কাশ্মীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক সম্মতি নেওয়া উচিত ছিল:
১৯৫২ সালের পশ্চিম পাকিস্তান শাসক পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের অনুমতি না নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের অফিসার ভাষা পরিবর্তন করতে চেয়েছে। এতে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ প্রতিবাদ করছে। এবং অনেক মানুষ শহীদ হয়েছে। যা আমাদের কাছে ভাষা আন্দোলনের হিসাবে পরিচিত।
ঠিক একইভাবে কাশ্মীরের নাগরিকদের অনুমতি ছাড়া ভারত সরকার কাশ্মীরকে ভারতের সাথে সংযুক্ত করে। যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। কাশ্মীরের রাজার সাথে সাবেক ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে চুক্তি হয়েছে তা ভারত প্রথমে ভঙ্গ করে।
কুরআনের আল্লাহ বলেন, কখনো চুক্তি আগে ভঙ্গ করো না। এবং যে আগে চুক্তি ভঙ্গ করেছে তার সাথে সব সম্পর্ক ভঙ্গ করো।
মনে করেন, আমি আমার একটি মূল্যবান জিনিস আপনার কাছে আমানত রেখেছি। আপনি যদি আমার সম্মতি ছাড়া এই জিনিসটা আপনি মালিকানা দাবি করেন, তা হবে আমানতের খেয়ানত। ঠিক একই কাজ করেছে ভারত কাশ্মীরের সাথে। কাশ্মীর দেশ আমানত হিসাবে ছিল ভারতের কাছে। আর ভারত বেআইনী ভাবে কাশ্মীরকে দখল করে।
কাশ্মীর এবং ভারত আলাদা দুইটি রাষ্ট্র। ভারত এতদিন শুধু কাশ্মীরের রক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু বর্তমানে সেই রক্ষক এখন ভক্ষকে পরিণত হয়েছে।
সমাধান: বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীল ভারতকে বলা, কাশ্মীরে জনগণের মতামত নেওয়া ভোটের মাধ্যমে। তারপর বাংলাদেশ সরকার অফিসার ভাবে এই বিষয়ে মতামত দিবে। এবং একই সাথে কাশ্মীরের শান্তি রক্ষা বাহিনীর পাঠানো জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন করা উচিত ছিল।
এতে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হতো না এবং একই সাথে বাংলাদেশ ন্যায়ের পথে থাকতো।
আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতেন না।
কোন দেশের উন্নতি হয় শুধু আল্লাহ তাআলা হুকুমের এবং দানে ও রহমতে।
বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতে হলে বাংলাদেশ ভারতের সাহায্যে প্রয়োজন নেই। কারণ বাংলাদেশকে উন্নত দেশ বানাবে আল্লাহ তাআলার। যে ব্যক্তি বা দেশ ন্যায়র পথে থাকে সে ব্যক্তি বা দেশ কে আল্লাহ তাআলা সাহায্যে করেন।
আল্লাহ তাআলার সাহায্যে চেয়ে কার সাহায্যে বেশি বড় হতে পারে।
অন্যায় করা আর অন্যায়কে পরোক্ষভাবে সমর্থন করাও অপরাধ।
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
No comments:
Post a Comment