আব্বার মৃত্যুর পর আব্বাকে স্বপ্নে দেখা:
আমার বাবা মৃত্যু বরণ করে ২০১১। বলে নেই আমার বাবা আমাকে অনেক স্নেহ করতো। আমার বাবার মৃত্যুর পর প্রায় প্রতি রাতেই আমি একই রকম স্বপ্ন দেখাতে লাগলাম। আমি এমন স্বপ্ন দেখতাম যা আমি নিজেই তা বিশ্বাস করতাম না। আমি প্রায় প্রতিরাতেই একই স্বপ্ন দেখতে লাগলাম। আমার বাবা
আমাকে কেন একই রকম স্বপ্ন বার বার দেখাচ্ছে এর উত্তর, এই সময় আমার জানা ছিল না। তাই আমি আমার স্বপ্নের কথা কাউকে বলতাম না। এমন কি আমার আম্মাকেও না। আমি মনে মনে ভাবতাম এই স্বপ্ন যদি আমি কোন মানুষকে বললি, তাহলে সেই মানুষটি আমার স্বপ্ন শোনে হাসবে। কারণ………………।
আমি আগেই বলে নেই আমি হেফজ মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম। আমার বাবা মৃত্যুর ছয় বছর আগে।
হেফজ মাদ্রাসা যেখানে, ছোট ছোট শিশুরা আল্লাহ কুরআনকে মুখস্থ করে। আমি আল্লাহর কুরআনকে অনেক বেশি ভালোবাসতা এবং এখনও অনেক ভালোবাসি কারন আল কুরআন হলো আল্লাহর কথা সংরক্ষিত একটি বই। তাই আমি কুরআন মুখস্থ করা জন্য এমন পাগল এবং বোকা ছিলাম। তখন মানুষ আমাকে যা বলতো তখন আমি তাই করতাম; হাফেজ হওয়ার জন্য।
উদাহরণ দিলে জিনিসতা পরিস্কার হবে: ( সত্যি ঘটনা)
সম্ভবত ১৯৯৮ বা ১৯৯৯ সালটি আমার সঠিক মনে নেই। শুধু একটাই জিনিস আমি এখন মনে করতে পারছি, তা হলো এমন একটি দিনের বিকাল ছিল। যে দিন প্রায় মানুষ ভেবে নিয়েছিল আজ পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এই দিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে বানী করে ছিল। পরে বিজ্ঞানীরা তা অস্বীকার করে যে, না এই দিন পৃথিবী ধ্বংস হবে না।
বাস্তব সে দিন বা তার আগে বিজ্ঞানীরা কি বলেছে তা আমি জানি না। কারণ তখন আমি একটি বোকা শিশু ছিলাম। আমি এমন শিশু ছিলাম, যাকে আল্লাহ কুরআন মুখস্থ করার জন্য, তাকে যা বলা হতো সে তাই করতো।
যে দিন পৃথিবী ধ্বংস হবে বলে মানুষ চিন্তা করেছিল সে দিন বিকালে আমি একটি ছোট মাঠে ক্রিকেট খেলতে ছিলাম। (আমরা তখন নিশ্চিন্তে ক্রিকেট খেলতে ছিলাম কারণ আমরা তখন শিশু ছিলাম।)
ক্রিকেট খেলার সময় একটি বল মাঠের পাশে একটি নোংরা পুসকুনিতে পরে।
একটি ছেলে ভালো করেই জানতো আমি হাফেজ হওয়া জন্য কতটা পাগলামি করতাম। তাই সে আমাকে বলল তুমি যদি নোংরা পানি থেকে ওই বলটা আনতে পারো তাহলে তুমি হাফেজ হতে পারবে। আমিতো শুনে মহা খুশি; শোনামাত্র আমি পানিতে নেমে পড়ি। বলে রাখা ভালো আমি সাঁতার পারতাম না। এখনো আমি সাঁতার পারি না। আমি যখন বল আনার জন্য পুকুরে নামি তখন আমি বেহুঁশের মত হয়ে যাই। কোন মতে বলটা নোংরা পানি থেকে বের করি। এর কিছুক্ষণ পরেই মাগরিবের আযান শুনি। আমি বাসায় যাই এবং গোসল করে মসজিদে নামাজ পড়তে যাই। আমার শুধু এতটুকু মনে আছে। সেদিন মাগরিবের নামাজের সময় মসজিদ ভরে গিয়েছিল কারণ মানুষ ভেবে নিয়েছিল সে দিন মাগরিবের পর কেয়ামত হবে।
এতে কি বুঝতে পারছেন আমি কি রকম পাগল ছিলাম; হাফেজ হওয়ার জন্য। এটাতো আমি একটি পাগলামি কথা বলছি। আমি এমন অনেক পাগলামি করেছি হাফেজ হওয়ার জন্য। কি বুঝতে পারলেন, আমি কি রকম বোকা ছিলাম?
