৮. মানুষদের মাঝে কিছু (লোক এমনও) আছে যারা (মুখে) বলে, আমরা আল্লাহ তায়ালা ও পরকালের ওপর ঈমান এনেছি, (আসলে) এরা (মোটেই) ঈমানদার নয়।
৯. (মুখে ঈমানের দাবী করে) এরা আল্লাহ তায়ালা ও তার নেক বান্দাদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে, (মূলত এ কাজের মাধ্যমে) তারা অন্য কাউকে নয়, নিজেদেরই ধোকা দিয়ে যাচ্ছে, যদিও (এ ব্যাপারে) তারা কোন প্রকারের চৈতন্য রাখেনা।
১০. (আসলে) এদের মনের ভেতর রয়েছে মারাত্মক ব্যাধি,(প্রতারণার কারণে) অতপর আল্লাহ তায়ালা (এদের সে) ব্যাধি বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব, কেননা, তারা মিথ্যা বলছিলো।
১১. তাদের যখন বলা হয়, তোমরা (এই শান্তিপূর্ণ) জমিনে অশান্তির (ও বিপর্যয়) সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, না, আমরাই তো হচ্ছি বরং সংশোধনকারী।
১২. জেনে রাখো এরাই হচ্ছে (জমিনে যাবতীয়) বিপর্যয় সৃষ্টিকারী, যদিও তাঁরা (এ ব্যাপারে) কোনো চৈতন্য রাখেনা।
১৩. তাদের যখন বলা হয়, অন্য লোকেরা যেমন ঈমান এনেছে তোমরাও তেমনিভাবে ঈমান আনো, তারা বলে (হে নবী তুমি কি চাও), আমরাও নির্বোধ লোকদের মতো ঈমান আনি ? (আসলে) নির্বোধ তো হচ্ছে এরা নিজেরাই, যদিও তারা (এ কথাটা) জানে না !
১৪. (মোনাফেকদের অবস্থা হচ্ছে,) তারা যখন ঈমানদার লোকদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি, (আবার) যখন একাকী তাদের শয়তানের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তো তোমাদের সাথেই আছি, (ঈমানের কথা বলে ওদের সাথে) আমরা ঠাট্টা করেছিলাম মাত্র!
১৫. (মূলত) আল্লাহ তায়ালাই তাদের সাথে ঠাট্টা করে যাচ্ছেন, আল্লাহ তায়ালা তাদের অবকাশ দিয়ে রেখেছেন, তারা তাদের বিদ্রোহে উদ্ভ্রন্তের ঘুরে বেড়াচ্ছে ।
১৬. এরা (জেনে বুঝে) হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী কিনে নিয়েছে, তাদের এ ব্যবসাটা (কিন্তু) মোটেই লাভজনক হয়নি এবং এরা সঠিক পথেই অনুসারীও নয়।
১৭ এদের উদাহরণ হচ্ছে সে (হতভাগ্য) ব্যক্তির মতো, যে (অন্ধকারে) আগুন জ্বালাতে চাইলো, যখন তা তার গোটা পরিবেশটাকে আলোকোজ্জ্বল করে দিলো, তখন (হঠাৎ করে) আল্লাহ তায়ালা তাদের (কাছ থেকে) আলোটুকু ছিনিয়ে নিলেন এবং তাদের (এমন) অন্ধকারে ফেলে রাখলেন যে, তারা কিছুই দেখতে পেলো না।
পৃষ্ঠা ৪
No comments:
Post a Comment