আদেশ-৬: প্লিডিংস (Pleadings):
বিধি-১: প্লিডিংস ( আরজি ও জবাব)
আরজি বা জবাবকেই বলা হয় প্লিডিংস। দেওয়ানি প্রকৃতির প্রত্যেক মামলায় বাদীকে প্রয়োজনীয় বিবরণসহ নালিশের কারণ উল্লেখ করে একটি আরজি উপস্থাপন বা পেশ করতে হয়। অপর দিকে বিবাদীকে তার প্রতিপক্ষের আরজির বিরুদ্ধে জবাব হিসেবে লিখিত ভাবে একটি বিবৃতি প্রদান করতে হয়।
অতএব, বাদীর আরজি এবং বিবাদীর লিখিত জবাবের সমন্বয়ে প্লিডিংস গঠিত হয়।
বিধি-২: প্লিডিংস শুধু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিবৃতি থাকবে।
প্লিডিংসে কোন সাক্ষ্য থাকবে না।
প্লিডিংসে তারিখ টাকার পরিমাণ ও সংখ্যা অংকে লিখতে বা প্রকাশিত হবে।
বিধি-১৪: প্লিডিংস স্বাক্ষরিত হতে হবে।
প্রত্যেক আরজি এবং জবাব সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা তার প্রতিনিধি দ্বারা এবং উকিল (যদি থাকে) দ্বারা স্বাক্ষরিত হবে।
বিধি-১৫: প্লিডিংস এর সত্যপাঠ/ সত্যাখ্যান/সত্যতা প্রতিপাদন
(Verification of Pleadings)
আরজিতে মামলার বাদী এবং লিখিত জবাবের নিচে বিবাদী সত্যপাঠ এবং স্বাক্ষর অথবা অন্য কোন ব্যক্তি যে মামলার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানে, সে আরজি বা লিখিত জবাবে সত্যপাঠ এবং স্বাক্ষর বা দস্তখত করবে।
বিধি-১৬: প্লিডিংস কর্তন ( Striking out Pleadings)
আদালত মামলার যে কোন পর্যায়ে নিম্নে বর্ণিত কারণে প্লিডিংসে (আরজি বা জবাব) বর্ণিত কোন বিষয় কেটে দেয়ার বা সংশোধন করার আদেশ দিতে পারেন।
ক) অনাবশ্যকীয় বা অপ্রয়োজনীয় বিষয় (Unnecessary Matter)
খ) কুৎসাজনক (Scandalous)
গ) যা মামলার সুষ্ঠু বিচার ক্ষতিগ্রস্ত বিভ্রান্ত বা বিলম্বিত করে (Tend to prejudice, embarrass the fair trail of the suit)
বিধি ১৭: প্লিডিংস সংশোধন (Amendment of Pleadings)
১। মামলার যে কোন পর্যায়ে আদালত যে কোন পক্ষকে আরজি বা জবাবের ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তন বা সংশোধন করার অনুমতি দিতে পারেন।
২| বাদী বা বিবাদী উভয় পক্ষের বিরোধের প্রকৃত প্রশ্ন নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় সংশোধন করা যাবে।
৩ । আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতার উপর আরজি জবাব সংশোধনের আদেশ নির্ভর করে।
৪। প্লিডিংস সংশোধনের দরখাস্ত দাখিল করতে হয় বিচারিক আদালতে।
৫। প্লিডিংস মামলার যে কোন পর্যায়ে এমনকি আপিল আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করা যায়।
বিধি-১৮: প্লিডিংস সংশোধনের সময়:
১। আদেশের মধ্যে উল্লিখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরজি বা জবাব সংশোধন করতে হবে অথবা
২। আদেশের মধ্যে যদি সময় নির্ধারিত বা উল্লেখ করা না হয়, সেক্ষেত্রে আদেশের তারিখ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সংশোধন করতে হবে। উক্ত সময় পার হলে এবং আদালত যদি আর সময় বর্ধিত না করে তাহলে প্লিডিংস সংশোধন করা যাবে না।
আদেশ-৭: আরজি (Plaint):
আরজি (Plaint) ;
আরজি বলতে কোন বাদী কর্তৃক আনীত কোন বিশেষ দাবি সম্বলিত এমন এক বিবৃতিকে বুঝায় যা বাদী কর্তৃক লিখিত ভাবে আদালতে পেশ করার মাধ্যমে দেওয়ানি মামলা দায়ের করা হয় ।
বিধি-১: আরজিতে যেসব বিষয়ের উল্লেখ করতে হয়:
বিধি ২: অর্থের মামলা।
অর্থের মামলার ক্ষেত্রে, আরজিতে দাবীকৃত অর্থের যথাযথ পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। তবে অর্থের পরিমাণ অমিমাংসিত থাকলে আনুমানিক অর্থের পরিমাণ লিখতে হবে (Approximate amount)
বিধি ৩: মামলার বিষয়বস্তু যখন স্থাবর সম্পত্তি।
স্থাবর সম্পত্তির মামলার ক্ষেত্রে আরজিতে উল্লেখ করতে হবে-
১। উক্ত সম্পত্তির শনাক্ত করার যথাযথ বর্ণনা, এবং
২। উক্ত সম্পত্তির সীমানা বা সেটেলমেন্ট পর্চার উল্লিখিত নম্বর উল্লেখ করতে হবে। ।
বিধি ৬: তামাদি আইন হতে অব্যাহতি পাবার কারণগুলো।
যদি তামাদি আইনে বিধৃত সময়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মামলা করা হয়, তবে উক্ত তামাদি আইনের বিধান হতে যে কারণে অব্যাহতি দাবি করা হয়, তা আরজিতে উল্লেখ করতে হবে।
বিধি-৭: বাদী যে প্রতিকার দাবি করবে তা স্পষ্টভাবে বা সুনির্দিষ্ট ভাবে বর্ণনা করতে হবে।
বিধি-৯: আরজি গ্রহণের প্রণালী :
১) যেসব দলিল বাদী আরজির সাথে পেশ করেছে, আরজির উপর সেগুলির একটি তালিকা লিখে বা আরজির সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে হবে; আরজি গৃহীত হলে যতজন বিবাদী আছে, সাদা কাগজে আরজির ততসংখ্যক নকল পেশ করবে;
২) সংক্ষিপ্ত বিবৃতি: অন্যান্যদের প্রতিনিধি হয়ে কোন ক্ষমতায় বাদী মামলা করেছে বিবাদীর বিরুদ্ধে তা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে উল্লেখ করতে হবে।
৩) বাদী আদালতের আদেশ অনুযায়ী আরজির সঙ্গে উক্তরূপ বিবৃতির সামঞ্জস্য রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনানুযায়ী তা সংশোধন করতে পারবে।
৪) উপরোক্ত তালিকা, বিবৃতি, নকল প্রভৃতি আদালতের প্রধান কেরানী পরীক্ষাপূর্বক যদি দেখতে পান যে, সেগুলো সঠিক হয়েছে, তবে তিনি সেগুলিতে সহি প্রদান করবেন।
বিধি-১০ আরজি ফেরত (Return of plaint)
১। বাদী যদি এখতিয়ারহীন আদালতে আরতি দায়ের করে, তাহলে আদালত উক্ত আরজি এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে পেশ করার জন্য বাদীকে ফেরত প্রদান করবে।
২। আরজি ফেরত প্রদানের সময় বিচারক আরজি পেশ করার এবং ফেরত দেওয়ার তারিখ, আরজি দাখিলকারির নাম এবং ফেরত দেওয়ার কারণ সংক্ষেপে লিখবেন।
আরজি ফেরতের প্রতিকার:
আরজি ফেরতের আদেশটি আপিলযোগ্য আদেশ (Appealable Order)। [বিধি-১, আদেশ ৪৩] ।
বিধি-১১: আরজি নাকচ বা প্রত্যাখ্যান বা খারিজ /বাতিল (Rejection of Plaint)
আদালত নিম্নে বর্ণিত ৪টি কারণে আরজি নাকচ করবে
১। আরজিতে মামলার কারণ উদ্ভব না করলে।
২। আরজিতে দাবীকৃত প্রতিকারের মূল্য কম উল্লেখ করা হলে এবং আদালতের নির্দেশ দেয়ার পরও বাদী যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিক মূল্য লিখতে ব্যর্থ হলে ।
৩। প্রয়োজন অপেক্ষা কম মূল্যের স্ট্যাম্পযুক্ত কাগজে আরজি লিখলে এবং আদালত নির্দেশ প্রদানের পরও বাদী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় স্টাম্প পেপার সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে ।
৪। মামলাটি যদি আইন অনুসারে নিষিদ্ধ বা বারিত হয় (Barred by any law)।
তামাদি বারিত:
কোন মামলা তামাদি দ্বারা বারিত হলে উক্ত মামলা তামাদি আইনের ৩ ধারানুসারে খারিজ হতে পারে অথবা আদেশ ৭ এর রুল ১১(ঘ) অনুসারে আরজি প্রত্যাখ্যান হতে পারে।
আরজি নাকচ হলে প্রতিকার: বিধি ১৩ বলা আছে।
বিধি ১৩: আরজি নাকচ হলে বাদী নতুন আরজি দাখিল করতে পারবে।
আরজি প্রত্যাখ্যান বা খারিজের আদেশ একটি ডিক্রি [ধারা ২ (২)]।
আরজি নাকচ করে মূল এখতিয়ার প্রয়োগকারী আদালত । সুতরাং আরজি নাকচের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।
ধারা ৯৬(১) মতে মূল এখতিয়ার প্রয়োগকারী আদালতের প্রত্যেক ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যাবে।
বিধি ১৪: আরজির সাথে দলিল দাখিলের নিয়ম:
১। বাদী তার হস্তগত বা আওতাধীন যে সকল দলিলের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে তা আরজি পেশের সময় আদালতে দাখিল করতে হবে এবং উক্ত দলিলের একটি নকল আদালতে পেশ করতে হবে।
