আল্লাহ তাআলা কাছ থেকে প্রেরিত সকল কিতাবের কোন প্রকার পরিবর্তন হয় নাই:
সূরা আল মায়েদা ৫নং সূরা আল কোরআন আয়াত ৪৮
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
৪৮. আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী।
সূরা আল ইমরান ৩নং সূরা আয়াত ৩:
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
৩. তিনি সত্য (দ্বীন) সহকারে তোমার ওপর (এই)
কেতাব নাযিল করেছেন, যা তোমার আগে নাযিল করা
যাবতীয় কেতাবের সত্যতা স্বীকার করে। তিনি তাওরাত ও ইনজীলও নাযিল করেছেন;
একজন মানুষ একটি কাজগকে কখন সত্যায়িত করে?
সত্যায়িত কপি বলতে কি বুঝায়?
আপনার দাখিলকৃত ডকুমেন্ট সত্যি কিনা অথবা আসল ডকুমেন্টের অনুলিপি কিনা - সেটা একজন সাইন করে সাক্ষ্য দেবেন। সেই ব্যক্তিটি হবেন এমন কেউ যার সাক্ষ্য বিশ্বাস করার যুক্তিযুক্ত কারণ আছে।
আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে প্রেরিত আগের সব কিতাবকে সত্যায়িত করেছে কুরআনের। যেমন: ইঞ্জিল কিতাব , তাওরাত কিতাব ইত্যাদি এর মানে আগের কিতাবের কোন ভুল নাই। এবং কোন পরিবর্তন হয় না।
কারণ আপনি কোন এস এস সি সার্টিফিকেট নকল কপি সত্যায়িত করা সময় দেখবেন তা আসল কপির সাথে হুবহু মিল আছে কি যদি আসল এস এস সি সার্টিফিকেট সাথে অল্প কিছু অংশ মিল না থাকে তখন কি আপনি আসল এস এস সি সার্টিফিকেট নকল কাগজ কে সত্যায়িত করবেন?
উত্তর হলো না এর কারণ হলো আপনি একজন সৎ মানুষ। আল্লাহ তাআলা হলেন' সর্বোজ্ঞানী। আল্লাহ তায়ালা থেকে কে বেশি সত্যকথা বলতে পারে?
আল্লাহ তাআলা কুরআনে আল্লাহ তাআলা থেকে প্রেরিত সকল কিতাবকে সত্যায়িত করছেন।
এর মানে হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার থেকে প্রেরিত সকল কিতাবকে কোন প্রকারের পরিবর্তন হয় নাই।
কিন্তু পৃথিবীতে এক প্রকার মানুষ আছে যারা বলে কুরআন শরীফ ছাড়া আল্লাহ তাআলার থেকে প্রেরিত সকল কিতাব পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।
এখন আপনি কার কথা বিশ্বাস করবেন আল্লাহ কথা না এই ব্যক্তি কথা যে কুরআনের কথা বিপরীত কথা বলছে।
আসল কথা হলো আল্লাহর তায়ালার তার পবিত্র কিতাব কুরআন শরীফ বলেছেন, আগে কিতাবের মানুষেরা তাদের কিতাবের কিছু অংশ সকল মানুষের সামনে প্রকাশ করে আর বেশী ভাগ অংশ গোপন করে। কারণ তারা তাদের কিতাবের সম্পূর্ণ অংশ প্রকাশ করলে তারা তাদের মনের ইচ্ছা মতো কিছু বলতে পারবে না।
সূরা আল মায়েদা ৫নং সূরা আল কোরআন আয়াত ১৫
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি,
১৫. হে আহলে কেতাবরা, তোমাদের কাছে আমার (পক্ষ
থেকে) রসূল এসেছে, (আগের) কেতাবের যা কিছু
তোমরা এতোদিন গোপন করে রেখেছিলে তার বহু কিছুই
সে তোমাদের বলে দিচ্ছে, আবার অনেক কিছু সে এড়িয়ে যাচ্ছে; তোমাদের কাছে (এখন) তোমাদের আল্লাহর
পক্ষ থেকে আলোকবর্তিকা এবং সুস্পষ্ট কেতাবও এসে হাযির হয়েছে।
সূরা আল বাকারার ২ নং সূরা আয়াত ৭৭ থেকে ৮০
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর তায়ালার নামে,
৭৭. এরা কি জানে না, (আল্লাহর কেতাবের) যা কিছু
এরা গোপন করে (আবার নিজেদের স্বার্থে তারা) যা
প্রকাশ করে, তা (সবই) আল্লাহ তায়ালা জানেন।
৭৮. এদের আরেকটি দল, যারা (একান্ত) অশিক্ষিত, (নিরক্ষর), এরা (আল্লাহর) কেতাব সম্পর্কে কিছুই জানে, (আল্লাহর কেতাব যেন এদের কাছে) একটি নিছক
ধ্যান ধারণা (সর্ব পুস্তক) মাত্র, এরা শুধু অমূলক
ধারণাই করে থাকে।
৭৯. সে সব লোকের জন্যে ধ্বংস (অনিবার্য), যারা হাত
