আল্লাহ বাণী ধারণকারী ধর্মীয় কিতাব বনাম মানুষের তেরি ধর্মীয় কিতাব:
সূরা বাকারার ২ নং সূরা আয়াত ৭৯
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর তায়ালার নামে,
৭৯. "সে সব লোকের জন্যে ধ্বংস (অনিবার্য), যারা হাত
দিয়ে কিতাব লেখে নেয়, তারপর (দুনিয়ার সামনে) বলে,
এগুলো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে (অবতীর্ণ
শরীয়তের বিধান), তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন তা দিয়ে
(দুনিয়ার) কিছু (স্বার্থ) তারা কিনে নিতে পারে; অতপর
তাদের হাত যা কিছু রচনা করেছে তার জন্যে তাদের
ধ্বংস ও দুর্ভোগ, যা কিছু তারা উপার্জন করেছে তার
জন্যেও তাদের দুর্ভোগ।"
মনে করেন,
আপনি অচেনা দুইটা রাস্তার মাঝখানে দাড়িয়ে আছে, এই দুইটি রাস্তায় শেষ সীমানায় কি আছে তা আপনি জানেন না।
আপনার সামনে এই দুইটি রাস্তার মানচিত্র (Road map) আছে।
এই দুইটি রাস্তার মানচিত্র মধ্যে একটি তৈরি করছে এমন একজন ব্যক্তি যার চরিত্র এবং সততা সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা নাই। যার চরিত্র ভালো হতে পারে আবার খারাপ হতে পারে।
আর দ্বিতীয় রাস্তায় মানচিত্র যে তৈরি করেছে তার সম্পর্কে আপনি ছোট বেলা থেকেই জেনে এসেছেন যে, তিনি কখনো মিথ্যা কথা বলেন না। এই কথা উপর এই পৃথিবীতে, সকল ভালো মানুষ একমত।
এখন আপনি কোন ব্যক্তির মানচিত্রের উপর বিশ্বাস করবেন অচেনা রাস্তায় চলার আগে?
আপনি যদি বুদ্ধিমান ব্যক্তি হন, তখন সত্যবাদী ব্যক্তি যার সম্পর্কে এই পৃথিবীতে সকল ভালো মানুষ সাক্ষ্য দিচ্ছে যে তার মতো সত্যবাদী এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই।
আল্লাহ তৈরির রাস্তায় মানচিত্রে আপনার চলা উচিত।
১। রাস্তায় শেষ সীমানায় হলো, আপনার মৃত্যুর পরের জীবন এবং আপনার এই পৃথিবীর জীবন। আর
২। রাস্তায় দুটি মানচিত্র মধ্যে
একটি হলো মানুষের তেরি সকল ধর্মীয় কিতাব।
এবং দ্বিতীয় হলো আল্লাহর বাণী সংরক্ষণকারী কিতাব। যেমন: আল কোরআন।
এখন বাকিটা আপনারা উপর, আপনি কোন মানচিত্র আগে সম্পূর্ণ পড়বেন ?
মানুষের তেরি মানচিত্র না আল্লাহ তৈরি মানচিত্র।
এই পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা মুখে বলে আমরা আল্লাহর তৈরি মানচিত্র উপর যাব। কিন্তু সেই সব মানুষ মানচিত্র দেখার সময় সবার আগে মানুষের তৈরি মানচিত্র সবার আগে দেখে থাকে। তাদের মুখের কথায় সাথে বাস্তবের কাজের কোন মিল নাই।
সবার আগে কোরআন শরীফ সম্পূর্ণ শুনুন নিজের মাতৃভাষায়।
সূরা আর-রাদ ১৩ নং সূরা আল কোরআন আয়াত ৩৭,
৩৭. (হে নবী,) আমি এভাবেই এ বিধান (তোমার ওপর) আরবী ভাষায় নাযিল করেছি (যেন তুমি সহজেই বুঝতে পারো); তোমার কাছে (আল্লাহর পক্ষ থেকে যে জ্ঞান এসেছে তা সত্ত্বেও যদি তুমি তাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহর সামনে তোমার কোনোই সাহায্যকারী থাকবে না- না থাকবে (তোমাকে) বাঁচাবার মতো কেউ!
সূরা ইব্রাহীম ১৪নং সূরা আল কোরআনের আয়াত ৪
৪. আমি কোনো নবীই এমন পাঠাইনি, যে (নবী) তার জাতির (মাতৃ)-ভাষায় (আমার বাণী তাদের কাছে পৌছায়নি), যাতে করে সে তাদের কাছে (আমার আয়াত) পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলতে পারে; অতপর আল্লাহ তায়ালা যাকে চান তাকে গোমরাহ করেন, আবার যাকে তিনি চান তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন; তিনি মহাপরাক্রমশালী ও মহাকুশলী।
"সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস"
বিস্তারিত জানতে আল কোরআন নিজের মাতৃভাষায় শুনুন।
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
No comments:
Post a Comment