৮৫. তারপর এই তো হচ্ছো তোমরা! একে অপরকে তোমরা হত্যা করতে লাগলে, তোমাদের এক দলকে তোমরা তাদের ভিটেমাটি থেকে বিতাড়িত করে দিতে লাগলে, অন্যায় এবং যুলুম দ্বারা যালেমদের তোমরা তাদের ওপর পৃষ্ঠপোষকতা করতে থাকলে (শুধু তাই নয়),
কোনো লোক (যুদ্ধ) বন্দী হয়ে তোমাদের কাছে এলে তোমরা তাদের জন্যে মুক্তিপণ দাবী করো, (অথচ) তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করাটাই ছিলো তোমাদের ওপর অবৈধ কাজ (এবং আল্লাহ তায়ালাকে দেয়া প্রতিশ্রুতির সুস্পষ্ট লংঘন); তোমরা কি (তাহলে) আল্লাহর কিতাবের একাংশ বিশ্বাস করো এবং আরেক অংশ অবিশ্বাস করো? (সাবধান!)
কখনো যদি কোনো (জাতি কিংবা) ব্যক্তি (দ্বীনের অংশবিশেষের ওপর ঈমান আনয়নের) এ আচরণ করে, তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কি হবে যে, পার্থিব জীবনে তাদের লাঞ্ছনা ভোগ করতে হবে, তাদের পরকালেও কঠিনতম আযাবের দিকে নিক্ষেপ করা হবে; তোমরা যা করছো, আল্লাহ তায়ালা সে সব কিছু থেকে মোটেও উদাসীন নন।
৮৬. (বস্তুত) এ লোকেরা আখেরাতের (স্থায়ী জীবনের) বিনিময়ে দুনিয়ার (অস্থায়ী) জীবন খরিদ করে নিয়েছে (এরা যেহেতু আযাব বিশ্বাসই করেনি), তাই (আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে) তাদের ওপর থেকে আযাবকে কিঞ্চিৎ পরিমাণও হালকা করা হবে না, না তাদের (কোনোদিক থেকে কোনো রকম) সাহায্য করা হবে!
৮৭. আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি, তারপর একে একে আমি আরো অনেক নবীই পাঠিয়েছি এবং (বাপ ছাড়া সন্তান পয়দা করার মতো) সুস্পষ্ট নিদর্শন দিয়ে আমি মারইয়াম পুত্র ঈসাকে পাঠিয়েছে এবং(আমার বাণী ও) পবিত্র আত্মার মাধ্যমে তাকে আমি সাহায্য করেছি; (অথচ)যখনি তোমাদের কাছে আল্লাহর কোনো নবী আসতো, তোমাদের মনোপূত না হলে তোমরা অহংকারের বশবর্তী হয়ে তাদের অস্বীকার করেছো, তাদের কাউকে তোমরা মিথ্যাবাদী বলেছো, (আবার) তাদের কোনো কোনো দলকে তোমরা হত্যাও করেছো।
৮৮. তারা বলে, (হেদায়াতের জন্যে) আমাদের মন (ও তার দরজা) বন্ধ হয়ে আছে, (আসলে) আল্লাহ তায়ালাকে তাদের (ক্রমাগত) অস্বীকার করার কারণে তিনি তাদের ওপর অভিসম্পাত করেছেন, অতপর তাদের সামান্য পরিমাণ লোকই আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে।
৮৯. যখনি তাদের কাছে আল্লাহর কাছ থেকে কিতাব নাযিল হলো যা তাদের কাছে মজুদ কিতাবের সত্যতা স্বীকার করে, (তা ছাড়া) এর আগে তারা নিজেরাই (সমাজের) অন্যান্য কাফেরদের ওপর বিজয়ী হওয়ার জন্যে (এ কিতাব ও তার বাহকের আগমন) কামনা করেছিলো, কিন্তু আজ যখন তা তাদের কাছে এলো এবং যা তারা যথাযথ চিনতেও পারলো- তাই তারা অস্বীকার করলো, যারা (আল্লাহর কিতাব) অস্বীকার করে তাদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত নাযিল হোক।
পৃষ্ঠা ১৪
No comments:
Post a Comment