Translate
Tuesday, June 25, 2019
Sunday, June 16, 2019
কোরআনের বাংলা অনুবাদ ভুলের কারণ এবং এর সমাধান:
কোরআনের বাংলা অনুবাদ ভুলের কারণ এবং এর সমাধান:
মনে করেন আপনি একটি বই অনুবাদ করে চান।
আপনার সামনে দুই জন ব্যক্তি আছে। দুই জন ব্যক্তি এই দুই ভাষার উপর সমান দক্ষতা আছে। তাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি এই বইটি সম্পূর্ণ মুখস্থ করছে।
আর অন্য ব্যক্তিটি এই বইটি মুখস্থ করে নাই।
আপনি এই দুই ব্যক্তিকে, এই বইটি অনুবাদ করতে দিয়ে বললেন এই বইয়ে যে কথা বলা হয়েছে তা একটি কথা সাথে অন্য একটি কথার অমিল হবে না। আপনার কি মনে হয় কোন ব্যক্তি অনুবাদ সবচেয়ে ভালো হবে ?
হ্যাঁ আপনি ঠিক ধরেছেন যে ব্যক্তি এই বইটি সম্পূর্ণ মুখস্থ তার অনুবাদ সবচেয়ে ভালো হবে। কারণ তারা চোখের সামনে এই বইটি সম্পূর্ণ কথা ছবির মতো ফুটে উঠবে। সে বইটির একটি কথার সাথে আরেকটি কথা মিল রেখে অনুবাদ করবে।
আর যে ব্যক্তির এই বইটি মুখস্থ নাই সে ব্যক্তি একটি বাক্যের অনুবাদ করে তাকে সম্পূর্ণ বইটি প্রতি বাক্যের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে যে এই বাক্যটি কি কোন অন্য শব্দ সাথে অমিল আছে কি না?
ঠিক একইভাবে ভাবে আল কোরআন অনুবাদের বেলায় হয়ে থাকে।
আপনি কি জানেন আল কোরআনের বাংলা অনুবাদ হয়েছে এমন অনেকে বইয়ে একটি আয়াতের অর্থ সাথে অন্য আয়াতে মিল রেখে অনুবাদ করা হয় নাই।
সূরা আল জুমার আয়াত:২৩
আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু।
২৩.” আল্লাহ তায়ালা সর্বোকৃষ্ট বাণী নাযিল করেছেন, তা এমন (উৎকৃষ্ট) কেতাব যার প্রতিটি বাণী পরস্পরের সাথে সামঞ্জস্যশীল, অভিন্ন (যেখানে আল্লাহর ওয়াদাগুলো বার বার পেশ করা হয়েছে), যারা তাদের মালিককে ভয় করে, এ (কেতাব শোনার) ফলে তাদের চামড়া (ও শরীর)কেঁপে ওঠে, অতপর তাদের দেহ ও মন বিগলিত হয়ে আল্লাহ তায়ালার স্মরণে ঝুঁকে পড়ে; এ (কেতাব) হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার হেদায়াত, এর দ্বারা তিনি যাকে চান তাকে সঠিক পথ দেখান; আল্লাহ তায়ালা যাকে গোমরাহ করেন তার আসলেই কোন পথপ্রদর্শক নেই।”
বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের এই বিষয়ে সাথে একমত। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের চাচ্ছে। এই ভুল গুলো সংশোধন করতে। কিন্তু বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী কোন লেখকের অনুবাদের বই লেখক ছাড়া অন্য কেউ সংশোধন করতে পারবে না।
তাহলে আইন অনুযায়ী সমাধান হলো বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের, ভুল অনুবাদ হয়েছে এমন কোরআনের একটি তালিকা করবে। এবং এই তালিকায় বই গুলো কেন বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হবে না। এই বলে বাংলাদেশ সংবাদ সম্মেলন করে এই অনুবাদ লেখকদের জানাবে।
অনুবাদ লেখক দের বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের আসার জন্য এবং তাদের পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন জন্য এক বা ততোধিক দিন ধার্য করবে । একইসাথে বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের একটি কোরআন গবেষণা কমিটি গঠন করবে। এই কমিটি সদস্যদের যোগ্যতা হবে,