২। বাদী তার দাবির সমর্থনপূর্বক প্রমান হিসেবে অন্য কোন দলিলের উপর নির্ভর করলে এবং উক্ত দলিল তার হস্তগত বা আওতাধীন না থাকলে তিনি উক্ত দলিলসমূহের একটি তালিকা প্রস্তুত করবে এবং কার দখলে বা হস্তগত আছে তা উল্লেখ করে আরজির সাথে সংযুক্ত করবে।
বিধি-১৫: বাদীর দখলে বা আয়ত্বে কোন দলিল না থাকলে সে ক্ষেত্রে পদ্ধতি।
যেক্ষেত্রে অনুরূপ কোন দলিল বাদীর দখলে বা আয়ত্বে না থাকে, সেক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় তা কার দখলে বা আয়ত্বে আছে তা বিবৃতি প্রদান করতে হবে।
বিধি-১৬: হারায় যাওয়া হস্তান্তরযোগ্য দলিল সম্বন্ধে মামলা (Suits on lost negotiable instruments)
কোন হস্তান্তরযোগ্য দলিলের ভিত্তিতে যেক্ষেত্রে মামলা করা হয়, এবং উক্ত দলিলগুলো হারায় যায় বলে প্রমাণিত হয়, এবং উক্ত দলিলের উপর অপর কারো দাবির বিপক্ষে বাদী আদালতের সন্তুষ্টি অনুযায়ী নিশ্চয়তা প্রদান এবং তার নকল আদালতে পেশ করলে আদালত যেরূপ ডিক্রি দান করতেন, সেরুপ ডিক্রিই দান করতে পারবেন।
বিধি-১৮: আরজির সাথে হাজির না করা দলিল এর অগ্রহণযোগ্যতা :
প্রয়োজনীয় দলিল আরজির সাথে দাখিল না করলে অথবা যে সকল দলিলের তালিকা আরজির সাথে সংযুক্ত করা উচিৎ ছিল, কিন্তু না করলে উক্ত দলিল সাক্ষ্য হিসেবে অগ্রহণযোগ্য হবে। তবে আদালত চাইলে গ্রহণ করতে পারে।
আদেশ-৮: লিখিত জবাব (written Statement)
বিধি-১: লিখিত জবাব।
১। বিবাদীর সমন প্রাপ্তির পর ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দাখিলে ব্যর্থ হলে আদালত আরো ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় দিতে পারে। লিখিত জবাব দাখিলের জন্য বিবাদী সর্বমোট ৬০ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় পেতে পারেন।
২। বিবাদী যদি ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিল করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মামলাটি একতরফা নিষ্পত্তি হবে।
প্রতিকার:
বিবাদী লিখিত জবাব দাখিলে ব্যর্থ হয়ার কারণে একতরফা নিষ্পত্তি করলে আপিল করা যাবে।
৩। সাক্ষ্য হিসাবে দাবির সমর্থনে ব্যবহারের জন্য বিবাদীর দখলে থাকা দলিলসমূহ লিখিত জবাব পেশ করার সময় আদালতে হাজির করবেন এবং তখন দলিলগুলো লিখিত জবাবের সাথে নথিভুক্ত করবেন। তবে উক্ত দলিল দখলে না থাকলে, সেক্ষেত্রে লিখিত বিবৃতির সাথে দলিলাদির তালিকা অন্তর্ভুক্ত করবেন এবং উক্ত দলিলসমূহ কার দখলে আছে তা
বর্ণনা করবেন।
এরুপ দলিলসমূহ লিখিত জবাব দাখিলের সময় তালিকাভুক্ত না করলে পরবর্তীতে আদালতের অনুমতি ছাড়া সাক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হবে না।
বিধি ২: নতুন ঘটনা অবশ্যই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
লিখিত জবাবে সকল আপত্তি উত্থাপন।
বিধি ৩: অস্বীকার সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
বিবাদী ক্ষতিপূরণের বিষয় ব্যতীত বাদীর দাবি অস্বীকার সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
বিধি ৪: চাতুরীপূর্ণভাবে অস্বীকার।
বিবাদী তার লিখিত জবাবে বাদীর দাবি চাতুরীপূর্ণভাবে অস্বীকার করবে না।
বিধি ৫: সুনির্দিষ্ট অস্বীকার।
বিবাদী, বাদীর আরজিতে আনীত অভিযোগ সুনির্দিষ্ট ভাবে অস্বীকার না করলে, ধরে নেওয়া হবে বিবাদী তা স্বীকার করেছে বলে বিবেচিত হবে।
বিধি-৬:পারস্পরিক দায়শোধ (set off):
যখন বাদী বিবাদীর বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের মামলা করে তখন বাদীর দাবীকৃত অর্থের সাথে বিবাদীর দাবীকৃত অর্থের সমন্বয় করার জন্য বিবাদী লিখিত আবেদন করতে পারেন প্রথম শুনানীর দিন। সেট অফ মামলার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাদীর বিবাদীর কাছে টাকা পাওনা থাকে না, বিবাদীও বাদীর নিকট টাকা পাওনা থাকে। তবে এইক্ষেত্রে বিবাদীর দাবী, বাদীর দাবির সমান বা কম হতে হবে। সেট অফ মামলার ক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণ নির্দিষ্ট হতে হবে, উক্ত অর্থ আইনগত ভাবে আদায়যোগ্য হতে হবে এবং দাবীকৃত অর্থ আদালতের আর্থিক এখতিয়ারের মধ্যে হতে হবে।
কাউন্টার ক্লেম/Counter Claim:
যে অর্থ মামলার ক্ষেত্রে বাদীর দাবীকৃত পাওনা টাকার থেকে বিবাদীর দাবীকৃত পাওনা টাকার পরিমাণ বেশি হয়, তখন তাকে counter claim বলে। সেট অফ কোন Counter Claim নয়।
বিধি ৯: পরবর্তী আরজি জবাব।
আদালত দরকার মনে করলে যে কোন সময় যে কোন পক্ষের কাছে লিখিত বিবৃতি বা অতিরিক্ত লিখিত বিবৃতি পেশের আদেশ প্রদান করতে পারেন।
বিধি ১০:কোন পক্ষ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক লিখিত বিবৃতি পেশে ব্যর্থ হলে সে ক্ষেত্রে পদ্ধতি।
যে পক্ষের নিকট এরুপ লিখিত বিবৃতি চাওয়া হবে, এবং সে পক্ষ আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পেশ করতে ব্যর্থ হয়, তখন উক্ত পক্ষের বিরুদ্ধে আদালত রায় ঘোষণা বাঅপর কোন নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন।
৮। বিবাদীর প্রতি সমন জারির পর তা যদি জারি না হয়ে ফেরত আসে, তাহলে বাদী ১ মাসের মধ্যে নতুন সমন প্রদানের জন্য আবেদন করবেন।[ বিধি-৫, আদেশ ৯]
আদেশ ৯: পক্ষদ্বয়ের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতি।
Appearance and Nonappearance
বিবাদীর হাজিরা ও জবাব প্রদানের জন্য সমনে নির্ধারিত তারিখে পক্ষগণের ব্যক্তিগত বা তাদের প্লিডারের মাধ্যমে হাজিরা দিতে হয়।
বিধি-২: ফরিয়াদী খরচ প্রদান না করার কারণে সমন জারি না হয়ে থাকলে মামলা খারিজ করা যায়ঃ
যদি বাদী কোর্ট ফি বা সমন জারীর জন্য দরকারি ডাক মাশুল (Postal charge) (যদি লাগে) না দেওয়ার কারণে বিবাদীর বরাবর সমন জারি করা না হয়, তাহলে আদালত মামলা খারিজের আদেশ দিতে পারবেন। তবে সমন জারি না হলেও বিবাদী ব্যক্তিগত বা প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজিরা ও জবাব দিলে, মামলা খারিজ হবে না।
বিধি-৩: বাদী এবং বিবাদী কোন পক্ষই হাজির না হলে মামলা খারিজ হবে:
মোকদ্দমার শুনানির দিন বাদী এবং বিবাদী উভয়পক্ষ অনুপস্থিত থাকলে আদালত মামলা খারিজের আদেশ দিতে পারেন।
বিধি ৪: বিধি-২ এবং বিধি-৩ এর অধীনে মামলা খারিজ হলে প্রতিকার:
১। বাদী নতুন মামলা রুজু করতে পারবে (তামাদি আইন সাপেক্ষে)।
২। বাদী খারিজের আদেশ রদ করার জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আদালতকে বাদী সন্তুষ্ট করবে এই বলে যে, তিনি কোর্ট ফি বা সমন জারীর ডাক মাতল (যদি লাগে) দিতে না পারার বা হাজির হতে না পারার যথেষ্ট কারণ আছে।
বিধি-৫: যখন সমন জারি না হওয়ায় ফেরত আসে:
যখন সমন জারি না হওয়ায় ফেরত আসে এবং তারপর বাদী যদি ১ মাসের মধ্যে – নতুন করে সমনের দরখাস্ত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আদালত মামলা খারিজ এর আদেশ দিবেন।
প্রতিকার:- বাদীর মোকদ্দমা বিধি-৫ এর অধীনে খারিজ হলে তিনি তামাদি আইন সাপেক্ষে নতুন মামলা দায়ের করতে পারবেন।[বিধি-৫(২), আদেশ-৯]
বিধি-৬: শুধুমাত্র বাদী উপস্থিত কিন্তু বিবাদী অনুপস্থিত:
১। যদি সমন যথাযথ ভাবে জারি করা হয়, তাহলে আদালত একতরফা বিচার বা একতরফা ডিক্রি দিতে পারবেন।
২। যদি সমন যথাযথ ভাবে জারি না হয় সেক্ষেত্রে আদালতে বাদীকে বিবাদীর বরাবর দ্বিতীয়বার সমন জারি করার নির্দেশ দিবেন।
৩। যদি সমন যথাযথ ভাবে জারি হয়, কিন্তু বিবাদীকে নির্দিষ্ট দিনে হাজির হয়ে জবাব দেয়ার জন্য যথেষ্ট সময় প্রদান করা হয় নাই, তবে আদালত মামলার শুনানি মূলতবী রাখবে এবং পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করবে।
