Translate

Tuesday, February 27, 2018

বিজ্ঞানীরা কেন ঈশ্বর কে খোঁজে পারছেনা ?

বিজ্ঞানীরা  কেন  ঈশ্বর কে  খোঁজে পারছেনা ?




ধরেন, আপনার একজন বন্ধু একটি বাড়ি কিনেছে। বাড়ির  ঠিকানা অনুসারে আপনি ঘর থেকে বের হলেন  বন্ধু বাড়ি দেখার জন্য  কিন্তু মজার ব্যাপার হলো। আপনার বন্ধু বাড়ি যে ঠিকানার অবস্থান, সে জায়গায় আপনি চিনে না ।তাই আপনি, এই আশায় ঘর থেকে বের হলেন যে  গুগল মানচিত্র সাহায্য আপনি আপনার বন্ধু বাড়ির খোঁজে বের করবেন।

কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে। আপনার বন্ধু নতুন বাড়ি এমন জায়গায় অবস্থান যা গুগল মানচিত্র খোঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। কারন গুগল মানচিত্র বর্তমান এমন অনেক জায়গায় আছে যার তথ্য হয় এখন দিতে পারছে না কিন্তু কিছু দিন পর  গুগল মানচিত্র সাম্প্রতিক তম তথ্য  সংযোজন করে, আপনার বন্ধু নতুন বাড়ি ঠিকানা অনেক সহজে দিতে পারবে। কারন হলো আপনার বন্ধু বাড়ি এমন একটি দ্বীপে অবস্থিত, সেই স্থানে আপনার বন্ধু ছাড়া আর কেউই ইতিপূর্বে আসে নেই ।

আপনার বন্ধু দেয়া ঠিকানা কিছু দূর যাওয়ার পর যদি আপনি বলেন, ‘’বন্ধু যে ঠিকানা দিয়েছে সে ঠিকানা বন্ধু বাড়ি নাই” তখন আপনার এই কথাটি কি সত্য হবে ? উত্তর না আপনার কথা সত্য নয় কারণ যতখন না আপনি এই ঠিকানা দেওয়া দূরত্ব অতিক্রম না করছেন তখন আপনি এই কথাটি বলতে পারবেন না। যে আপনার বন্ধু বাড়ি সেই দ্বীপে নেই।

একই ভাবে ঈশ্বর যে জায়গায় আছে তার ঠিকানা ঈশ্বর আমাদের অনেক আগে দিয়ে দিয়েছে। ঠিকানাটি বিভিন্ন ধর্মীয় বইতে রয়েছে।
ঠিকানাটি আমি বলছি, বিজ্ঞানীদের এমন একটি রকেট আবিষ্কার করতে হবে। যার সাহায্যে  বিজ্ঞানীরা সেই স্থান যেতে পারবে ও ঈশ্বর কে দেখতে পারবে। কারন হল, সেই জায়গায় টি এতই দূর যে কোনো মানুষ যদি, সে স্থানের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে তার এক হাজার বছর লাগবে, সে সুনির্দিষ্ট  জায়গায় পৌঁছাতে।
আসল কথা আসা যাক, ঈশ্বর কোথায় আছে বা ঈশ্বরের ঠিকানা কি?



উত্তর: কোন বিজ্ঞানী প্রথমে এমন একটি রকেট আবিষ্কার করতে হবে।
১. যা  পৃথিবী আকাশকে  অতিক্রম করে মহাকাশে যাবে এবং
২. মহাকাশ থেকে উপর দিকে যেতে থাকবে  যতক্ষণ না এই মহা বিশ্ব অতিক্রম করছে। মহা বিশ্ব অতিক্রম করা পর।



