Translate

Friday, January 11, 2019

কোন ধর্মীয় বই আগে পড়তে হবে:

কোন ধর্মীয় বই আগে পড়তে হবে:


  1. আপনার সামনে দুইজন ব্যক্তি  তার মধ্যে একজন মানুষ এবং অন্য একজন হলো সর্বশক্তিমান এক ঈশ্বর।
আপনি কার কথা আগে শুনবে। আপনি কি এক ঈশ্বরের কথা বন্ধ করে একজন সাধারণ মানুষ কথা শুনবেন।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, এক ঈশ্বর কিভাবে কথা বলবে? 

আমাদের সমাজে অনেক মূর্খ  আছে যারা এক ঈশ্বরের কথা লিপিবদ্ধকৃত  বই থেকে মানুষ লেখা বই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

তারা যুক্তি হিসাবে দেখায়, তারা এক ঈশ্বরের বইকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছে। বাস্তবতা হলো তারা পবিত্র কিতাব গুলো কে তারা তাদের মন মতো ব্যাখ্যা করেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।

একবার কল্পনা করুন সর্বশক্তিমান এক ঈশ্বর আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছেন। আর আপনি সর্বশক্তিমান এক ঈশ্বর কথা বন্ধ করে একজন সাধারণ মানুষ কথা শুনতে চাচ্ছেন এই বলে যে এই সাধারণ মানুষটিও এক ঈশ্বরের কথা বলতে চাচ্ছেন।

উপরের কথাগুলো ব্যাখ্যা হচ্ছে আপনি এক ঈশ্বরের প্রধান পবিত্র বই না পড়ে একজন সাধারণ মানুষ লেখা বই পড়াকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন, এই বলে যে, এই মানুষটির বইটি এক ঈশ্বরের কথা বলছে। আপনি একটু ভেবে দেখুন যে কার জ্ঞান বেশি, এক ঈশ্বরের না, এই মানুষটি যে  ঈশ্বরের সম্পর্কে বই লিখেছে। এমন ও তো হতে পারে এই ব্যক্তি আপনাকে বিপথগামী করতে চাচ্ছে কিন্তু আপনি কিছুই বুঝতে পারছেন না।

সব কথার এক কথায় হচ্ছে, আপনি যার সাথে থাকবে বা যার বই পড়বেন তার দ্বারা আপনার জীবন বেশি প্রভাবিত হবে। আপনি যদি একজন ব্যক্তির বইকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তখন আপনি এই ব্যক্তি থেকে জ্ঞান অর্জন করবে। আর আপনি যদি, জ্ঞানের বাদশাহ কথা গুলো সরাসরি লিপিবদ্ধকৃত বই পড়েন। তখন আপনি  জ্ঞানের বাদশাহ এক ঈশ্বরের থেকে সরাসরি জ্ঞান পাবেন। সব কিছু সম্ভব হবে সবশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী ঈশ্বরের দানে।

সব কথার মূল ভাব হলো: আপনি যদি মুসলিম হন তখন আপনাকে কুরআন শরীফকে আগে শুনতে বা পড়তে হবে সবার আগে, অন্য ইসলামী বই পড়া আগে। অবশ্যই আপনার মাতৃভাষায়।
আপনি যদি খ্রিস্টান ধর্ম পালন করেন তখন আপনাকে ইঞ্জিল কিতাব সবার আগে পড়তে হবে।
আপনি হিন্দু হলে আপনি সবার আগে ‌বেদ, গীতা ‌পড়ুন।

লেখক: যুবাইর মাহমুদ।

No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...