কবরের আযাব নেই, কবরের আযাব বিষয়ে হাদীস গুলো সাথে কোরআনে আয়াতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ
রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে এই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এবং এই নিয়ে চিন্তা গবেষণা করুন:
কবরের আযাব নেই যা আল কোরআন দ্বারা প্রমাণিত। প্রয়োজনে নিচের উল্লেখিত আয়াত নিয়ে গবেষণা করতে পারেন।
আমি শুধু কোরআনের মাত্র ২৩ আয়াতে উল্লেখ করেছি। যারা কবরের আযাবের কথা বলে তারা মাত্র একটি আয়াত উল্লেখ করে তা হলো:
৪০. সূরা আল মোমেন আয়াত "৪৬. (জাহান্নামের) আগুন, যার সামনে তাদের সকাল সন্ধ্যায় হাযির করা হবে, আর যেদিন কেয়ামত ঘটবে (সেদিন ফেরেশতাদের বলা হবে), ফেরাউনের দলবলকে কঠিন আযাবে নিক্ষেপ করো।"
উল্লেখ্য করে। তারা এই আয়াতের
হবে কে হয় বাংলা অনুবাদ করেছে। আপনি যদি এই আয়াত কে আরবি থেকে বাংলা অনুবাদ করেন তাহলে আপনি দেখতে পারবেন এই আয়াতের ভবিষ্য কাল ব্যবহার করেছে। যার মানে হবে। কিন্তু তারা এখানে হয় মানে বর্তমান কাল ব্যবহার করেছে।
বিশ্বাস না হলে বাজারে বিভিন্ন কোরআনের বাংলা অনুবাদের কুরআন শরীফ নিয়ে এই আয়াতের অনুবাদ দেখতে পারেন। একই সঙ্গে এই আয়াত কে একজন দক্ষ অনুবাদক যার আরবি ভাষা, বাংলা ভাষার এবং কোরআনের জ্ঞান সম্পর্কে সমান দক্ষতা রয়েছে তাকে দিয়ে অনুবাদ করতে পারেন।
কবরের আযাব বিষয়ে অনেক জাল হাদিস আছে। জাল হাদিস চিনার উপায় হলো যে হাদীস কোরআনের আয়াত সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সেই হাদীস জাল হাদীস।
আমি বলছি না আল্লাহ তায়ালার অপরাধীদের শাস্তি দিবেন না।
আমি বলতে চাইতেছি আল্লাহ তায়ালা মৃত মানুষ কে সম্পূর্ণ জীবিত করবেন কেয়ামতের দিন এবং সকল মানুষের বিচার হবে। বিচারে যার অপরাধ বেশি হবে সেই ব্যক্তি দোযখে যাবে এবং দোযখে শাস্তি ভোগ করবে । আল্লাহ তায়ালা বিনা বিচারে কাউকে মৃত্যুর পরে শাস্তি দিবেন না। প্রতিটি মানুষের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
নিচের উল্লেখিত কোরআনের আয়াত গুলো নিয়ে যদি আপনি চিন্তা এবং গবেষণা করেন, তাহলে আপনি দেখতে পারবেন কোরআন শরীফ আয়াত গুলো সাথে হাদীসের বাণী, যা কবরে আযাব কাহিনী বলেছে তার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ রয়েছে।
