সূচি পত্র

Sunday, April 28, 2019

আমরা কি বাঙালি জাতি না মুসলিম?

আমরা কি বাঙালি জাতি না মুসলিম:

মুসলিম "একটি আরবি শব্দ যার অর্থ" আত্মসমর্পণ "(এক সৃষ্টিকর্তা কাছে)। মুসলিম ব্যক্তির সংজ্ঞা: যে ব্যক্তি তার আত্মা, দেহ, মন, এবং তার সকল ইচ্ছা আল্লাহর তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করে সেই ব্যক্তি হলো প্রকৃত মুসলিম।

যে কোনো নবীর উম্মতেরা  মুসলিম হতে পারে। যে কোনো নবীর উম্মতেরা মুসলিম হওয়ার প্রধান শর্ত হলো সেই নবীর উম্মতকে অবশ্যই একজন সৃষ্টিকর্তা কাছে তার  আত্মা, দেহ, মন, এবং তার সকল ইচ্ছাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

সকল ধর্মের মানুষেরা  এক সৃষ্টিকর্তা কে বিভিন্ন নামে ডাকে। একজন সৃষ্টিকর্তা কে যে নামেই তাকে ডাকা হক না কেন তিনি তার বান্দাদের সকল ডাকে সাড়া দেন কারণ সকল শ্রেষ্ঠ নামই হলো এক সৃষ্টিকর্তা।

"সত্যজ্ঞানী তিনিই, যিনি জানেন প্রভূ এক এবং অদ্বিতীয় । তিনি সর্বশক্তিমান এবং সর্ব বিষয়ে একক ক্ষমতার অধিকারী । প্রাণ এবং নিষ্প্রাণের সব-কিছুই তার নখদর্পণে । সকল ক্ষমতার কেন্দ্র তিনি একক অনন্য ।" [অথর্ব বেদঃ ১৩.৫.১৪-২১]


"আদিতে তিনি-ই ছিলেন । সৃষ্টির সবকিছুর উৎসও তিনি-ই । সমগ্র অস্তিত্বের তিনি-ই প্রভূ । আকাশ ও ভূ-মন্ডলে বিরাজমান সবকিছূর তিনি-ই লালনকারী । অন্য কারো কাছে নয়, শুধুমাত্র সেই মহাপ্রভূর কাছেই আমাদের সবকিছূ সমর্পন করছি । [অথর্ববেদ- ৪.২.৭]"


“যতক্ষণ পর্যন্ত না, তুমি তোমার আত্মা, দেহ, এবং তোমার সকল ইচ্ছা আল্লাহর তায়ালার কাছে আত্ম সমর্পণ না করো, ততক্ষন পর্যন্ত তুমি মৃত্যু বরণ করো না”

(আল্লাহর উপদেশ: আল-কোরআন)




আমার কি বাঙালি জাতি না মুসলিম এই বিষয়ে গবেষণা জন্য নিচের উল্লেখিত আল কোরআনের আয়াত গুলো পড়ুন এবং চিন্তা ভাবনা এবং গবেষণা  করুন। আপনি যদি বুদ্ধিমান ব্যক্তি হন তাহলে নিচের আয়াত গুলোর মূলভাব আপনি অতি সহজেই বুঝতে পারবেন।




আল কোরআনের বানী যখন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু উপর আছে তখন এই পৃথিবীতে যতগুলো দেশ বা জাতি ছিলো তা জানার জন্য ৬০০ সালের পরে বিশ্ব মানচিত্র নিচে দেওয়া হলো:  হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু কাছে ৬১০ সালের পর থেকে আল কোরআনের বাণী আসা শুরু করে।




আল কোরআন:
১। সূরা ইউনুস  ১০ নং সূরা আল কুরআন:  আয়াত:৪৭


২। সূরা আন নাহল: ১৬ নং সূরা আল কুরআন: আয়াত ৩৬

৩। সূরা আশ শূরা: ৪২ নং সূরা কুরআন শরীফ: আয়াত:৭
৪।  সূরা আনয়াম ৬ নং সূরা আল কুরআন আয়াত ৯২

