শয়তানের শয়তানি:
প্রতিটি মানুষেরই শত্রু রয়েছে। সবচাইতে বড় শত্রু হলো শয়তান। আমরা মানুষ শত্রুকে বেশি ভয় পাই। কিন্তু আমাদেরতো সবচেয়ে বেশি ভয় পাওয়া উচিত ছিল শয়তান শত্রু থেকে। কারণ শয়তান হলো জ্বিন জাতি। মানুষ শয়তানের প্রকৃত রূপ দেখতে পায় না। কিন্তু শয়তান মানুষকে দেখতে পায়।
ধরেন আপনার জীবন একটি শত্রু আছে। যে আপনার ক্ষতি করা জন্য সর্বদা চেষ্টা করে থাকে। আপনি যদি কানে আঙ্গুর ঢুকিয়ে, চোখ বন্ধ করে এবং ঘরে দরজা খুলে বসে থাকেন। তাহলে আপনার শত্রু আপনাকে সহজে ক্ষতি করতে পারবে। আপনি যদি সজাগ থাকেন তাহলে আপনার চির শত্রু আপনাকে সহজে ক্ষতি করতে পারবে না।
আপনি কি জানেন মানুষ সবচেয়ে বড় শত্রু কে? মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো শয়তান। আর সবচেয়ে খারাপ দিকটি হলো আমরা আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রুট কে তার প্রকৃত রূপে দেখতে পাই না। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু আমাদের দেখতে পায়। আপনার বড় শত্রু হলো শয়তান। আর শয়তান হলো জ্বিন। আর জ্বিনকে আল্লাহ তাআলা আগুন দিয়ে তৈরি করছে। আর জ্বিন জাতির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো জ্বিন যে কোন রূপ ধারণ করতে পারে। কিছু শ্রেণীর মানুষের শরীরের ভিতর অনায়াসে প্রবেশ করে।
কিছু শ্রেণীর মানুষের মনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো শয়তান কোন প্রকার শ্রেণীর মানুষের শরীরের ভিতর ঢুকতে পারে এবং তার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
আল্লাহ তায়ালা এই প্রশ্নের উত্তর কুরআনের মাধ্যমে আমাদের কে জানিয়ে দিয়েছেন।
সূরা আশ শোয়ারা ২৬ নং সূরা আয়াত ২২১ এবং ২২২:
২২১. (হে নবী,) আমি কি তোমাকে বলে দেবো শয়তান কার উপর (বেশি) সওয়ার হয়?
২২২. (শয়তান সওয়ার হয়) প্রতিটি ঘোর মিথ্যাবাদী ও পাপী মানুষের উপর।
এখন প্রশ্ন হলো শয়তান কোন প্রকার শ্রেণীর মানুষের শরীরের ভিতর ঢুকতে পারে না এবং তার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
আল্লাহ তায়ালা এই প্রশ্নের উত্তর কুরআনের মাধ্যমে আমাদের কে জানিয়ে দিয়েছেন।
'যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে তাহলে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।' (সূরা হা-মীম সেজদা আয়াত-৩৬)।
শয়তান থেকে বাঁচার উপায়:
নামাজের সময়, বই পড়ার সময়, প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০
“আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম”
অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
প্রতিটি দিন প্রতিনিহিত শয়তানের শয়তানি থেকে আল্লাহ তাআলা দয়া বাঁচা সম্ভব।
“সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলা জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস”
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
No comments:
Post a Comment