আগেই বলে রাখি আল্লাহ তাআলা কাছে যখন কোন ভালো কিছু চাওয়া হয়। আল্লাহ তাআলা সেই জিনিস তা বা তার চেয়ে ভালো কিছু বহুগুণে বৃদ্ধি করে তা দান করেন।
আল্লাহ তা’আলা তখন অবশ্যই আমাকে হাফেজ বানান নি। কিন্তু আল্লাহ তাআলা আমাকে আমার চাওয়া চেয়ে বহুগুণ বেশি কিছু আমাকে দান করেছে। আল্লাহ রহমতে প্রায় সম্পূর্ণ কুরআনের মূল ভাব আমার প্রায় মুখস্থ।
এবং আল্লাহর তায়ালার আমাকে তার কুরআনকে সহজ ভাবে বুঝার জন্য; আল্লাহর তায়ালার আমার জ্ঞানকে বৃদ্ধি করে দিয়েছেন।
এই জন্য আল্লাহ তায়ালা কে কোটি কোটি ধন্যবাদ।
আসল ঘটনা আসি,আমার বাবার মৃত্যুর পর; আমার বাবা আমাকে প্রতিদিন রাতে (আল্লাহ সাহায্য) স্বপ্ন দেখাতো যে, তিনি কবর থেকে জীবিত হয়ে বের হয়ে আসছেন। তিনি সম্পূর্ণ জীবিত। তিনি মৃত্যুর কিছু সময় পরেই তিনি কবর থেকে জীবিত হয়ে বের হয়ে আসছে। এরকম স্বপ্ন আমি অনেকবার দেখেছি। আমি ভয়ে কাউকে বলিনি। এর কিছু বছর পর আমি আল্লাহ কোরআন বাংলা অর্থ সহকারে শুনা শুরু করি। এবং আল্লাহ কোরআন থেকে এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা আমি পেয়ে যাই।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে অসংখ্যবার বলেছেন মৃত মানুষ জীবিত হয়ে কবর থেকে বের হয়ে আসবে।
আমি তখন তা জানতাম না। আমি একজন মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম আমার জানা উচিত ছিল এই জিনিসটা। কারণ আমি অনেক ওয়াজ শুনেছি। আমি একবারও শুনিনি। মৃত মানুষ কবর থেকে জীবিত হয়ে উঠবে। সবাই শুধু কবরে আজাব সম্পর্কে বলতো।
একজন নামকরা ডাক্তার যদি কোন রোগীকে বলে, আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে। তখন এই রোগীর মন আনন্দে ভরে যায়। এবং এই রোগী ডাক্তার কথা ১০০% নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করে। আর আল্লাহ তায়ালা যখন তাওরাত, যাবূর, ইঞ্জিন এবং কুরআন শরীফ অসংখ্য বার বলছে সকল মানুষ কে আবার জীবিত করা হবে। সকল মানুষ আবার জীবিত হবে আল্লাহ ডাকে। এই বিষয়ে সকল মানুষকে জানানো জন্য দায়িত্ববান মানুষ অথৎ আল্লাহ কিতাব সম্পর্কে জানতে এমন মানুষ এই বিষয়ে কোন প্রকার প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে না।
সাধারণ মানুষ এই বিষয়টি দুই ভাবে জানতে পারে প্রথমতো তারা আল্লাহর কথা সংরক্ষিত কিতাব পড়ে অথবা দ্বিতীয়ত্ব আল্লাহর কিতাব পড়েছে এমন মানুষ থেকে এই বিষয়ে ওয়াজ শুনে।
