১১০. তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা করো এবং যাকাত আদায় করো; (এর মাধ্যমে) যে সব তোমরা আল্লাহর কাছে অগ্রিম পাঠাবে তাঁর কাছে (এর সবই) তোমরা (মজুর) পাবে; তোমরা যা কিছুই করো আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই এর সব কিছু দেখতে পান।
১১১. তারা বলে, ইহুদী ও খৃষ্টান ছাড়া আর কেউই বেহেশতে যাবে না, (আসলে) এগুলো হচ্ছে তাদের একটা মিথ্যা কল্পনা; তুমি (হে নবী,) বলো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও (তাহলে) তোমাদের দলিল প্রমাণ নিয়ে এসো!
১১২. হ্যাঁ, যে কোনো ব্যক্তিই (আল্লাহর সামনে) নিজের সত্তাকে সমর্পণ করে দেবে এবং সে হবে অবশ্যই একজন নেককার মানুষ, তার জন্যে তার মালিকের কাছে (এর) বিনিময়ে রয়েছে, তাদের কোনো ভয় ভীতি নেই, আর না তারা (সেদিন) চিন্তান্বিতও হবে !
১১৩. ইহুদীরা বলে, খ্রীস্টানরা কোনো কিছুর ওপরই প্রতিষ্ঠিত নয়, খ্রীস্টানরা বলে ইহুদীরাও কোনো কিছুর ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়, অথচ এরা (উভয়েই আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, (আবার) আদৌ আল্লাহর কিতাবের কোনো কিছুই জানে না এমন লোকেরা (আবার এদের উভয় সম্পর্কে) তাদের কথার মতো একই ধরনের কথা বলে, তারা যে বিষয়ে মতবিরোধ করছে আল্লাহ তায়ালা শেষ বিচারের দিনে সে বিষয়ে তাদের মাঝে মীমাংসা করে দেবেন।
১১৪. সে ব্যক্তির চেয়ে বড়ো যালেম আর কে আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর (ঘর) মসজিদে তাঁর নাম স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং তার ধ্বংস সাধনে সচেষ্ট হয়, এ ধরনের লোকদের (তা) তাতে ঢোকার কোনো যোগ্যতাই নেই, তবে একান্ত ভীত সন্ত্রস্তভাবে (ঢুকলে তা ভিন্ন কথা), তাদের জন্যে পৃথিবীতে যেমন অপমান আর লাঞ্ছনা রয়েছে, তেমনি রয়েছে পরকালে কঠিনতম শাস্তি।
১১৫. (এর কেবলা বদলের ব্যাপারেও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিলো, অথচ) পূর্ব পশ্চিম সবই তো আল্লাহ তায়ালার, (তাছাড়া) তোমরা যে দিকেই মুখ ফেরাবে সেদিকেই তো আল্লাহ তায়ালা রয়েছেন; আল্লাহ তায়ালা সর্বব্যাপী এবং জ্ঞানী।
পৃষ্ঠা ১৮
No comments:
Post a Comment