যে হাদীস কোরআনে আয়াতে সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সেই হাদীস জাল হাদিস। মানুষের উচিত শুধু কোরআন এবং যে হাদীস কোরআনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা বিশ্বাস করা। প্রয়োজনে হলে হাদীসকে তাওরাত কিতাব, যাবূর কিতাব এবং ইঞ্জিল কিতাব দ্বারা পরিক্ষা করা উচিত।
আল্লাহ তাআলা প্রতিটি আসমানী কিতাবের একটির সাথে আরো একটি সামঞ্জস্যপূর্ণতা রয়েছে।
আপনাদের এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, আপনি আল্লাহ তায়ালা বানী লেখা কিতাবের উপর বিশ্বাস করবে না মানুষের লেখা হাদীসের উপরে বিশ্বাস করবেন। যা (হাদীস) আল্লাহ তায়ালা বানী সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
কারণ মানুষ মিথ্যা কথা বলতে পারে। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার কখনো মিথ্যা কথা বলতে পারেন না। আল্লাহ তাআলা হলেন পবিত্র সুমহান মর্যাদা অধিকারী।
এই লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এর জন্য সকল প্রসংশা মহান আল্লাহ তায়ালারকে দিবেন কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস। তিনি পরম দয়ালু এবং দানশীল।
আপনার গবেষণা প্রয়োজনে নিচের আয়াত গুলো দেখেন। তাহলে দেখবেন আল্লাহ প্রতিটি আয়াতে সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আছে। নিচের আয়াতে সাথে কবরের আযাব সম্পৃক হাদীসের সমূহের অনেক অসামঞ্জস্যপূর্ণ রয়েছে।
1. ২) সূরা বাকারা আয়াত ২৫৯
2. ৩০) সূরা আর রোম: আয়াত ৫৫ এবং ৫৬
3. ২২ সূরা আল হাজ্জাজ আয়াত ৪৭
4. ৩২ সূরা আস-সাজদা আয়াত ৫
5. ২৩. সূরা আল মোমেনুন আয়াত ১১২, ১১৩ এবং ১১৪
6. ৫০. সূরা ক্বাফ আয়াত ১৯ থেকে ২৭ (৩ মিনিট থেকে ৪ মিনিট মধ্যে বলা আছে )
7. ৬৪. সূরা আত্ তাগাবুন আয়াত ৭ (মিনিট প্রথম থেকে ৩.২৭ মিনিট)
8. ৫৮. সূরা আল মোজাদালাহ আয়াত ৮ (তিন মিনিট থেকে চার মিনিট)
9. ৫৪. আল ক্বামার আয়াত ৪০ থেকে ৪৭ ( ৬ মিনিট থেকে ৭ মিনিট)
10. ৩৯) সূরা আঝ ঝুমার: আয়াত:৪২ (৬:৩০ মিনিট থেকে ৭:৩০ মিনিট)
11. ৬০) সূরা আল মোমতাহেনা: আয়াত ১৩ (শেষের মিনিট)
12. ৮০) সূরা আবাসা আয়াত ১৮ থেকে ২২
13. ৭৫) সূরা আল ক্বেয়ামাহ আয়াত: ২৪ থেকে ৩০
14. ২৩) সূরা আল মোমেনুন আয়াত ১২ থেকে ১৬ (প্রথম মিনিট থেকে তিন মিনিটের মধ্যে)
15. ২২. সূরা আল হজ্জ আয়াত ৭
16. ২৩. সূরা আল মোমেনুন আয়াত ৯৯ থেকে ১০০
17.
৩৬. সূরা ইয়াসিন আয়াত ৫২ ( ৭ মিনিট থেকে ১০ মিনিট)
18. ৩৯ সূরা আল জুমার আয়াত:২৩ (৬:৩০ মিনিট থেকে ৭.৩০ মিনিট)
19.
