১৯. অথবা (এদের উদাহরণ হচ্ছে), আসমান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির মতো, এর মাঝে রয়েছে (আবার) অন্ধকার, মেঘের গর্জন ও বিদ্যুতের চমক, বিদ্যুতের গর্জন ও মৃত্যুর ভয়ে এরা নিজেদের কানে নিজেদের আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাখে (এরা জানে না), আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের (সকল দিক থেকেই) ঘিরে রেখেছেন।
২০. মনে হয় এখনই বিদ্যুত এদের চোখকে নিষ্প্রভ করে দেবে;( এ আতংকজনক অবস্থায়) আল্লাহ তায়ালা যখন এদের জন্যে একটু আলোর জ্বালিয়ে দেন তখন এরা তাঁর মতো চলতে থাকে, আবার যখন তিনি তাদের ওপর অন্ধকার চাপিয়ে দেন তখন এরা (একটু থমকে) দাঁড়ায়; অথচ আল্লাহ তায়ালা চাইলে (সহজেই) তাদের শোনার ও দেখার ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পারতেন; নিশ্চয়ই তিনি সর্বশক্তিমান ।
২১. হে মানুষ, তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালার দাসত্ব (স্বীকার) করো, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের আগেই যারা ছিল তাদের (সবাইকে) সৃষ্টি করেছেন, আশা করা যায় (এর ফলে) তোমরা (যাবতীয় সংকট থেকে) বেঁচে থাকতে পারবে।
২২. তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি যমীনকে তোমাদের জন্য শয্যা
বানালেন, আসমানকে বানালেন ছাদ এবং আসমান থেকে পানি পাঠালেন, তার সাহায্যে তিনি নানা প্রকারের ফলমূল উৎপাদন করে তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থা করলেন, অতঃপর তোমরা জেনে বুঝে (এ সব কাজে) আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরীক করো না।
২৩. আমি আমার বান্দার ওপর যে কিতাব নাযিল করেছি, তার (সত্যতার) ব্যাপারে যদি তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে যাও- তার মতো (করে) একটি সূরা তোমরাও(রচনা করে) নিয়ে এসো, এক আল্লাহ তায়ালা ছাড়া তোমাদের আর যেসব বন্ধু-বান্ধব রয়েছে তাদেরও (প্রয়োজন সহযোগিতার জন্যে) ডাকো, যদি তোমরা তোমাদের দাবিতে সত্যবাদী হও!
২৪. কিন্তু তোমরা যদি তা না করতে পারো (এবং আমি জানি), তোমরা তা কখনোই করতে পারবে না, তাহলে তোমরা (দোযখের) সেই কঠিন আগুনকে ভয় করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, (আল্লাহ তায়ালাকে) যারা অস্বীকার করে তাদের জন্যেই (এটা) প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
পৃষ্ঠা ৫
No comments:
Post a Comment