৫ । সূরা ইব্রাহীম  ১৪নং সূরা আল কোরআনের আয়াত ৪৬। সূরা হুদ ১১ নং সূরা আল কুরআন আয়াত ১১৮

৬। সূরা আর-রাদ ১৩ নং সূরা আল কোরআন আয়াত ৩০, ৩৭,৩৮,৩৯


৭। সূরা হুদ ১১ নং সূরা আল কোরআন আয়াত ১১৮


৮। সূরা আল মোমেন: ৪০ নং সূরা আল কুরআন আয়াত ৭৮

৯। সূরা বনী ইসরাইল ১৭ নং সূরা আল কুরআন আয়াত ১৫

১০। সূরা নিসা ৪ নং সূরা আল কুরআন আয়াত ১৬৪
১১। সূরা আল মায়েরা ৫  নং সূরা আয়াত ৬৮ ও ৬৯






১। সূরা ইউনুস   ১০ নং আল কুরআন:  আয়াত:৪৭

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

প্রত্যেক উম্মতের জন্যেই একজন রসূল আছে, 

অতঃপর যখনই তাদের কাছে তাদের রসূল এসে যায়, তখন (তাদের সাথে আল্লাহ তায়ালার) সিদ্ধান্ত করার কাজটি ইনসাফের সাথে সম্পন্ন হয়ে যায়, তাদের উপর কখনো জুলুম করা হবে না।




২। সূরা আন নাহল: ১৬ নং আল কুরআন: আয়াত ৩৬

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি


আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতির কাছে রসূল পাঠিয়েছি, 

যাতে করে (তাদের কাছে সে বলতে পারে,) তোমরা এক আল্লাহর তায়ালার এবাদত করো এবং আল্লাহ তায়ালার বিরোধী শক্তিসমূহকে বর্জন করো, সে জাতির মধ্যে অতঃপর আল্লাহ তায়ালা কিছু লোককে হেদায়েত দান করেন, আর কতেক লোকের ওপর গোমরাহী চেপে বসে গেলো; অতঃপর তোমরা (আল্লাহর) জমীনে পরিভ্রমণ করো তারপর দেখো, (রসূলদের) মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তাদের কি (ভয়াবহ) পরিনাম হয়েছিলো!

সূরা আল মায়েরা ৫  নং সূরা আয়াত ৬৮ ও ৬৯

পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি,
৬৮. তুমি   (তাদের) বলো, হে আহলে-কিতাবরা, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাওরাত, ইঞ্জিল ও তোমাদের প্রতি তোমাদের মালিকের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা   হয়েছে তা (এ জমিনে)  প্রতিষ্টিত না করবে, ততোক্ষণ পর্যন্ত (মনে করতে হবে,) তোমরা কোনো কিছুর উপরই প্রতিষ্টিত নেই; তোমরা মালিকের কাছ থেকে যা কিছু তোমার প্রতি নাযিল করা হয়েছে (গৌড়ামীর কারণে)
তা অবশ্যই তাদের অনেকেরই সীমালংঘন ও কুফরীকে বাড়িয়ে দেবে, সুতরাং তুমি এই কাফের সম্প্রদায়ের জন্য মোটেই আফসোস করো না।

৬৯.
নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং যারা ছিলো ইহুদী, সাবেয়ী, খ্রীষ্টান- (এদের) যে কেউই এক আল্লাহ তা’আলা ও শেষ বিচারের দিনের উপর ঈমান আনবে এবং ( ঈমানের দাবী অনুযায়ী) নেক কাজ করবে, (পরকালে) তাদের কোনো ভয় নেই, তারা কোনো দুশ্চিন্তা করবে না।







