কিছু মূর্থ লোক অচিরেই বলতে শুরু করবে (এ কি
হলো), এতোদিন যে কেবলার ওপর তারা প্রতিষ্ঠিত
ছিলো, (আজ) কিসে তাদের সে দিক থেকে ফিরিয়ে
দিলো। (হে নবী) তুমি (তাদের) বলে দাও, পূর্ব পশ্চিম
(সবই) আল্লাহ তায়ালার জন্যে; আল্লাহ তায়ালা যাকে
ইচ্ছা তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
১৪৩. এভাবেই আমি তোমাদের এক মধ্যপন্থী মানব দলে
পরিণত করেছি, যেন তোমরা দুনিয়ার অন্যান্য মানুষদের
ওপর (হেদায়াতের) সাক্ষী হয়ে থাকতে পারো (এবং
একইভাবে) রসূলও তোমাদের ওপর সাক্ষী হয়ে থাকতে
পারে, যে কেবলার ওপর তোমরা (এতোদিন) প্রতিষ্ঠিত
ছিলে, আমি তা এ উদেশেই নির্ধারণ করেছিলাম, যাতে
করে আমি এ কথাটা জেনে নিতে পারি যে, তোমাদের
মধ্যে কে রসূলের অনুসরণ করে আর কে তার কথা থেকে
ফিরে যায়, তাদের ওপর এটা ছিলো কঠিন (পরীক্ষা,
অবশ্য আল্লাহ তায়ালা যাদের হেদায়াত দান করেছেন
তাদের কথা আলাদা, আল্লাহ তায়ালা কখনো তোমাদের
ঈমান বিনষ্ট করবেন না; অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা
মানুষদের সাথে বড়ো দয়ালু ও একান্ত মেহেরবান ।
১৪৪. (কেবলা পরিবর্তনের জন্যে) তুমি আকাশের দিকে
তাকিয়ে (যেভাবে আমার আদেশের অপেক্ষায়) থাকতে,
তা আমি অবশ্যই দেখতে পেয়েছি, তাই আমি তোমার
পছন্দমতো (দিককেই) কেবলা বানিয়ে দিচ্ছি, (এখন
থেকে) তোমরা এই মর্যাদাসম্পন্ন মাসজিদের দিকে ফিরে
(নামায আদায় করতে) থাকবে; তোমরা যেখানেই থাকো।
না কেন তোমাদের মুখমণ্ডল সে দিকেই ফিরিয়ে দেবে:
এসব লোক- যাদের কাছে আগেই কেতাব নাযিল করা
হয়েছিলো, তারা ভালো করেই জানে; এ ব্যাপারটা
তোমার মালিকের পক্ষ থেকে আসা সম্পূর্ণ একটি সত্য।
(ঘটনা, এ সত্ত্বেও) তারা (এর সাথে) যে আচরণ করে
যাচ্ছে আল্লাহ তায়ালা তা থেকে মোটেই অনবহিত নন।
১৪৫. যাদের ইতিপূর্বে কেতাব দেয়া হয়েছে তাদের
সামনে যদি তুমি (দুনিয়ার) সব কয়টি প্রমাণও এনে
হাযির করো, (তারপরও) এরা তোমার কেবলার অনুসরণ
করবে না, আর (এর পর) তুমিও তাদের কেবলার
অনুসরণকারী হতে পারো না, (তাছাড়া) এদের এক দলও
তো আরেক দলের কেবলার অনুসরণ করে না; আমার
পক্ষ থেকে এ জ্ঞান তোমাদের কাছে পৌছার পর তুমি
যদি তাদের ইচ্ছা আকাংখার অনুসরণ করো, তাহলে।
অবশ্যই তুমি যালেমদের দলে শামিল হয়ে যাবে।
১৪৬, যাদের আমি কেতাব দান করেছি এরা তাকে এতো
ভালো করে চেনে, যেমনি এরা চেনে আপন ছেলেদের
এদের একদল সত্য গোপন করার চেষ্টা করছে, অথচ
এরা তো সব কিছুই জানে।
২৩
No comments:
Post a Comment