২৬. (সত্য প্রমাণের জন্যে) আল্লাহ তায়ালা মশা কিংবা তার চাইতে ওপরে যা কিছু আছে তার উদাহরণ দিতেও লজ্জাবোধ করে না; যারা (আল্লাহর বাণীতে) বিশ্বাস স্থাপন করে তারা জানে, এ সত্য তাদের মালিকের পক্ষ থেকেই এসেছে, আর যারা (আগেই) সত্য অস্বীকার করেছে তারা (একে না মানার অজুহাত দিতে গিয়ে) বলে, আল্লাহ তায়ালা এ উদাহরণ দ্বারা কি বুঝাতে চান? (আসলে) একই ঘটনা দিয়ে আল্লাহ তায়ালা অনেক লোককে গোমরাহীতে নিমজ্জিত করলেও বহু লোককে তিনি (আবার) এ দিয়ে হেদায়েতের পথও দেখান, আর কতিপয় পাপাচারী ব্যক্তি ছাড়া তিনি তা দিয়ে অন্য কাউকে গোমরাহীতে নিমজ্জিত করেন না।
২৭. (এরা হচ্ছে সে সব লোক) যারা আল্লাহর ফরমান মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর তা ভঙ্গ করে, (ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে) আল্লাহ তায়ালা যেসব সম্পর্ক (-এর ভিত) মজবুত করতে বলেছেন তা তারা ছিন্ন করে, (সর্বোপরি) যমীনে অহেতুক বিপর্যয় সৃষ্টি করে; এরাই হচ্ছে (আসল) ক্ষতিগ্রস্ত।
২৮. তোমরা আল্লাহকে কিভাবে অস্বীকার করবে? অথচ তোমরা ছিলে মৃত, তিনিই তোমাদের জীবন দিয়েছেন, পুনরায় তিনি তোমাদের মৃত্যু দেবেন, অতঃপর (সর্বশেষে) তিনিই আবার তোমাদের জীবন দান করবেন এবং (এভাবেই) তোমাদের একদিন তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।
২৯. তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি এ পৃথিবীর সব কিছু তোমাদের (ব্যবহারের) জন্য তৈরী করেছেন, অতঃপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করলেন এবং তাকে সাত আসমানে বিন্যস্ত করলেন, তিনি সর্বকিছু কৃষি সম্পর্কেই সম্যক অবগত আছেন।
৩০. (হে নবী স্মরণ করো,)
যখন তোমার মালিক (তাঁর) ফেরেশতাদের (সম্বোধন করে) বলেছেন, আমি পৃথিবীতে (আমার) খলিফা বানাতে চাই তারা বললো, তুমি কি সেখানে এমন কাউকে (খলিফা) বানাতে চাও যে সেখানে (বিশৃঙ্খলা) ও বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং (স্বার্থের জন্যে) তারা রক্তপাত করবে, আমরাই তো তোমার প্রশংসা সহকারে তোমার তসবীহ পড়ছি এবং (প্রতিনিয়ত) তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি; আল্লাহ তায়ালা বললেন, আমি যা জানি তোমরা তা জানো না।
পৃষ্ঠা ৬
No comments:
Post a Comment