৩। সূরা আশ শূরা: ৪২ নং সূরা কুরআন শরীফ: আয়াত:৭

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

"এভাবেই (হে নবী, এ) আরবি কুরআন আমি তোমার ওপর নাযিল করেছি, যাতে করে তুমি (এর দ্বারা) মক্কাবাসীদের ও তার আশেপাশে যারা বসবাস করে তাদের (জাহান্নামের আযাব সম্পর্কে) সতর্ক করে দিতে পারো,

(বিশেষ করে) তাদের তুমি কেয়ামতের মহা সমাবেশে দিন সম্পর্কে ও হুশিয়ার করতে পারো; যে দিনের (ব্যাপারে) কোন রকম সন্দেহ শোবা নাই, আর (আল্লাহ তা’আলা বিচারের সেদিন) একদল লোক জান্নাতে আরেক দল লোক জাহান্নামে (প্রবেশ করবে)।"




৪।  সূরা আল  আনয়াম ৬ নং সূরা আল কুরআন আয়াত ৯২



পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

এটি এক বরকতপূর্ণ গ্রন্থ, যা আমি (তোমার কাছে) পাঠিয়েছি, এটি আগের কিতাবের পুরাপুরি সত্যায়ন করে এবং যাতে এ (কিতাব) দিয়ে তুমি মক্কা ও তার পার্শ্ববর্তী জনপদসমূহের মানুষকে সাবধান করবে; যারা আখেরাতের উপর ঈমান আনে তারা এ কিতাবের উপরও ঈমান আনে, আর তারা তাদের নামাজের হেফাজত করে।



৫। সূরা ইব্রাহীম ১৪নং সূরা আল কোরআনের আয়াত ৪

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি,

৪. আমি কোনো নবীই এমন পাঠাইনি, যে (নবী) তার জাতির (মাতৃ)-ভাষায় (আমার বাণী তাদের কাছে পৌছায়নি), যাতে করে সে তাদের কাছে (আমার আয়াত) পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলতে পারে; অতপর আল্লাহ তায়ালা যাকে চান তাকে গোমরাহ করেন, আবার যাকে তিনি চান তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন; তিনি মহাপরাক্রমশালী ও মহাকুশলী।




৬। সূরা আর-রাদ ১৩ নং সূরা আল কোরআন আয়াত ৩০

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি,

৩০. (অতীতে যেমন আমি নবী রসূল পাঠিয়েছি) তেমনি করে আমি তোমাকেও একটি জাতির কাছে (নবী করে) পাঠিয়েছি, এর আগে অনেক কয়টি জাতি অতিবাহিত হয়ে গেছে, (নবী পাঠিয়েছি) যাতে করে তোমরা তাদের কাছে সে (কেতাব) পড়ে শোনাতে পারো, যা আমি তোমার ওপর ওহী করে পাঠিয়েছি, (এ সত্ত্বেও) তারা অনন্ত করুণাময় আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করে; তুমি তাদের বললা, তিনিই আমার মালিক, তিনি ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো মাবুদ নেই, (সর্বাবস্থায় আমি তাঁর ওপরই ভরসা করি, তার দিকেই (আমার) প্রত্যাবর্তন।




৬। সূরা আর-রাদ ১৩ নং সূরা আল কোরআন আয়াত ৩৭,৩৮,৩৯ 

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি,

৩৭. (হে নবী,) আমি এভাবেই এ বিধান (তোমার ওপর) আরবী ভাষায় নাযিল করেছি (যেন তুমি সহজেই বুঝতে পারো); তোমার কাছে (আল্লাহর পক্ষ থেকে যে জ্ঞান এসেছে তা সত্ত্বেও যদি তুমি তাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহর সামনে তোমার কোনোই সাহায্যকারী থাকবে না- না থাকবে (তোমাকে) বাঁচাবার মতো কেউ!