৪১. সূরা হা-মীম আসে সাজদা আয়াত:৩ (প্রথম এক মিনিট)
২০। ২০. সূরা ত্বাহা আয়াত ৯৯ থেকে ১০৪
২১। ৭৯. সূরা আন নাযেয়াত: আয়াত ৪৬
২২। ৮. সূরা আল আনফাল: আয়াত ৫৪
২৩। ৪০. সূরা আল মোমেন আয়াত: ৪৫ এবং ৪৬
কোরআন শরীফ আয়াত সমূহ: যা কবরে আযারে বিষয়ে হাদীসের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
২) সূরা বাকারা আয়াত ২৫৯
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
২৫৯, অথবা (ঘটনাটি) কি সেই ব্যক্তির মতো যে একটি বস্তির পাশ দিয়ে যাবার সময় যখন দেখলা, তা (বিধ্বস্ত হয়ে) আপন অস্তিত্বের ওপর মুখ থুবড়ে পড়ে আছে, (তখন) সে ব্যক্তি বললো, এ মৃত জনপদকে কিভাবে আল্লাহ তায়ালা আবার পুনর্জীবন দান করবেন, এক পর্যায়ে আল্লাহ তায়ালা (সত্যি সত্যিই) তাকে মৃত্যু দান করলেন এবং (এভাবেই তাকে) একশ বছর ধরে মৃত (ফেলে) রাখলেন,
অতপর তাকে পুনরায় জীবিতকরলেন; এবার জিজ্ঞেস করলেন, (বলতে পারো) তুমি কতোকাল (মৃত অবস্থায়) কাটিয়েছো? সে বললো, আমি একদিন কিংবা একদিনের কিছু অংশ (মৃত অবস্থায়) কাটিয়েছি, আল্লাহ তায়ালা বললেন, বরং এমনি অবস্থায় তুমি একশ বছর কাটিয়ে দিয়েছা, তাকিয়ে দেখো তোমার নিজস্ব খাবার ও পানীয়ের দিকে, (দেখবে) তা বিন্দুমাত্র পচেনি, তোমার গাধাটির দিকেও দেখা, (তাও একই অবস্থায় আছে, আমি এসব এ জন্যেই দেখালাম), যেন আমি তোমাকে মানুষদের জন্যে (পরকালীন
জীবনের) একটি (জীবন্ত) প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারি, এ (মৃত জীবের) হাড় পাজরগুলারো দিকে তাকিয়ে দেখো, (তুমি নিজেই দেখতে পাবে) আমি কিভাবে তা একটার সাথে আরেকটার জোড়া লাগিয়ে (নতুন জীবন) দিয়েছি, অতপর কিভাবে তাকে আমি গোশতের পোশাক পরিয়ে দিয়েছি, অতএব (এভাবে আল্লাহর দেখানো) এ বিষয়টি যখন তার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেলো তখন সে বলে উঠলো, আমি জানি, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
৩০) সূরা আর রোম: আয়াত ৫৫ এবং ৫৬
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৫৫) যেদিন কেয়ামত কায়েম হবে সেদিন অপরাধী ব্যক্তিরা কসম খেয়ে বলবে, তারা তো (কবরে) মুহূর্তকালের বেশী অবস্থান করেনি; (আসলে) এরা এভাবেই সত্যবিমুখ থেকেছে (এবং দ্বারে দ্বারে ঠোকর খেয়েছে)।
৫৬. কিন্তু সেসব লোক, যাদের যথার্থ জ্ঞান ও ঈমান দেয়া হয়েছে, তারা বলবে (না), তোমরা তো আল্লাহ তায়ালার হিসাবমতো (কবরে) পুনরুত্থান দিবস পর্যন্তই অবস্থান করে এসেছে, আর আজকের দিনই হচ্ছে (সেই প্রতিশ্রুত) পুনরুত্থান দিবস, কিন্তু তোমরা (এ দিনটাকে সঠিক বলে) জানতে না।
২০. সূরা ত্বাহা আয়াত ৯৯ থেকে ১০৪
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৯৯. (হে নবী, মূসার) যেসব ঘটনা তোমার আগে ঘটেছে তার সংবাদ আমি এভাবেই তোমাকে শুনিয়ে যাবো, (তা ছাড়া) আমি তোমাকে আমার কাছ থেকে একটি স্মরণিকাও দান করেছি।
১০০. যে কেউই এ (স্মরণিকা) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে কেয়ামতের দিন (নিজ কাঁধে) গুনাহের এক ভারী বোঝা বইবে,
১০১. তারা চিরদিন সেখানে থাকবে; কেয়ামতের (কঠিন) দিনে তাদের জন্যে এ বোঝা কতো মন্দ (প্রমাণিত) হবে!