৪। বাদীর ক্রটির জন্য সমন জারি না হয় বা পর্যাপ্ত সময় দিয়ে জারি না হলে মামলার শুনানি স্থগিত রাখার জন্য যে খরচ হবে, বাদী তা বহন করবেন।
বিধি-৮: শুধুমাত্র বিবাদী উপস্থিত কিন্তু বাদী অনুপস্থিত:
মামলার শুনানির দিন শুধুমাত্র বিবাদী হাজির কিন্তু বাদী অনুপস্থিত। সেক্ষেত্রে বিবাদী বাদীর দাবি মেনে নিলে বাদীর পক্ষে ডিক্রি প্রদান করবেন এবং বাদীর দাবি অস্বীকার করলে মামলা খারিজের আদেশ দিবেন।
বাদীর প্রতিকার:
বিধি-৯: ফরিয়াদি ত্রুটির কারণে তার বিরুদ্ধে ডিক্রি হলে নতুন মামলা চলবে না।
বিধি ৮ এর অধীনে মামলা খারিজ হলে বাদী নতুন মামলা দায়ের করতে পারবে না। কিন্তু মামলা খারিজের আদেশ রদ করার জন্য দরখাস্ত করতে পারবে, যথাযথ কারণ দেখিয়ে। বাদীর দরখাস্ত সম্পর্কে বিবাদীকে নোটিশ না দিয়ে আদালত মামলা খারিজের আদেশ বাতিল করবে না। অথবা
বিধি ৯ক: সরাসরি খারিজ রদ করন।
বাদী মামলা খারিজের আদেশ সরাসরি রদ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
একতরফা ডিক্রির বিরুদ্ধে বিবাদীর প্রতিকার:
১। বিধি-১৩: বিবাদীর বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে ডিক্রি রদকরণ।
বিবাদী ১৩ বিধি, আদেশ ৯ অধীনে ডিক্রিদানকারী আদালতে একতরফা ডিক্রি রদ করার জন্য দরখাস্ত করতে পারবে ডিক্রিদানকারি আদালতে অর্থাৎ ছানি মামলা করবে যথাযথ কারণ দেখিয়ে। অথবা
২। বিধি-১৩ক: একতরফা ডিক্রি সরাসরি রহিতকরণ।
বিধি- ১৩ক আদেশ ৯ অধীনে এক তরফা ডিক্রি সরাসরি রদ বা রহিত করার জন্য বিবাদী আবেদন করতে পারবে। সরাসরি রদ করার ক্ষেত্রে নিম্নের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে:
ক) আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে করতে হবে।
খ) দরখাস্তুটির সাথে এফিডেভিট থাকতে হবে।
গ) অপর পক্ষকে নোটিশ দিতে হবে বিধি-১৪
বিধি ১৪: অন্যপক্ষকে নোটিশ প্রদান না করে কোন ডিক্রি রদ করা যাবে না।
তথ্য কণিকা
১। আপিলযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে আদেশ ৯ এর ৯ বিধি অনুসারে মামলা খারিজের সিদ্ধান্ত রদ করার জন্য আবেদন নাকচ করে দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।
২। আপিলযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে আদেশ ৯ এর বিধি ১৩ অনুযায়ী একতরফা প্রদত্ত ডিক্রি রদ করার জন্য দরখাস্ত নাকচ করে দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। [বিধি-১, আদেশ-৪৩] তবে এক তরফা রদ রহিতের বিরুদ্ধে আপিল চলে না, কিন্তু উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন চলে।
দেওয়ানি কার্যবিধিতে বর্ণিত ছানি মামলার কিছু বিধান:
১। বিধি-৪, আদেশ-৯,
২। বিধি ৯, আদেশ-৯
৩। বিধি-১৩, আদেশ-৯
৪। বিধি ১৮ ও ১৯, আদেশ-৪১
৫। বিধি ২১, আদেশ ৪১
৬। বিধি ১ থেকে ৮, আদেশ ৪৭।
আদেশ ১০: আদালত দ্বারা উভয়পক্ষে জবানবন্দি গ্রহণ।
আবিষ্কার/উদঘাটন এবং পরিদর্শন: আদেশ-১১
(Discovery and Inspection)
ঘটনা আবিষ্কার/উদঘাটন
মোকদ্দমার এক পক্ষ অপর পক্ষকে মামলার বিষয়ে লিখিত ভাবে প্রশ্ন করতে পারেন এবং উক্ত প্রশ্নের প্রেক্ষিতে অপর পক্ষকেও লিখিত ভাবে উত্তর দিতে হয়। এরুপ প্রশ্নের মাধ্যমে কোন ঘটনা উদঘাটন করা হয়।
আরজি ও লিখিত বর্ণনার মাধ্যমে মামলা সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট নাও হতে পারে। এই জন্য এই বিধান সংযোজিত হয়েছে। কারণ একটি মামলার পক্ষগণকে মামলার প্রকৃত বিষয়ে যাবতীয় তথ্য ন্যায়বিচারের প্রয়োজনে সঠিক সময়ে জানা দরকার। আদেশ ১১ বিধান মতে, বাদী বা বিবাদী আদালতের অনুমতি নিয়ে লিখিত ভাবে প্রতিপক্ষকে প্রশ্ন করতে পারেন।
আদালত এরুপ প্রশ্নমালা মঞ্জুর করতে পারেন ন্যায়বিচার ও খরচ বাঁচানোর স্বার্থে।
দলিল পরিদর্শন:
এক পক্ষ অপর পক্ষের দলিল প্রকাশ করতে বাধ্য করার জন্য বা দলিল পর্যালোচনা করার বা পড়ার বা উহার নকল নেওয়ার অনুমতির জন্য আদালতে প্রার্থনা করতে পারেন। ইহাকে দলিল উদঘাটন বলে।
বিধি ১: প্রশ্নের সাহায্যে তথ্য আবিষ্কার :
বিধি: ৮ প্রশ্নের উত্তর
বিধি ১১: উত্তর দান বা যথেষ্ট উত্তর দানের আদেশ
বিধি ১২: দলিল আবিষ্কারের জন্য আবেদনপত্র।
বিধি ২১: দলিল আবিষ্কারের আদেশ অমান্য।
আদেশ ১২: স্বীকারোক্তি (Admission)
বিধি ১: মোকদ্দমা সম্পর্কে স্বীকারোক্তি।
বিধি ২: দলিলের সত্যতা স্বীকারের জন্য নোটিশ।
বিধি ৪: ঘটনার সত্যতা স্বীকারের জন্য নোটিশ।
আদেশ ১৩: দলিল দাখিল, আটক এবং ফেরত।
আদেশ ১৪: বিচার্য বিষয় ( Issues):
বিধি ১: বিচার্য বিষয় গঠন: (Framing of Issues)
বিধি ৩: বিচার্য বিষয় গঠনের বিষয়ে।
বিধি ৫: বিচার্য বিষয় সংশোধন এবং কর্তনের ক্ষমতা।
বিধি ৮: চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য্য
আদেশ ১৫: প্রথম শুনানির দিন মামলা নিষ্পত্তি:
বিধি ১: প্রথম শুনানির দিন মামলা নিষ্পত্তি।
বিধি ২: একজন সম্পর্কে কোন বিচার্য বিষয় না থাকলে।
আদেশ ১৭: মুলতবি (Adjournment)
বিধি ১: সময় মঞ্জুর এবং শুনানি মুলতবি।
বিধি ২: নির্ধারিত তারিখে পক্ষ গণ হাজির না হলে।
আদেশ ১৮: মামলার শুনানী এবং সাক্ষীদের জবানবন্দি।
বিধি ১: বক্তব্য পেশ।
বিধি ৪: সাক্ষী জবানবন্দি গ্রহণ।
বিধি ৫: সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের পদ্ধতি।
বিধি ১৭: পূর্ণ জবানবন্দি গ্রহণ।
বিধি ১৯: শুনানি সমাপ্ত করার সময়।
বিধি ২০: দৈনিক কার্যতালিকা ইত্যাদিতে মামলা নির্ধারণ।
আদেশ ১৯: এফিডেভিট (Affidavits)
বিধি ১: এফিডেভিট দ্বারা কোন কিছু প্রমাণ এবং স্বাক্ষর দান।
আদেশ ২০: রায় এবং ডিক্রি।
বিধি ১: রায় ঘোষণার সময়।
বিধি ৩: রায় স্বাক্ষর করতে হবে।
বিধি ৪: স্মল কাজ আদালতের রায়। (Judgment tof Small Cause Court)
বিধি ৫ক: ডিক্রি প্রদান।
বিধি ৬: ডিক্রির বিষয় বস্তু।
আদেশ ২১: ডিক্রি জারি এবং আদেশ জারি।
বিধি ১: ডিক্রির টাকা পরিশোধ।
বিধি ১০: ডিক্রি জারির আবেদন।
বিধি ১১: মৌখিক আবেদন/ লিখিত আবেদন।
বিধি ১২: দেনাদারের দখলে নাই এমন সম্পত্তি সম্পর্কে ডিক্রি।
বিধি ২২: ডিক্রি জারির কারণে দর্শানোর নোটিশ।
বিধি ৩১: সুনির্দিষ্ট অস্থাবর সম্পত্তির ডিক্রি।
বিধি ৩২: সুনির্দিষ্ট সম্পদ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার বা নিষেধাজ্ঞার নিমিত্ত ডিক্রি।
বিধি ৮৯: জমা দিয়ে নিলাম বিক্রয় রদের দরখাস্ত।
বিধি ৯০: অনিয়মতা বা প্রতারণার কারণে নিলাম বিক্রয় রদের দরখাস্ত।
বিধি ৯১: দায়িকের বিক্রয়যোগ্য স্বার্থ না থাকার অজুহাতে ক্রেতা দ্বারা বিক্রয় রদের দরখাস্ত।
বিধি ৯২: নিলাম বিক্রয় কখন চূড়ান্ত বা রদ করা হবে।
আদেশ ২২: পক্ষগণের মৃত্যু, বিবাহ ও দেউলিয়া।
বিধি ১: মৃত্যুর কারণে মামলা নষ্ট হবে না।
বিধি ২: কতিপয় বাদী/ বিবাদীর একজনের মৃত্যুর কারণে মোকদ্দমা নষ্ট হবে না।
বিধি ৩: কতিপয় বাদীর একজনের বা একমাত্র বাদীর মৃত্যুর ফলাফল।
বিধি ৪: কতিপয় বিবাদীর একজনের বা একমাত্র বিবাদীর মৃত্যুর ফলাফল।
বিধি ৮: যখন বাদীর অসচ্ছলতা মামলা বাধা হয়।
বিধি ৯: মামলা বাতিল বা খারিজ হওয়ার ফলাফল।
বিধি ৯ ক: বাতিল বা খারিজ সরাসরি রোদ।
বিধি ১১: আপিলের ক্ষেত্রে আদেশটির প্রয়োগ।
অত্র আদেশে বনিত ‘মামলা’ বলতে ‘আপিল’ ও বাদী বলতে ‘আপিলকারী’ এবং ' বিবাদী' বলতে ‘রেসপনডেন্ট’ কেও বুঝাবে।
আদেশ ২৩: মামলা প্রত্যাহার ও মিটমাট।