১। তারা সকলেই কোরআনের হাফেজ হতে হবে। এবং
২। আরবি ভাষায় এবং বাংলা ভাষার উপর সমান দক্ষতা থাকতে হবে। ( সুশিক্ষিত হতে হবে) এবং
৩। কোরআনের প্রেমিক হতে হবে।
কোরআন গবেষণা কমিটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোন কোরআন শরীফ অনুবাদের কোন ভুল পেলে। সেই অনুবাদের ভুল গুলো ধর্মীয় মন্ত্রণালয় মাধ্যমে সরকারের কাছে পাঠানো।
সরকার মানে, ধর্মীয় মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপনে জারি মাধ্যমে
কোরআন গবেষণা কমিটির তালিকা অনুযায়ী সকল কোরআন বাংলা অনুবাদ কে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করবে।
এবং মানুষকে এই অনুবাদকের অনুবাদ করা কোরআন শরীফ কিনতে নিষেধ করবে।
“সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।”
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
Saturday, June 15, 2019
আল্লাহ বাণী ধারণকারী ধর্মীয় কিতাব বনাম মানুষের তেরি ধর্মীয় কিতাব।
আল্লাহ বাণী ধারণকারী ধর্মীয় কিতাব বনাম মানুষের তেরি ধর্মীয় কিতাব:
সূরা বাকারার ২ নং সূরা আয়াত ৭৯
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর তায়ালার নামে,
৭৯. "সে সব লোকের জন্যে ধ্বংস (অনিবার্য), যারা হাত
দিয়ে কিতাব লেখে নেয়, তারপর (দুনিয়ার সামনে) বলে,
এগুলো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে (অবতীর্ণ
শরীয়তের বিধান), তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন তা দিয়ে
(দুনিয়ার) কিছু (স্বার্থ) তারা কিনে নিতে পারে; অতপর
তাদের হাত যা কিছু রচনা করেছে তার জন্যে তাদের
ধ্বংস ও দুর্ভোগ, যা কিছু তারা উপার্জন করেছে তার
জন্যেও তাদের দুর্ভোগ।"
মনে করেন,
আপনি অচেনা দুইটা রাস্তার মাঝখানে দাড়িয়ে আছে, এই দুইটি রাস্তায় শেষ সীমানায় কি আছে তা আপনি জানেন না।
আপনার সামনে এই দুইটি রাস্তার মানচিত্র (Road map) আছে।
এই দুইটি রাস্তার মানচিত্র মধ্যে একটি তৈরি করছে এমন একজন ব্যক্তি যার চরিত্র এবং সততা সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা নাই। যার চরিত্র ভালো হতে পারে আবার খারাপ হতে পারে।
আর দ্বিতীয় রাস্তায় মানচিত্র যে তৈরি করেছে তার সম্পর্কে আপনি ছোট বেলা থেকেই জেনে এসেছেন যে, তিনি কখনো মিথ্যা কথা বলেন না। এই কথা উপর এই পৃথিবীতে, সকল ভালো মানুষ একমত।
এখন আপনি কোন ব্যক্তির মানচিত্রের উপর বিশ্বাস করবেন অচেনা রাস্তায় চলার আগে?
আপনি যদি বুদ্ধিমান ব্যক্তি হন, তখন সত্যবাদী ব্যক্তি যার সম্পর্কে এই পৃথিবীতে সকল ভালো মানুষ সাক্ষ্য দিচ্ছে যে তার মতো সত্যবাদী এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই।
আল্লাহ তৈরির রাস্তায় মানচিত্রে আপনার চলা উচিত।
১। রাস্তায় শেষ সীমানায় হলো, আপনার মৃত্যুর পরের জীবন এবং আপনার এই পৃথিবীর জীবন। আর
২। রাস্তায় দুটি মানচিত্র মধ্যে
একটি হলো মানুষের তেরি সকল ধর্মীয় কিতাব।
এবং দ্বিতীয় হলো আল্লাহর বাণী সংরক্ষণকারী কিতাব। যেমন: আল কোরআন।
এখন বাকিটা আপনারা উপর, আপনি কোন মানচিত্র আগে সম্পূর্ণ পড়বেন ?