১০২. যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে সেদিন আমি
অপরাধীদের এমন অবস্থায় জমা করবো, (ভয়ে) তাদের চোখ নীল (ও দৃষ্টিহীন) থাকবে,
১০৩. তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে থাকবে, তোমরা (দুনিয়ায় বড়ো জোর) দশ দিন অবস্থান করে
এসেছে।
১০৪.(আসলে) আমি জানি (সে অবস্থানের সঠিক পরিমাণ নিয়ে) যা কিছু বলছিলো, বিশেষ করে যখন তাদের মধ্যকার সবচাইতে বিবেকবান ব্যক্তি (যে সৎপথে ছিলো)- বলবে, তোমরা তো (দুনিয়ার) মাত্র একদিন অবস্থান করে এসেছো!
৭৯. সূরা আন নাযেয়াত: আয়াত ৪৬
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৪৬. যেদিন এরা কেয়ামত দেখতে পাবে, সেদিন (এদের মনে হবে) তারা এক বিকাল অথবা এক সকাল পরিমাণ সময় ( দুনিয়ার) অতিবাহিত করে এসেছে।
২২ সূরা আল হাজ্জাজ আয়াত ৪৭
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৪৭. (হে নবী,) এরা তোমার কাছে আযাবের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করে (তুমি বললা), আল্লাহ তায়ালা কখনো তাঁর ওয়াদার বরখেলাপ করেন না; তােমার মালিকের
কাছে যা একদিন, তা তোমাদের গণনার হাজার বছরের
সমান।
৩২ সূরা আস-সাজদা আয়াত ৫
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৫. আসমান থেকে যমীন পর্যন্ত সবকিছু তিনিই পরিচালনা করেন, তারপর ( সবকিছুকে) তিনি ওপরের দিকে নিয়ে যাবেন ( এমন) এক দিনে, যার পরিমাণ তোমাদের গণনার হাজার বছর।
২৩. সূরা আল মোমেনুন আয়াত ১১২, ১১৩ এবং ১১৪
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
১১২. আল্লাহ তায়ালা বলবেন (বলো তো), তোমরা পৃথিবীতে কতো বছর কাটিয়ে এসেছো?
১১৩. তারা বলবে, আমরা (সেখানে অবস্থান করেছিলাম একদিন কিংবা একদিনের কিছু অংশ, তুমি (না হয়)তাদের কাছে জিজ্ঞেস করাে যারা হিসাব রেখেছে।
১১৪. আল্লাহ তায়ালা বলবেন, (আসলে) তোমরা
পৃথিবীতে খুব সামান্য সময়ই কাটিয়ে এসেছে, কতো
ভালো হতো যদি তোমরা (এ কথাটা) ভালো করে জানতে।
৫০. সূরা ক্বাফ আয়াত ১৯ থেকে ২৭ (৩ মিনিট থেকে ৪ মিনিট মধ্যে বলা আছে )
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
১৯. মৃত্যু যন্ত্রণার মুহূর্তটি সত্যিই এসে হাযির হবে (তখন তাকে বলা হবে, ওহে নির্বোধ), এ হচ্ছে সে (মুহূর্ত)-টা, যা থেকে তুমি পালিয়ে বেড়াতে!
২০. অতপর (সবাইকে একত্রিত করার জন্যে) শিঙ্গায় ফু৺ দেয়া হবে (তখন তাদের বলা হবে), এ হচ্ছে সেই শাস্তির দিন (যার কথা তোমাদের বলা হয়েছিলো)!