দিয়ে কিতাব লেখে নেয়, তারপর (দুনিয়ার সামনে) বলে,
এগুলো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে (অবতীর্ণ
শরীয়তের বিধান), তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন তা দিয়ে
(দুনিয়ার) কিছু (স্বার্থ) তারা কিনে নিতে পারে; অতপর
তাদের হাত যা কিছু রচনা করেছে তার জন্যে তাদের
ধ্বংস ও দুর্ভোগ, যা কিছু তারা উপার্জন করেছে তার
জন্যেও তাদের দুর্ভোগ।
৮০. এ সব (নির্বোধ লোকেরা বলে, জাহান্নামের আগুন
কখনোই আমাদের স্পর্শ করবে না, একান্ত (যদি করেও-) তা
হবে নির্দিষ্ট কয়েকটা দিনের (জন্যে) মাত্র, (হে নবী,)
তুমি তাদের বলল, তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে
(এমন) কোন প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছো? আল্লাহ
তায়ালা তো কখনো তার প্রতিশ্রুতি ভংগ করেন না, না
তোমরা জেনে বুঝেই আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে এমন সব
[ কথা বলে বেড়াচ্ছো যা তোমরা নিজেরাই জানো না।
"সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।"
সূরা আল মায়েদা ৫নং সূরা আল কোরআন আয়াত ১৫
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি,
১৫. হে আহলে কেতাবরা, তোমাদের কাছে আমার (পক্ষ
থেকে) রসূল এসেছে, (আগের) কেতাবের যা কিছু
তোমরা এতোদিন গোপন করে রেখেছিলে তার বহু কিছুই
সে তোমাদের বলে দিচ্ছে, আবার অনেক কিছু সে এড়িয়ে যাচ্ছে; তোমাদের কাছে (এখন) তোমাদের আল্লাহর
পক্ষ থেকে আলোকবর্তিকা এবং সুস্পষ্ট কেতাবও এসে হাযির হয়েছে।
সূরা আল বাকারার ২ নং সূরা আয়াত ৭৭ থেকে ৮০
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর তায়ালার নামে,
৭৭. এরা কি জানে না, (আল্লাহর কেতাবের) যা কিছু
এরা গোপন করে (আবার নিজেদের স্বার্থে তারা) যা
প্রকাশ করে, তা (সবই) আল্লাহ তায়ালা জানেন।
৭৮. এদের আরেকটি দল, যারা (একান্ত) অশিক্ষিত, (নিরক্ষর), এরা (আল্লাহর) কেতাব সম্পর্কে কিছুই জানে, (আল্লাহর কেতাব যেন এদের কাছে) একটি নিছক
ধ্যান ধারণা (সর্ব পুস্তক) মাত্র, এরা শুধু অমূলক
ধারণাই করে থাকে।
৭৯. সে সব লোকের জন্যে ধ্বংস (অনিবার্য), যারা হাত
দিয়ে কিতাব লেখে নেয়, তারপর (দুনিয়ার সামনে) বলে,
এগুলো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে (অবতীর্ণ
শরীয়তের বিধান), তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন তা দিয়ে
(দুনিয়ার) কিছু (স্বার্থ) তারা কিনে নিতে পারে; অতপর
তাদের হাত যা কিছু রচনা করেছে তার জন্যে তাদের
ধ্বংস ও দুর্ভোগ, যা কিছু তারা উপার্জন করেছে তার
জন্যেও তাদের দুর্ভোগ।
৮০. এ সব (নির্বোধ লোকেরা বলে, জাহান্নামের আগুন
কখনোই আমাদের স্পর্শ করবে না, একান্ত (যদি করেও-) তা
হবে নির্দিষ্ট কয়েকটা দিনের (জন্যে) মাত্র, (হে নবী,)
তুমি তাদের বলল, তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে
(এমন) কোন প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছো? আল্লাহ
তায়ালা তো কখনো তার প্রতিশ্রুতি ভংগ করেন না, না
তোমরা জেনে বুঝেই আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে এমন সব
[ কথা বলে বেড়াচ্ছো যা তোমরা নিজেরাই জানো না।
"সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।"
বিস্তারিত জানতে আল্লাহ তাআলার কুরআন সম্পূর্ণ শুনুন নিজের মাতৃভাষায় ভাষায়।
কুরআন শরীফ মাতৃভাষায় শুনতে এখানে ক্লিক করুন।
কুরআন শরীফ মাতৃভাষায় শুনতে এখানে ক্লিক করুন।
লেখক: যুবাইর মাহমুদ।
No comments:
Post a Comment