৯৬. (সত্যি কথা হচ্ছে,) তাদেরকেই বরং তুমি দেখতে পাবে বেঁচে থাকার ব্যাপারে তারা বেশী লোভী, আল্লাহ তায়ালার সাথে যারা শেরেক করে- এ (বনী ইসরাঈলের) লোকেরা তাদের চেয়েও (এক কদম) অগ্রসর, এদের প্রত্যেক ব্যাক্তিই হাজার বছর জীবিত থাকতে চায়, কিন্তু যতো দীর্ঘ জীবনই এদের দেয়া হোক না কেন, তা কখনো (এদের অবশ্যম্ভাবী) আযাব থেকে বাঁচাতে পারবে না; আল্লাহ তায়ালা এদের (যাবতীয়) কাজকর্ম (পুংখানুপুংখ) পর্যবেক্ষণ করেন।
৯৭. (হে নবী,) তুমি বলো, কে সে ব্যক্তি যে জিবরাঈলের শত্রু হতে পারে? (অথচ) সে তো আল্লাহর আদেশ (আল্লাহর) বাণীসমূহ তোমার অন্তকরণে নাযিল করে দেয়, (তাও এমন এক বাণী) যা তাদের কাছে মজুর বিষয়সমূহের সত্যতা স্বীকার করে, সর্বোপরি এ হচ্ছে মোমেনদের জন্যে সুসংবাদ (-বাহির গ্রন্থ) ।
৯৮. যারা আল্লাহর শত্রু, শত্রু তার (বাণীবাহক) ফেরেশতাদের ও নবী রসূলদের- (শত্রু) জিবরাঈলের ও মীকাঈলের, (আসলে) স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন কাফেরদের বড়ো শত্রু ।
৯৯. অবশ্যই আমি তোমার কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন পাঠিয়েছি; পাপী ব্যক্তিরা ছাড়া এসব কিছু কেউই অস্বীকার করতে পারে না।
১০০. কিংবা যখনি তারা আল্লাহর সাথে কোনো ওয়াদা করেছে তখনই তাদের এক দল তা ভংগ করেছে; (মূলত) তাদের অধিকাংশই ঈমানদার ছিলো না।
১০১. যখনি তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো নবী আসে এবং যে তাদের কাছে (আগের কিতাবে) যেসব কথা মজুদ রয়েছে তার সত্যতা স্বীকার করে, তখনি সেই আগের কিতাব যাদের দেয়া হয়েছে তা তাদের একটি দল (পূর্ববর্তী কিতাবের) কথাগুলো এমনভাবে তাদের পেছনের দিকে ফেলে দিলো, যেন তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।
১০২. (আল্লাহর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেই এরা ক্ষান্ত হয়নি, যাদুমন্ত্রের) এমন কিছু জিনিসও এরা অনুসরণ করতে শুরু করলো, (যা) শয়তান কর্তৃক সোলায়মান (নবী)-এর রাজত্বের সময় (সমাজে) চালু করা হয়েছিলো, (সত্যি কথা হচ্ছে) সোলায়মান কখনো (যাদুকে আল্লাহবিরোধী কাজে ব্যবহার করে) আল্লাহকে অস্বীকার করেনি,
আল্লাহকে তো অস্বীকার করেছে সে সব অভিশপ্ত শয়তান, যারা মানুষকে যাদুমন্ত্র শিক্ষা দিয়েছে; (যাদুপাগল কিছু মানুষদের পরীক্ষার উদ্দেশে) আল্লাহ তায়ালা হারূত মারূত (নামে যে দু'জন) ফেরেশতাকে ব্যাবিলনে পাঠিয়েছেন, (আল্লাহর) সেই দু’জন ফেরেশতা (কাউকে) ততক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ের শিক্ষা দিতো না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা (একথাটা) তাদের বলে না দিতো, আমরা তো হচ্ছি (আল্লাহর) পরীক্ষামাত্র, অতএব (কোনো অবস্থায়ই) তুমি (এ বিদ্যা দিয়ে আল্লাহ তায়ালাকে) অস্বীকার করো না,
(এ সত্ত্বেও) তারা তাদের কাছ থেকে এমন কিছু বিদ্যা শিখে নিয়েছিলো, যা দিয়ে এরা স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদের সৃষ্টি করতো,
(যদিও) আল্লাহ ইচ্ছা ছাড়া কোনো দিনই কেউ কারো সামান্যতম ক্ষতিও সাধন করতে পারবে না; তারা (মূলত) এমন কিছু শিখে যা তাদের কোনো উপকার যেমন করতে পারে না, তেমনি তা তাদের কোনো ক্ষতিও করতে পারে না; তারা যদি জানতো, (শ্রম ও অর্থ দিয়ে) যা তারা কিনে নিয়েছে পরকালে তার কোনো মূল্য নেই; তারা নিজেদের জীবনের পরিবর্তে যা ক্রয় করে নিয়েছে তা সত্যিই নিকৃষ্ট, (কতো ভালো হতো) যদি তারা (কথাটা) জানতো !
পৃষ্ঠা ১৬
No comments:
Post a Comment