Translate

Friday, November 24, 2017

মানুষের আত্মার নিয়ন্ত্রণ

মানুষের আত্মার নিয়ন্ত্রণ:


একজন জীবিত মানুষ দুইটি জিনিসের সমন্বয় গঠিত। দুইটির মধ্যে একটি হল মানুষের দেহ যা আমরা দেখতে পারি আর দ্বিতীয়টি হলো আত্না, যা আমরা চোখে দেখতে পারি না। মানুষ যখন মারা যায় তখন  তার আত্না দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায়। মানব দেহে পচন ধরে যায় কিন্তু আত্না কখনো পচন ধরে না। মানুষ বেঁচে থাকা অবস্থায় তার আত্মাকে   তিনটি  ভাবে   নিয়ন্ত্রণ করতে  পারে।


১. মানুষ, তার আত্না কে তার নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে  অর্থাৎ সে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে তার কথা বলা, তার ব্যবহার কোনো মানুষ, জ্বীন বা ঈশ্বর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে না।
কিন্তু এতে অনেক অসুবিধা আছে। উদাহরণ দিলে জিনিসটা অনেক পরিস্কার হবে।

উদাহরণ: ধরনের আপনার কাছে ১,০০,০০,০০০  টাকা আছে যদি আপনি এই টাকা  আপনার সাথে সব সময় রাখেন । এর ফলে এই টাকা যে কোন সময় চুরি বা ডাকাতি  হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ আপনার আত্না যেকোন সময়  হ‍্যাক হয়ে যেতে পারে, এর মানে হল যে কেউই আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে আপনি সেই হ‍্যাকারে কাছে শুধু রোবট হিসাবে থাকবেন।

২. মানুষ তার আত্না কে খারাপ মানুষ বা খারাপ জ্বীন   কাছে দিয়ে দিতে পারে।  মানে হলো খারাপ মানুষ বা খারাপ জ্বীন মানুষ কে যেমন ইচ্ছা তেমন ভাবে নিয়ন্ত্রত করতে পারবে। খারাপ মানুষ বা খারাপ জ্বীনের কাছে আপনার আত্না দিলে। আপনার কি অবস্থা হবে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবে না। আপনার ভালো জন্যে এই বিষয়ে অনেক গোপন তথ্য লিখতে পারলাম না বলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

৩.আপনার আত্মাকে যদি এক ঈশ্বরের কাছে দিয়ে দেন তখন আপনার আর কোন চিন্তা নেই। কারন তখন খারাপ মানুষ বা  খারাপ জ্বীন আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। উদাহরণ দিলে জিনিসটা আরো পরিস্কার হবে।

উদাহরণ: ধরনের আপনার কাছে ১,০০,০০,০০০  টাকা আছে যদি আপনি এই টাকা একটি ব্যাংকে আমানত হিসাবে জমা রাখলে, তখন কি আপনার এই টাকা হারানো আর কোন ভয় থাকবে কি? উত্তরটা আপনার উপর ছেড়ে দিলাম।

যদি আপনার আত্নাকে ঈশ্বরের কাছে  দিতে চান তখন শুধু এই কথা বলেই হবে,

“ হে ঈশ্বর আমি আমার আত্নাকে তোমরা কাছে দিয়ে দিলাম”

এই কথা মানে হল ঈশ্বর মানুষকে স্বাধীন ভাবে সৃষ্টি করেছে যেন মানুষ তার আত্মার নিয়ন্ত্রণ নিজেই করতে পারে কিন্তু এর সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হল মানুষ তা করতে  সক্ষম নয় কারণ হল মানুষের জীবন খুবই সীমিত। মানুষ এই পৃথিবীতে কিছুই সময়ের জন্যই থাকতে পারে। মানুষ তার আত্মার নিয়ন্ত্রত করার জন্য যে পরিমাণ জ্ঞান দরকার তা এক জীবনে অর্জন করা সম্ভব নয়। আর কেউও যদি বলে এই পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করা এই জীবনে সম্ভব। সে হলো পৃথিবীর সবচেয়ে কম জ্ঞানী মানুষ, কারন হল ধরেন একজন মানুষ পৃথিবীতে ৬০  বছর বেঁচে ছিল ।এই ৬০ বছরের যদি সে প্রতিদিন ৮  ঘন্টা করে ঘুমিয়ে সময় ব্যয় করে তাহলে সে তার জীবনের  ২০ বছর শুরু ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। আর স্কুল, কলেজ,চাকরি বা ব‍্যবসায় প্রতি দিন ৮ ঘন্টা করে দিলে তাহলে সে তার সম্পূর্ণ জীবনে ২০  বছর শুধু  টাকা অর্জন পিছনে ব্যয়   করেছে । আর বাকী ৮ ঘন্টা যাবে শুধু অন‍্য কাজ করে। যেমন: গোসল, খাবার, টয়লেট, পরিবারের অন‍্য কাজে, যদি আপনি শিক্ষতে চান আত্না কে কিভাবে নিরাপদ রাখতে পারে। এর জন্য   ২০  বছর নয়  এর সাথে আর ১০০ যোগ হলেও তা আপনি শিখে শেষ করতে পারবেন না।

একজন জ্ঞানী মানুষের এক একটি বই হল এক একটি  জ্ঞানের নদী বা সমুদ্র।
আর এক একটি ঈশ্বরের বানীর বই হচ্ছে এক একটি জ্ঞানের খনি এ এমন এক প্রকার জ্ঞানের খনি যা কোনো দিনও শেষ হবে না।

লেখক: যুবাইর মাহমুদ তালুকদার।



No comments:

জমি জমা

 = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'...