২১. (সেদিন) প্রতিটি মানুষ (আল্লাহর আদালতে এমনভাবে) হাযির হবে যে, তাকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাবার জন্যে সাথে একজন (ফেরেশতা) থাকবে, অপরজন হবে (তার যাবতীয় কর্মকান্ডের প্রত্যক্ষ) সাক্ষী।
২২. (একজন বলবে, এ হচ্ছে সে দিন,) যে (দিন) সম্পর্কে তুমি উদাসীন ছিলে, এখন আমরা তোমার চোখের সামনে) থেকে তোমার সে পর্দা সরিয়ে দিয়েছি, অতএব, (আজ) তোমর দৃষ্টিশক্তি হবে অত্যন্ত প্রখর (সব কিছুই এখন তুমি দেখতে পাবে)।
২৩. তার (অপর) সাথী (ফেরেশতা) বলবে (হে মালিক), এ হচ্ছে (তোমার আসামী, আর এ হচ্ছে) আমার কাছে রক্ষিত (তার জীবনের) নথিপত্র;
২৪. (অতপর উভয় ফেরেশতাকে বলা হবে,) তোমরা দু’জন মিলে একে এবং (এর সাথে) প্রতিটি ঔদ্ধত্য প্রদর্শনকারী কাফেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করো,
২৫ (কেননা) এরা ভালো কাজে বাধা দিতো, (যত্রতত্র) সীমালংঘন করতো, (স্বয়ং আল্লাহর ব্যাপারে) এরা সন্দেহ পোষণ করতো,
২৬. যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্য কিছুকে মাবুদ বানিয়ে নিতো, তাকেও (আজ) জাহান্নামের কঠিন আযাবে নিক্ষেপ করো।
২৭. (এ সময়) তার সহচর (শয়তান) বলে উঠবে, হে
আমাদের মালিক, আমি (কিন্তু) এ ব্যক্তিটিকে (তোমার) বিদ্রোহী বানাইনি, (বস্তুত) সে নিজেই (ঘোর) বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত ছিলো।
৬৪. সূরা আত্ তাগাবুন আয়াত ৭ (মিনিট প্রথম থেকে ৩.২৭ মিনিট)
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৭. কাফেররা ধারণা করে নিয়েছে, একবার মরে গেলে কখনো তাদের পুনরুত্থিত করা হবে না; তুমি বলো, না- তা কখনো নয়; আমার মালিকের শপথ, অবশ্যই মৃত্যুর পর তোমাদের সবাইকে আবার (কবর থেকে) ওঠানো হবে এবং তোমাদের ( এক এক করে) বলে দেয়া হবে তোমরা কি কাজ করে এসেছো; আর আল্লাহ তায়ালার পক্ষে এটা অত্যন্ত সহজ কাজ।
৫৮. সূরা আল মোজাদালাহ আয়াত ৮ (তিন মিনিট থেকে চার মিনিট)
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৮. তুমি কি তাদের লক্ষ্য করো না, যাদের (আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূল সম্পর্কে কোনো) গোপন কানাঘুষা করতে নিষেধ করা হয়েছিলো; (কিন্তু) তারা (ঠিক) তারই পুনরাবৃত্তি করলো যা করতে তাদের বারণ করা হয়েছিলো, তারা একে অপরের সাথে সুস্পষ্ট গুনাহের কাজ, মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ও রসূলের নাফরমানীর ব্যাপারে কানাঘুষা করতে লাগলো, (অথচ) এরা যখন তোমার সামনে আসে তখন তোমাকে এমনভাবে অভিবাদন জানায়, যা দিয়ে আল্লাহ তায়ালাও তোমাকে অভিবাদন জানান না, (আর এ সব প্রতারণার সময়) ওরা মনে মনে বলে, আমরা যা বলছি তার জন্যে আল্লাহ তায়ালা আমাদের কোনাে প্রকার শাস্তি দিচ্ছেন না কেন?
(তুমি তাদের বলো,) জাহান্নাম তাদের (শাস্তির) জন্যে যথেষ্ট, তার আগুনে (পুড়ে) তারাই দগ্ধ হবে, কতো নিকৃষ্ট (হবে সেই) বাসস্থান।
৫৪. আল ক্বামার আয়াত ৪০ থেকে ৪৭ ( ৬ মিনিট থেকে ৭ মিনিট)
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৪০. আমি এ কোরআনকে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্যে সহজ (করে নাযিল) করেছি, কিন্তু কেউ আছে কি (এ থেকে) শিক্ষা গ্রহণ করার?