৩৮. (হে নবী,) তোমার আগেও আমি (অনেক) রসূল পাঠিয়েছি এবং তাদের জন্যে আমি স্ত্রী এবং সন্তান সন্ততিও বানিয়েছিলাম; কোনো রসূলের কাজ এটা নয়। যে, আল্লাহর অনুমতি ছাড়া একটি আয়াতও সে পেশ করবে; (মূলত) প্রতিটি যুগের জন্যেই (ছিলো এক) একটি কেতাব।

৩৯. আর (সেসব কিছুর মাঝে থেকে) আল্লাহ তায়ালা যা কিছু চান তা বাতিল করে দেন এবং যা কিছু ইচ্ছা করেন তা (পরবর্তী যুগের জন্যে) বহাল রেখে দেন, মূল গ্রন্থ তো তাঁর কাছেই (মজুদ) থাকে।






৭। সূরা হুদ ১১ নং সূরা আল কোরআন আয়াত ১১৮



পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

(হে নবী,) তোমার মালিক চাইলে দুনিয়ার সব মানুষকে তিনি একই উম্মত বানিয়ে দিতে পারতেন (কিন্তু আল্লাহ তাআলা কারো উপর তার ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে চাননি), এ কারণে তারা হামেশাই নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ করতে থাকবে,






৮। সূরা আল মোমেন: ৪০ নং সূরা আল কুরআন আয়াত ৭৮

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

(হে মোহাম্মদ,) আমি তোমার আগে (অনেক) নবী প্রেরণ করেছি, তাদের কারো কারো ঘটনা আমি তোমাকে শুনিয়েছি, (আবার এমনও আছে) তাদের কথা তোমার কাছে আমি আদৌ বর্ণনাই করিনি; (আসলে) আল্লাহ তায়ালার অনুমতি ছাড়া কোন নিদর্শন উপস্থিত করা কোনো রসূলের কাজ নয়, আর যখন আল্লাহ তাআলা ফয়সালা এসে যাবে তখন তো সব কিছুর যথাযথ মীমাংসা হয়ে যাবে, আর (সে ফয়সালায়) ক্ষতিগ্রস্ত হবে একমাত্র মিথ্যাশ্রয়ীরাই।





৯। সূরা বনী ইসরাইল ১৭ নং সূরা আল কুরআন আয়াত ১৫

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

যে ব্যক্তি হেদায়াতের পথ চলবে, সে তো চলবে একান্তভাবে নিজের (ভালোর) জন্যে, যে ব্যক্তি গোমরাহ হবে তার গোমরাহীর দায়িত্ব অবশ্যই তার ওপর; (আসল কথা হচ্ছে, সেদিন) কেউই অন্য কারো (গুনাহের) ভার বইবে না; 

আর আমি কখনোই (কোনো জাতিকে) আযাব দেই না, যতোক্ষণ না আমি (সেখানে আযাব থেকে সতর্ককারী) কোন রসূল না পাঠাই।





১০। সূরা নিসা ৪ নং সূরা আল কুরআন আয়াত ১৬৪

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

রসূলদের মাঝে এমনও অনেকে আছে, যাদের কথা ইতিপূর্বে আমি তোমার কাছে বলেছি, কিন্তু এদের মাঝে বহু রাসূল এমনও আছে যাদের  (নাম ঠিকানা) কিছুই আমি তোমাকে বলিনি; মুসার সাথে তো আল্লাহ তাআলা কথাও বলেছেন।






মানুষের সম্মানে দাঁড়িয়ে থাকা ইসলামের দৃষ্টিতে সঠিক বিস্তারিত জানতে নিচের আয়াত এবং সূরা ইউসুফ সম্পূর্ণ পড়ুন নিজের মাতৃভাষায়:

সূরা ইউসুফ  ১২ নং সূরা আল কোরআন আয়াত ১০০




পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

(সেখানে যাওয়ার পর) সে তার পিতা-মাতাকে (সম্মানের) উচ্চ আসনে বসালো এবং 

ওরা সবাই (দরবারে নিয়ম অনুযায়ী) তার প্রতি (সম্মানের) সেজদা করলো 

(এ  ইউসুফ তার স্বপ্নের কথা মনে করলো,) সে বললো, হে আমার পিতা এ হচ্ছে আমার ইতিপূর্বে সে স্বপ্নের ব্যাখ্যা, (আজ) আমার মালিক যা সত্য পরিণত করেছে তিনি আমাকে জেল থেকে বের করে আমার উপর অনুগ্রহ করেছেন, তিনি তোমাদের মরুভূমি (আরেক প্রান্ত) থেকে (রাজ দরবারে এনে) তোমাদের উপরও মেহেরবানি করেছে, (এমনকি) শয়তান আমার এবং আমার ভাই এর মধ্যকার সম্পর্ক খারাপ করার (গভীর চক্রান্ত করার) পরও (তিনি দয়া করেছেন); অবশ্যই আমার মালিক যা ইচ্ছা করেন, তা (অত্যন্ত) নিপুণতার সাথে আঞ্জাম দেন; নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ ও প্রবল প্রজ্ঞাময়।



উপরের  বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আল কোরআন নিজের মাতৃভাষায় পড়ুন বা শুনুন। কারন এক আল্লাহর সকল জ্ঞানের উৎস। আর আল্লাহ কোরআনের সম্পূর্ণ জ্ঞান, আপনার ঈমানকে মজবুত করবে। যে মানুষ সম্পূর্ণ কোরআনের জ্ঞান রাখে, তাকে কেউই বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে না। কারন তার পথ প্রদর্শক হলো আল্লাহর তায়ালার।


আল কোরআন সম্পর্কে অল্প জ্ঞান বা আপনার জ্ঞানের প্রতি আপনার অহংকার, আপনার ক্ষতি কারন হতে পারে। তাই সবার আগে আল কোরআন সম্পূর্ণ পড়ুন বা মাতৃভাষায় শুনুন।

আল কোরআন নিজের মাতৃভাষায় শুনুন। সম্পূর্ণ আল কোরআন। এখানে ক্লিক করুন।



"সকল প্রশংসা আল্লাহর তায়ালার জন্য কারণ তিনি সকল জ্ঞানের উৎস।"



লেখক: যুবাইর মাহমুদ।


Saturday, April 27, 2019

JM Shows

JM Shows YouTube channel


Jubair/ Jubair Mahmud

Jubair Mahmud

Education: LLB, LLM
Researcher, writer, Blogger, YouTuber, Lawyer and Bodybuilder.

Sunday, April 21, 2019

ব্যায়াম সময় চর্বিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার

 :
ব্যায়াম সময় চর্বিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার:

প্রধানত দুই ধরনের চর্বি আছে যা মাংস পেশীর শক্তিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।

মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডকে  ব্যায়ামের সময় খুব তাড়াতাড়ি জ্বালানী উৎস হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

চর্বি ব্যবহার করে এটিপি উৎপাদনের জন্য, প্রথমে চর্বিকে  মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড রুপান্তরিত করতে হবে বা মাংস পেশীতে  মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড আগে থেকেই উপস্থিত থাকতে হবে।

এটিপি উৎপাদনের জন্য মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের মধ্যে যে অণুতে ধারণকারী কার্বন এবং হাইট্রোজেনকে ইচ্ছাপূর্বক অক্সিডাইস করা যেতে পারে পেশী মাইটোকন্ড্রিয়ায় মধ্যে।

ট্রাইগ্লিসেরাইড হলো মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের মুখ্য সংরক্ষণাগার  যেমন করে গ্লাইকোজেনের হলো   গ্লুকোজ সংরক্ষণাগার।
ট্রাইগ্লিসেরাইড ভিতর মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড ট্রাইগ্লিসেরাইড হয়ে শরীরের জমা থাকে।

মূলত প্রতি অনু ট্রাইগ্লিসারাইড  তিনটি ফ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সংরক্ষিত থাকে। এটিপি উৎপাদন করতে এই তিনটি ফ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়। যখন তিনটি ফ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এটিপি উৎপাদন করে তখন চর্বি শরীরে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।