বিধি ১: মামলা প্রত্যাহার বা আংশিক দাবি বর্জন।
বিধি ৩: মামলার আপোষ-নিষ্পত্তি।
আদেশ ২৬: কমিশন নিয়োগ কমিশন।
বিধি ১: কমিশন প্রেরণের আদেশ:
আদালত ২ টি পদ্ধতির মাধ্যমে সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের জন্য কমিশন প্রেরণের আদেশ দিতে পারবেন।
১ম পদ্ধতি হলো- আদালত নিজে উদ্যোগ; এবং
২ য় পদ্ধতি হলো- মামলা কোন পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে।
বিধি ৪: কমিশনের মাধ্যমে জবানবন্দি গ্রহণ।
বিধি ৫: কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাহিরে বসবাসকারী ব্যক্তির জবানবন্দি গ্রহণ।
বিধি ৯: সরেজমিনে তদন্তের জন্য কমিশন।
বিধি ১১: হিসাব পরীক্ষা বা সংশোধনের জন্য কমিশন প্রেরণ।
বিধি ১৩: স্থাবর সম্পত্তি বাটোয়ারার জন্য কমিশন প্রেরণ।
বিধি ১৫: কমিশনারের খরচ।
আদেশ ৩২: নাবালক মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি কর্তৃক বা তাদের বিরুদ্ধে মামলা।
বিধি ১: নাবালকের পক্ষে অভিভাবকের মামলা।
বিধি ২: অভিভাবক ব্যতীত নাবালক কর্তৃক মামলা।
আদেশ ৩৩: নিঃস্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা।
বিধি ১: নিঃস্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা দায়ের।
আদেশ ৩৮: রায় ঘোষণার পূর্বে তারক গ্রেপ্তার ও ক্রোক।
রায় ঘোষণার পূর্বে গ্রেপ্তারের আলোচনা বিধি ১ থেকে ৪ পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিধি ১:বিবাদীকে হাজিরার জন্য জামানত প্রদান।
বিধি ৫: সম্পত্তি আদালতে হাজির করার জন্য জামানত তলব-
বিধি ১২: কৃষিজাত দ্রব্য ক্রোক করা যাবে না।
বিধি ১৩: স্বল্প এখতিয়ার আদালত (Small Causes Court)
আদেশ ৩৯: অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ।
নিষেধাজ্ঞা: (Injunction): আদালত কোন মামলার কোন পক্ষকে কোন কাজ করতে বা কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে যে আদেশ প্রদান করেন তাই হলো নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ।
নিষেধাজ্ঞা ২ প্রকার। যথা:
স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা: ৫৪।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা: ৫৩।
বিধি ১: অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা যে সকল ক্ষেত্রে মঞ্জুর হতে পারে।
বিধি ২: নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করার ফল।
বিধি ৩: নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করার পূর্বে বিরুদ্ধ পক্ষকে নোটিশ।
বিধি ৩ ক: নোটিশ জারি বা গর- জারি।
বিধি ৫(৪): নিষেধাজ্ঞার দরুন ক্ষতিপূরণের আদেশ।
যে পক্ষের অনুরোধে অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হয়। সেই পক্ষের বিরুদ্ধে যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাহলে আদালত, অন্যপক্ষ যে খরচ পাবে তার অতিরিক্ত অনধিক ১০,০০০/= টাকা ক্ষতিপূরণ মূলক খরচ অনুমোদন করবেন।
বিধি ৫ ক: অন্য পক্ষের শুনানি ব্যতীত অন্তর্বর্তী বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া যাবে না।
আদেশ ৪০: তত্ত্বাবধান (রিসিভার) নিয়োগ।
বিধি ১: তত্ত্বাবধান (রিসিভার) নিয়োগ।
বিধি ২: পারিশ্রমিক।
বিধি ৩: কর্তব্য।
বিধি ৪: তত্ত্বাবধায়ককে কর্তব্য পালনে বাধ্য করা।
বিধি ৫: কারেক্টর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হতে পারবেন।
আদেশ ৪১: মূল ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল।
বিধি ১: আপিলের পদ্ধতি।
বিধি ২: আপীল আদালত যে সকল বিষয়ে শুনবেন।
বিধি ৩: আপীল মেমোরেন্ডার প্রত্যাখ্যান।
বিধি ১২ ক: আপীল মূলতবী।
বিধি ১৭: আপিল খারিজ বা একতরফা শুনানি।
বিধি ১৮: আপিলকারী কর্তৃক খরচ না দেওয়ায় আপিল খারিজ।
বিধি ১৯: খারিজ আপিল পুনরায় মঞ্জুর।
বিধি ১৯ ক: আপীল সরাসরি পুন:গ্রহণ:
বিধি ২১: আপীল একতরফা ডিক্রির ক্ষেত্রে পুনরায় শুনানি।
বিধি ২৩: মামলা পুনর্বিচারের জন্য নিম্ন আদালতে প্রেরণ।
বিধি ২৪: নথিপত্রের পর্যাপ্ত সাক্ষ্য থাকলে আপিল আদালত চুড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করতে পারে।
বিধি ২৫: যে ক্ষেত্রে আপিল আদালত বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করতে পারে এবং যে আদালতের ডিক্রি হতে আপিল হয়েছে সেই আদালত বিচারের জন্য প্রেরণ করতে পারবে।
বিধি ২৭: আপিল আদালতে অতিরিক্ত প্রমাণ দাখিল।
বিধি ৩৪: ভিন্ন মত লিপিবদ্ধকরণ।
আদেশ ৪৩: আদেশের বিরুদ্ধে আপিল।
বিধি ১: আদেশের বিরুদ্ধে আপিল।
বিধি-১: প্লিডিংস ( আরজি ও জবাব)
আরজি বা জবাবকেই বলা হয় প্লিডিংস। দেওয়ানি প্রকৃতির প্রত্যেক মামলায় বাদীকে প্রয়োজনীয় বিবরণসহ নালিশের কারণ উল্লেখ করে একটি আরজি উপস্থাপন বা পেশ করতে হয়। অপর দিকে বিবাদীকে তার প্রতিপক্ষের আরজির বিরুদ্ধে জবাব হিসেবে লিখিত ভাবে একটি বিবৃতি প্রদান করতে হয়।
অতএব, বাদীর আরজি এবং বিবাদীর লিখিত জবাবের সমন্বয়ে প্লিডিংস গঠিত হয়।
বিধি-২: প্লিডিংস শুধু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিবৃতি থাকবে।
প্লিডিংসে কোন সাক্ষ্য থাকবে না।
প্লিডিংসে তারিখ টাকার পরিমাণ ও সংখ্যা অংকে লিখতে বা প্রকাশিত হবে।
বিধি-১৪: প্লিডিংস স্বাক্ষরিত হতে হবে।
প্রত্যেক আরজি এবং জবাব সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা তার প্রতিনিধি দ্বারা এবং উকিল (যদি থাকে) দ্বারা স্বাক্ষরিত হবে।
বিধি-১৫: প্লিডিংস এর সত্যপাঠ/ সত্যাখ্যান/সত্যতা প্রতিপাদন
(Verification of Pleadings)
আরজিতে মামলার বাদী এবং লিখিত জবাবের নিচে বিবাদী সত্যপাঠ এবং স্বাক্ষর অথবা অন্য কোন ব্যক্তি যে মামলার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানে, সে আরজি বা লিখিত জবাবে সত্যপাঠ এবং স্বাক্ষর বা দস্তখত করবে।
বিধি-১৬: প্লিডিংস কর্তন ( Striking out Pleadings)
আদালত মামলার যে কোন পর্যায়ে নিম্নে বর্ণিত কারণে প্লিডিংসে (আরজি বা জবাব) বর্ণিত কোন বিষয় কেটে দেয়ার বা সংশোধন করার আদেশ দিতে পারেন।
ক) অনাবশ্যকীয় বা অপ্রয়োজনীয় বিষয় (Unnecessary Matter)
খ) কুৎসাজনক (Scandalous)
গ) যা মামলার সুষ্ঠু বিচার ক্ষতিগ্রস্ত বিভ্রান্ত বা বিলম্বিত করে (Tend to prejudice, embarrass the fair trail of the suit)
বিধি ১৭: প্লিডিংস সংশোধন (Amendment of Pleadings)
১। মামলার যে কোন পর্যায়ে আদালত যে কোন পক্ষকে আরজি বা জবাবের ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তন বা সংশোধন করার অনুমতি দিতে পারেন।
২| বাদী বা বিবাদী উভয় পক্ষের বিরোধের প্রকৃত প্রশ্ন নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় সংশোধন করা যাবে।
৩ । আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতার উপর আরজি জবাব সংশোধনের আদেশ নির্ভর করে।
৪। প্লিডিংস সংশোধনের দরখাস্ত দাখিল করতে হয় বিচারিক আদালতে।
৫। প্লিডিংস মামলার যে কোন পর্যায়ে এমনকি আপিল আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করা যায়।
বিধি-১৮: প্লিডিংস সংশোধনের সময়:
১। আদেশের মধ্যে উল্লিখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরজি বা জবাব সংশোধন করতে হবে অথবা
২। আদেশের মধ্যে যদি সময় নির্ধারিত বা উল্লেখ করা না হয়, সেক্ষেত্রে আদেশের তারিখ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সংশোধন করতে হবে। উক্ত সময় পার হলে এবং আদালত যদি আর সময় বর্ধিত না করে তাহলে প্লিডিংস সংশোধন করা যাবে না।
