সূরা আল বাকারার ২ নং সূরা আয়াত ৭৭ থেকে ৮০
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর তায়ালার নামে,
৭৯. "সে সব লোকের জন্যে ধ্বংস (অনিবার্য), যারা হাত
দিয়ে কিতাব লেখে নেয়, তারপর (দুনিয়ার সামনে) বলে,
এগুলো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে (অবতীর্ণ
শরীয়তের বিধান), তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন তা দিয়ে
(দুনিয়ার) কিছু (স্বার্থ) তারা কিনে নিতে পারে; অতপর
তাদের হাত যা কিছু রচনা করেছে তার জন্যে তাদের
ধ্বংস ও দুর্ভোগ, যা কিছু তারা উপার্জন করেছে তার
জন্যেও তাদের দুর্ভোগ।"
ধরেন, আপনার সামনে দুই জন ব্যক্তি আছে তাদের মধ্যে একজন হুজুর। সে আপনার কাছে আল্লাহ তায়ালা কথা বলছে।
আর দ্বিতীয় ব্যক্তি হলো স্বয়ং আল্লাহর তায়ালা নিজেই সরাসরি আপনা সাথে কথা বলছে।
আপনি কোন ব্যক্তির কথা আগে শুনবেন ?
আল্লাহ কথা না, এই হুজুরের কথা, যে বলছে আমার কথা শুনো, কারণ আমি আল্লাহ তাআলার কথা বলছি।
আল্লাহ তাআলা কথা থেকে কি হুজুর কথা দাম বেশি ?
ইউটিউবে মানুষ হুজুর ওয়াজ শুনে ঘন্টা পর ঘন্টা সময় ব্যয় করে কিন্তু আল্লাহ কথা যা কোরআন শরীফ ধারন করেছে এবং আল্লাহ তা’আলা বাণী যা বাংলা ভাষার অনুবাদ করা হয়েছে তা ইউটিউব শুনতে অনেক অনিহা দেখায়।
তাদের দেখে মনে হয় তারা অনেক কিছু শিখছে। আল্লাহ তাআলা বাণী থেকে হুজুরের বাণী শুনতে তারা বেশি মজা পায়।
সূরা আল বাকারার ২ নং সূরা আয়াত ৭৭ থেকে ৮০
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর তায়ালার নামে,
৭৯. "সে সব লোকের জন্যে ধ্বংস (অনিবার্য), যারা হাত
দিয়ে কিতাব লেখে নেয়, তারপর (দুনিয়ার সামনে) বলে,
এগুলো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে (অবতীর্ণ
শরীয়তের বিধান), তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন তা দিয়ে
(দুনিয়ার) কিছু (স্বার্থ) তারা কিনে নিতে পারে; অতপর
তাদের হাত যা কিছু রচনা করেছে তার জন্যে তাদের
ধ্বংস ও দুর্ভোগ, যা কিছু তারা উপার্জন করেছে তার
জন্যেও তাদের দুর্ভোগ।"
সূরা আল বাকারার ২ নং সূরা আয়াত ৭৭ থেকে ৮০
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর তায়ালার নামে,
৭৯. "সে সব লোকের জন্যে ধ্বংস (অনিবার্য), যারা হাত
দিয়ে কিতাব লেখে নেয়, তারপর (দুনিয়ার সামনে) বলে,
এগুলো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে (অবতীর্ণ
শরীয়তের বিধান), তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন তা দিয়ে
(দুনিয়ার) কিছু (স্বার্থ) তারা কিনে নিতে পারে; অতপর
তাদের হাত যা কিছু রচনা করেছে তার জন্যে তাদের
ধ্বংস ও দুর্ভোগ, যা কিছু তারা উপার্জন করেছে তার
জন্যেও তাদের দুর্ভোগ।"
এই পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে। যারা দুই বা ততোধিক ভাষা শুনে বুঝতে পারে। যেমন: ইংরেজি ভাষা, বাংলা ভাষা, উর্দু ভাষা ইত্যাদি।
বোকা ব্যক্তি বলে আল্লাহ তাআলা আরবি ভাষায় ছাড়া কোন ভাষা বুঝতে পারেন না। গাধা ব্যক্তিরা, এই বিষয়ে কি চিন্তা ভাবনা করে না একজন সাধারণ মানুষ দুই বা ততোধিক ভাষা শুনে, সেই ভাষা বুঝতে পারে।
আর আল্লাহ তাআলা হলেন সর্বোজ্ঞানী। তিনি কি বাংলা ভাষার বুঝতে পারবেন না?
আল্লাহ তাআলা কি এই ব্যক্তি থেকে বেশি জ্ঞান রাখে না? (যে শুধু দুই বা ততোধিক ভাষা বুঝতে পারে)
আমার অনুরোধ ইউটিউব হুজুরের ওয়াজ মাহফিলে শুনার আগে কম পক্ষে একবার সম্পূর্ণ কোরআন শরীফ নিজের মাতৃভাষায় শুনুন। (ইউটিউবে)। YouTube.
তার পর হুজুরদের ওয়াজ শুনতে পারেন। তখন আপনি বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের ৯০% হুজুরা কোরআনের সম্পূর্ণ জ্ঞান রাখে না বা কুরআনের বাণী সম্পূর্ণ জানে না।
দয়া করে খেয়াল করেন, আমি আপনাকে কোন বই বা ওয়াজ শুনতে বলছি না। আমি শুধু বলছি আগে আল্লাহ কথা শুনুন নিজের মাতৃভাষায়।
“জ্ঞানের কথা বলার আগে দেখে নেওয়া উচিত, লোকটি গাধা না জ্ঞানী,
কারণ, গাধার কাছে জ্ঞানের কথা বলা, আর তলা বিহীন পাত্রে পানি ঢালার সমান।”
"আল্লাহ তাআলা হলেন' সর্বোজ্ঞানী, আল্লাহ তাআলা সকল জ্ঞানের উৎস।"
আল্লাহ্ কথা নিজের মাতৃভাষায় শুনতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
No comments:
Post a Comment