৩. রকেট  আবার উপরে দিকে যেতে হবে তখন তারা মহা বিশ্ব মত আর একটি মহা বিশ্ব ভিতর থেকে বের হবে। ৪. তার পর রকেট টি আবার উপরে দিকে যেতে হবে। এবং রকেট মহা বিশ্ব মতো আরো একটি মহা বিশ্ব ভিতর থেকে বের হতে হবে।
৫. তার পর আবার উপরে দিকে যেতে হবে। তখন মহা বিশ্ব মতো আরো একটি মহা বিশ্ব ভিতর থেকে বের হতে হবে।
৬. তার পর আবার উপরে দিকে যেতে হবে তখন তারা মহা বিশ্ব মতো আরো একটি মহা বিশ্ব ভিতর থেকে বের হতে হবে।
৭. তার পর তাদের আবার উপরে দিকে যেতে হবে তখন তারা সবশেষ মহা বিশ্ব মতো আরো একটি মহা বিশ্ব ভিতর থেকে বের হতে হবে।

তখন রকেট তে অবস্থা রত বিজ্ঞানীদের খোঁজে বের করতে হবে। সবশেষ মহা বিশ্ব, (যাকে অনেক সপ্তম আকাশ বলে, এর কারণ হলো এই স্থানে  পৃথিবীর আকাশে মত, পৃথিবীর বাহির আর ষষ্ঠ আকাশ  দিয়ে সবশেষ মহা বিশ্ব  আবৃত বা আচ্ছাদিত) যাকে কেন্দ্র করে অবিরাম ঘুরে চলেছে, (যেমন করে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে) ঠিক একই ভাবে সবশেষ মহা বিশ্ব একটি গ্রহ কে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এই গ্রহটি, সূর্যের মত নিয়েই নিজের কক্ষ পথে অবিরাম ঘুরে চলেছে। ঐই সবশেষ মহা বিশ্বের এক দিন পৃথিবীর হাজার বছরের সমান।
সপ্তম সবশেষ মহা বিশ্বে যে কেন্দ্রীয় গ্রহ আছে, তা থেকে যে  আলো জ্যোতি দেখা যাবে তা হল পরম শক্তি অধিকারই এক ঈশ্বরের জ্যোতি বা আলো।
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বাহির কিছু অংশ কে খোঁজ করে বোকার মত বলছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নাই।
ধরেন, ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা যদি বলে, “ঈশ্বর আছে” তখন আগের যারা ঈশ্বর কে বিশ্বাস করে নাই, বোকা বিজ্ঞানীরা কথা শুনে। অবিশ্বাস হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে তাদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল তার ক্ষতি পূরণ কি কোনো বিজ্ঞানী কি দিতে পারবে।

এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন হতে পারে কি ক্ষতি হবে, যদি কোনো মানুষ ঈশ্বর কে  বিশ্বাস না করা অবস্থায় মারা যায়।
সকল মানুষ মৃত্যু পর আবার জীবিত হবে ঈশ্বরের আদেশে অর্থাৎ
মানুষের দেহের মৃত্যুর পর পচন ধরে। ঈশ্বর প্রতিটি মানুষের শরীরে যতটুকু অংশ পচন ধরে মাটিতে পরিণত হয় তা একটি নির্দিষ্ট বই লিখে রাখেন। একটা নির্দিষ্ট সময় মানুষের  শরীর আবার পুনরায় গঠিত হবে।  তখন মানুষ মৃত্যুর আগে যে রকম শরীর বহন করে জীবিত ছিল ঠিক একই রকম দেহ নিয়ে মানুষ আবার জীবিত হয়ে যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যারা ঈশ্বর কে ও পূণরায় জীবিত হওয়া কে অবিশ্বাস করেছে বা করবে তারও আবার জীবিত হবে কিন্তু অবিশ্বাসই মানুষের  দেহ প্রতিবন্ধী হিসাবে  পুনরায় গঠিত হবে। অর্থাৎ অবিশ্বাসের দল বোবা,কানা,বয়রা, হিসাবে আবার পৃথিবীতে পুনরায় জীবিত হবে।

এর মানে হলো, বিজ্ঞানীদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা উপর যারা, অসীম বিশ্বাস করে ঈশ্বর কে অবিশ্বাস করে ছিল বা করছে বা পুনরায় জীবিত হওয়া কে অবিশ্বাস করেছিল বা করছে। তাদের  ফলাফল হবে প্রতিবন্ধী হয়ে আবার জীবিত হওয়ার  মাধ্যমে এর খেসারত দেওয়া।

লেখক: যুবাইর মাহমুদ তালুকদার।



No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...