আদেশ-৭: আরজি (Plaint):
আরজি (Plaint) ;
আরজি বলতে কোন বাদী কর্তৃক আনীত কোন বিশেষ দাবি সম্বলিত এমন এক বিবৃতিকে বুঝায় যা বাদী কর্তৃক লিখিত ভাবে আদালতে পেশ করার মাধ্যমে দেওয়ানি মামলা দায়ের করা হয় ।
বিধি-১: আরজিতে যেসব বিষয়ের উল্লেখ করতে হয়:
বিধি ২: অর্থের মামলা।
অর্থের মামলার ক্ষেত্রে, আরজিতে দাবীকৃত অর্থের যথাযথ পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। তবে অর্থের পরিমাণ অমিমাংসিত থাকলে আনুমানিক অর্থের পরিমাণ লিখতে হবে (Approximate amount)
বিধি ৩: মামলার বিষয়বস্তু যখন স্থাবর সম্পত্তি।
স্থাবর সম্পত্তির মামলার ক্ষেত্রে আরজিতে উল্লেখ করতে হবে-
১। উক্ত সম্পত্তির শনাক্ত করার যথাযথ বর্ণনা, এবং
২। উক্ত সম্পত্তির সীমানা বা সেটেলমেন্ট পর্চার উল্লিখিত নম্বর উল্লেখ করতে হবে। ।
বিধি ৬: তামাদি আইন হতে অব্যাহতি পাবার কারণগুলো।
যদি তামাদি আইনে বিধৃত সময়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মামলা করা হয়, তবে উক্ত তামাদি আইনের বিধান হতে যে কারণে অব্যাহতি দাবি করা হয়, তা আরজিতে উল্লেখ করতে হবে।
বিধি-৭: বাদী যে প্রতিকার দাবি করবে তা স্পষ্টভাবে বা সুনির্দিষ্ট ভাবে বর্ণনা করতে হবে।
বিধি-৯: আরজি গ্রহণের প্রণালী :
১) যেসব দলিল বাদী আরজির সাথে পেশ করেছে, আরজির উপর সেগুলির একটি তালিকা লিখে বা আরজির সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে হবে; আরজি গৃহীত হলে যতজন বিবাদী আছে, সাদা কাগজে আরজির ততসংখ্যক নকল পেশ করবে;
২) সংক্ষিপ্ত বিবৃতি: অন্যান্যদের প্রতিনিধি হয়ে কোন ক্ষমতায় বাদী মামলা করেছে বিবাদীর বিরুদ্ধে তা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে উল্লেখ করতে হবে।
৩) বাদী আদালতের আদেশ অনুযায়ী আরজির সঙ্গে উক্তরূপ বিবৃতির সামঞ্জস্য রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনানুযায়ী তা সংশোধন করতে পারবে।
৪) উপরোক্ত তালিকা, বিবৃতি, নকল প্রভৃতি আদালতের প্রধান কেরানী পরীক্ষাপূর্বক যদি দেখতে পান যে, সেগুলো সঠিক হয়েছে, তবে তিনি সেগুলিতে সহি প্রদান করবেন।
বিধি-১০ আরজি ফেরত (Return of plaint)
১। বাদী যদি এখতিয়ারহীন আদালতে আরতি দায়ের করে, তাহলে আদালত উক্ত আরজি এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে পেশ করার জন্য বাদীকে ফেরত প্রদান করবে।
২। আরজি ফেরত প্রদানের সময় বিচারক আরজি পেশ করার এবং ফেরত দেওয়ার তারিখ, আরজি দাখিলকারির নাম এবং ফেরত দেওয়ার কারণ সংক্ষেপে লিখবেন।
আরজি ফেরতের প্রতিকার:
আরজি ফেরতের আদেশটি আপিলযোগ্য আদেশ (Appealable Order)। [বিধি-১, আদেশ ৪৩] ।
বিধি-১১: আরজি নাকচ বা প্রত্যাখ্যান বা খারিজ /বাতিল (Rejection of Plaint)
আদালত নিম্নে বর্ণিত ৪টি কারণে আরজি নাকচ করবে
১। আরজিতে মামলার কারণ উদ্ভব না করলে।
২। আরজিতে দাবীকৃত প্রতিকারের মূল্য কম উল্লেখ করা হলে এবং আদালতের নির্দেশ দেয়ার পরও বাদী যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিক মূল্য লিখতে ব্যর্থ হলে ।
৩। প্রয়োজন অপেক্ষা কম মূল্যের স্ট্যাম্পযুক্ত কাগজে আরজি লিখলে এবং আদালত নির্দেশ প্রদানের পরও বাদী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় স্টাম্প পেপার সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে ।
৪। মামলাটি যদি আইন অনুসারে নিষিদ্ধ বা বারিত হয় (Barred by any law)।
তামাদি বারিত:
কোন মামলা তামাদি দ্বারা বারিত হলে উক্ত মামলা তামাদি আইনের ৩ ধারানুসারে খারিজ হতে পারে অথবা আদেশ ৭ এর রুল ১১(ঘ) অনুসারে আরজি প্রত্যাখ্যান হতে পারে।
আরজি নাকচ হলে প্রতিকার: বিধি ১৩ বলা আছে।
বিধি ১৩: আরজি নাকচ হলে বাদী নতুন আরজি দাখিল করতে পারবে।
আরজি প্রত্যাখ্যান বা খারিজের আদেশ একটি ডিক্রি [ধারা ২ (২)]।
আরজি নাকচ করে মূল এখতিয়ার প্রয়োগকারী আদালত । সুতরাং আরজি নাকচের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।
ধারা ৯৬(১) মতে মূল এখতিয়ার প্রয়োগকারী আদালতের প্রত্যেক ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যাবে।
বিধি ১৪: আরজির সাথে দলিল দাখিলের নিয়ম:
১। বাদী তার হস্তগত বা আওতাধীন যে সকল দলিলের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে তা আরজি পেশের সময় আদালতে দাখিল করতে হবে এবং উক্ত দলিলের একটি নকল আদালতে পেশ করতে হবে।
২। বাদী তার দাবির সমর্থনপূর্বক প্রমান হিসেবে অন্য কোন দলিলের উপর নির্ভর করলে এবং উক্ত দলিল তার হস্তগত বা আওতাধীন না থাকলে তিনি উক্ত দলিলসমূহের একটি তালিকা প্রস্তুত করবে এবং কার দখলে বা হস্তগত আছে তা উল্লেখ করে আরজির সাথে সংযুক্ত করবে।
বিধি-১৫: বাদীর দখলে বা আয়ত্বে কোন দলিল না থাকলে সে ক্ষেত্রে পদ্ধতি।
যেক্ষেত্রে অনুরূপ কোন দলিল বাদীর দখলে বা আয়ত্বে না থাকে, সেক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় তা কার দখলে বা আয়ত্বে আছে তা বিবৃতি প্রদান করতে হবে।
বিধি-১৬: হারায় যাওয়া হস্তান্তরযোগ্য দলিল সম্বন্ধে মামলা (Suits on lost negotiable instruments)
কোন হস্তান্তরযোগ্য দলিলের ভিত্তিতে যেক্ষেত্রে মামলা করা হয়, এবং উক্ত দলিলগুলো হারায় যায় বলে প্রমাণিত হয়, এবং উক্ত দলিলের উপর অপর কারো দাবির বিপক্ষে বাদী আদালতের সন্তুষ্টি অনুযায়ী নিশ্চয়তা প্রদান এবং তার নকল আদালতে পেশ করলে আদালত যেরূপ ডিক্রি দান করতেন, সেরুপ ডিক্রিই দান করতে পারবেন।
বিধি-১৮: আরজির সাথে হাজির না করা দলিল এর অগ্রহণযোগ্যতা :
প্রয়োজনীয় দলিল আরজির সাথে দাখিল না করলে অথবা যে সকল দলিলের তালিকা আরজির সাথে সংযুক্ত করা উচিৎ ছিল, কিন্তু না করলে উক্ত দলিল সাক্ষ্য হিসেবে অগ্রহণযোগ্য হবে। তবে আদালত চাইলে গ্রহণ করতে পারে।
আদেশ-৮: লিখিত জবাব (written Statement)
বিধি-১: লিখিত জবাব।
১। বিবাদীর সমন প্রাপ্তির পর ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দাখিলে ব্যর্থ হলে আদালত আরো ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় দিতে পারে। লিখিত জবাব দাখিলের জন্য বিবাদী সর্বমোট ৬০ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় পেতে পারেন।
২। বিবাদী যদি ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিল করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মামলাটি একতরফা নিষ্পত্তি হবে।
প্রতিকার:
বিবাদী লিখিত জবাব দাখিলে ব্যর্থ হয়ার কারণে একতরফা নিষ্পত্তি করলে আপিল করা যাবে।
৩। সাক্ষ্য হিসাবে দাবির সমর্থনে ব্যবহারের জন্য বিবাদীর দখলে থাকা দলিলসমূহ লিখিত জবাব পেশ করার সময় আদালতে হাজির করবেন এবং তখন দলিলগুলো লিখিত জবাবের সাথে নথিভুক্ত করবেন। তবে উক্ত দলিল দখলে না থাকলে, সেক্ষেত্রে লিখিত বিবৃতির সাথে দলিলাদির তালিকা অন্তর্ভুক্ত করবেন এবং উক্ত দলিলসমূহ কার দখলে আছে তা
বর্ণনা করবেন।
এরুপ দলিলসমূহ লিখিত জবাব দাখিলের সময় তালিকাভুক্ত না করলে পরবর্তীতে আদালতের অনুমতি ছাড়া সাক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হবে না।
বিধি ২: নতুন ঘটনা অবশ্যই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
লিখিত জবাবে সকল আপত্তি উত্থাপন।
বিধি ৩: অস্বীকার সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
বিবাদী ক্ষতিপূরণের বিষয় ব্যতীত বাদীর দাবি অস্বীকার সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