৪১. ফেরাউনের জাতির লোকদের কাছেও আমার পক্ষে থেকে সতর্ককারী (অনেক নিদর্শন) এসেছিলো,
৪২. কিন্তু তারা আমার সমুদয় নিদর্শন অস্বীকার করেছে, (আর পরিণামে) আমিও তাদের (শক্ত হাতে) পাকড়াও করলাম- ঠিক যেমনি করে সর্বশক্তিমান সসত্ত (বিদ্রোহীদের) পাকড়াও করে থাকেন।
৪৩.(তোমার কি সত্যিই মনে করছো,) তোমাদের (সমাজের) এ কাফেররা তোমাদের পূর্ববর্তী কাফেরদের চাইতে (শক্তি ও ক্ষমতার দিক থেকে) উৎকৃষ্ট? অথবা (আমার) কেতাবের কোথাও কি তোমাদের জন্যে অব্যাহতি (-মূলক কিছু লিপিবদ্ধ) রয়েছে?
৪৪. অথবা তারা বলছে, আমরা হচ্ছি (সত্যিই) একটি অপরাজেয় দল।
৪৫. অচিরেই এ (অপরাজেয়) দলটি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে যাবে এবং (সম্মুখসমর থেকে) পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পালাতে থাকবে।
৪৬. (কিন্তু এ পালানোই তো তাদের শেষ নয়,) বরং
তাদের (শাস্তিদানের) নির্ধারিত ক্ষণ কেয়ামত তো
রয়েছেই, আর কেয়ামত হবে তাদের জন্যে বড়োই কঠিন ও বড়োই তিক্ত।
৪৭. অবশ্যই এসব অপরাধী (নিদারুণ) বিভ্রান্তি ও বিকারগ্রস্ততার মাঝে পড়ে আছে।
৮. সূরা আল আনফাল: আয়াত ৫৪
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৫৪. (এরাও হচ্ছে) ফেরাউন, তার স্বজন ও তাদের আগের লোকদের মতো; ; আল্লাহর আয়াতকে তারা (সরাসরি) মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে, ফলে আমি তাদের (কুফরীর) অপরাধের জন্যে তাদের ধ্বংস করে দিয়েছি। এবং ফেরাউনের স্বজনদের আমি ডুবিয়ে দিয়েছি, (মূলত) তারা সবাই ছিলো যালেম।।
৪০. সূরা আল মোমেন আয়াত: ৪৫ এবং ৪৬
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৪৫. অতঃপর আল্লাহ তায়ালা তাকে ওদের যাবতীয় ষড়যন্ত্রের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করলেন ( অপর দিকে একটা) কঠিন শাস্তি (এসে) ফেরাউন সম্প্রদায়কে গ্ৰাস করে নিলো,
৪৬. (জাহান্নামের) আগুন, যার সামনে তাদের সকাল সন্ধ্যায় হাযির করা হবে, আর যেদিন কেয়ামত ঘটবে (সেদিন ফেরেশতাদের বলা হবে), ফেরাউনের দলবলকে কঠিন আযাবে নিক্ষেপ করো।
৩৯) সূরা আঝ ঝুমার: আয়াত:৪২ (৬:৩০ মিনিট থেকে ৭:৩০ মিনিট)
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৪২. আল্লাহ তায়ালা (মানুষদের) মৃত্যুর সময় তার প্রাণবায়ু বের করে নেন, আর যারা ঘুমের সময় মরেনি তিনি(তখন) তাদেরও (রূহ) বের করেন, অতপর যার ওপর তিনি মৃত্যু অবধারিত করেন তার প্রাণ তিনি (ছেড়ে না দিয়ে) রেখে দেন এবং বাকী (রূহ)-দের একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ছেড়ে দেন; এর (গােটা ব্যবস্থাপনার) মধ্যে এমন সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে যারা (বিষয়টি নিয়ে) চিন্তা ভাবনা করে।
৬০) সূরা আল মোমতাহেনা: আয়াত ১৩ (শেষের মিনিট)
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
১৩. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, আল্লাহ তায়ালা যে জাতির ওপর গযব দিয়েছেন তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না, তারা তো শেষ বিচারের দিন সম্পর্কে সেভাবেই নিরাশ হয়ে পড়েছে, যেমনিভাবে কাফেররা (তাদের) কবরের সাথীদের ব্যাপারে হতাশ হয়ে গেছে।
৮০) সূরা আবাসা আয়াত ১৮ থেকে ২২
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
১৮, আল্লাহ তায়ালা কোন বস্তু থেকে তাকে পয়দা করেছেন;(সে কি দেখলো না?)