সকল মানুষ জীবিত হওয়ার ঘটনায় কোরআন থেকে:
কোন কোন দেশে রাতে এবং কোন কোন দেশে দিন দুপুর বেলা। মানুষ যখন বিশ্রামে যাবে তখন অর্থাৎ করে সম্পূর্ণ পৃথিবীতে ভূমি কম্পন শুরু হবে।
পৃথিবীতে সকল জীবিত মানুষ মাতালেন মতো হয়ে যাবে। মানুষ তখন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলবে, এই কি হচ্ছে।
গর্ভবতী মায়ের পেট থেকে তার গর্ভের সন্তান অটোমেটিক ভাবে বের হয়ে যাবে।
মানুষের চারপাশ দিয়ে আগুনের উল্কা পিন্ডি আসতে থাকবে। পাহাড় গুলো খন্দ খন্দ ভাগ হয়ে আকাশে উড়তে থাকবে। উচ্চ উচ্চ বিল্ডিং গুলো হাওয়া উড়তে থাকবে।
অর্থাৎ করে সূর্য তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলবে। এর ফলে যে দেশে রাতে চাঁদের আলো দেখতো সে দেশ গুলো সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যাবে। এবং যে দেশের সূর্য আলো ছিল অর্থাৎ যে দেশ গুলো দিন সে দেশে গুলো অন্ধকার হয়ে যাবে।
সকল মানুষ মারা যাবে।
শিঙ্গা ফুঁ এর প্রথম শব্দ, পো……………..।
সম্পূর্ণ পৃথিবীর অন্য আর একটি পৃথিবী দ্বারা পরিবর্তন হওয়া শুরু হবে। পৃথিবীর সম্পূর্ণ উচ্চ ও নিম্ন স্থান গুলো সমান হয়ে একটি মাঠে পরিনত হবে।
সম্পূর্ণ পৃথিবী একটি মাঠে পরিনত হবে এবং তারপর পৃথিবীর মধ্যে তৈরি হওয়া নতুন মাঠটি প্রথম বার কেঁপে উঠবে।
পৃথিবীর মাটির ভিতরে থাকা সকল মানুষের মৃত্যু দেহের হাড় গুলো চুম্বন মতো হয়ে যাবে। এক একটি মানুষ দেহের হাড় গুড়ো জোড়া বা গঠন হওয়া শুরু এক পর্যায়ে সকল মানুষ হাড় গুড়ো জোড়া বা গঠন হওয়া শেষ হবে।
এরপর মাটি থেকে মানুষ শরীর মাংসপেশী তেরি হওয়ার শুরু হবে। তারপর মাংস গুলো আগে তৈরি হওয়া এক একটি হাড়ের সাথে সংযুক্ত হতে থাকবে। এই সকল কাজ গুলো মাটির নিচে হতে থাকবে।
এভাবে প্রতিটি মানুষের দেহ, পুনরায় গঠন করবে আল্লাহ তায়ালা।
[প্রতিটি মানুষের মৃত্যুর পর, মানুষের শরীরের কতোটুকু অংশ মাটির সাথে মিশে গেছে তা আল্লাহ তায়ালা একটি কিতাবে লিখে রাখেন। সেই কিতাব অনুসারে প্রতিটি মানুষের দেহ কে পুনরায় গঠন করা হবে।]
শিঙ্গা ফুঁ এর দ্বিতীয় শব্দ, পো……………..।
পৃথিবীতে সকল কবর গুলো ফেটে যাবে। সকল মৃত মানুষ গুলো জীবন অবস্থা কবর থেকে বের হয়ে আসবে। কিছু মানুষ বলবে কে আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়েছে।
যেমন করে মাটির নিচ থেকে গাছ বের হয়ে আসে। ঠিক একই ভাবে
