ধর্ম অর্থ কি?
আমার ধর্ম অর্থ কে একটি শব্দ দ্বারা সীমাবদ্ধ করে ফেলেছি। শব্দটি হলো “সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে উপর বিশ্বাস”।
এটা করা কারন হলো, যারা ধর্মের সংজ্ঞা প্রদান করে আসছে তারা হলো দার্শনিক।
দার্শনিক হলো সেই ব্যক্তি, যিনি সমাজের বিভিন্ন আচার-ব্যবহার ও আনুষ্ঠানিকতা দর্শন (দেখে) করে শব্দের সংজ্ঞায়িত প্রদান করেছেন।
দার্শনিক হলো সেই ব্যক্তি, যিনি সমাজের বিভিন্ন আচার-ব্যবহার ও আনুষ্ঠানিকতা দর্শন (দেখে) করে শব্দের সংজ্ঞায়িত প্রদান করেছেন।
তাই দার্শনিকদের সকল সংজ্ঞা নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা হয়ে থাকে।
যে দার্শনিক তার সংজ্ঞা প্রদান করা পূর্বে দর্শন (দেখে) এবং বিদ্যমান পুস্তকের অধ্যায়ন করে সংজ্ঞা প্রদান করেছে, এই সকল দার্শনিকদের সংজ্ঞা খুব বেশি সমালোচিত হয় নেই। এর কারণ হলো তারা তাদের সংজ্ঞা মধ্যে কোন অপূর্ণতা রাখে নাই। তারা অল্প শব্দের মাধ্যমে কোন শব্দের অর্থ কে পরিষ্কার ভাবে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে।
তাই আমি বিভিন্ন ধর্ম শাস্ত্র সম্পূর্ণ শোনে এবং পড়ে ধর্মের সংজ্ঞা প্রদানের করেছি। আমি ধর্মের সংজ্ঞা প্রদান করতে যে সব ধর্ম শাস্ত্রের সাহায্য নিয়েছি তা হলো, গীতা, কুরআন, বাইবেল ইত্যাদি।
ধর্ম অর্থ শুধু সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে উপর বিশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় সকল ধর্মের মধ্যে, “ধর্ম„ শব্দের মধ্যে বিদ্যমান: নৈতিকতা, ন্যায়বিচার, কর্তব্যপালন, স্বভাব, স্বাভাবিকতা, চরিত্র, আরোপিত বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি, প্রকৃতিবাদ, সত্যতা, অকৃত্রিমতা ইত্যাদি।“
সে ব্যক্তি, যে কোন একটি ধর্মের ধর্মীয় গ্ৰন্থ কে অনুসরণ করে সে ব্যক্তি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে উপর বিশ্বাসের পাশাপাশি নৈতিকতা, ন্যায়বিচার, কর্তব্যপালন, স্বভাব, স্বাভাবিকতা, চরিত্র, আরোপিত বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি, প্রকৃতিবাদ, সত্যতা, অকৃত্রিমতা ব্যবহার করতে হবে এবং এই পাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতে হবে।
সংজ্ঞাটি আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
চরিত্রবান: আপনি যদি যে কোন একটি ধর্মকে বেছে নিলে। তখন আপনাকে সৎ চরিত্রবান ব্যক্তি হতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ধর্ম পালন করেন, তখন আপনি মানুষ কে ঠকাতে পারবেন না।
আপনি যদি ধর্ম পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তখন আপনি বাধ্য নন সৎ কাজ করা। তখন আপনি মুক্ত, আপনি চাইলে যে কোন মানুষ কে ঠকাতে পারবেন। তখন আপনি কোন ধর্মীয় আইন দ্বারা নিজেকে বাধ্য করবেন না সৎ কাজ করতে।
ন্যায়বিচার:
সকল ধর্মীয় বই অনুসারে আপনি ন্যায় বিচার পাবে। কোন কারণে আপনি সাথে সাথে ন্যায় বিচার না পেলেও কিছু দিন পরে আপনি অবশ্যই ন্যয় বিচার পাবেন।
সকল ধর্মীয় বই অনুসারে আপনি ন্যায় বিচার পাবে। কোন কারণে আপনি সাথে সাথে ন্যায় বিচার না পেলেও কিছু দিন পরে আপনি অবশ্যই ন্যয় বিচার পাবেন।
উদাহরণ স্বরূপ:
আপনার থেকে কেউ ২০.০০০৳ চুরি করল। আপনি সেই চোরকে খুঁজে পেলেন না। এর ফলে আপনার ন্যায়বিচার ব্যাহত হল। বিভিন্ন ধর্মীয় কিতাব বলে আপনি অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন।
অংক দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করা হলো:
মনে করেন,
আপনার থেকে কেউ ২০.০০০৳ চুরি করল = ক।
ক (আপনার টাকা কম হলো ২০.০০০৳) = ২০.০০০৳ ( চোরে টাকা বৃদ্ধি পেল ২০.০০০৳ )।
অংকের মধ্যে = সমান চিহ্ন আমাদের শিক্ষা দেয় দুই পাশে অবশ্যই সমান হবে। যদি একপাশে সংখ্যা আরেক পাশে গেলে তখন যোগ চিহ্ন বিয়োগ চিহ্ন হয়। আর বিয়োগ চিহ্ন যোগ চিহ্ন হয়। উদাহরণ:
২ + ৬= ৮
বা, ২ = ৮ - ৬
বা, ২ = ২
আর আপনি যদি ধর্মকে বিশ্বাস না করেন। তখন আপনি বিশ্বাস হলো নিচে অংকের মত:
২ + ৬ = ৮
বা, ২ = ৮ + ৬
বা, ২ = ১৪ (এটা সম্পূর্ণ ভুল কারণ ২ সমান ১৪ হতে পারে না)
সঠিক উত্তর হলো
২ = ২ বা
২ = ৮ – ৬
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।