১৯. তিনি তাকে এক বিন্দু শুক্র থেকে পয়দা করেছেন, অতপর তিনি তার (দেহে সব কিছুর) পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন,
২০, অতপর তিনি তার চলার পথ আসান করে দিয়েছেন,
২১. এরপর তিনি তাকে মৃত্যু দিয়েছেন, অতপর তাকে
কবরে রেখেছেন,
২২. অতপর তিনি যখন চাইবেন তাকে পুনরায় জীবিত করবেন।
৭৫) সূরা আল ক্বেয়ামাহ আয়াত: ২৪ থেকে ৩০
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
২৪, আবার এদিন কিছু (মানুষের) চেহারা হয়ে যাবে (উদাস ও) বিবর্ণ,
২৫. তারা ভাবতে থাকবে, (এক্ষুণি বুঝি) তাদের সাথে কোমর বিচুর্ণকারী (আযাবের) আচরণ (শুরু)করা হবে;
২৬. কখনো নয়, মানুষের প্রাণ (যখন) তার কণ্ঠনালী পর্যন্ত এসে যাবে,
২৭, তাকে বলা হবে, এ (বিপদের) সময় (যাদুটোনা ও) ঝাড় ফুক দেয়ার মতো কেউ কি আছে?
২৮, সে (তখন ও ঠিকমতোই) বুঝে নেবে, (পৃথিবী থেকে এখন) তার বিদায় (নেয়ার পালা),
২৯. (আর এভাবেই) তার (এ জীবনের শেষ) পা' (পরের জীবনের প্রথম) পা'র সাথে জড়িয়ে যাবে,
৩০, আর সে দিনটিই হবে তোমার মালিকের দিকে (তার অনন্ত) যাত্রার (প্রথম) সময়!
২৩) সূরা আল মোমেনুন আয়াত ১২ থেকে ১৬ (প্রথম মিনিট থেকে তিন মিনিটের মধ্যে)
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
১২. (হে মানুষ, তোমার সৃষ্টি প্রক্রিয়াটা লক্ষ্য করো,) আমি মানুষকে মাটি (র মূল উপাদান) থেকে পয়দা করেছি,
১৩. অতপর তাকে আমি শুক্রকীট হিসেবে একটি সংরক্ষিত জায়গায় (সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্যে) রেখে দিয়েছি,
১৪. এরপর এ শুক্রবিন্দুকে আমি এক ফোটা জমাট রক্তে পরিণত করি, অতপর এ জমাট রক্তকে মাংসপিন্ডে পরিণত করি, (কিছুদিন পর) এ পিন্ডকে অস্থি পাঁজরে পরিণত করি, তারপর (এক সময়) এ অস্থি পাঁজরকে আমি গোশতের পোশাক পরিয়ে দেই, অতপর (বানানোর প্রক্রিয়া শেষ করে) আমি তাকে (সম্পূর্ণ) ভিন্ন এক সৃষ্টি (তথা পূর্ণাঙ্গ মানুষ)-রূপে পয়দা করি; আল্লাহ তায়ালা কতো উত্তম সৃষ্টিকর্তা (কতো নিপুণ তাঁর সৃষ্টি);
১৫. (একটি সুনির্দিষ্ট সময় দুনিয়ায় কাটিয়ে) এরপর আবার তোমরা মৃত হয়ে যাও;
১৬. তারপর কেয়ামতের দিন তােমরা (সবাই) পুনরুত্থিত হবে।
২২. সূরা আল হজ্জ আয়াত ৭
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৭. অবশ্যই কেয়ামত আসবে, তাতে বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই, যারা কবরে (শুয়ে) আছে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাদের পুনরুত্থিত করবেন।
২৩. সূরা আল মোমেনুন আয়াত ৯৯ থেকে ১০০
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৯৯, এমনকি (এ অবস্থায় যখন) এদের কারো মৃত্যু এসে হাযির হবে, তখন সে বলবে, হে আমার মালিক, তুমি আমাকে (আরেকবার পৃথিবীতে) ফেরত পাঠাও,
১০০, যাতে করে (সেখানে গিয়ে) এমন কিছু নেক কাজ আমি করে আসতে পারি, যা আমি (আগে) ছেড়ে এসেছি (তখন বলা হবে), না, তা আর কখনো হবার নয়; (মূলত) সেটা হচ্ছে এক (অসম্ভব) কথা, যা সে শুধু বলার জন্যেই বলবে, এ (মৃত) ব্যক্তিদের সামনে একটি যবনিকা (তাদের আড়াল করে রাখবে) সে দিন পর্যন্ত, যেদিন তারা (কবর থেকে) পুনরুত্থিত হবে!