বিধি ৪: চাতুরীপূর্ণভাবে অস্বীকার।
বিবাদী তার লিখিত জবাবে বাদীর দাবি চাতুরীপূর্ণভাবে অস্বীকার করবে না।
বিধি ৫: সুনির্দিষ্ট অস্বীকার।
বিবাদী, বাদীর আরজিতে আনীত অভিযোগ সুনির্দিষ্ট ভাবে অস্বীকার না করলে, ধরে নেওয়া হবে বিবাদী তা স্বীকার করেছে বলে বিবেচিত হবে।
বিধি-৬:পারস্পরিক দায়শোধ (set off):
যখন বাদী বিবাদীর বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের মামলা করে তখন বাদীর দাবীকৃত অর্থের সাথে বিবাদীর দাবীকৃত অর্থের সমন্বয় করার জন্য বিবাদী লিখিত আবেদন করতে পারেন প্রথম শুনানীর দিন। সেট অফ মামলার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাদীর বিবাদীর কাছে টাকা পাওনা থাকে না, বিবাদীও বাদীর নিকট টাকা পাওনা থাকে। তবে এইক্ষেত্রে বিবাদীর দাবী, বাদীর দাবির সমান বা কম হতে হবে। সেট অফ মামলার ক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণ নির্দিষ্ট হতে হবে, উক্ত অর্থ আইনগত ভাবে আদায়যোগ্য হতে হবে এবং দাবীকৃত অর্থ আদালতের আর্থিক এখতিয়ারের মধ্যে হতে হবে।
কাউন্টার ক্লেম/Counter Claim:
যে অর্থ মামলার ক্ষেত্রে বাদীর দাবীকৃত পাওনা টাকার থেকে বিবাদীর দাবীকৃত পাওনা টাকার পরিমাণ বেশি হয়, তখন তাকে counter claim বলে। সেট অফ কোন Counter Claim নয়।
বিধি ৯: পরবর্তী আরজি জবাব।
আদালত দরকার মনে করলে যে কোন সময় যে কোন পক্ষের কাছে লিখিত বিবৃতি বা অতিরিক্ত লিখিত বিবৃতি পেশের আদেশ প্রদান করতে পারেন।
বিধি ১০:কোন পক্ষ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক লিখিত বিবৃতি পেশে ব্যর্থ হলে সে ক্ষেত্রে পদ্ধতি।
যে পক্ষের নিকট এরুপ লিখিত বিবৃতি চাওয়া হবে, এবং সে পক্ষ আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পেশ করতে ব্যর্থ হয়, তখন উক্ত পক্ষের বিরুদ্ধে আদালত রায় ঘোষণা বাঅপর কোন নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন।
৮। বিবাদীর প্রতি সমন জারির পর তা যদি জারি না হয়ে ফেরত আসে, তাহলে বাদী ১ মাসের মধ্যে নতুন সমন প্রদানের জন্য আবেদন করবেন।[ বিধি-৫, আদেশ ৯]
আদেশ ৯: পক্ষদ্বয়ের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতি।
Appearance and Nonappearance
বিবাদীর হাজিরা ও জবাব প্রদানের জন্য সমনে নির্ধারিত তারিখে পক্ষগণের ব্যক্তিগত বা তাদের প্লিডারের মাধ্যমে হাজিরা দিতে হয়।
বিধি-২: ফরিয়াদী খরচ প্রদান না করার কারণে সমন জারি না হয়ে থাকলে মামলা খারিজ করা যায়ঃ
যদি বাদী কোর্ট ফি বা সমন জারীর জন্য দরকারি ডাক মাশুল (Postal charge) (যদি লাগে) না দেওয়ার কারণে বিবাদীর বরাবর সমন জারি করা না হয়, তাহলে আদালত মামলা খারিজের আদেশ দিতে পারবেন। তবে সমন জারি না হলেও বিবাদী ব্যক্তিগত বা প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজিরা ও জবাব দিলে, মামলা খারিজ হবে না।
বিধি-৩: বাদী এবং বিবাদী কোন পক্ষই হাজির না হলে মামলা খারিজ হবে:
মোকদ্দমার শুনানির দিন বাদী এবং বিবাদী উভয়পক্ষ অনুপস্থিত থাকলে আদালত মামলা খারিজের আদেশ দিতে পারেন।
বিধি ৪: বিধি-২ এবং বিধি-৩ এর অধীনে মামলা খারিজ হলে প্রতিকার:
১। বাদী নতুন মামলা রুজু করতে পারবে (তামাদি আইন সাপেক্ষে)।
২। বাদী খারিজের আদেশ রদ করার জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আদালতকে বাদী সন্তুষ্ট করবে এই বলে যে, তিনি কোর্ট ফি বা সমন জারীর ডাক মাতল (যদি লাগে) দিতে না পারার বা হাজির হতে না পারার যথেষ্ট কারণ আছে।
বিধি-৫: যখন সমন জারি না হওয়ায় ফেরত আসে:
যখন সমন জারি না হওয়ায় ফেরত আসে এবং তারপর বাদী যদি ১ মাসের মধ্যে – নতুন করে সমনের দরখাস্ত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আদালত মামলা খারিজ এর আদেশ দিবেন।
প্রতিকার:- বাদীর মোকদ্দমা বিধি-৫ এর অধীনে খারিজ হলে তিনি তামাদি আইন সাপেক্ষে নতুন মামলা দায়ের করতে পারবেন।[বিধি-৫(২), আদেশ-৯]
বিধি-৬: শুধুমাত্র বাদী উপস্থিত কিন্তু বিবাদী অনুপস্থিত:
১। যদি সমন যথাযথ ভাবে জারি করা হয়, তাহলে আদালত একতরফা বিচার বা একতরফা ডিক্রি দিতে পারবেন।
২। যদি সমন যথাযথ ভাবে জারি না হয় সেক্ষেত্রে আদালতে বাদীকে বিবাদীর বরাবর দ্বিতীয়বার সমন জারি করার নির্দেশ দিবেন।
৩। যদি সমন যথাযথ ভাবে জারি হয়, কিন্তু বিবাদীকে নির্দিষ্ট দিনে হাজির হয়ে জবাব দেয়ার জন্য যথেষ্ট সময় প্রদান করা হয় নাই, তবে আদালত মামলার শুনানি মূলতবী রাখবে এবং পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করবে।
৪। বাদীর ক্রটির জন্য সমন জারি না হয় বা পর্যাপ্ত সময় দিয়ে জারি না হলে মামলার শুনানি স্থগিত রাখার জন্য যে খরচ হবে, বাদী তা বহন করবেন।
বিধি-৮: শুধুমাত্র বিবাদী উপস্থিত কিন্তু বাদী অনুপস্থিত:
মামলার শুনানির দিন শুধুমাত্র বিবাদী হাজির কিন্তু বাদী অনুপস্থিত। সেক্ষেত্রে বিবাদী বাদীর দাবি মেনে নিলে বাদীর পক্ষে ডিক্রি প্রদান করবেন এবং বাদীর দাবি অস্বীকার করলে মামলা খারিজের আদেশ দিবেন।
বাদীর প্রতিকার:
বিধি-৯: ফরিয়াদি ত্রুটির কারণে তার বিরুদ্ধে ডিক্রি হলে নতুন মামলা চলবে না।
বিধি ৮ এর অধীনে মামলা খারিজ হলে বাদী নতুন মামলা দায়ের করতে পারবে না। কিন্তু মামলা খারিজের আদেশ রদ করার জন্য দরখাস্ত করতে পারবে, যথাযথ কারণ দেখিয়ে। বাদীর দরখাস্ত সম্পর্কে বিবাদীকে নোটিশ না দিয়ে আদালত মামলা খারিজের আদেশ বাতিল করবে না। অথবা
বিধি ৯ক: সরাসরি খারিজ রদ করন।
বাদী মামলা খারিজের আদেশ সরাসরি রদ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
একতরফা ডিক্রির বিরুদ্ধে বিবাদীর প্রতিকার:
১। বিধি-১৩: বিবাদীর বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে ডিক্রি রদকরণ।
বিবাদী ১৩ বিধি, আদেশ ৯ অধীনে ডিক্রিদানকারী আদালতে একতরফা ডিক্রি রদ করার জন্য দরখাস্ত করতে পারবে ডিক্রিদানকারি আদালতে অর্থাৎ ছানি মামলা করবে যথাযথ কারণ দেখিয়ে। অথবা
২। বিধি-১৩ক: একতরফা ডিক্রি সরাসরি রহিতকরণ।
বিধি- ১৩ক আদেশ ৯ অধীনে এক তরফা ডিক্রি সরাসরি রদ বা রহিত করার জন্য বিবাদী আবেদন করতে পারবে। সরাসরি রদ করার ক্ষেত্রে নিম্নের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে:
ক) আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে করতে হবে।
খ) দরখাস্তুটির সাথে এফিডেভিট থাকতে হবে।
গ) অপর পক্ষকে নোটিশ দিতে হবে বিধি-১৪
বিধি ১৪: অন্যপক্ষকে নোটিশ প্রদান না করে কোন ডিক্রি রদ করা যাবে না।
তথ্য কণিকা
১। আপিলযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে আদেশ ৯ এর ৯ বিধি অনুসারে মামলা খারিজের সিদ্ধান্ত রদ করার জন্য আবেদন নাকচ করে দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।
২। আপিলযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে আদেশ ৯ এর বিধি ১৩ অনুযায়ী একতরফা প্রদত্ত ডিক্রি রদ করার জন্য দরখাস্ত নাকচ করে দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। [বিধি-১, আদেশ-৪৩] তবে এক তরফা রদ রহিতের বিরুদ্ধে আপিল চলে না, কিন্তু উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন চলে।
দেওয়ানি কার্যবিধিতে বর্ণিত ছানি মামলার কিছু বিধান:
১। বিধি-৪, আদেশ-৯,
২। বিধি ৯, আদেশ-৯
৩। বিধি-১৩, আদেশ-৯
৪। বিধি ১৮ ও ১৯, আদেশ-৪১
৫। বিধি ২১, আদেশ ৪১
৬। বিধি ১ থেকে ৮, আদেশ ৪৭।
