ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ:
যদি বাংলাদেশ ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হয়। তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভাবে কিভাবে লাভবান হবে তা জানতে হলে আমার লেখাটি আপনাকে সম্পূর্ণ পড়তে হবে ।
আপনি একবার কল্পনা করে দেখেন
বি এফ ডি সি ভিতরে একটি 15 তলা বিশিষ্ট একটি ফিল্মের বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ছাত্র ও ছাত্রীদের কিভাবে ফিল্ম বানাতে হবে তা শিখানো হয়। আপনি এখন বলবেন এর ফলে দেশ কিভাবে লাভবান হবে। তা জানতে হলে আপনাকে লেখাতই সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
১. বাংলাদেশ ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় এক একটি তলা ফিল্মের এক একটি কলাকৌশল সম্পর্কে এই বিষয়ে
বিশেষজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা শিক্ষা প্রদান করা হবে। উদাহরণ স্বরূপ দ্বিতীয় তলা মঞ্চ নাটকের ব্যবস্থা থাকবে । সকল ক্লাসের ছাত্ররা চার বছর ধরে অভিনয় কে দুই ভাবে শিখবে।
প্রথমত বই থেকে দ্বিতীয়ত মঞ্চ নাটকে বাস্তব অভিজ্ঞতা মাধ্যমে।
তৃতীয় তলায় ফিল্ম এডিটিং এর কাজ শিখানো হবে। এবং VFX কাজ শিখানো হবে। চতুর্থ তলা ক্যামেরা চালানো শিখানো হবে। পঞ্চম তলা ফিল্ম স্ক্রিপ্ট কিভাবে লিখতে হয় এবং কিভাবে নতুন গল্প লিখতে হয় তা শিখানো হবে। ষষ্ঠ তলা কুং ফু ও মার্শাল আর্ট শিখানো হবে। সপ্তম তলার বিভিন্ন ধরনের নাচ শিখানো হবে। অষ্টম তলায় জিম হবে। নবম তলা দেশের আইন এবং অভিনয় শিল্প সাথে যারা জড়িত তারা কিভাবে অর্থনৈতিক ভাবে অনেক বেশি স্বাবলম্বনই হতে পারে তা শিক্ষাদান করা হবে।দশম তলায় গান। একটি ফিল্মটি কিভাবে বিদেশ থেকে কোটি টাকা আয় করে দেশের অর্থনীতি উন্নয়নের ভূমিকা রাখতে পারে তা শিক্ষা এবং এই বিষয়ে গবেষণা করানো হবে।
ফিল্ম একটি শিল্প। বাংলাদেশ বস্ত্র শিল্প যেভাবে প্রতি বছর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ঠিক একই ভাবে ফিল্ম শিল্প দেশের অর্থনীতি উন্নয়নের অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে। ফিল্ম শিল্প শুধু একটি দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করে না একই সাথে দেশের নাম এবং মাতৃভাষা কে বিশ্ব দরবারে সম্মানের সাথে তুলে ধরে।
ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও ছাএীরা যখন ফাইনাল পরীক্ষার আগে তারা একটি ফিল্ম বানাবে।এতে করে তাদের শিক্ষার বাস্তব ব্যবহার চর্চা করার সুযোগ পাবে। এর ফলে প্রতিভাবান অনেক ছেলে মেয়ে বের হয়ে আসবে।
বিশ্বে যে সকল দেশ ফিল্ম শিল্পকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে থাকে তারা ফিল্ম শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ ফিল্ম শিক্ষা নাই। তাই বাংলাদেশ ফিল্ম অনেক দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশে ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় একটি আম গাছের মত উপকারে আসবে অর্থাৎ আপনি যদি একবার একটি আম গাছের লাগান এর ফলে হয়ত আপনি প্রথম কয়েক বছর পাবেন না কিন্তু যখন একবার আমার গাছে ফল দেয়া শুরু করবে এরপর থেকে আপনাকে আর গাছ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না । কিন্তু বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প হল 🍚 ধান গাছের মতো প্রতিটি দিন বা মাস কিংবা প্রতি বছরের চিন্তা থাকতে হয় ফসল নিয়ে।
তাই বাংলাদেশের ফিল্মে উন্নত করা জন্য ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় কোন বিকল্প নেই।
ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় মান বৃদ্ধি জন্য প্রথম কয়েক বছর বিদেশ থেকে শিক্ষক আনতে হতে পারে। কিন্তু একবার বাংলাদেশ ছাত্র ও ছাত্রীরা বাংলাদেশ ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে পরে বাংলাদেশ ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের ফিল্ম শিক্ষাতে পারবে। বাংলাদেশ দেশের ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সুফল গুলো হল। একটি ভালো ফিল্ম তৈরির খরচ অনেক কমে যাবে কারন একটি ফিল্ম তৈরি করতে আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে জানে এই রকম লোক ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে আনতে হবে না এর ফলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে।অনেক লোকের কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি হবে।কম খরচে সবচেয়ে ভালো ছবি তৈরি করে বিদেশ থেকে অনেক বেশি অর্থ আয় করা সম্ভব।
লেখক: যুবাইর মাহমুদ তালুকদার।
No comments:
Post a Comment