৩৬. সূরা ইয়াসিন আয়াত ৫২ ( ৭ মিনিট থেকে ১০ মিনিট)
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৫২. তারা (হতভম্ব হয়ে একে অপরকে) বলবে, হায় (কপাল আমাদের)! কে আমাদের ঘুম থেকে (এমনি করে) জাগিয়ে তুললো (এ সময় ফেরেশতারা বলবে), এ হচ্ছে তাই (কেয়ামত), দয়াময় আল্লাহ তায়ালা (তোমাদের কাছে) যার ওয়াদা করেছিলেন, নবী রসূলরাও (এ ব্যাপারে) সত্য কথা বলেছিলেন।
৩৯ সূরা আল জুমার আয়াত:২৩ (৬:৩০ মিনিট থেকে ৭.৩০ মিনিট)
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
২৩. আল্লাহ তায়ালা সর্বোকৃষ্ট বাণী নাযিল করেছেন, তা এমন (উৎকৃষ্ট) কেতাব যার প্রতিটি বাণী পরস্পরের সাথে সামঞ্জস্যশীল, অভিন্ন (যেখানে আল্লাহর ওয়াদাগুলো বার বার পেশ করা হয়েছে), যারা তাদের মালিককে ভয় করে, এ (কেতাব শোনার) ফলে তাদের চামড়া (ও শরীর)কেঁপে ওঠে, অতপর তাদের দেহ ও মন বিগলিত হয়ে আল্লাহ তায়ালার স্মরণে ঝুঁকে পড়ে; এ (কেতাব) হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার হেদায়াত, এর দ্বারা তিনি যাকে চান তাকে সঠিক পথ দেখান; আল্লাহ তায়ালা যাকে গোমরাহ করেন তার আসলেই কোন পথপ্রদর্শক নেই।
৪১. সূরা হা-মীম আসে সাজদা আয়াত:৩ (প্রথম এক মিনিট)
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।"
৩. (এ কোরআন এমন এক) কিতাব, যার আয়াতসমূহ খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে, (তদুপরি এ) কোরআন আরবী ভাষায় এমন একটি সম্প্রদায়ের জন্যে (নাযিল হয়েছে) যারা এটা জানে,
Zabur Psalm 6:6 For there is no memory of You (Allah) in death; in the grave, who will thank You (Allah)?
Note 1. Humans have no memory in death meaning no memory when they are in the grave.
Note 2. Humans have no memory of Allah when they are in the grave meaning nothing happens in the grave.
কোরআনের পূর্ণাঙ্গ সহজ সরল বাংলা অনুবাদ বাংলা
অনুবাদক : হাফেজ মুনীর উদ্দীন আহমদ।
Publisher: আল কোরআন একাডেমী পাবলিকেশন্স
কন্ঠ :সৈয়দ ইসমাত তোহা।
নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
আল কোরআনের বাংলা অনুবাদের অডিও
"সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য।"
লেখক: যুবাইর মাহমুদ