সূচি পত্র

সূরা আল-বাকারা (বকনা-বাছুর) পৃষ্ঠা ১০

62 নিঃসন্দেহে যারা ঈমান এনেছে, যারা ইহুদী হয়ে গেছে, যারা খ্রিস্টান এবং ‘সাবী'- এদের যে কেউই আল্লাহর ওপর যথাযথ ঈমান আনবে, ঈমান আনবে পরকালের ওপর এবং নেক কাজ করবে, তাদের জন্যে তাদের মালিকের কাছে  পুরস্কার রয়েছে এবং এসব লোকের (যেমন) কোনো ভয় নেই, (তেমনি) তারা চিন্তিতও হবে না।

৬৩. (স্মরণ করো,) যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম (যে, তোমরা তাওরাত মেনে চলবে) এবং তূর পাহাড়কে   আমি তোমাদের ওপর তুলে ধরে (বলে)ছিলেন; যে কিতাব তোমাদের আমি দান করেছি তা শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো এবং তাতে যা কিছু আছে তা স্মরণ রাখো, (এর ফলে) তোমরা হয়তো  (শয়তান থেকে) নিজেদের বাঁচাতে পারবে।

৬৪. অতপর তোমরা এ (ওয়াদা) থেকে ফিরে গেলে, (কিন্তু তা সত্ত্বেও) আমার অনুদান ও রহমত যদি তোমাদের উপর না থাকতো তাহলে তোমরা অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যেতে!

৬৫ তোমরা তো ভালো করেই তাদের জানো, যারা তোমাদের মধ্যে শনিবারে (আল্লাহর আদেশের সীমা) লঙ্ঘন করেছে, অতপর আমি তাদের (শুধু এটুকুই) বলেছি, যাও- (এবার) তোমরা সবাই অপমানিত বানর (-এ পরিণত) হয়ে যাও।

৬৬. এ (ঘটনা)-কে আমি সে সব মানুষদের- যারা তখন সেখানে (মজুদ) ছিলো- আরো যারা পরে আসবে, তাদের (সবার) জন্যে একটি দৃষ্টান্তমূলক (ঘটনা) বানিয়ে দিয়েছি,  যারা আল্লাহকে ভয় করে এমন লোকদের জন্যে ও এ ঘটনা (ছিলো) একটি উপদেশ।

৬৭. (আরো স্মরণ করো,) যখন মূসা তার জাতিকে বললো, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা (তাঁর নামে) তোমাদের একটি গাভী যবাই করার আদেশ দিচ্ছেন; তারা (এ কথা শুনে) বললো (হে মূসা), তুমি কি আমাদের সাথে তামাশা করছো? সে বললো, আমি (তামাশা করে) জাহেলদের দলে শামিল হওয়া থেকে আলো তায়ালার কাছে  পানাহ্ চাই!

৬৮.তারা (মূসাকে) বললো, তুমি তোমার মালিককে বলো, আমাদের তিনি যেন সুস্পষ্টভাবে বলে দেন- তা কেমন (হবে)? সে বললো, অবশ্যই তা হবে এমন যা বৃদ্ধ হবে না, আবার (একেবারে) বাচ্চাও হবে না; (বরং তা হবে) এর মাঝামাঝি বয়সের (যাও, এখন)যা কিছু তোমাদের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে তাই করো।

৬৯. তারা (মূসাকে) বললো, তুমি তোমার মালিককে জিজ্ঞেস করে নাও, তিনি আমাদের যেন বলে দেন তার রং কেমন হবে? সে বললো, তা হবে হলুদ রংয়ের, তার রং এতো আকর্ষণীয় হবে যে, যারা তাকাবে তা তাদেরই  পরিতৃপ্ত  করবে।
             পৃষ্ঠা ১১

No comments:

Post a Comment