মানুষের তেরি মানচিত্র না আল্লাহ তৈরি মানচিত্র।
এই পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা মুখে বলে আমরা আল্লাহর তৈরি মানচিত্র উপর যাব। কিন্তু সেই সব মানুষ মানচিত্র দেখার সময় সবার আগে মানুষের তৈরি মানচিত্র সবার আগে দেখে থাকে। তাদের মুখের কথায় সাথে বাস্তবের কাজের কোন মিল নাই।
সবার আগে কোরআন শরীফ সম্পূর্ণ শুনুন নিজের মাতৃভাষায়।
সূরা আর-রাদ ১৩ নং সূরা আল কোরআন আয়াত ৩৭,
৩৭. (হে নবী,) আমি এভাবেই এ বিধান (তোমার ওপর) আরবী ভাষায় নাযিল করেছি (যেন তুমি সহজেই বুঝতে পারো); তোমার কাছে (আল্লাহর পক্ষ থেকে যে জ্ঞান এসেছে তা সত্ত্বেও যদি তুমি তাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহর সামনে তোমার কোনোই সাহায্যকারী থাকবে না- না থাকবে (তোমাকে) বাঁচাবার মতো কেউ!
সূরা ইব্রাহীম ১৪নং সূরা আল কোরআনের আয়াত ৪
৪. আমি কোনো নবীই এমন পাঠাইনি, যে (নবী) তার জাতির (মাতৃ)-ভাষায় (আমার বাণী তাদের কাছে পৌছায়নি), যাতে করে সে তাদের কাছে (আমার আয়াত) পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলতে পারে; অতপর আল্লাহ তায়ালা যাকে চান তাকে গোমরাহ করেন, আবার যাকে তিনি চান তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন; তিনি মহাপরাক্রমশালী ও মহাকুশলী।
"সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস"
বিস্তারিত জানতে আল কোরআন নিজের মাতৃভাষায় শুনুন।
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
Location:bangladesh
Bangladesh
Jubair Mahmud is a Lawyer, writer, Researcher, Bodybuilder, YouTuber
Friday, June 7, 2019
আল্লাহ তাআলা কাছ থেকে প্রেরিত সকল কিতাবের কোন প্রকার পরিবর্তন হয় নাই।
আল্লাহ তাআলা কাছ থেকে প্রেরিত সকল কিতাবের কোন প্রকার পরিবর্তন হয় নাই:
সূরা আল মায়েদা ৫নং সূরা আল কোরআন আয়াত ৪৮
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
৪৮. আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী।
সূরা আল ইমরান ৩নং সূরা আয়াত ৩:
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
৩. তিনি সত্য (দ্বীন) সহকারে তোমার ওপর (এই)
কেতাব নাযিল করেছেন, যা তোমার আগে নাযিল করা
যাবতীয় কেতাবের সত্যতা স্বীকার করে। তিনি তাওরাত ও ইনজীলও নাযিল করেছেন;
একজন মানুষ একটি কাজগকে কখন সত্যায়িত করে?
সত্যায়িত কপি বলতে কি বুঝায়?
