Translate

Monday, December 9, 2019

রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ না হওয়া

রোহিঙ্গা গণহত্যায় আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলা বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত:

রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা বিচারের বিচার্য বিষয় সাথে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া বিষয়টি সংযুক্ত করা উচিত ছিল। কারণ বুদ্ধিমান মানুষ মাছের তেলে মাছ ভাঁজে। আর বুদ্ধি মান নাগরিক দেশের মানুষরা মাংসের (ভিতরে) তেল দিয়ে মাংস রান্না করে।

উদাহরণ স্বরূপ: ধরনের একটি পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী ব্যক্তি কে কিছু খারাপ লোক হত্যা করে। 
কুরআন অনুসারে বিচারে দুই ফল হতে পারে।
১) হত্যাকারীকে হত্যাকাণ্ডের জন্য, মৃত্যু দন্ডের আদেশ দেওয়া। অথবা
২) হত্যাকারীর থেকে হত্যার জন্য ক্ষতিপূরণ নেওয়া। 

এবং এই নিহত এতিম পরিবারের বাকি জীবন সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করা জন্য যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তা হত্যা কারি থেকে নেওয়া।
নিহিত পরিবারের জন্য কোন প্রতিকারটি বেশি উপকারী হবে। 

আমরা ব্যক্তিগত মতামত হলো, হত্যাকারীকে হত্যা জন্য মৃত্যু দন্ডের আদেশ চেয়ে নিহিত পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতি পূরণ দেওয়া তা বেশি ন্যায় সঙ্গত হবে।

কারণ নিহতো পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে তা টাকা দ্বারা পরিশোধ সম্ভব নয়। কিন্তু ক্ষতি পরিমাণ টা কিছুতা হলেও কমানো সম্ভব। কারণ একজন পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী ব্যক্তি যখন নিহত হয়। তখন এই পরিবারের দুইটি ক্ষতি হয়।
১) আপনজন হারানো ক্ষতি।
২) প্রায় ২০ থেকে ৩০ বছরের অথিক ক্ষতি।
আপনজন হারানো ক্ষতি কোন কিছু দিয়ে ক্ষতি পূরণ দেওয়া সম্ভব নয়।

কিন্তু আথিক ক্ষতির ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব। অর্থের বিনিময়ে।
একইসাথে,
রোহিঙ্গাদের উপর যে অন্যায় ও হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে। তার দুইটি সমাধান আছে।
১) গণহত্যা বিচার করা। বা, এবং
২) শুধু রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব
পাওয়া অধিকার উপর বিচারের বেশি মনযোগ দেওয়া।
কারণ রোহিঙ্গারা মায়ানমারের নাগরিক হলে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অনেক পূরন হবে।
এবং রোহিঙ্গারা পরে এই গণহত্যার বিচার চাইতে পারে। একে বলে মাংসের তেলে মাংস রান্না করা। যা মানুষের হৃদয় জন্য ভালো। এবং একটি দেশের বঞ্চিত জাতির জন্য ও ভালো।

আর দাবা খেলা সহজে জয় লাভের উপায় হলো বিরোধী পক্ষকে চার দিক থেকে আক্রমন করা তা সম্ভব না হলে। কম পক্ষে বিরোধী দলকে দুই অবশন দেওয়া। ১) সে প্রথম চালদিলে সে তার রানীকে হারাবে। বা দ্বিতীয় চালদিলে সে তার হাতী, ঘোড়া, নৌকাকে হারাবে।


রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ না হওয়া:
আপনি যদি রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসা করেন তারা কি চায়, তারা বলবে তারা আগে মায়ানমারের নাগরিকত্ব চায়।
কারণ শুধু গণহত্যা বিচার দ্বারা রোহিঙ্গাদের প্রধান দাবিকে অবহেলা করা হচ্ছে।
উদাহরণ স্বরূপ; আপনি অনেক ক্ষুধার্ত আপনি একটি খাবার দোকান থেকে খাবার চেলেন এই খাবারের দোকানদার আপনাকে অনেক মারলো। ন্যায় বিচার কোনটি হবে আপনাকে আগে খাবার দেওয়া। আপনার ক্ষুধা আগে নিবারণ করা।
এরপর ওই মারে বিচার করা। আপনার পেটে ক্ষুধা রেখে যদি মারের বিচারের যদি ঘন্টা পর ঘন্টা সময় নষ্ট হয় কষ্টটা বেশি কার হবে।
পশ্চিম পাকিস্তানের ২৫শে মার্চের রাতে নিরীহ বাঙ্গালীদের হত্যা করে। যা ছিল একটি গণহত্যা। বাংলাদেশ যদি স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টা না করে যদি এই গণহত্যার বিচার জন্য চেষ্টা করতো তাহলে কি আমরা এখন স্বাধীন দেশের পেতাম।
এবং সুন্দর ভাবে এই গণহত্যার বিচার করতে পারতাম।
একবার চিন্তা করুন একজন ব্যক্তি আপনার সকল সম্পত্তি নিয়ে আপনাকে রাস্তায় নামিয়ে। এবং আপনাকে অনেক মেরেছে। আপনি শুধু মারের বিচার চান। তাহলে কি আপনি আপনার ঘর ও সম্পত্তি ফেরত পাবেন। আপনি যখন আপনার উপরে মারের বিচার পাবে। তখন আপনার কাপড় হবে ছিঁড়া, আর পেটে থাকবে ক্ষুধা। আপনাকে ঘুমাতে হবে রাস্তায়।
আপনার বাড়ি থাকার পরও আপনাকে যাযাবরের মতো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হবে।



"বুদ্ধিমান জাতির বোঝার জন্য এইটুকুই কথাই যথেষ্ট। "
"সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলা জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস"

লেখক: যুবাইর মাহমুদ।

No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...