Translate

Sunday, June 17, 2018

আস্তিক বনাম নাস্তিক মধ্যে তর্ক, মেয়েদের অল্প বয়সে বিবাহ নিয়ে।


আস্তিক বনাম নাস্তিক মধ্যে তর্ক, মেয়েদের অল্প বয়সে বিবাহ নিয়ে।

নাস্তিক: ইসলাম ধর্মের নবী অপরিণত  একজন মেয়ে কে বিবাহ করেছে।

আস্তিক: আপনি কি জানেন মেয়েরা কখনোই প্রাপ্ত বয়স্ক হয়?

নাস্তিক: মেয়েদের সাধারণ আঠারো বছর প্রাপ্ত বয়স্ক হয়।

আস্তিক: আপনি কি জানেন মেয়েদের মাসিক কি?



নাস্তিক: রজঃ স্রাব (ইংরেজি: Menstruation) হলো উচ্চতর প্রাইমেট বর্গের স্তন্যপায়ী স্তরী- একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যা প্রজননের সঙ্গে সম্পর্কিত।[১] প্রতি মাসে এটি হয় বলে এটিকে বাংলায় সচরাচর মাসিক বলেও অভিহিত করা হয়। প্রজননের উদ্দেশ্যে নারীর ডিম্বাশয়ে ডিম্বস্ফোটন হয় এবং তা ফ্যালোপিয়ন টিউব দিয়ে জরায়ুতে চলে আসে এবং ৩-৪ দিন অবস্থান করে।[২] এ সময় যদি পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনের মাধ্যমে নারীর জরায়ুতে শুক্র না-আসে এবং এই না-আসার কারণে যদি ডিম্ব নিষিক্ত না হয় তবে তা নষ্ট হয়ে যায় এবং জরায়ুগাত্রের অভ্যন্তরতম সরস স্তর(এন্ডমেট্রিয়াম) ভেঙ্গে পড়ে।





এই ভগ্ন ঝিল্লি, সঙ্গের শ্লেষ্মা ও এর রক্ত বাহ থেকে উৎপাদিত রক্তপাত সব মিশে তৈরী তরল এবং তার সংগে এর তঞ্চিত এবং অর্ধ-তঞ্চিত মিশ্রণ কয়েক দিন ধরে লাগাতার যোনিপথে নির্গত হয়। এই ক্ষরণই রজঃস্রাব বা রক্তস্রাব বা ঋতুস্রাব। কখনো একে গর্ভস্রাব  হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। যদি নারী জরায়ুতে অবমুক্ত ডিম্বটি পুরুষের স্খলিত শুক্র দ্বারা নিষিক্ত হয়ে এণ্ডোমেট্রিয়ামে প্রোথিত (ইম্প্ল্যান্টেশন) হয় তবে আর রজঃস্রাব হয় না। তাই মাসিক রজঃস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীর গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।




আস্তিক: এর মানে হচ্ছে একজন মহিলা শরীর, প্রাকৃতিক ভাবে প্রতি মাসে অতিরিক্ত রক্ত তৈরি করে থাকে। মহিলাদের শরীর যখন মনে করে, এই অতিরিক্ত রক্তের কোন দরকার নেই তখন ঐ মহিলার শরীর  ঐ অতিরিক্ত রক্ত প্রস্রাব মত করে ঐ মহিলার শরীর থেকে বের করে দেয়।

কিন্তু   যখন   নারীর জরায়ুতে পুরুষের শুক্রাণু আসে তখন এই মেয়ে শরীর, যে অতিরিক্ত রক্ত তৈরি করছে তা প্রস্রাব আকারে শরীর থেকে রক্ত বের না করে এই শুক্র যা মেয়েদের ডিমের সাথে মিলিত হয়ে শিশু দেহ তৈরি করতে কাজ শুরু করে দেয়, এই   অতিরিক্ত রক্ত, (প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যে শুক্রাণু এবং ডিম্বানু একত্রিত হয়ে একটি কোষে রূপান্তর হয় যাকে ভ্রুনকোষ বলা হয় ।) ভ্রুনকোষ হতে সাহায্য করে। এর ফলে মেয়েদের দেহে  অতিরিক্ত রক্ত প্রস্রাব মত করে দেহ থেকে বের হয় না এর ফলে মেয়েদের মাসিক বা   রজঃ স্রাব বন্ধ হয়। 



নাস্তিক:  এর সাথে মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কি সম্পর্ক?

