ইহুদী জাতি কেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নবী হিসাবে বিশ্বাস করে না।
1. Taboot E Sakina.
একজন ইহুদী আল্লাহ তায়ালা কে ঈশ্বর হিসাবে মান করে।
এবং তার এবাদত করে কিন্তু আল্লাহর তায়ালার শেষ দুজন সম্মাননীত নবী কে, নবী হিসাবে বিশ্বাস করে না।
একজন ইহুদী, একজন ব্যক্তি সত্য নবী কি না তা পরীক্ষা করে যেভাবে তা আমি বলছি। তারা একজন ব্যক্তি, যে নিজেকে নবী হিসাবে দাবী করে তার কথার সাথে ইহুদী দের পবিত্র কিতাব তাওরাত কোন অমিল আছে কি না। তা তারা পরীক্ষা করে দেখে।
দ্বিতীয় পরীক্ষা করে যে, যে ব্যক্তি নবী দাবি করে, তার কথায় শত ভাগ সত্যতা আছে কি না। উদাহরণ স্বরূপ একজন ব্যক্তি নবী দাবি করে বলল কালকে দুপুর দুইটার সময় লাল রঙের বৃষ্টি হবে। যদি কালকে দুপুর ১:৫৫ মিনিটে বৃষ্টি হলে তার কথা মিথ্যা। সেই ব্যক্তির কথা সত্য হতে হলে ঠিক দুপুর দুইটার সময় লাল রঙের বৃষ্টি হতে হবে।
তৃতীয় পরীক্ষা করে যে, যে ব্যক্তি নবী দাবি করে সে ইহুদীয়ের পবিত্র ধর্ম ছেড়ে, তার প্রচার করা ধর্ম গ্রহণ করতে ইহুদী দের বাধ্য করে কি না।
ইহুদীরা মুসলমান দের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু এবং খৃষ্টান ধর্মের নবী হযরত ঈসা আঃ কে নবী হিসাবে বিশ্বাস করে না।
প্রধানত, এই কারণে মুসলমান দের সাথে ইহুদী দের সম্পর্ক, অনেকটা দা-কুমড়া সম্বন্ধের মতো।
এই ধরনের সম্পর্ক হওয়ার প্রধান কারণ হলো প্রতিটি ধর্মের মানুষ তার নিজের ধর্মের প্রধান পবিত্র কিতাব সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখেন না।
কোনো ইহুদী যদি পবিত্র তাওরাত কিতাব পরিপূর্ণ ভাবে পাঠ করে তাহলে সে অবশ্যই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু এবং হযরত ঈসা আঃ এর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করবে।
ঠিক একই কথা একজন মুসলিম ও খৃষ্টান লোকের উপর প্রযোজ্য হবে।
সকল ধর্মের ঈশ্বর এক। ঈশ্বর যদি চাই তেন , তা হলে পৃথিবীর সকল মানুষ কে একই ধর্মের অন্তর্ভুক্ত করে দিতে পারতেন। এর ফলে, যারা ঈশ্বর কে অবিশ্বাস করেন, তাদের জন্য ঈশ্বর রুপার নির্মিত বাড়ি তৈরি করে দিতেন। কারণ হলো ঈশ্বর ন্যায় বিচারক।
এখন যদি আপনি বলেন যে, শেষের কথাটি আমি কি লিখলাম। তা আপনি বুঝতে পারছেন না।
তখন আমি উত্তরে বলবো, যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্নের উদ্ভব হয়, এর মানে হলো আপনি আপনার প্রধান ধর্মীয় পবিত্র কিতাব সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখেন না। তাই আমার বিনীত অনুরোধ আপনার প্রতি, আগে প্রধান পবিত্র কিতাব সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করেন। তার পর ধর্মীয় কিতাবের সহকারী কিতাব পাঠ করেন । তা না হলে, ভুল পথে যাওয়া সম্ভব অনেক বেশি।
ঈশ্বর এক, তার কোন শরীক নেই। তিনি সব শক্তির মালিক।
লেখক: যুবাইর মাহমুদ তালুকদার।