Translate

Sunday, December 1, 2019

চিন্তায় চিন্তিত মন কি?

চিন্তায় চিন্তিত মন কি?

"চিন্তাযুক্ত মনে শয়তানের বাস করে, আর চিন্তাহীন মনে খোদার বাস।"

চিন্তাযুক্ত মন কি? 
চিন্তা যুক্ত মন হলো মনে মনে আমরা যা চিন্তা করি বা মনে মনে চিন্তার প্রকাশ যা কথার মাধ্যমে হয়, তাহলো চিন্তাযুক্ত মন।



চিন্তাহীন মন কিভাবে রাখা যায়? 
উত্তর: চর্চা  ও অনুশীলনের মাধ্যমে চিন্তাহীন মনের সৃষ্টি হয় এবং কথা কম বলার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত  সৃষ্টি হয়  চিন্তাহীন মনের। চিন্তাহীন মন  রাখার অনুশীলন করতে হবে নামাজের মাধ্যমে , ধ্যানের মাধ্যমে এবং কথা বন্ধ করার মাধ্যমে ।

দুই বা তিন দিন  কথা না বলার মাধ্যমে যে ব্যক্তি নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে ব্যক্তি সে কোনকিছুকে নিয়ন্ত্রনের রাখতে  পারে। 
উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনি একটি গাড়ি কিনেছেন গাড়িটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার আছে এর ফলে গাড়িটি নিজে নিজেই  চালাতে পারে।

আপনি শুধু গাড়িতে থাকা  ম্যাপে   ক্লিক করবেন। এর ফলে আপনি যেখানে যেতে চাইবেন আপনার গাড়িটি সেখানে নিজে  চলতে থাকবে।  


আপনি আপনার অত্যাধুনিক গাড়িতে আরেকটি ভাবে চালাতে পারেন। যা বর্তমানে ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। গাড়িটি কে আপনি  নিজে  চালাবে। গাড়ি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আপনি আপনার নিজের কাছে রাখবে এর ফলে কোন বিপদ হলে তা শুধু আপনার ভুলের জন্য হবে।

কিন্তু কম্পিউটার মাধ্যমে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ করলে তখন আর আপনার কাছে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তখন গাড়ি চালানোর নিয়ন্ত্রণ গাড়িতে থাকা কম্পিউটারের কাছে থাকে। আর ওই গাড়িটির কম্পিউটার যদি কম্পিউটারের হ্যাকার হ্যাক করতে পারে। এর ফলে হ্যাকাররা ইচ্ছামত আপনার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ করবে। হ্যাকাররা ইচ্ছা করলে আপনার গাড়ি দুর্ঘটনার মাধ্যমে আপনার মৃত্যু ঘটাতে পারে। 


ঠিক একইভাবে আপনার মন দুই ভাবে চলে একটি আপনার মনকে সজাগ রেখে চলা আর দ্বিতীয়টি হলো আপনি আপনার মনকে অটোমুডে রাখা। আপনি যদি আপনার মনকে অটোমুডে রাখেন। এর ফলে মাঝে মাঝে এমন কাজ হয় যার ফলে আপনি বিপদে পড়তে পারেন এই পৃথিবীতে এমন মানুষ আছে যারা আপনাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। 

যদি আপনি আপনার মনকে অটোমুডে নিরাপদ রাখতে চান। এবং মনকে নিয়ন্ত্রণ কারি মানুষ থেকে আপনার মনকে নিরাপদে রাখতে চাইলে।  আপনি আপনার মনকে   সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারেন এর ফলে সৃষ্টি কর্তা আপনার মনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখবে এর ফলে একসৃষ্টিকর্তা আপনার মন এমনভাবে নিয়ন্ত্রিত করবে যার ফলে আপনি অনেক অবিশ্বাস্য কাজ করে ফেলবে। আর মূর্খ মানুষেরা আপনার প্রশংসা করবে প্রকৃতপক্ষে আপনি আপনার মনকে অটোমোটেড সৃষ্টিকর্তার কাছে দিয়েছে আর ওই সৃষ্টিকর্তা আপনার মনের মধ্যে তার কথা বলে আর আপনি শুধু আপনার মনের কথা মুখে আনেন।  বা ঐ মনে কথা অনুযায়ী কোন কাজ করেন। এইসব কথা শুনলে মানুষেরা মূর্খের মতো আপনার প্রশংসা করে।


মানুষটি কি একবার চিন্তা করে না ওই ব্যক্তি যেমন একটি মাথা আছে আপনারা সেই মাথা আছে। আপনি যে  যে নতুন সুন্দর কথা বলেন বা নতুন কাজ করেন । 
আপনার মাথার সাথে কি অন্য মানুষের মাথার কোন পার্থক্য আছে।
মাথায়  এমন কি জিনিস আছে যা মানুষকে পৃথক করে।


