Translate

Sunday, June 16, 2019

কোরআনের বাংলা অনুবাদ ভুলের কারণ এবং এর সমাধান:

কোরআনের বাংলা অনুবাদ ভুলের কারণ এবং এর সমাধান:



মনে করেন আপনি একটি বই অনুবাদ করে চান। 
 আপনার সামনে দুই জন ব্যক্তি আছে। দুই জন ব্যক্তি এই দুই ভাষার উপর সমান দক্ষতা আছে। তাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি এই বইটি সম্পূর্ণ মুখস্থ করছে।
আর অন্য ব্যক্তিটি এই বইটি মুখস্থ করে নাই।
আপনি এই দুই ব্যক্তিকে, এই বইটি অনুবাদ করতে দিয়ে বললেন এই বইয়ে যে কথা বলা হয়েছে তা একটি কথা সাথে অন্য একটি কথার অমিল হবে না। আপনার কি মনে হয় কোন ব্যক্তি অনুবাদ সবচেয়ে ভালো হবে ?



হ্যাঁ আপনি ঠিক ধরেছেন যে ব্যক্তি এই বইটি সম্পূর্ণ মুখস্থ তার অনুবাদ সবচেয়ে ভালো হবে। কারণ তারা চোখের সামনে এই বইটি সম্পূর্ণ কথা ছবির মতো ফুটে উঠবে। সে বইটির একটি  কথার সাথে আরেকটি কথা মিল রেখে অনুবাদ করবে।



আর যে ব্যক্তির এই বইটি  মুখস্থ নাই সে ব্যক্তি একটি বাক্যের অনুবাদ করে তাকে সম্পূর্ণ বইটি প্রতি বাক্যের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে যে এই বাক্যটি কি কোন  অন্য শব্দ সাথে অমিল আছে কি না?



ঠিক একইভাবে ভাবে আল কোরআন অনুবাদের বেলায় হয়ে থাকে।


আপনি কি জানেন আল কোরআনের বাংলা অনুবাদ হয়েছে এমন অনেকে বইয়ে একটি আয়াতের অর্থ সাথে অন্য আয়াতে মিল রেখে অনুবাদ করা হয় নাই।




সূরা আল জুমার আয়াত:২৩ 
আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।
২৩.” আল্লাহ তায়ালা সর্বোকৃষ্ট বাণী নাযিল করেছেন, তা এমন (উৎকৃষ্ট) কেতাব যার প্রতিটি বাণী পরস্পরের সাথে সামঞ্জস্যশীল, অভিন্ন (যেখানে আল্লাহর ওয়াদাগুলো বার বার পেশ করা হয়েছে), যারা তাদের মালিককে ভয় করে, এ (কেতাব শোনার) ফলে তাদের চামড়া (ও শরীর)কেঁপে ওঠে, অতপর তাদের দেহ ও মন বিগলিত হয়ে আল্লাহ তায়ালার স্মরণে ঝুঁকে পড়ে; এ (কেতাব) হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার হেদায়াত, এর দ্বারা তিনি যাকে চান তাকে সঠিক পথ দেখান; আল্লাহ তায়ালা যাকে গোমরাহ করেন তার আসলেই কোন পথপ্রদর্শক নেই।”






বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের এই বিষয়ে সাথে একমত। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের চাচ্ছে। এই ভুল গুলো সংশোধন করতে। কিন্তু বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী কোন লেখকের অনুবাদের বই  লেখক ছাড়া অন্য কেউ সংশোধন করতে পারবে না।



তাহলে আইন অনুযায়ী সমাধান  হলো  বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের, ভুল অনুবাদ হয়েছে এমন কোরআনের একটি তালিকা করবে। এবং এই তালিকায় বই গুলো কেন বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হবে না। এই বলে বাংলাদেশ  সংবাদ সম্মেলন করে এই অনুবাদ লেখকদের জানাবে।



অনুবাদ লেখক দের বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের আসার জন্য এবং তাদের পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন জন্য এক বা ততোধিক দিন ধার্য করবে । একইসাথে বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের একটি কোরআন গবেষণা কমিটি গঠন করবে। এই কমিটি  সদস্যদের যোগ্যতা হবে,

১। তারা সকলেই কোরআনের হাফেজ হতে হবে। এবং
২। আরবি ভাষায় এবং বাংলা ভাষার উপর সমান দক্ষতা থাকতে হবে। ( সুশিক্ষিত হতে হবে)    এবং
৩। কোরআনের প্রেমিক হতে হবে।



কোরআন গবেষণা কমিটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোন কোরআন শরীফ অনুবাদের কোন ভুল পেলে। সেই অনুবাদের ভুল গুলো ধর্মীয় মন্ত্রণালয় মাধ্যমে সরকারের কাছে পাঠানো।



সরকার মানে, ধর্মীয় মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপনে জারি মাধ্যমে
কোরআন গবেষণা কমিটির তালিকা অনুযায়ী সকল কোরআন বাংলা অনুবাদ কে  বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করবে।

এবং মানুষকে এই অনুবাদকের অনুবাদ করা কোরআন শরীফ কিনতে নিষেধ করবে।



“সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।”




লেখক: যুবাইর মাহমুদ।



No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...