আপনার দাখিলকৃত ডকুমেন্ট সত্যি কিনা অথবা আসল ডকুমেন্টের অনুলিপি কিনা - সেটা একজন সাইন করে সাক্ষ্য দেবেন। সেই ব্যক্তিটি হবেন এমন কেউ যার সাক্ষ্য বিশ্বাস করার যুক্তিযুক্ত কারণ আছে।
আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে প্রেরিত আগের সব কিতাবকে সত্যায়িত করেছে কুরআনের। যেমন: ইঞ্জিল কিতাব , তাওরাত কিতাব ইত্যাদি এর মানে আগের কিতাবের কোন ভুল নাই। এবং কোন পরিবর্তন হয় না।
কারণ আপনি কোন এস এস সি সার্টিফিকেট নকল কপি সত্যায়িত করা সময় দেখবেন তা আসল কপির সাথে হুবহু মিল আছে কি যদি আসল এস এস সি সার্টিফিকেট সাথে অল্প কিছু অংশ মিল না থাকে তখন কি আপনি আসল এস এস সি সার্টিফিকেট নকল কাগজ কে সত্যায়িত করবেন?
উত্তর হলো না এর কারণ হলো আপনি একজন সৎ মানুষ। আল্লাহ তাআলা হলেন' সর্বোজ্ঞানী। আল্লাহ তায়ালা থেকে কে বেশি সত্যকথা বলতে পারে?
আল্লাহ তাআলা কুরআনে আল্লাহ তাআলা থেকে প্রেরিত সকল কিতাবকে সত্যায়িত করছেন।
এর মানে হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার থেকে প্রেরিত সকল কিতাবকে কোন প্রকারের পরিবর্তন হয় নাই।
কিন্তু পৃথিবীতে এক প্রকার মানুষ আছে যারা বলে কুরআন শরীফ ছাড়া আল্লাহ তাআলার থেকে প্রেরিত সকল কিতাব পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।
এখন আপনি কার কথা বিশ্বাস করবেন আল্লাহ কথা না এই ব্যক্তি কথা যে কুরআনের কথা বিপরীত কথা বলছে।
আসল কথা হলো আল্লাহর তায়ালার তার পবিত্র কিতাব কুরআন শরীফ বলেছেন, আগে কিতাবের মানুষেরা তাদের কিতাবের কিছু অংশ সকল মানুষের সামনে প্রকাশ করে আর বেশী ভাগ অংশ গোপন করে। কারণ তারা তাদের কিতাবের সম্পূর্ণ অংশ প্রকাশ করলে তারা তাদের মনের ইচ্ছা মতো কিছু বলতে পারবে না।
সূরা আল মায়েদা ৫নং সূরা আল কোরআন আয়াত ১৫
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি,
১৫. হে আহলে কেতাবরা, তোমাদের কাছে আমার (পক্ষ
থেকে) রসূল এসেছে, (আগের) কেতাবের যা কিছু
তোমরা এতোদিন গোপন করে রেখেছিলে তার বহু কিছুই
সে তোমাদের বলে দিচ্ছে, আবার অনেক কিছু সে এড়িয়ে যাচ্ছে; তোমাদের কাছে (এখন) তোমাদের আল্লাহর
পক্ষ থেকে আলোকবর্তিকা এবং সুস্পষ্ট কেতাবও এসে হাযির হয়েছে।
সূরা আল বাকারার ২ নং সূরা আয়াত ৭৭ থেকে ৮০
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর তায়ালার নামে,
৭৭. এরা কি জানে না, (আল্লাহর কেতাবের) যা কিছু
এরা গোপন করে (আবার নিজেদের স্বার্থে তারা) যা
প্রকাশ করে, তা (সবই) আল্লাহ তায়ালা জানেন।
৭৮. এদের আরেকটি দল, যারা (একান্ত) অশিক্ষিত, (নিরক্ষর), এরা (আল্লাহর) কেতাব সম্পর্কে কিছুই জানে, (আল্লাহর কেতাব যেন এদের কাছে) একটি নিছক
ধ্যান ধারণা (সর্ব পুস্তক) মাত্র, এরা শুধু অমূলক
ধারণাই করে থাকে।
৭৯. সে সব লোকের জন্যে ধ্বংস (অনিবার্য), যারা হাত
দিয়ে কিতাব লেখে নেয়, তারপর (দুনিয়ার সামনে) বলে,
এগুলো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে (অবতীর্ণ
শরীয়তের বিধান), তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন তা দিয়ে
(দুনিয়ার) কিছু (স্বার্থ) তারা কিনে নিতে পারে; অতপর
