১১৭. আসমানসমূহ ও যমীনের তিনিই স্রষ্টা, যখন তিনি কোনো একটি বিষয়ের সিদ্ধান্ত করেন, সে ব্যাপারে শুধু (এটুকুই) বলেন ‘হও', আর সাথে সাথেই তা হয়ে যায়।
১১৮. যারা (সঠিক কথা) জানে না তারা বলে, আল্লাহ তায়ালা নিজে আমাদের সাথে কথা বলেন না কেন, অথবা এমন কোনো নির্দশন আমাদের কাছে কেন পাঠান না (যার মাধ্যমে আমরা তাঁকে দেখতে পারবো); এদের আগের লোকেরাও এদের মতো করেই কথা বলতো; এদের সবার মন (আসলে) একই ধরনের; আল্লাহকে যারা (দৃঢ়ভাবে) বিশ্বাস করে আমি তাদের জন্যে আমার নিদর্শনসমূহ সুস্পষ্ট করে পেশ করে দিয়েছি ।
১১৯. অবশ্যই আমি তোমাকে সত্য (দ্বীন) -সহ পাঠিয়েছি, পাঠিয়েছি আযাবের ভীতি প্রদর্শনকারী ও (জান্নাতের) সুসংবাদবাহী হিসেবে।
(জেনে রেখো), তোমাকে জাহান্নামের অধিবাসীদের (দায় দায়িত্বের) ব্যাপারে কোনোরকম প্রশ্ন করা হবে না।
১২০. ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনো তোমার ওপর খুশী হবে না, হাঁ, তুমি যদি (কখনো) তাদের দলের অনুসরণ করতে শুরু করো (তখনই এরা খুশি হবে), তুমি তাদের বলে দাও, আল্লাহ তায়ালার হেদায়েতই হচ্ছে একমাত্র পথ; (সাবধান,) তোমরা কাছে সঠিক জ্ঞান আসার পরও যদি তুমি তাদের ইচ্ছানুসারে চলতে থাকো, তাহলে আল্লাহ তায়ালা ছাড়া তুমি কোনো বন্ধু ও সহায্যকারী পাবে না।
১২১. যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি তাদের মাঝে এমন কিছু লোকও আছে যারা এ (কোরআন)-কে যেভাবে (নিষ্ঠার সাথে) পড়া দরকার সেভাবেই পড়ে; তারা তার ওপর ঈমানও আনে; যারা (একে) অস্বীকার করে তারাই হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত লোক।
১২২. হে বনী ইসরাঈল (জাতি), তোমরা আমার সে নেয়ামত স্মরণ করো যা আমি তোমাদের দান করেছি, (সে নেয়ামতের অংশ হিসেবে) আমি তোমাদের দুনিয়ার অন্যান্য জাতির ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।
১২৩. তোমরা সে দিনকে ভয় করো, যেদিন একজন মানুষ আরেকজনের কোনোই কাজে আসবে না, (সেদিন) তার কাছ থেকে কোনরকম বিনিময়ও নেয়া হবে না, আবার (একের পক্ষে অন্যের) সুপারিশও সেদিন কোনো উপকারে আসবে না, (সেদিন) এসব লোকরা কোনরকম সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।
পৃষ্ঠা ১৯
No comments:
Post a Comment