আর মানুষ যখন তার মনকে অটোমুডে রাখে। আর যখন কোন খারাপ মানুষ বা শয়তান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন মানুষের না খারাপ কাজ করে। এর ফলে মানুষ জেলে থাকে। যে মানুষ তার মনকে বেশি অটোমুডে রাখে সে মানুষ সবচেয়ে বেশি এবং তাড়াতাড়ি মোটা হয়।
উদাহরণস্বরূপ
আপনি যখন আপনার মনকে অটো মোডে রেখে খাবার খাওয়া শুরু করলে এখন বলেন আপনি বেশি খাবেন না কম খাবেন খাবার যদি বেশি সুস্বাদু হয় আপনি আপনার গলা পর্যন্ত খাবার খাবে। আর আপনি যদি আপনার খাবার গলা পর্যন্ত  খেলে। আপনি মোটা হবেন না অন্য মানুষ মোটা হবে।


প্রতিটি মানুষের প্রতিটি অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। যা আমরা খাবার থেকে নিয়ে থাকি।
এছাড়া আপনি আপনার মনকে অটোমুডে রাখলে আপনার ব্রেন আপনার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ চালাতে বেশি শক্তি ব্যয় করবে না। এর ফলে আপনার  শরীর মোটা হয়ে যায়।



যারা বেশি মনকে অটো মোডে  রাখলে। তারা  এক সময় মন থেকে সম্পূর্ণ  নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। যারা মন থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে আমরা তাদেরকে পাগল বলে জানি। এবং তারা একসময় পাগলা গারদে যায়।


 মন যে কারণে অটোমুডে যায়:
 মনকে মনে মনে বলা এখন আমি কি চিন্তা করছি তার দিকে মনকে না রাখা অর্থাৎ মদ খাওয়া, জুয়া খেলা, নেশা করা, বেশি বেশি কথা বলা, বাসি খাবার, চিন্তা না করা আমি মন দিয়ে মনের মধ্যে কি চিন্তা করছি বা মনকে সর্বদা অটোমুডে রাখার চেষ্টা করলে।

মনকে নিয়ন্ত্রণের রাখার উপায়: মনযোগ দিয়ে নামাজ পড়া। কারণ নামাজের মাধ্যমে  মনকে মনের ভিতর রাখার জন্য চেষ্টা করা হয়।

মনের ভিতর কথা দিয়ে মন  বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করে। তখন মনের ভিতরে আমার মনকে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এভাবে চেষ্টা করলে কিছুদিনের মধ্যে মন নিজের মনের ভিতর থাকবে।

আবার সব সময় নিজের মনকে নিজের মনের ভিতরে রাখলে ঠিক নয়। মন কে এক সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে তা না হলে মনের বিকাশ হয় না।
ধরেন আপনার কাছে পানি আছে আপনি যদি পানিকে যদি একটি বদ্ধ জায়গায় অনেক দিন রেখে দেন। তাহলে কি হবে এ পানি কিছুদিনের মধ্যে খারাপ হয়ে যাবে। আর ওই পানির ভিতর যদি কোন খাবার থাকে তাহলে ঐ পানিটি মদ  হয়ে যাবে।

 ঠিক একইভাবে  মন পরিষ্কার হয় যখন  পানির মতো মন চলমান হয়। কিন্তু ঐ চলমান মনকে সঠিক পথ দিতে হবে।

আর এই সঠিক পথটি হলো মনকে এক সৃষ্টিকর্তার দিকে পরিচালিত করা। সঠিক পথ সৃষ্টিকর্তার দিকে মনকে পরিচালিত করা উচিত তার কাছে দিয়ে দেওয়া এর ফলে যে কেউ আপনার এই মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। আপনার মন যদি খারাপ মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তাহলে আপনি আর আপনি থাকবেন না। আপনি ঐ খারাপ মানুষের  হাতের পুতুলে পরিণত হবেন।

তাই মনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা প্রতিনিহিত করা উচিত। একটি মুক্ত সঠিক পথে পরিচালিত মন, মনের সুন্দর   বিকাশ করতে পারে।


লেখকরা মনের অটোমুডকে  ব্যবহার করে সুন্দর সুন্দর কথা লিখে। কারণে লেখকরা তাদের মনের অটো মুডোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।

অন্য দিকে অনিয়ন্ত্রিত  মনের মানুষ গুলো  মন ভিতর নানা অনিয়ন্ত্রিত চিন্তার সৃষ্টি করে। মানুষের অনিয়ন্ত্রিত মনের কারণে মানুষ তার নিজের ঘুমকে নষ্ট  করে। আর অনিয়ন্ত্রিত মনের মানুষ গুলো ঘুমানোর জন্য ঘুমের ওষুধ খায়।


"মন চলে যায় আকাশে, পাতালে, পাহাড়ে, সাগরে । মনকে নিয়ে আসো নিজেরই অন্তরে, যেন তা থাকে তোমারই নিয়ন্ত্রণে ।" [ঋগবেদঃ ১০.৫৮.২]

যে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে অন্যের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

"মন কে নিয়ন্ত্রন করা যায় প্রতিদিন ধ্যানের মাধ্যমে"

"আমি আবার লেখা পড়া শুরু করলে আমি আমার মনকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখব।"
[স্বামী বিবেকানন্দ।]



"সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।"

লেখক: যুবাইর মাহমুদ।

No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...