পৃথিবীর ভিতরে, মাটিতে মধ্যে থাকা, সকল মৃত্ মানুষ গুলো এমন ভাবে বের হবে।
এবং যারা পৃথিবীর বাহিরে মারা গিয়েছে অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা যাদের দেহ পৃথিবীর বাহিরে মৃত্ অবস্থা পরে ছিল। তাদের কেউ ও এই পৃথিবীর ভিতর জীবিত অবস্থায় আনা হবে।
যারা আবার জীবিত হওয়াকে বিশ্বাস করতো না। তারা কানা, বোবা অর্থাৎ প্রতিবন্ধী হয়ে কবর থেকে জীবিত হয়ে উঠবে।
সকল জীবিত মানুষ গুলো, এই পৃথিবীকে একটি সম্পূর্ণ খালি মাঠ পরিনত অবস্থা দেখবে।
কিছু মানুষ একটি নির্দিষ্ট সীমার বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তা তারা যেতে পারবে না।
এটার উদাহরণ হলো আমার যখন গাড়ির ভিডিও গেম খেলতে থাকি। তখন আমার রাস্তায় পাশে অনেক খালি জায়গা দেখতে পাই। সেখানে আমাদের ভিডিও গেম এর গাড়ি অনেক সময় যাওয়া চেষ্টা করলে। ভিডিও গেম এর গাড়ি গুলো রাস্তায় বাহিরে যেতে পারে না। ঠিক একই ভাবে সকল মৃত মানুষ গুলো একটি রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করবে। কিছু মানুষ অন্য দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ও যেতে পারবে না।
এই পৃথিবীর আকাশ মাঝখান দিয়ে ফেটে যাবে। আল্লাহ তায়ালা নূর ধারণকারী আল্লাহ আরশ আট জন সম্মানিত ফেরেশতা বহন করে পৃথিবীর বাহির থেকে পৃথিবীর ভিতর উপর থেকে নামতে থাকবে।
আল্লাহ নূর ধারণকারী আরশের উপর মেঘের ছায়া থাকবে।
আল্লাহ নূরের সকল পৃথিবী সম্পূর্ণ আলোকিত হবে। সম্পূর্ণ পৃথিবী একসাথে দিনের আলো মতো উজ্জ্বল দেখাবে।
পৃথিবীর সকল মানুষকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে। তিনটি সাড়ি করা হবে। আল্লাহ তায়ালা আরশের কাছে একটি দাড়িপাল্লায় স্থাপন করা হবে।
সকল মানুষের হাতে এক একটি কিতাব দিয়ে বলা হবে। তোমাদের হাতের কিতাব গুলো তোমরা পড়। কিছু সংখ্যক লোক তাদের হাতে থাকা কিতাব পড়তে শুরু করবে এবং অভাগ হয়ে বলবে এটা আবার কেমন ডাইরি যা আমার সকল ভালো ও খারাপের কথা, (যা আমরা পৃথিবীতে কর এসেছি তা) অক্ষরে অক্ষরে লেখা আছে।
সকল মানুষ জীবিত হওয়ার ঘটনা যা কোরআন সম্পূর্ণ বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে:
তারপর কি হবে তা জানতে সম্পূর্ণ আল্লাহ কোরআন নিজের মাতৃভাষা পাঠ করেন বা শুনুন।
“সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।“
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
No comments:
Post a Comment