প্রাথমিকভাবে দুই ধরনের জায়গায় ট্রাইগ্লিসারাইড সংরক্ষিত হয়ে থাকে। যেমন: মেদ বা চর্বি কোষ এবং হাড়ের সাথে যে মাংস জড়িত সেই মাংস পেশী সাথে ট্রাইগ্লিসারাইড পাওয়া যায়।

চর্বি কোষে সবচেয়ে বেশি ট্রাইগ্লিসারাইড থাকে।

ট্রাইগ্লিসেরাইড রক্তে, মাংস পেশীতে এবং চর্বি কোষে থাকে। আমরা দেখতে ভাল লাগবে 100,000 কিলো ক্যালোরি  এটিপি উৎপাদনের ব্যবহার হয়।

A major endurance training adaptation, is the increased ability to use fats as a fuel,


মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড রক্ত প্রবাহ মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন মাংস পেশীতে যায় যেখানে শক্তি প্রয়োজন হয়।
ফ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মাইটোকন্ড্রিয়ায় প্রবেশ করে যেখানে এটি বিটা অক্সিডেশন পথের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে অক্সিডাইজড হয়, প্রচুর পরিমাণে এটিপি উৎপন্ন করে।

কার্বহাইড্রেট যখন শরীরে শেষ হয়ে যায়। তখন চর্বি শরীরে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হয়।

The contribution of fats during a bout of prolonged exercise, such as running দৌড় a marathon. ম্যারাথন  দৌড়।

চার ঘণ্টা ব্যায়াম ৫০% শরীরের জ্বালানি আসে শর্করা জাতীয় খাবার থেকে আর বাকি ৫০% জ্বালানি আসে চর্বি থেকে।  ব্যায়ামের যতবেশি হবে ততবশি ট্রাইগ্লিসেরাইড শরীর থেকে কমে যাবে। কারন শরীর শক্তি জন্য জ্বালানি  প্রথমে শর্করা জাতীয় খাবার থেকে নেয় আর শর্করা জাতীয় খাবার খুব তাড়াতাড়ি শক্তি উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তখন শরীর শক্তি উৎপাদন জন্য জ্বালানি তৈরি করা জন্য চর্বি যা শরীরের ট্রাইগ্লিসেরাইড হিসাবে জমা থাকে তা ব্যবহার করা শুরু করে।
শরীরের চর্বি কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো শর্করা জাতীয় খাবার বন্ধ করে বা কমিয়ে দেওয়া এর ফলে শরীরের শক্তি ব্যয় করা জ্বালানি শর্করা জাতীয় খাবার থেকে না পেয়ে শরীর মধ্যে চর্বি যা ট্রাইগ্লিসেরাইড হিসাবে জমা থাকে তা ব্যবহার করা শুরু  এর ফলে শরীরের চর্বি তাড়াতাড়ি কমবে।


চর্বি কোষ বৃদ্ধি পেলে ট্রাইগ্লিসারাইড ভেঙে দেয় মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডকে এবং মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ভিতরে, কলিজা ভিতরে মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড গিয়ে। রক্তে ভিতর মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড চর্বিতে রুপান্তরিত হয়ে কলিজা এবং রক্ত নালীর মধ্যে ট্রাইগ্লিসারাইড হিসাবে জমা থাকে।

তখন ফ্যাটি লিভার হয় এবং হৃদয়ে রক্ত নালীর পথ বন্ধ হয়ে হৃদয়ে রোগ হয়ে থাকে।














লেখক: যুবাইর মাহমুদ।


Saturday, April 20, 2019

Reform of the International Court of Justice: An Enforcement Perspective

Ebook on Amazon Kindle:
Reform of the International Court of Justice: An Enforcement Perspective:


Amazon Kindle Link:
Reform of the International Court of Justice: An Enforcement Perspective





Writer: Jubair Mahmud.