আবেদন করবে?
যে পক্ষ আদালতের ডিক্রি বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হয়, সেই পক্ষ রিভিউ আবেদন করতে  পারে।

কোথায় রিভিউ আবেদন করতে হয়?
যে আদালত ডিক্রি বা আদেশ প্রদান করে, সেই একই আদালতে রিভিউর আবেদন করতে হয়।


কখন রিভিউ আবেদন করা যায়।
১। যে ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা চলে কিন্তু আপিল করা হয় নাই।
২। যে ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল চলে না।
৩। ক্ষুদ্র বিষয়ক আদালতে রেফারেন্স প্রদত্ত সিদ্ধান্ত।


রিভিউ আবেদন করার শর্তসমূহ
১। মামলা সম্পর্কে নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় আবিষ্কার হলে।
২। মামলার নথিতে ভুল বা স্পষ্টত কোন ভ্রান্তি থাকলে।
৩। অন্য কোন পর্যাপ্ত কারণে।


রিভিউ আবেদনের সময়সীমা
ডিক্রি বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে তামাদি আইন ১৯০৮ সালের ৯০ দিনের মধ্যে  রিভিউ আবেদন করতে হয়। তামাদি আইন ১৯০৮ এর অনুচ্ছেদ ১৭৩।


প্রতিকার
১। রিভিউ আবেদন  মঞ্জুর করলে তার বিরুদ্ধে আপিল চলে। [আদেশ ৪৩]
তবে রিভিউর আবেদন না মঞ্জুর করলে রিভিশন চলবে।


তথ্য কণিকা
১। কোন পক্ষ যদি কোন ডিকি বা অদেশের বিরুদ্ধে আপিল না করে, তবে সে পক্ষ অন্য পক্ষের আপিল বিচারধীন থাকা স্বত্বেও রায় পুনরীক্ষন করার জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন।


২। কিন্তু যেক্ষেত্রে আপিলের কার্যক্রমের শর্তসমূহ দরখাস্তকারী ও আপিলকারীর জন্য একই   বা‌ যেক্ষেত্রে উত্তরদায়ক হিসাবে আদালতে হাজির হয়ে উক্ত ব্যক্তি স্বীয় বক্তব্য পেশ করতে  পারবে, সেক্ষেত্রে রিভিউ এর দরখাস্ত করা চলবে না।
৩। রিভিউ শুধু দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।


রিভিশন (Revision)
১১৫ ধারা
সংজ্ঞা
রিভিশন বলতে বুঝায়, নিম্নে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশ উচ্চ আদালত কর্তৃক বিচারিক প্রতিকার সংশোধন করা।

রিভিশন সম্পর্কিত বিধান:
দেওয়ানি কার্যবিধির ১১৫ ধারায় রিভিশন সম্পর্কিত বিধান আছে।

কে রিভিশন আবেদন করবে?
ডিক্রি বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ যে কোন পক্ষ।

কোথায় রিভিশন আবেদন করতে হয়?
নিম্নে আদালতের ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিভিশন দায়ের করতে হয়।

কোন আদালতগুলোকে রিভিশন এখতিয়ার দেওয়া আছে।
২টি আদালতকে যথা:-
১। হাইকোর্ট বিভাগ।
২। জেলা জজ আদালত।


রিভিশন দায়েরে শর্তসমূহ:
১। নিম্ন আদালত কর্তৃক ডিক্রি বা আদেশ প্রদত্ত হবে।
২। ডিক্রি বা আদেশ আপিলযোগ্য নয়।
৩। গুরুত্বপূর্ণ আইনগত প্রশ্নে ভুল ও ন্যায় বিচার বিঘ্ন ঘটে।

হাইকোর্ট বিভাগে যখন রিভিশন দায়ের করতে হয়: ধারা-১১৫ (১)
হাইকোর্ট বিভাগে নিম্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে রিভিশন দায়েরের আবেদন করা যাবে:
ক) জেলা জজ আদালত বা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে ।
খ) সহকারি জজ আদালত বা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বা যুগ্ম জেলা জজ  আদালতের ডিক্রির বিরুদ্ধে।


জেলা জজ আদালতে যখন রিভিশন দায়ের করতে হয়: ধারা-১১৫ (২)
নিম্নে বর্ণিত আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যায় জেলা জজ  আদালতে:
ক) সহকারী জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে
খ) সিনিয়র সহকারি জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে
গ) যুগ জেলা-জজের আদেশ বিরুদ্ধে।


অতিরিক্ত জেলা জজের রিভিশন এখতিয়ার: ধারা-১১৫ (৩)
অতিরিক্ত জেলা জজ জেলা জজের রিভিশন এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারবেন।