আদেশ ১০: আদালত দ্বারা উভয়পক্ষে জবানবন্দি গ্রহণ।
আবিষ্কার/উদঘাটন এবং পরিদর্শন: আদেশ-১১
(Discovery and Inspection)
ঘটনা আবিষ্কার/উদঘাটন
মোকদ্দমার এক পক্ষ অপর পক্ষকে মামলার বিষয়ে লিখিত ভাবে প্রশ্ন করতে পারেন এবং উক্ত প্রশ্নের প্রেক্ষিতে অপর পক্ষকেও লিখিত ভাবে উত্তর দিতে হয়। এরুপ প্রশ্নের মাধ্যমে কোন ঘটনা উদঘাটন করা হয়।
আরজি ও লিখিত বর্ণনার মাধ্যমে মামলা সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট নাও হতে পারে। এই জন্য এই বিধান সংযোজিত হয়েছে। কারণ একটি মামলার পক্ষগণকে মামলার প্রকৃত বিষয়ে যাবতীয় তথ্য ন্যায়বিচারের প্রয়োজনে সঠিক সময়ে জানা দরকার। আদেশ ১১ বিধান মতে, বাদী বা বিবাদী আদালতের অনুমতি নিয়ে লিখিত ভাবে প্রতিপক্ষকে প্রশ্ন করতে পারেন।
আদালত এরুপ প্রশ্নমালা মঞ্জুর করতে পারেন ন্যায়বিচার ও খরচ বাঁচানোর স্বার্থে।
দলিল পরিদর্শন:
এক পক্ষ অপর পক্ষের দলিল প্রকাশ করতে বাধ্য করার জন্য বা দলিল পর্যালোচনা করার বা পড়ার বা উহার নকল নেওয়ার অনুমতির জন্য আদালতে প্রার্থনা করতে পারেন। ইহাকে দলিল উদঘাটন বলে।
বিধি ১: প্রশ্নের সাহায্যে তথ্য আবিষ্কার :
বিধি: ৮ প্রশ্নের উত্তর
বিধি ১১: উত্তর দান বা যথেষ্ট উত্তর দানের আদেশ
বিধি ১২: দলিল আবিষ্কারের জন্য আবেদনপত্র।
বিধি ২১: দলিল আবিষ্কারের আদেশ অমান্য।
আদেশ ১২: স্বীকারোক্তি (Admission)
বিধি ১: মোকদ্দমা সম্পর্কে স্বীকারোক্তি।
বিধি ২: দলিলের সত্যতা স্বীকারের জন্য নোটিশ।
বিধি ৪: ঘটনার সত্যতা স্বীকারের জন্য নোটিশ।
আদেশ ১৩: দলিল দাখিল, আটক এবং ফেরত।
আদেশ ১৪: বিচার্য বিষয় ( Issues):
বিধি ১: বিচার্য বিষয় গঠন: (Framing of Issues)
বিধি ৩: বিচার্য বিষয় গঠনের বিষয়ে।
বিধি ৫: বিচার্য বিষয় সংশোধন এবং কর্তনের ক্ষমতা।
বিধি ৮: চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য্য
আদেশ ১৫: প্রথম শুনানির দিন মামলা নিষ্পত্তি:
বিধি ১: প্রথম শুনানির দিন মামলা নিষ্পত্তি।
বিধি ২: একজন সম্পর্কে কোন বিচার্য বিষয় না থাকলে।
আদেশ ১৭: মুলতবি (Adjournment)
বিধি ১: সময় মঞ্জুর এবং শুনানি মুলতবি।
বিধি ২: নির্ধারিত তারিখে পক্ষ গণ হাজির না হলে।
আদেশ ১৮: মামলার শুনানী এবং সাক্ষীদের জবানবন্দি।
বিধি ১: বক্তব্য পেশ।
বিধি ৪: সাক্ষী জবানবন্দি গ্রহণ।
বিধি ৫: সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের পদ্ধতি।
বিধি ১৭: পূর্ণ জবানবন্দি গ্রহণ।
বিধি ১৯: শুনানি সমাপ্ত করার সময়।
বিধি ২০: দৈনিক কার্যতালিকা ইত্যাদিতে মামলা নির্ধারণ।
আদেশ ১৯: এফিডেভিট (Affidavits)
বিধি ১: এফিডেভিট দ্বারা কোন কিছু প্রমাণ এবং স্বাক্ষর দান।
আদেশ ২০: রায় এবং ডিক্রি।
বিধি ১: রায় ঘোষণার সময়।
বিধি ৩: রায় স্বাক্ষর করতে হবে।
বিধি ৪: স্মল কাজ আদালতের রায়। (Judgment tof Small Cause Court)
বিধি ৫ক: ডিক্রি প্রদান।
বিধি ৬: ডিক্রির বিষয় বস্তু।
আদেশ ২১: ডিক্রি জারি এবং আদেশ জারি।
বিধি ১: ডিক্রির টাকা পরিশোধ।
বিধি ১০: ডিক্রি জারির আবেদন।
বিধি ১১: মৌখিক আবেদন/ লিখিত আবেদন।
বিধি ১২: দেনাদারের দখলে নাই এমন সম্পত্তি সম্পর্কে ডিক্রি।
বিধি ২২: ডিক্রি জারির কারণে দর্শানোর নোটিশ।
বিধি ৩১: সুনির্দিষ্ট অস্থাবর সম্পত্তির ডিক্রি।
বিধি ৩২: সুনির্দিষ্ট সম্পদ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার বা নিষেধাজ্ঞার নিমিত্ত ডিক্রি।
বিধি ৮৯: জমা দিয়ে নিলাম বিক্রয় রদের দরখাস্ত।
বিধি ৯০: অনিয়মতা বা প্রতারণার কারণে নিলাম বিক্রয় রদের দরখাস্ত।
বিধি ৯১: দায়িকের বিক্রয়যোগ্য স্বার্থ না থাকার অজুহাতে ক্রেতা দ্বারা বিক্রয় রদের দরখাস্ত।
বিধি ৯২: নিলাম বিক্রয় কখন চূড়ান্ত বা রদ করা হবে।
আদেশ ২২: পক্ষগণের মৃত্যু, বিবাহ ও দেউলিয়া।
বিধি ১: মৃত্যুর কারণে মামলা নষ্ট হবে না।
বিধি ২: কতিপয় বাদী/ বিবাদীর একজনের মৃত্যুর কারণে মোকদ্দমা নষ্ট হবে না।
বিধি ৩: কতিপয় বাদীর একজনের বা একমাত্র বাদীর মৃত্যুর ফলাফল।
বিধি ৪: কতিপয় বিবাদীর একজনের বা একমাত্র বিবাদীর মৃত্যুর ফলাফল।
বিধি ৮: যখন বাদীর অসচ্ছলতা মামলা বাধা হয়।
বিধি ৯: মামলা বাতিল বা খারিজ হওয়ার ফলাফল।
বিধি ৯ ক: বাতিল বা খারিজ সরাসরি রোদ।
বিধি ১১: আপিলের ক্ষেত্রে আদেশটির প্রয়োগ।
অত্র আদেশে বনিত ‘মামলা’ বলতে ‘আপিল’ ও বাদী বলতে ‘আপিলকারী’ এবং ' বিবাদী' বলতে ‘রেসপনডেন্ট’ কেও বুঝাবে।
আদেশ ২৩: মামলা প্রত্যাহার ও মিটমাট।
বিধি ১: মামলা প্রত্যাহার বা আংশিক দাবি বর্জন।
বিধি ৩: মামলার আপোষ-নিষ্পত্তি।
আদেশ ২৬: কমিশন নিয়োগ কমিশন।
বিধি ১: কমিশন প্রেরণের আদেশ:
আদালত ২ টি পদ্ধতির মাধ্যমে সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের জন্য কমিশন প্রেরণের আদেশ দিতে পারবেন।
১ম পদ্ধতি হলো- আদালত নিজে উদ্যোগ; এবং
২ য় পদ্ধতি হলো- মামলা কোন পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে।
বিধি ৪: কমিশনের মাধ্যমে জবানবন্দি গ্রহণ।
বিধি ৫: কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাহিরে বসবাসকারী ব্যক্তির জবানবন্দি গ্রহণ।
বিধি ৯: সরেজমিনে তদন্তের জন্য কমিশন।
বিধি ১১: হিসাব পরীক্ষা বা সংশোধনের জন্য কমিশন প্রেরণ।
বিধি ১৩: স্থাবর সম্পত্তি বাটোয়ারার জন্য কমিশন প্রেরণ।
বিধি ১৫: কমিশনারের খরচ।
আদেশ ৩২: নাবালক মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি কর্তৃক বা তাদের বিরুদ্ধে মামলা।
বিধি ১: নাবালকের পক্ষে অভিভাবকের মামলা।
বিধি ২: অভিভাবক ব্যতীত নাবালক কর্তৃক মামলা।
আদেশ ৩৩: নিঃস্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা।
বিধি ১: নিঃস্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা দায়ের।
আদেশ ৩৮: রায় ঘোষণার পূর্বে তারক গ্রেপ্তার ও ক্রোক।
রায় ঘোষণার পূর্বে গ্রেপ্তারের আলোচনা বিধি ১ থেকে ৪ পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিধি ১:বিবাদীকে হাজিরার জন্য জামানত প্রদান।
বিধি ৫: সম্পত্তি আদালতে হাজির করার জন্য জামানত তলব-
বিধি ১২: কৃষিজাত দ্রব্য ক্রোক করা যাবে না।
বিধি ১৩: স্বল্প এখতিয়ার আদালত (Small Causes Court)
আদেশ ৩৯: অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ।
নিষেধাজ্ঞা: (Injunction): আদালত কোন মামলার কোন পক্ষকে কোন কাজ করতে বা কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে যে আদেশ প্রদান করেন তাই হলো নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ।
নিষেধাজ্ঞা ২ প্রকার। যথা:
স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা: ৫৪।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা: ৫৩।
বিধি ১: অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা যে সকল ক্ষেত্রে মঞ্জুর হতে পারে।
বিধি ২: নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করার ফল।
বিধি ৩: নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করার পূর্বে বিরুদ্ধ পক্ষকে নোটিশ।
বিধি ৩ ক: নোটিশ জারি বা গর- জারি।
বিধি ৫(৪): নিষেধাজ্ঞার দরুন ক্ষতিপূরণের আদেশ।
যে পক্ষের অনুরোধে অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হয়। সেই পক্ষের বিরুদ্ধে যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাহলে আদালত, অন্যপক্ষ যে খরচ পাবে তার অতিরিক্ত অনধিক ১০,০০০/= টাকা ক্ষতিপূরণ মূলক খরচ অনুমোদন করবেন।
