আমি নিচে যা বলবো তা আইনের সৃষ্টিতে বৈধ কারণ একটি দেশের সকল জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে এবং দরখাস্তে মধ্যে তাদের এলাকায় সংসদীয় প্রতিনিধি কাছে কিছু চাইতেই পারে। একই সাথে বাংলাদেশ সংবিধান হলো এই দেশের সকল জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ সংকলিত একটি বই। যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হলো সংবিধান। যেহেতু বাংলাদেশের একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সেহেতু বাংলাদেশের সংবিধান হলো এই দেশের মেরুদন্ড স্বরূপ।
বাংলাদেশের সংবিধান এই দেশের সকল জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ সংকলিত একটি বই। আর এই সংবিধান অনুসারে একজন দক্ষ নেতা এই দেশকে পরিচালনা করে থাকেন।
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্য বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করতে পারেন।
যেহেতু বাংলাদেশের সংবিধানে হলো এই দেশের সকল জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশক সংকলিত একটি বই। সেহেতু এই দেশের জনগণের পক্ষে সম্মানিত সংসদ সদস্যরা এই সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে।
“বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এই দেশের সার্বভৌম মালিক জনগণ।"
এখন যদি এই দেশের জনগণ তার নিজ নিজ সংসদের প্রতিনিধির কাছে দরখাস্ত করেন এবং এই দরখাস্তে, সকল সংসদ সদস্যদের এলাকায় সকল সম্মানিত ভোটারগণের সাক্ষর থাকে। তাহলে প্রায় সকল সম্মানিত সংসদ সদস্য এই দরখাস্তের আবেদন সংসদের তুলবেন।
এবং সকল সম্মানিত সংসদ সদস্য এই সংশোধনের পক্ষে ভোট দিবেন কারন বাংলাদেশ সকল সংসদ সদস্য তাদের নিজ নিজ এলাকায় সকল জনগণকে তাঁর নিজের পরিবারের সদস্য মনে করেন এবং সকল জনগণকে ভালোবাসে। এই ভালোবাসা প্রতি ফল হিসাবে তারা জনগণের ইচ্ছা, মহান সংসদে রাখবে এবং বাংলাদেশ সংবিধানের সংশোধন করবেন কারণ সকল সম্মানিত সংসদ সদস্য তাদের এলাকায় জনগণের প্রতিনিধি।
ধরে বাংলাদেশের সকল জনগণ তার নিজ নিজ সংসদ প্রতিনিধি অনুরোধ করলেন যে, যেহেতু জনগণ সার্বভৌম মালিক সেহেতু জনগণ চাচ্ছে, সার্বভৌম মালিক এক সৃষ্টিকর্তাকে দিতে কারণ প্রকৃত পক্ষে সার্বভৌম মালিক এক সৃষ্টিকর্তা কিন্তু জনগণ এক সৃষ্টিকর্তা কর্তার পক্ষে এই সার্বভৌম মালিকানার প্রতিনিধিত্ব করবে।
অর্থাৎ জনগণ চায় বাংলাদেশ সংবিধানের পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ থাকবে, এই দেশে সার্বভৌম মালিক এক সৃষ্টিকর্তা কিন্তু বাংলাদেশের সকল জনগণ এক সৃষ্টিকর্তা প্রতিনিধি হিসাবে, ঐ সার্বভৌম মালিকানার উপভোগ করবে।
সহজ কথায় বাংলাদেশ সার্বভৌমত্বের মালিক হবে এক সৃষ্টিকর্তা এবং বাংলাদেশ সকল জনগণ এক সৃষ্টিকর্তা পক্ষে এই দেশে সার্বভৌমত্ব উপভোগ করবে কারণ মানুষ হলো এক সৃষ্টিকর্তা প্রতিনিধি।
"এঁকে বলে প্রাপ্যকে তার প্রাপ্যতা দিয়ে নিজের প্রাপ্যতা বজায় রাখা।"
সকল মুসলমান এই দরখাস্তে সাক্ষর করবে কারণ আল্লাহ তাআলার কুরআনের বলেছেন আল্লাহ সার্বভৌমত্বের মালিক। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ কুরআন পড়েন।
একই সাথে খৃষ্টান ধর্মের মানুষেরা সাক্ষর করবে কারণ পবিত্র ইঞ্জিল কিতাব অনুসারে সার্বভৌমত্বের মালিক এক সৃষ্টিকর্তা। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ ইঞ্জিল কিতাব পড়েন।
একই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা সাক্ষ্য করবে কারণ পবিত্র বেদ গ্রন্থ পরিস্কার ভাবে বলা আসে সবোর্চ্চ ঈশ্বর হলো একজন। পরশ ঈশ্বর, পরম আত্মা "Sadasiva" নিরাকার।
বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ বেদ পড়েন।
যেহেতু বাংলাদেশ সংবিধানের এই দেশে প্রতিটি জনগণের ইচ্ছাকে সংরক্ষণ করে। এবং সম্মানিত সংসদ সদস্য এই সংবিধান সংশোধন করার ক্ষমতাবান।
যেহেতু সম্মানিত সংসদ সদস্যরা সর্বদা জনগণের ইচ্ছাকে মহান সংসদে রাখেন। সেহেতু আমি আশা করি বাংলাদেশের সকল সংসদ সদস্য, জনগণের ইচ্ছার পক্ষে ভোট দিয়ে সংবিধান একটি অতি মূল্যবান অনুচ্ছেদ সংশোধন করবে।
আর বাংলাদেশের সকল বিচারপতি গণের, জনগণের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। বিচারক গণ সর্বদা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হচ্ছে কি না তার পরীক্ষক। বিচার গণ সর্বদা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকে তাদের রায়ের মাধ্যমে। জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশক সংবিধান হয়েছে কি না তার পরীক্ষক। কারন সংবিধানে হলো এই দেশের সকল জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশক সংকলিত একটি বই।
সর্বোপরি একজন ন্যায় বিচারক সর্বদা ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে। তারা ন্যায় বিচারের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন অর্জন করে থাকে।
আমি জানি বিচারকগণ জনগণের সমর্থন হারাতে চাবে না। কারন বিচারকের সবোর্চ্চ শক্তি হলো জনগণের সমর্থন এবং জনগণের থেকে প্রাপ্ত শক্তি যা সংবিধান মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশ বিচারকদের দিয়েছে।
"একজন বিচারকের মেধার বহিঃপ্রকাশ শুধু তার রায়ের মাধ্যমে হয়। কিন্তু
একজন আইনজীবীর মেধার বহিঃপ্রকাশ, তার মামলায় প্রতিটি স্তরে হয়।"
"সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।"
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
No comments:
Post a Comment