দ্বিতীয় রিভিশন দায়ের: ধারা-১১৫ (৪)
দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে ২য় রিভিশন দায়ের করা যায় কিন্তু ২য় আপিল করা যায় না। তবে ২য় রিভিশন সাধারণত দায়ের করা যায় হাইকোর্ট বিভাগে। জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা
জজ কর্তৃক রিভিশন মামলায় প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ হাইকোর্ট বিভাগে অনুমতি সাপেক্ষে রিভিশন দায়ের করতে পারে। অর্থাৎ রিভিশন দায়ের করতে হলে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন।


তথ্য কণিকা।
১। রিভিউ আবেদন করতে হয় একই আদালতে।
২। রিভিশন ও আপিল দায়ের করতে হয় উচ্চ আদালতে।
৩। যেখানে আপিল চলে না সেখানে রিভিশন করা যায়।
৪। জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ কর্তৃক প্রদত্ত রিভিশন মামলায় প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে সংস্কুদ্ধ পক্ষ হাইকোর্ট বিভাগে অনুমতি সাপেক্ষে রিভিশন দায়ের করতে পারে।
৫। দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে ২য় রিভিশন দায়ের করা যায় কিন্তু ২য় আপিল করা যায় না।
৬। ১১৫ ধারায় মোট ৫টি উপধারা আছে।
৭। তবে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে খালাস ও অপর্যাপ্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২য় আপিল করা যায়।
৮। দেওয়ানিতে রিভিউর বিধান আছে কিন্তু ফৌজদারিতে নেই।
৯। জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ কর্তৃক রিভিশন মামলায় প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ হাইকোর্ট বিভাগে অনুমতি সাপেক্ষে রিভিশন দায়ের করতে পারে।
১০। অতিরিক্ত জেলা জজেরও রিভিশনাল এখতিয়ার আছে। [ধারা ১১৫(৩)]

পুনরুদ্ধারেরর জন্য আবেদন
ধারা ১৪৪
Restitution (প্রত্যর্পণ):
১। যদি কোন ডিক্রি বা আদেশ পরিবর্তন বা রদ করা হয় এবং অনরুপ ডিক্রি বা আদেশের দ্বারা (যার পক্ষে ডিক্রি বা আদেশ পরিবর্তন বা রদ করা হয়) ঐ পক্ষ কোন সুবিধা পাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, তিনি তা ফিরে পাবার জন্য প্রত্যর্পণের দরখাস্ত করতে  পারেন।
২। দখল  প্রত্যর্পণের আদেশ আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা নয় বরং আইনানুগভাবে  আদালতের উপর ন্যাস্ত ।
৩। প্রত্যর্পণের দরখাস্তে ১৪৪ ও ১৫১ ধারা উল্লেখ করা যেতে পারে।

দেওয়ানি আদালতের সহজাত ক্ষমতা।
Inherent Power of the Court
ধারা-১৫১
অন্তনিহিত সহজাত ক্ষমতা:
কোন দেওয়ানি আদালত কর্তৃক ন্যায় সংগতভাবে  বিচারকার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে উক্ত  আদালতের উপর অর্পিত বিশেষ এখতিয়ার সম্পন্ন ক্ষমতা প্রয়োগ করার অধিকারকে সহজাত ক্ষমতা বলে।

শর্ত সমূহ:
১। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে অথবা
২। আদালতের কার্য প্রণালীর অপব্যবহার রোধ করার জন্য

তথ্য কণিকা
১। সকল দেওয়ানি আদালতের সহজাত ক্ষমতা আছে। কিন্তু ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র হাইকোর্ট বিভাগের সহজাত ক্ষমতা আছে। [ধারা ৫৬১ক]
২। আদালত যে কোন সময় মোকদ্দমার কার্যধারার সংশোধন করতে পারে।
৩৷ ১৫১ ধারায় প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করা যায়, কিন্তু আপিল করা যায় না।





রায়, ডিক্রি বা আদেশগুলোর সংশোধন: ধারা-১৫২
রায়, ডিক্রি বা আদেশ সংশোধন যে কোন সময় আদালত নিজস্ব উদ্যোগে (Own motion) বা কোন পক্ষের আবেদনে করতে পারে নিম্ন বর্ণিত কারণে-
১। কেরানীর ভুল (clarical Mistakes)
২। গানিতিকভুল (Arithmetical Mistakes)
৩। আকস্মিক ভুল (Accidental ship) বা বিচ‍্যূতির (omission) কারণে রায়, ডিক্রি বা আদেশে ভুল হলে।








No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...