তাদের হাত যা কিছু রচনা করেছে তার জন্যে তাদের
ধ্বংস ও দুর্ভোগ, যা কিছু তারা উপার্জন করেছে তার
জন্যেও তাদের দুর্ভোগ।
৮০. এ সব (নির্বোধ লোকেরা বলে, জাহান্নামের আগুন
কখনোই আমাদের স্পর্শ করবে না, একান্ত (যদি করেও-) তা
হবে নির্দিষ্ট কয়েকটা দিনের (জন্যে) মাত্র, (হে নবী,)
তুমি তাদের বলল, তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে
(এমন) কোন প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছো? আল্লাহ
তায়ালা তো কখনো তার প্রতিশ্রুতি ভংগ করেন না, না
তোমরা জেনে বুঝেই আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে এমন সব
[ কথা বলে বেড়াচ্ছো যা তোমরা নিজেরাই জানো না।
"সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।"
সূরা আল মায়েদা ৫নং সূরা আল কোরআন আয়াত ১৫
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি,
১৫. হে আহলে কেতাবরা, তোমাদের কাছে আমার (পক্ষ
থেকে) রসূল এসেছে, (আগের) কেতাবের যা কিছু
তোমরা এতোদিন গোপন করে রেখেছিলে তার বহু কিছুই
সে তোমাদের বলে দিচ্ছে, আবার অনেক কিছু সে এড়িয়ে যাচ্ছে; তোমাদের কাছে (এখন) তোমাদের আল্লাহর
পক্ষ থেকে আলোকবর্তিকা এবং সুস্পষ্ট কেতাবও এসে হাযির হয়েছে।
সূরা আল বাকারার ২ নং সূরা আয়াত ৭৭ থেকে ৮০
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর তায়ালার নামে,
৭৭. এরা কি জানে না, (আল্লাহর কেতাবের) যা কিছু
এরা গোপন করে (আবার নিজেদের স্বার্থে তারা) যা
প্রকাশ করে, তা (সবই) আল্লাহ তায়ালা জানেন।
৭৮. এদের আরেকটি দল, যারা (একান্ত) অশিক্ষিত, (নিরক্ষর), এরা (আল্লাহর) কেতাব সম্পর্কে কিছুই জানে, (আল্লাহর কেতাব যেন এদের কাছে) একটি নিছক
ধ্যান ধারণা (সর্ব পুস্তক) মাত্র, এরা শুধু অমূলক
ধারণাই করে থাকে।
৭৯. সে সব লোকের জন্যে ধ্বংস (অনিবার্য), যারা হাত
দিয়ে কিতাব লেখে নেয়, তারপর (দুনিয়ার সামনে) বলে,
এগুলো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে (অবতীর্ণ
শরীয়তের বিধান), তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন তা দিয়ে
(দুনিয়ার) কিছু (স্বার্থ) তারা কিনে নিতে পারে; অতপর
তাদের হাত যা কিছু রচনা করেছে তার জন্যে তাদের
ধ্বংস ও দুর্ভোগ, যা কিছু তারা উপার্জন করেছে তার
জন্যেও তাদের দুর্ভোগ।
৮০. এ সব (নির্বোধ লোকেরা বলে, জাহান্নামের আগুন
কখনোই আমাদের স্পর্শ করবে না, একান্ত (যদি করেও-) তা
হবে নির্দিষ্ট কয়েকটা দিনের (জন্যে) মাত্র, (হে নবী,)
তুমি তাদের বলল, তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে
(এমন) কোন প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছো? আল্লাহ
তায়ালা তো কখনো তার প্রতিশ্রুতি ভংগ করেন না, না
তোমরা জেনে বুঝেই আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে এমন সব
[ কথা বলে বেড়াচ্ছো যা তোমরা নিজেরাই জানো না।
"সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।"
বিস্তারিত জানতে আল্লাহ তাআলার কুরআন সম্পূর্ণ শুনুন নিজের মাতৃভাষায় ভাষায়।
কুরআন শরীফ মাতৃভাষায় শুনতে এখানে ক্লিক করুন।
কুরআন শরীফ মাতৃভাষায় শুনতে এখানে ক্লিক করুন।