বিধি ৫ ক: অন্য পক্ষের শুনানি ব্যতীত অন্তর্বর্তী বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া যাবে না।
আদেশ ৪০: তত্ত্বাবধান (রিসিভার) নিয়োগ।
বিধি ১: তত্ত্বাবধান (রিসিভার) নিয়োগ।
বিধি ২: পারিশ্রমিক।
বিধি ৩: কর্তব্য।
বিধি ৪: তত্ত্বাবধায়ককে কর্তব্য পালনে বাধ্য করা।
বিধি ৫: কারেক্টর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হতে পারবেন।
আদেশ ৪১: মূল ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল।
বিধি ১: আপিলের পদ্ধতি।
বিধি ২: আপীল আদালত যে সকল বিষয়ে শুনবেন।
বিধি ৩: আপীল মেমোরেন্ডার প্রত্যাখ্যান।
বিধি ১২ ক: আপীল মূলতবী।
বিধি ১৭: আপিল খারিজ বা একতরফা শুনানি।
বিধি ১৮: আপিলকারী কর্তৃক খরচ না দেওয়ায় আপিল খারিজ।
বিধি ১৯: খারিজ আপিল পুনরায় মঞ্জুর।
বিধি ১৯ ক: আপীল সরাসরি পুন:গ্রহণ:
বিধি ২১: আপীল একতরফা ডিক্রির ক্ষেত্রে পুনরায় শুনানি।
বিধি ২৩: মামলা পুনর্বিচারের জন্য নিম্ন আদালতে প্রেরণ।
বিধি ২৪: নথিপত্রের পর্যাপ্ত সাক্ষ্য থাকলে আপিল আদালত চুড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করতে পারে।
বিধি ২৫: যে ক্ষেত্রে আপিল আদালত বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করতে পারে এবং যে আদালতের ডিক্রি হতে আপিল হয়েছে সেই আদালত বিচারের জন্য প্রেরণ করতে পারবে।
বিধি ২৭: আপিল আদালতে অতিরিক্ত প্রমাণ দাখিল।
বিধি ৩৪: ভিন্ন মত লিপিবদ্ধকরণ।
আদেশ ৪৩: আদেশের বিরুদ্ধে আপিল।
বিধি ১: আদেশের বিরুদ্ধে আপিল।
আদেশগুলো হতে আপিল:
ধারা ১০৪ অনুযায়ী নিম্নোক্ত আদেশসমূহের বিরুদ্ধে আপিল করা চলবে, যথা-
ধারা ১০৪ অনুযায়ী নিম্নোক্ত আদেশসমূহের বিরুদ্ধে আপিল করা চলবে, যথা-
ক) ৭ আদেশের ১০ বিধি অনুসারে
উপযুক্ত আদালতে পেশ করার জন্য আরজি ফেরত দেয়ার আদেশ;
খ) ৮ আদেশের ১০ বিধি অনুসারে
কোন পক্ষের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে কোন আদেশ;
গ) ৯ আদেশের ৯ বিধি অনুসারে: (আপলের উন্মোক্ত মামলার ক্ষেত্রে)
মামলা খারিজের আদেশ বাতিলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে কোন আদেশ;
ঘ) ৯ আদেশের ১৩ বিধি অনুসারে: (আপলের উন্মোক্ত মামলার ক্ষেত্রে)
কোন একতরফা ডিক্রি বাতিলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে কোন আদেশ;
ঙ) ১০ আদেশের ৪ বিধি অনুসারে
কোন পক্ষের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে কোন আদেশ;
চ) ১১ আদেশের ২১ বিধি অনুসারে কোন আদেশ;
ছ) ১৬ আদেশের ১০ বিধি অনুসারে
সম্পত্তি ক্রোকের জন্য কোন আদেশ;
জ) ১৬ আদেশের ২০ বিধি অনুসারে
কোন পক্ষের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে কোন আদেশ; -
১) ২১ আদেশের ৩৪ বিধি অনুসারে
কোন দলিলের বা পৃষ্ঠালিপির আরজির বিরুদ্ধে আপত্তি প্রসঙ্গে আদেশ;
২) ২১ আদেশের ৬০ বিধি অনুসারে
ক্রোক হতে সম্পত্তি মুক্ত করে কোন আদেশ;
৩) ২১ আদেশের ৬১ বিধি অনুসারে
ক্রোককৃত সম্পত্তিতে কোন দাবী অগ্রাহ্য করে আদেশ;
ঞ) ২১ আদেশের ৭২ বা ৯২ বিধি অনুসারে
নিলাম বিক্রয় রদ করে বা নিলাম বিক্রয় রদ করতে অস্বীকার করে কোন আদেশ;
ট) ২২ আদেশের ৯ বিধি অনুসারে
মামলার বাতিল বা খারিজের আদেশ রদ করে কোন আদেশ;
ঠ) ২২ আদেশের ১০ বিধি অনুসারে
অনুমতি দিয়া বা অনুমতি দিতে অস্বীকার করে কোন আদেশ;
ড) ২৩ আদেশের ৩ বিধি অনুসারে
কোন চুক্তিপত্র, আপোষনামা বা পরিতুষ্টি লিপিবদ্ধ করে বা লিপিবদ্ধ করতে অস্বীকার করে কোন আদেশ;
ঢ) ২৫ আদেশের ২ বিধি অনুসারে; (আপীলের উনোক্ত মামলার ক্ষেত্রে)
মামলার খারিজের আদেশ রদ করার জন্য কোন আবেদন পত্র প্রত্যাখ্যান করে কোন আদেশ;
ণ) ৩৪ আদেশের ২, ৪ বা ৭ বিধি অনুসারে
বন্ধকী টাকা পরিশোধের সময় বৃদ্ধি অগ্রাহ্য করে কোন আদেশ:
ত) ৩৫ আদেশের ৩, ৪ বা ৬ বিধি অনুসারে
ইন্টার প্রিডার মামলায় কোন আদেশ;
থ) ৩৭ আদেশের ২, ৩ ও ৬ বিধি অনুসারে কোন আদেশ;
দ. আদেশ-৩৯ এর ১, ২, ৪ বা ১০ অনুযায়ী কোন আদেশ;
ধ. আদেশ-৪০ এর ১ বা ৪ অনুযায়ী কোন আদেশ;
ন) ৪১ আদেশের ১৯ বিধি অনুসারে
পুনঃগ্রহণ বা ৪১ আদেশের ২১ বিধি অনুসারে কোন আপীলের পুনঃ শুনানি অস্বীকার করে কোন আদেশ;
প. যেক্ষেত্রে আপিল আদালতের ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করা চলে, সেক্ষেত্রে আদেশ-৪১ এর ২৩ অনুযায়ী মামলা পুনঃবিচারের জন্য প্রেরণের আদেশ;
ফ, হাইকোর্ট বিভাগ ব্যতিত অন্য কোন আদালত কর্তৃক
৪৫ আদেশের ৬ বিধি অনুসারে প্রত্যয়ন পত্র মঞ্জর অস্বীকার করে কোন আদেশ;
ব. পূর্নবিচারের আবেদন অনুমোদন করে আদেশ-৪৭ এর ৪ অনুযায়ী প্রদত্ত আদেশ।
উপযুক্ত আদালতে পেশ করার জন্য আরজি ফেরত দেয়ার আদেশ;
খ) ৮ আদেশের ১০ বিধি অনুসারে
কোন পক্ষের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে কোন আদেশ;
গ) ৯ আদেশের ৯ বিধি অনুসারে: (আপলের উন্মোক্ত মামলার ক্ষেত্রে)
মামলা খারিজের আদেশ বাতিলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে কোন আদেশ;
ঘ) ৯ আদেশের ১৩ বিধি অনুসারে: (আপলের উন্মোক্ত মামলার ক্ষেত্রে)
কোন একতরফা ডিক্রি বাতিলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে কোন আদেশ;
ঙ) ১০ আদেশের ৪ বিধি অনুসারে
কোন পক্ষের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে কোন আদেশ;
চ) ১১ আদেশের ২১ বিধি অনুসারে কোন আদেশ;
ছ) ১৬ আদেশের ১০ বিধি অনুসারে
সম্পত্তি ক্রোকের জন্য কোন আদেশ;
জ) ১৬ আদেশের ২০ বিধি অনুসারে
কোন পক্ষের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে কোন আদেশ; -
১) ২১ আদেশের ৩৪ বিধি অনুসারে
কোন দলিলের বা পৃষ্ঠালিপির আরজির বিরুদ্ধে আপত্তি প্রসঙ্গে আদেশ;
২) ২১ আদেশের ৬০ বিধি অনুসারে
ক্রোক হতে সম্পত্তি মুক্ত করে কোন আদেশ;
৩) ২১ আদেশের ৬১ বিধি অনুসারে
ক্রোককৃত সম্পত্তিতে কোন দাবী অগ্রাহ্য করে আদেশ;
ঞ) ২১ আদেশের ৭২ বা ৯২ বিধি অনুসারে
নিলাম বিক্রয় রদ করে বা নিলাম বিক্রয় রদ করতে অস্বীকার করে কোন আদেশ;
ট) ২২ আদেশের ৯ বিধি অনুসারে
মামলার বাতিল বা খারিজের আদেশ রদ করে কোন আদেশ;
ঠ) ২২ আদেশের ১০ বিধি অনুসারে
অনুমতি দিয়া বা অনুমতি দিতে অস্বীকার করে কোন আদেশ;
ড) ২৩ আদেশের ৩ বিধি অনুসারে
কোন চুক্তিপত্র, আপোষনামা বা পরিতুষ্টি লিপিবদ্ধ করে বা লিপিবদ্ধ করতে অস্বীকার করে কোন আদেশ;
ঢ) ২৫ আদেশের ২ বিধি অনুসারে; (আপীলের উনোক্ত মামলার ক্ষেত্রে)
মামলার খারিজের আদেশ রদ করার জন্য কোন আবেদন পত্র প্রত্যাখ্যান করে কোন আদেশ;
ণ) ৩৪ আদেশের ২, ৪ বা ৭ বিধি অনুসারে
বন্ধকী টাকা পরিশোধের সময় বৃদ্ধি অগ্রাহ্য করে কোন আদেশ:
ত) ৩৫ আদেশের ৩, ৪ বা ৬ বিধি অনুসারে
ইন্টার প্রিডার মামলায় কোন আদেশ;
থ) ৩৭ আদেশের ২, ৩ ও ৬ বিধি অনুসারে কোন আদেশ;
দ. আদেশ-৩৯ এর ১, ২, ৪ বা ১০ অনুযায়ী কোন আদেশ;
ধ. আদেশ-৪০ এর ১ বা ৪ অনুযায়ী কোন আদেশ;
ন) ৪১ আদেশের ১৯ বিধি অনুসারে
পুনঃগ্রহণ বা ৪১ আদেশের ২১ বিধি অনুসারে কোন আপীলের পুনঃ শুনানি অস্বীকার করে কোন আদেশ;
প. যেক্ষেত্রে আপিল আদালতের ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করা চলে, সেক্ষেত্রে আদেশ-৪১ এর ২৩ অনুযায়ী মামলা পুনঃবিচারের জন্য প্রেরণের আদেশ;
ফ, হাইকোর্ট বিভাগ ব্যতিত অন্য কোন আদালত কর্তৃক
৪৫ আদেশের ৬ বিধি অনুসারে প্রত্যয়ন পত্র মঞ্জর অস্বীকার করে কোন আদেশ;
ব. পূর্নবিচারের আবেদন অনুমোদন করে আদেশ-৪৭ এর ৪ অনুযায়ী প্রদত্ত আদেশ।
No comments:
Post a Comment