সকল মানুষ জীবিত হওয়ার ঘটনায় কোরআন থেকে:
কোন কোন দেশে রাতে এবং কোন কোন দেশে দিন দুপুর বেলা। মানুষ যখন বিশ্রামে যাবে তখন অর্থাৎ করে সম্পূর্ণ পৃথিবীতে ভূমি কম্পন শুরু হবে।
পৃথিবীতে সকল জীবিত মানুষ মাতালেন মতো হয়ে যাবে। মানুষ তখন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলবে, এই কি হচ্ছে।
গর্ভবতী মায়ের পেট থেকে তার গর্ভের সন্তান অটোমেটিক ভাবে বের হয়ে যাবে।
মানুষের চারপাশ দিয়ে আগুনের উল্কা পিন্ডি আসতে থাকবে। পাহাড় গুলো খন্দ খন্দ ভাগ হয়ে আকাশে উড়তে থাকবে। উচ্চ উচ্চ বিল্ডিং গুলো হাওয়া উড়তে থাকবে।
অর্থাৎ করে সূর্য তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলবে। এর ফলে যে দেশে রাতে চাঁদের আলো দেখতো সে দেশ গুলো সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যাবে। এবং যে দেশের সূর্য আলো ছিল অর্থাৎ যে দেশ গুলো দিন সে দেশে গুলো অন্ধকার হয়ে যাবে।
সকল মানুষ মারা যাবে।
শিঙ্গা ফুঁ এর প্রথম শব্দ, পো……………..।
সম্পূর্ণ পৃথিবীর অন্য আর একটি পৃথিবী দ্বারা পরিবর্তন হওয়া শুরু হবে। পৃথিবীর সম্পূর্ণ উচ্চ ও নিম্ন স্থান গুলো সমান হয়ে একটি মাঠে পরিনত হবে।
সম্পূর্ণ পৃথিবী একটি মাঠে পরিনত হবে এবং তারপর পৃথিবীর মধ্যে তৈরি হওয়া নতুন মাঠটি প্রথম বার কেঁপে উঠবে।
পৃথিবীর মাটির ভিতরে থাকা সকল মানুষের মৃত্যু দেহের হাড় গুলো চুম্বন মতো হয়ে যাবে। এক একটি মানুষ দেহের হাড় গুড়ো জোড়া বা গঠন হওয়া শুরু এক পর্যায়ে সকল মানুষ হাড় গুড়ো জোড়া বা গঠন হওয়া শেষ হবে।
এরপর মাটি থেকে মানুষ শরীর মাংসপেশী তেরি হওয়ার শুরু হবে। তারপর মাংস গুলো আগে তৈরি হওয়া এক একটি হাড়ের সাথে সংযুক্ত হতে থাকবে। এই সকল কাজ গুলো মাটির নিচে হতে থাকবে।
এভাবে প্রতিটি মানুষের দেহ, পুনরায় গঠন করবে আল্লাহ তায়ালা।
[প্রতিটি মানুষের মৃত্যুর পর, মানুষের শরীরের কতোটুকু অংশ মাটির সাথে মিশে গেছে তা আল্লাহ তায়ালা একটি কিতাবে লিখে রাখেন। সেই কিতাব অনুসারে প্রতিটি মানুষের দেহ কে পুনরায় গঠন করা হবে।]
শিঙ্গা ফুঁ এর দ্বিতীয় শব্দ, পো……………..।
পৃথিবীতে সকল কবর গুলো ফেটে যাবে। সকল মৃত মানুষ গুলো জীবন অবস্থা কবর থেকে বের হয়ে আসবে। কিছু মানুষ বলবে কে আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়েছে।
যেমন করে মাটির নিচ থেকে গাছ বের হয়ে আসে। ঠিক একই ভাবে
পৃথিবীর ভিতরে, মাটিতে মধ্যে থাকা, সকল মৃত্ মানুষ গুলো এমন ভাবে বের হবে।
এবং যারা পৃথিবীর বাহিরে মারা গিয়েছে অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা যাদের দেহ পৃথিবীর বাহিরে মৃত্ অবস্থা পরে ছিল। তাদের কেউ ও এই পৃথিবীর ভিতর জীবিত অবস্থায় আনা হবে।
যারা আবার জীবিত হওয়াকে বিশ্বাস করতো না। তারা কানা, বোবা অর্থাৎ প্রতিবন্ধী হয়ে কবর থেকে জীবিত হয়ে উঠবে।
সকল জীবিত মানুষ গুলো, এই পৃথিবীকে একটি সম্পূর্ণ খালি মাঠ পরিনত অবস্থা দেখবে।
কিছু মানুষ একটি নির্দিষ্ট সীমার বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তা তারা যেতে পারবে না।
এটার উদাহরণ হলো আমার যখন গাড়ির ভিডিও গেম খেলতে থাকি। তখন আমার রাস্তায় পাশে অনেক খালি জায়গা দেখতে পাই। সেখানে আমাদের ভিডিও গেম এর গাড়ি অনেক সময় যাওয়া চেষ্টা করলে। ভিডিও গেম এর গাড়ি গুলো রাস্তায় বাহিরে যেতে পারে না। ঠিক একই ভাবে সকল মৃত মানুষ গুলো একটি রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করবে। কিছু মানুষ অন্য দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ও যেতে পারবে না।
এই পৃথিবীর আকাশ মাঝখান দিয়ে ফেটে যাবে। আল্লাহ তায়ালা নূর ধারণকারী আল্লাহ আরশ আট জন সম্মানিত ফেরেশতা বহন করে পৃথিবীর বাহির থেকে পৃথিবীর ভিতর উপর থেকে নামতে থাকবে।
আল্লাহ নূর ধারণকারী আরশের উপর মেঘের ছায়া থাকবে।
আল্লাহ নূরের সকল পৃথিবী সম্পূর্ণ আলোকিত হবে। সম্পূর্ণ পৃথিবী একসাথে দিনের আলো মতো উজ্জ্বল দেখাবে।
পৃথিবীর সকল মানুষকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে। তিনটি সাড়ি করা হবে। আল্লাহ তায়ালা আরশের কাছে একটি দাড়িপাল্লায় স্থাপন করা হবে।
সকল মানুষের হাতে এক একটি কিতাব দিয়ে বলা হবে। তোমাদের হাতের কিতাব গুলো তোমরা পড়। কিছু সংখ্যক লোক তাদের হাতে থাকা কিতাব পড়তে শুরু করবে এবং অভাগ হয়ে বলবে এটা আবার কেমন ডাইরি যা আমার সকল ভালো ও খারাপের কথা, (যা আমরা পৃথিবীতে কর এসেছি তা) অক্ষরে অক্ষরে লেখা আছে।
সকল মানুষ জীবিত হওয়ার ঘটনা যা কোরআন সম্পূর্ণ বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে:
তারপর কি হবে তা জানতে সম্পূর্ণ আল্লাহ কোরআন নিজের মাতৃভাষা পাঠ করেন বা শুনুন।
“সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।“
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
No comments:
Post a Comment