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
Jubair Mahmud is a Lawyer, writer, Researcher, Bodybuilder, YouTuber
Tuesday, June 4, 2019
সার্বভৌমত্ব মালিক জনগণ থেকে এক সৃষ্টিকর্তা কাছে হস্তান্তর। সার্বভৌম মালিক এক সৃষ্টিকর্তা:
আমি নিচে যা বলবো তা আইনের সৃষ্টিতে বৈধ কারণ একটি দেশের সকল জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে এবং দরখাস্তে মধ্যে তাদের এলাকায় সংসদীয় প্রতিনিধি কাছে কিছু চাইতেই পারে। একই সাথে বাংলাদেশ সংবিধান হলো এই দেশের সকল জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ সংকলিত একটি বই। যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হলো সংবিধান। যেহেতু বাংলাদেশের একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সেহেতু বাংলাদেশের সংবিধান হলো এই দেশের মেরুদন্ড স্বরূপ।
বাংলাদেশের সংবিধান এই দেশের সকল জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ সংকলিত একটি বই। আর এই সংবিধান অনুসারে একজন দক্ষ নেতা এই দেশকে পরিচালনা করে থাকেন।
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্য বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করতে পারেন।
যেহেতু বাংলাদেশের সংবিধানে হলো এই দেশের সকল জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশক সংকলিত একটি বই। সেহেতু এই দেশের জনগণের পক্ষে সম্মানিত সংসদ সদস্যরা এই সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে।
“বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এই দেশের সার্বভৌম মালিক জনগণ।"
এখন যদি এই দেশের জনগণ তার নিজ নিজ সংসদের প্রতিনিধির কাছে দরখাস্ত করেন এবং এই দরখাস্তে, সকল সংসদ সদস্যদের এলাকায় সকল সম্মানিত ভোটারগণের সাক্ষর থাকে। তাহলে প্রায় সকল সম্মানিত সংসদ সদস্য এই দরখাস্তের আবেদন সংসদের তুলবেন।
এবং সকল সম্মানিত সংসদ সদস্য এই সংশোধনের পক্ষে ভোট দিবেন কারন বাংলাদেশ সকল সংসদ সদস্য তাদের নিজ নিজ এলাকায় সকল জনগণকে তাঁর নিজের পরিবারের সদস্য মনে করেন এবং সকল জনগণকে ভালোবাসে। এই ভালোবাসা প্রতি ফল হিসাবে তারা জনগণের ইচ্ছা, মহান সংসদে রাখবে এবং বাংলাদেশ সংবিধানের সংশোধন করবেন কারণ সকল সম্মানিত সংসদ সদস্য তাদের এলাকায় জনগণের প্রতিনিধি।
ধরে বাংলাদেশের সকল জনগণ তার নিজ নিজ সংসদ প্রতিনিধি অনুরোধ করলেন যে, যেহেতু জনগণ সার্বভৌম মালিক সেহেতু জনগণ চাচ্ছে, সার্বভৌম মালিক এক সৃষ্টিকর্তাকে দিতে কারণ প্রকৃত পক্ষে সার্বভৌম মালিক এক সৃষ্টিকর্তা কিন্তু জনগণ এক সৃষ্টিকর্তা কর্তার পক্ষে এই সার্বভৌম মালিকানার প্রতিনিধিত্ব করবে।
অর্থাৎ জনগণ চায় বাংলাদেশ সংবিধানের পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ থাকবে, এই দেশে সার্বভৌম মালিক এক সৃষ্টিকর্তা কিন্তু বাংলাদেশের সকল জনগণ এক সৃষ্টিকর্তা প্রতিনিধি হিসাবে, ঐ সার্বভৌম মালিকানার উপভোগ করবে।
সহজ কথায় বাংলাদেশ সার্বভৌমত্বের মালিক হবে এক সৃষ্টিকর্তা এবং বাংলাদেশ সকল জনগণ এক সৃষ্টিকর্তা পক্ষে এই দেশে সার্বভৌমত্ব উপভোগ করবে কারণ মানুষ হলো এক সৃষ্টিকর্তা প্রতিনিধি।