আস্তিক: আরে বোকা এখন বুঝতে পারছি না। মেয়েদের মাসিক হল, মেয়েদের শরীর প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি করা একটি সংকেত যে মেয়েটি  সন্তান ধারণ করতে সক্ষম।

নাস্তিক: মাসিক কখন শুরু এবং শেষ হয়?

আস্তিক: নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হয় সাধারণত: ১০-১৬ বছরের মাঝামাঝি বয়সে কোন কোন মেয়েদের ৯ বছর বয়সে, আবার কারো কারো ১৬ বা তার অধিক বয়সে প্রথম মাসিক হয় বেশির ভাগ মেয়েদেরই ১২ বছর বয়সে মাসিক শুরু হয়। যখন রজ:নিবৃত্তি  হয় তখন মহিলাদের এই মাসিক স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত ৫০ বছর বা তার অধিক বয়সে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।

আস্তিক: "মেয়েরা একটি ফুলের গাছে মতো, এমন একটি ফুল গাছ, যে গাছ তার জীবনে একবার একটি ফুল ফোঁটায়, যদি তুমি এই ফুল গাছটি কলি থাকা অবস্থায় নিজের কাছে আনতে না পার, তাহলে তুমি ঐ গাছের, ফুলের কলি থেকে বড় ফুল হওয়া পর্যন্ত যে সুন্দর্য সৃষ্টি হয় তা দেখা থেকে তুমি বঞ্চিত হবা।

আর যদি তুমি এই গাছটি তখন নিজের কাছে আনো যখন এই গাছের ফুলটি পরিপূর্ণ ফোঁটেছে তখন তুমি সেই ফুলের গাছটি কলি থেকে পরিপূর্ণ ফুলের পরিনত হওয়া পর্যন্ত যে সুন্দর্য তা দেখা থেকে তুমি বঞ্চিত হবা।

এই গাছের কলি ফুলের সুন্দর থেকে পরিপূর্ণ ফুলের সুন্দর হওয়া পর্যন্ত যে সুন্দর সৃষ্টি হয় তা না দেখার যে ক্ষতি হবে, তা তুমি কোটি টাকা দিয়েও পূরন করতে পারবে না। তোমার সেই ক্ষতিকে অপূরণিয় ক্ষতি বলে।"

নাস্তিক: এইভাবে তো এই মেয়েদের লেখা পড়া  বন্ধ হয়ে যাবে।

আস্তিক: আরে বোকা বিবাহ সময় যদি আরো একটি চুক্তি হয় যে, মেয়েটি লেখা পড়ার অধিকার যদি কেউও ভঙ্গ করে তাহলে  তাকে এক কোটি টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। আর এই টাকা শুধু এই মেয়েই পাবে  ব্যবসা করা জন্য।

নাস্তিক: দিত্বীয় চুক্তি মানে কি?

আস্তিক: ইসলাম ধর্মের বিবাহ হলো একটি চুক্তি। যা স্বামী এবং স্ত্রী মধ্যে হয়ে থাকে। প্রথম চুক্তি সাথে আরো একটি চুক্তি হওয়া সম্ভব।




[আমার এই লেখার মধ্যে কোন অযুক্তি কথা থাকলে আমি আপনাদের নিকট ক্ষমা প্রার্থী।
আর আমার এই লেখার মধ্যে যুক্তিক কোন কথা থাকিলে এর জন্য সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার।]


লেখক:  যুবাইর মাহমুদ।



No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...