সূরাঃ হূদ সূরা
নম্বরঃ ১১ আয়াত ১৫,১৬
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি,
(১৫) যারা শুধু পার্থিব জীবন ও তার সৌন্দর্য কামনা করে, আমি তাদেরকে তাদের কৃতকর্মসমূহ (এর ফল) পৃথিবীতেই পরিপূর্ণরূপে প্রদান করে দিই এবং সেখানে তাদের জন্য কিছুই কম করা হয় না।
(১৬) এরা এমন লোক যে, তাদের জন্য পরকালে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই নেই, আর তারা যা কিছু করেছে, তা সবই পরকালে নিষ্ফল হবে এবং যা কিছু করে থাকে, তাও নিরর্থক হবে।
প্রতি মানুষ কত টাকা আয় করবে তা আগে থেকে নির্ধারিত হয়ে আছে।
নম্বরঃ ১১ আয়াত ১৫,১৬
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি,
(১৫) যারা শুধু পার্থিব জীবন ও তার সৌন্দর্য কামনা করে, আমি তাদেরকে তাদের কৃতকর্মসমূহ (এর ফল) পৃথিবীতেই পরিপূর্ণরূপে প্রদান করে দিই এবং সেখানে তাদের জন্য কিছুই কম করা হয় না।
(১৬) এরা এমন লোক যে, তাদের জন্য পরকালে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই নেই, আর তারা যা কিছু করেছে, তা সবই পরকালে নিষ্ফল হবে এবং যা কিছু করে থাকে, তাও নিরর্থক হবে।
প্রতি মানুষ কত টাকা আয় করবে তা আগে থেকে নির্ধারিত হয়ে আছে।
ধরে আল্লাহ রহিম কে ৫ কোটি টাকা দিবে। রহিম যদি বলে হে আল্লাহ আমাকে তুমি এই দুনিয়ার ও আখেরাতে সমান অর্থ দান করো।
তখন আল্লাহ তাআলা তাকে এই পৃথিবীতে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দান করবে। আর বাকি টাকা তাকে, সে যখন মৃত্যু পর আবার জীবিত হবে, তখন তাকে তা দান করবে।
তখন আল্লাহ তাআলা তাকে এই পৃথিবীতে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দান করবে। আর বাকি টাকা তাকে, সে যখন মৃত্যু পর আবার জীবিত হবে, তখন তাকে তা দান করবে।
অন্য দিকে যে ব্যক্তি মৃত্যুর পর আবার জীবিত হওয়া কে বিশ্বাস করে না। তখন আল্লাহ তাকে এই দুনিয়ায় তার প্রাপ্য সম্পত্ত দিয়ে দেন। আল্লাহ তাআলা তার জন্য পরকারে জন্য কোন সম্পদ রাখে না।
আবার কিছু মানুষ আছে তারা বলে হে আল্লাহ আমাদের কে এই পৃথিবীতে অল্প কিছু সম্পদ দেওয়া বাকি সম্পদ তুমি আমাকে প্রকারে দিয়ো। তখন আল্লাহ তাআলা তাকে এই পৃথিবীতে অল্প সম্পদ দেয়। এবং মৃত্যুর পরে সে যখন আবার জীবিত হবে তাকে তাকে তার প্রাপ্য সম্পত্তি দান করবেন।
এই পৃথিবীতে অনেক বোকা মানুষ বলে হে আল্লাহ আমাকে তুমি যা দেওয়া এই পৃথিবীতে দিয়ে দেওয়া। আর সেই ব্যক্তি তখন তার প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে কিছু দান করলো। এই বোকা ব্যক্তি ভুলে যায় প্রাপ্য সম্পত্তি যা আল্লাহ তাআলা আখেরাতের দিবেন তা এই দুনিয়ায় দশ গুণ।
উদাহরণ: এই ব্যক্তি জন্য আল্লাহর তায়ালার ৫ কোটি টাকা সম্পত্তি নির্ধারিত করেছে । এই ব্যক্তি এই পৃথিবীতে তার প্রাপ্য সম্পত্তি আল্লাহ তাআলা থেকে চেয়ে নিলো। এই পৃথিবীতে সে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আল্লাহ পথে দান করে দিলো। তখন শুধু তার ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পরকারে যাবে। আর এই পৃথিবীতে ব্যবহৃত ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা তা পরকারে যাবে না। সবচেয়ে বলো সমস্যা হলো কোন ব্যক্তি এতো টাকা পরকারে পাওয়ার জন্য আল্লাহর পথে এই পৃথিবীতে দান করে না। এর ফলে তার লোকসান হবে। এই ব্যক্তি বেশি হলে এই পৃথিবীতে একশত বছর বেঁচে থাকবে। এর মধ্যে বৃদ্ধ সময় বেঁচে থাকা আর অবোধ শিশু থাকার সমান।
আর পরকালে একজন মানুষ কখনো বৃদ্ধ হবে না। সেখানে তাকে কতো বছর থাকবে সে তার হিসাব কম্পিউটার করতে পারবে না।
ধরেন আপনাকে ৫০০০ কোটি টাকা দিয়ে বলা হলো এই টাকা আপনাকে ১০ দিনে মধ্যে ব্যয় করতে হবে।
অপরদিকে, আপনাকে ৫০০০ কোটি টাকা দিয়ে বলা হলো এই টাকা আপনি একহাজার বছর মধ্যে ব্যয় করতে হবে।
আপনি কোন শর্তাবলী মেনে নিবেন?
আল্লাহ ইচ্ছা সকল মৃত মানুষ একটি নির্দিষ্ট সময় আবার পুনরায় জীবিত হবে। এই পৃথিবীতে একজন বিজ্ঞানী হাজার রোগীর জন্য ওষুধ আবিষ্কার করে। আর আল্লাহ তাআলা কি একজন মৃত মানুষ কে কবর থেকে উঠানো ওষুধ তৈরি করতে পারবে না ?
আপনি যদি কোন অংকের সূত্র দেখেন তখন আপনি দেখতে পারবেন। প্রায় প্রতিটি অংকের সূত্রের মাঝ খানে একটি = সমান চিহ্ন থাকে। যা দ্বারা বুঝানো হয়েছে দুই দিকে সংখ্যা সমান হবে। বর্তমানে যদি দুই সূত্রের দুই পাশে সমান দেখাচ্ছে না। এক পাশে অংক করলে পরে দেখা যাবে যে দুই পাশে সমান সংখ্যক সংখ্যা ছিল।
আল্লাহ তাআলার এই কথা কুরআন বলছেন তোমারা দুনিয়ার যা করবে তা অংকের সূত্রের এক পক্ষ, আর সমান চিহ্ন হলো মৃত্যু আর সূত্রের অপর পক্ষ হলো পরকালে এর প্রতিফল অথ্যৎ আল্লাহ তাআলা দুই দিকে সমান করবেন।
"সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।"
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।