আপনি যদি কোন মানুষকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে চান তাহলে আপনাকে শুধু একটি কাজ করতে হবে।
অহংকার নামক ভাইরাস সৃষ্টি করা হঠাৎ তর সামনে তার প্রশংসা করা। মানুষটি যদি জ্ঞানী হয় তাহলে তার মনে সহজে অহংকার নামক ভাইরাস সৃষ্টি করতে পারবেন না।
আর মানুষটি যদি মূর্খ হয় তাহলে তাকে একবারে চেষ্টা তার মনে অহংকার নামক ভাইরাস সৃষ্টি করতে পারবেন।
আর মানুষটি যদি মাঝারি ধরনের জ্ঞানী হলে তখন সে মুখে বলবে আমি এই প্রশংসার যোগ্য নই কিন্তু মনে মনে অনেক খুশি হবে। এই খুশিতেই আপনার অহংকার নামক ভাইরাস টা তার ভিতরে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।
উদাহরণ: মনে করেন কোন একটি কাজে আপনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একজন ব্যক্তি। আরো অন্য একজন আপনার থেকে অনেক পিছনে আছে। এমন সময় এই ব্যক্তিটি যদি আপনাকে প্রশংসা করে তখন আপনি কিছু সময় জন্য খুশি হবেন এর ফলে আপনি প্রতি দিনের মত একটু করে উন্নতি করা বন্ধ করে দিবে। এর ফলে কিছু দিন পরে আপনি আপনার প্রথম স্থান হেরে দ্বিতীয় স্থানে চলে যাবে।
আপনি কল্পনাও করতে পারে না অহংকার কতটা ভয়ংকর।একজন জ্ঞানী মানুষ অহংকার কে এমন ভাবে ভয় প্রায়, যেমন করে একজন বৃদ্ধ মানুষ মৃত্যুকে ভয় পায়।
আর মজার ব্যাপার হলো কম জ্ঞানের লোক মনে অজান্তেই অহংকার নামক ভাইরাস নিজের মধ্যে পোষণ করে। যেমন করে একজন পশু পালন তার পশুটি পোষণ করে।
মহা বিশ্ব যেমন করে প্রতি নিহত সম্প্রসারিত হচ্ছে, ঠিক একই ভাবে একজন মানুষ কে তার জ্ঞান কে সম্প্রসারিত হবে।যে মানুষ বলে আমি সব কিছু জানি।
সেই মানুষ গুলো কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
১। মূর্খ মানুষ: যে দাবি করছে আমি এই বিষয়ে সব জানি, কিন্তু বাস্তবতা হলো সে ব্যক্তি এই বিষয়ে কিছুই জানে না। অহংকার নামক কালো পর্দা তার চোখকে বেঁধে রেখেছে যা সে চোখ দিয়ে দেখতে পায় না আর অন্তত দিয়ে অনুভব করে না।
২। কম জ্ঞানী মানুষ: যে প্রকৃতি পক্ষে এই বিশেষ জ্ঞান রাখে কিছু অংহকার নাম ভাইরাস তার এই বিষয়ে জ্ঞানের প্রসারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আছে।
জ্ঞানী মানুষ অহংকার নামক ভাইরাস থেকে দূরে থাকার জন্য তার করা সকল কাজের প্রশংসা অন্য মানুষ কে দিয়ে দেয়। আর যে ব্যক্তি এই প্রশংসা নেয় এই জ্ঞানী মানুষ থেকে সে মানুষ নিজের অজান্তে নিজের ক্ষতি করে।
আর একজন ভালো জ্ঞানী মানুষ তার সকল ভালো কাজের সকল প্রশংসা এক ঈশ্বরের কে দিয়ে দেয়। এর ফলে সে অহংকার নামক ভাইরাস নিজের কাছে না রেখে এবং অন্য না দিয়ে এক ঈশ্বর কে দেয় এর ফলে সেই জ্ঞানী মানুষ কোন মানুষ কে জ্ঞানী করে না। তার অন্তর জন্ম অহংকার নামক ভাইরাস।
“সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য”
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।