"এঁকে বলে প্রাপ্যকে তার প্রাপ্যতা দিয়ে নিজের প্রাপ্যতা বজায় রাখা।"
সকল মুসলমান এই দরখাস্তে সাক্ষর করবে কারণ আল্লাহ তাআলার কুরআনের বলেছেন আল্লাহ সার্বভৌমত্বের মালিক। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ কুরআন পড়েন।
একই সাথে খৃষ্টান ধর্মের মানুষেরা সাক্ষর করবে কারণ পবিত্র ইঞ্জিল কিতাব অনুসারে সার্বভৌমত্বের মালিক এক সৃষ্টিকর্তা। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ ইঞ্জিল কিতাব পড়েন।
একই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা সাক্ষ্য করবে কারণ পবিত্র বেদ গ্রন্থ পরিস্কার ভাবে বলা আসে সবোর্চ্চ ঈশ্বর হলো একজন। পরশ ঈশ্বর, পরম আত্মা "Sadasiva" নিরাকার।
বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ বেদ পড়েন।
যেহেতু বাংলাদেশ সংবিধানের এই দেশে প্রতিটি জনগণের ইচ্ছাকে সংরক্ষণ করে। এবং সম্মানিত সংসদ সদস্য এই সংবিধান সংশোধন করার ক্ষমতাবান।
যেহেতু সম্মানিত সংসদ সদস্যরা সর্বদা জনগণের ইচ্ছাকে মহান সংসদে রাখেন। সেহেতু আমি আশা করি বাংলাদেশের সকল সংসদ সদস্য, জনগণের ইচ্ছার পক্ষে ভোট দিয়ে সংবিধান একটি অতি মূল্যবান অনুচ্ছেদ সংশোধন করবে।
আর বাংলাদেশের সকল বিচারপতি গণের, জনগণের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। বিচারক গণ সর্বদা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হচ্ছে কি না তার পরীক্ষক। বিচার গণ সর্বদা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকে তাদের রায়ের মাধ্যমে। জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশক সংবিধান হয়েছে কি না তার পরীক্ষক। কারন সংবিধানে হলো এই দেশের সকল জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশক সংকলিত একটি বই।
সর্বোপরি একজন ন্যায় বিচারক সর্বদা ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে। তারা ন্যায় বিচারের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন অর্জন করে থাকে।
আমি জানি বিচারকগণ জনগণের সমর্থন হারাতে চাবে না। কারন বিচারকের সবোর্চ্চ শক্তি হলো জনগণের সমর্থন এবং জনগণের থেকে প্রাপ্ত শক্তি যা সংবিধান মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশ বিচারকদের দিয়েছে।
"একজন বিচারকের মেধার বহিঃপ্রকাশ শুধু তার রায়ের মাধ্যমে হয়। কিন্তু
একজন আইনজীবীর মেধার বহিঃপ্রকাশ, তার মামলায় প্রতিটি স্তরে হয়।"
"সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।"
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
Location:bangladesh
Bangladesh
Jubair Mahmud is a Lawyer, writer, Researcher, Bodybuilder, YouTuber
Subscribe to:
Posts (Atom)
জমি জমা
= ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...
-
গীতার সহজ সরল বাংলা অনুবাদ: পরিচিত ভগবদ্গীতা (ভগবানের গান) বা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বা গীতা একটি ৭০০ শ্লোকের ধর্ম...
-
Assignment Submission Give your project a descriptive title Submission Reflect on your food environment, behaviors/ habits, and your goals...